রেক্টিফায়ার (১.৩.৯)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | - | NCTB BOOK

রেক্টিফায়ার (Rectifier)

যে ডিভাইসের মাধ্যমে অল্টারনেটিং কারেন্টকে (AC) পরিবর্তন করে ডাইরেক্ট কারেন্ট (DC) এ রূপান্তরিত করা হয় তাকে রেক্টিফায়ার বলে।

রেন্টিফিকেশন (Rectification) 

যে ডিভাইস বা কৌশলের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহকে একমুখী করা যায় অর্থাৎ AC কে D C করা যায় তাকে রেক্টিফিকেশন বলে। অর্থাৎ রেক্টিফায়ারের সাহায্যে অল্টারনেটিং কারেন্টকে পালসেটিং ডাইরেক্ট কারেন্ট-এ রূপান্তরিত করা হয়, এই প্রক্রিয়াকে রেক্টিফিকেশন বলে।

রেক্টিফায়ারের প্রকারভেদ (Classification of Rectifier) 

রেক্টিফিকেশন পদ্ধতি অনুযায়ী রেক্টিফায়ারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

১। হাফওয়েভ রেক্টিফায়ার (Half Wave Rectifier) 

একটি মাত্র ভারোড ব্যবহার করে যে রেক্টিফায়ার তৈরি করা হয় তাকে হাফ ওরেও রেক্টিফায়ার বলে। পি.এন ডারোড দিয়ে এ.সি. সাপ্লাই দিলে ফরওয়ার্ড বায়াসের সময় অর্ধ সাইকেল কারেন্ট প্রবাহিত হয়। কিন্তু রিভার্স বায়াসের সমর কারেন্ট প্রবাহিত হয় না।

২। ফুলওয়েভ রেক্টিফায়ার (Full Wave Rectifier) 

হাফ ওয়েভ রেক্টিফিকেশনকে উন্নতি করার জন্য দু'টি ডায়োড অথবা চারটি ডায়োড ব্যবহার করে ফুল ওয়েভ রেক্টিফিকেশন করা হয়। আবার ফুল ওয়েভ রেক্টিফায়ারকে গঠন অনুযায়ী দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-

  • সেন্টার ট্যাপ রেক্টিফায়ার 
  • ব্রীজ রেক্টিফায়ার

(ক) সেন্টার ট্যাপ রেক্টিফায়ার 

ট্রান্সফরমারে সেন্টার ট্যাপ পদ্ধতিতে দু'টি ডায়োড ব্যবহার করে ফুল ওয়েভ রেক্টিফিকেশন করা হয়। ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারিতে সেন্টার ট্যাপ করার দরুন এক প্রান্ত একবার পজেটিভ এবং অপর প্রান্তটি নেগেটিভ হয়। ট্রান্সফরমারের দুই প্রাপ্ত ডায়োডের এ্যানোড সংযুক্ত করা থাকে। যার ফলে একটি ডায়োডের এ্যানোড পজেটিভ হলে দ্বিতীয় এ্যানোডটি নেগেটিভ হবে। এ.সি. সাইকেলের পজেটিভ অর্ধ সাইকেল Di ডায়োড দিয়ে প্রবাহিত হয়ে R লোড দিয়ে সেন্টার ট্যাপ ঘুরে আসে। এ.সি. অর্ধ নেগেটিভ সাইকেল D2 দিয়ে প্রবাহিত হয় না। আবার এ.সি. অর্থ পজেটিভ সাইকেল D2 এর মধ্য দিয়ে R লোড দিয়ে সেন্টার ট্যাপ ঘুরে আসে। কিন্তু এ.সি. অর্থ নেগেটিভ সাইকেল সে সময় D1 এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় না । ট্রান্সফরমারের প্রাইমারীতে যতক্ষণ এ.সি. সাপ্লাই থাকবে ততক্ষণ ডায়োড দু'টিতে উল্লেখিত ভাবে কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকবে ।

খ) ব্রীজ রেক্টিফায়ার

ব্রীজ পদ্ধতিতে চারটি ডায়োড ব্যবহার করে ফুল ওয়েভ রেক্টিফিকেশন করা যায়। চিত্রে D1 D2, D3 3 D4 চারটি ডারোড, একটি রেজিস্টর, একটি ট্রান্সফরমার ব্যবহার করে ব্রীজ রেক্টিফায়ার তৈরি করা হয়। D1 ও D3 সিরিজে এবং D2 ও D4 সিরিজে সংযোগ করা আছে। ট্রান্সফরমারের এক প্রাপ্ত যখন পজিটিভ হয় তখন কারেন্ট D1 ও D4 এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। ট্রান্সফরমারের অপর প্রান্ত পজিটিভ হয় তখন কারেন্ট D2 ও D3 এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। উভয় ক্ষেত্রে লোডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং প্রবাহের দিক উভয় ক্ষেত্রেই একই দিকে হয়।

ব্রীজ রেক্টিফায়ারের বড় সুবিধা হল, এই ট্রান্সফরমারের কোন সেন্টার ট্যাপ করতে হয় না এবং আউটপুট ভোল্টেজ এবং কারেন্ট দ্বিগুণ পাওয়া যায় ।

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ ২ 

নিচের ছকে ছবির নাম কাজ ।

 

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion