রাশিয়া আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। পূর্ব ইউরোপ ও উরে এশিয়াজুড়ে রাশিয়া বিস্তৃত এজন্য রাশিয়াকে ইউরেশিয়ান রাষ্ট্র বলা হয়। ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে রাজধানী। | পেত্রোগ্রাদে (বর্তমান সেন্ট পিটার্সবার্গ) একটি ফ্যাক্টরিতে ধর্মঘট | ডাকা হয়। ১৯১৭ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি হাজার হাজার নারী | পোশাক-শিল্প কর্মী খাদ্যাভাবের জন্য তাদের ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়ে আসে, বিশেষ করে যখন সৈন্যরা প্রকাশ্যে ধর্মঘট পালনকারীদের পক্ষ নেয়। এভাবে দ্বিতীয় নিকোলাসের পদচ্যুত করার মধ্য দিয়ে ২রা মার্চ ১৯১৭ সালে জার ও অভিজাততন্ত্রের পতন হয় এবং লেলিনের নেতৃত্বে বলশেভিক বিপ্লবের মাধ্যমে পৃথিবীর প্রথম সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২২ সালে।
জেনে নিই
রেড ও হেয়াইট আর্মি
রুশ বিপ্লব ও রাশিয়ার গৃহযুদ্ধের সময়কালীন বলশেভিক বিপ্লবী রুশ বাহিনী রেড আর্মি অন্য পক্ষ প্রগতিশীল মেনশেভিকদের বাহিনী ছিল হোয়াইট আর্মি। সোভিয়েত সেনাবাহিনীর নাম পরবর্তীতে রেড আর্মি করা হয়। হয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত সেনাবাহিনীর নাম রেড আর্মির পরিবর্তে 'সোভিয়েত আর্মি' রাখা হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়ন
USSR Union of Soviet Socialist Republics- ১৯১৭ সালে অক্টোবর বিপ্লবের পর ১৯২২ সালে পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ১৫টি রাষ্ট্র হয় মিখাইল গর্বাচেভের সময়।
USSR ভেঙে যে ১৫টি রাষ্ট্র গঠিত হয়:
USSR Union of Soviet Socialist Republics- ১৯১৭ সালে অক্টোবর বিপ্লবের পর ১৯২২ সালে পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ১৫টি রাষ্ট্র হয় মিখাইল গর্বাচেভের সময়।
এশিয়ার কিহু তথ্য জেনে নিই
আলোচিত অঞ্চল
এশিয়া মহাদেশের অঞ্চল ভিত্তিক ৪৪টি স্বাধীন দেশ
দক্ষিণ এশিয়ার ৮ টি দেশঃ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১ টি দেশঃ
উত্তর পশ্চিম এশিয়ার/ মধ্যপ্রাচ্যের ১৪ টি দেশঃ
দূর প্রাচ্যের ৫ টি দেশঃ
মধ্য এশিয়ার ৬ টি দেশঃ
দক্ষিণ এশিয়া হল এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, বর্তমানে এই অঞ্চলটি আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ নিয়ে গঠিত। ভৌগোলিকভাবে, এটি ভারতীয় প্লেটে অবস্থিত এবং এর দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং উত্তরে হিমালয়, কারাকোরাম ও পামির পর্বত । দক্ষিণ এশিয়া নামটি মূলত ব্রিটিশ রাজ্যের প্রশাসনিক সীমানা থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। ১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল অঞ্চল ছিল এই দক্ষিণ এশিয়া।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রধানত দুইটি ভৌগোলিক অঞ্চলের সমষ্টি, এখানে বর্তমানে ১১টি রাষ্ট্র বিদ্যমান থাকলেও আঞ্চতি জোট আসিয়ান (১৯৯৭) এর সদস্য পূর্ব তিমুর বাদে বাকি ১০ দেশ। মূল ভূখণ্ড অংশটি ইন্দোচীন উপদ্বীপ নামে পরিচিত এবং এখানে কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম অবস্থিত। সামুদ্রিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ব্রুনাই, পূর্ব তিমুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ এবং সিঙ্গাপুর নিয়ে গঠিত। এখানে মূলত অস্ট্রোনেশীয় জাতির লোকেরা বাস করে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মূলত তিন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। তথা: (১) বৌদ্ধ ধর্ম: মায়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম (২) ইসলাম ধর্ম। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই (৩) খ্রিস্টান ধর্ম ফিলিপাইন এবং পূর্ব তিমুর। ব্যতিক্রম ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে কিছু অঞ্চলে হিন্দু ধর্মের মানুষও বসবাস করে।
এশিয়া মহাদেশের বিশাল ভূ-বেষ্টিত (Land Locked) অঞ্চল মধ্য এশিয়া। ঐতিহাসিকভাবে অঞ্চলটি যাযাবর জাতি ও চীনের সিল্ক রোডের সাথে সম্পর্কিত। মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তান ও আর্মেনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল । ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেলে কাজাখস্তান ও আর্মেনিয়া স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। মধ্য এশিয়া (০৬টি দেশ) এশিয়া মহাদেশের বিশাল ভূ-বেষ্টিত (Land Locked) অঞ্চল মধ্য এশিয়া। মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল।
উপনিবেশ
মধ্য এশিয়ার সবদেশ ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল। স্বাধীনতা পায় সোভিয়েত ইউনিয়নের নিকট থেকে।
নাগার্নো-কারাবাখ
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে বিবদমান ছিটমহল। আজারবাইজান মূলত ককেশীয় অঞ্চলের দেশ। এটিকে কেউ ইউরোপ আবার কেউ এশিয়ার দেশ মনে করে। এজন্য একত্রে ইউরেশিয়ান দেশ বলা হয়।
সমরখন্দ
উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক নগরী। সম্রাট বাবর এখানে জন্মগ্রহণ করেন।
টিউলিপ বিপ্লব
২০০৫ সালে কিরগিস্তানের সংসদ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট অ্যাকায়েডের কর্তৃত্ববাদ ও দুর্নীতির ফলে এই বিপ্লব আরম্ভ হয়। এই বিপ্লবের ফলে প্রেসিডেন্ট এসকার অ্যাকায়েড পদত্যাগ করেন।
জেনে নিই
মৌলিক তথ্য
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। ভারতের সীমান্তবর্তী দেশের সংখ্যা ৭টি যথা: বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তান। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ডোমিনিয়ন রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে । একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিভক্ত হয়ে গঠ করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। বর্তমানে ভারত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ওয়েস্টমিনিস্টার-ধাঁচের 'আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদ সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে।
জেনে নিই
আরও কিছু তথ্য
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
তৎকালীন বার্মা ভারতের স্বাধীনতার প্রায় এক বছর পর ১৯৪৮ | সালের ৪ঠা জানুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করে। তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারের উৎখাতের পর ১৯৮৯ সালে সেখানক সামরিক সরকার বার্মার নতুন নামকরণ করে "মিয়ানমার" এবং প্রধান শহর ও তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নামকরণ করে। "ইয়াঙ্গুন"। ১৯৮২ সালে সামরিক সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর | নাগরিকত্ব বাতিল করে। ২১ অক্টোবর ২০১০ থেকে দেশটির | জাতীয় সঙ্গীত ও নতুন জাতীয় পতাকা প্রবর্তন করা হয়।
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
মালয়েশিয়া তেরোটি রাজ্য এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। দেশটির রাজধানী শহর কুয়ালালামপুর এবং পুত্রজায়া হল ফেডারেল সরকারের রাজধানী। মালয়েশিয়ার রাজা সাংবিধানিক রাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় প্রাচীন ঐতিহ্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় অভিভাবক হিসেবে রাজা থাকেন। বর্তমান রাজার নাম পঞ্চম মোহাম্মদ। আইনসভার দুই কক্ষের (দেওয়ান নেগারা ও দেওয়ান রাকিয়াত) উপর যুক্তরাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ন্যস্ত।
জেনে নিই
ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার স্থপতি। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ২২ বছর টানা গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। ২০০৩ সালে তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। অবসর গ্রহণের দীর্ঘ পনের বছর পর ৯২ বছর বয়েসে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাপক দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতার কারণে মাহাথির মোহাম্মদ আবারও আসেন রাজনীতিতে। ২০১৮ সালে নির্বাচনে পুনরায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন।
জেনে নিই
ফিলিস্তিন সমস্যার প্রেক্ষাপট
ভূমধ্যসাগরের পূর্বে ১০,৪২৯ বর্গমাইলব্যাপী ফিলিস্তিন দেশটি ছিল উসমানীয় খেলাফতের অধীন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা ছিল ব্রিটেন-বিরোধী জোটে। তখন যুদ্ধ জয়ে ফিলিস্তিনদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোর যুদ্ধে জয়ী হলে এই ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে বলে আশ্বাস দেন। যা ইতিহাসে "বেলফোর ঘোষণা" হিসেবে পরিচিত। যেহেতু ফিলিস্তিন অঞ্চলে আরবীয়রা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি, সেহেতু ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই ধরে নেয় স্থানীয় আরবীয়রা।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রয়োজনে দূর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করতে সক্ষম হন ইহুদি বিজ্ঞানী ড. ওয়াইজম্যান। ফলে আনন্দিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন কী ধরনের পুরস্কার তিনি চান? উত্তর ছিল- "অর্থ নয়, আমার স্বজাতির জন্য এক টুকরো ভূমি আর তা হবে ফিলিস্তিন ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় ব্রিটেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর ব্রিটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০ বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে। মূলত এই সময়টিই ফিলিস্তিনকে আরব-শূন্য (বিশেষত মুসলিম-শূন্য) করার জন্য কাজে লাগায় ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি ।
জেনে নিই
মৌলিক তথ্য
ইসরাইল ইতিহাসে প্যালেস্টাইন নামে পরিচিত ভূ-ভাগের অংশ দখল করে রাষ্ট্র গঠন করে। মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিস্টান এই তিন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্রভূমি ফিলিস্তিনের জেরুজালেম। ব্যবিলনীয়দের দ্বারা আক্রান্ত হলে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। অষ্টাদশ শতকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিরা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করেন এবং প্যালেস্টাইনে একত্রিত হন। ১৯৪৮ সালে ইহুদিরা আরব ভূমিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশ ও মার্কিনদের সহায়তায় ।
জেনে নিই
ইসরাইলকে স্বীকৃতি
মৌলিক তথ্য
ইরানের রাজনীতি একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে গৃহীত সংবিধান এবং ১৯৮৯ সালের সংশোধনী ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করেছে। সংবিধানে ইসলাম ধর্মের শিয়া মতটিকে ইরানের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। চেঙ্গিস খান (মোঙ্গল নেতা) ইরান দখল করে ১২২০ সালে। ১৯৩৫ সালে পারস্য নাম পরিবর্তন করে ইরান করা হয়।
জেনে নিই
ইরাকেই গড়ে উঠেছিলো মেসোপটেমিয়া নামক বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। ‘ইউফ্রেটিস ও ‘টাইগ্রিস' এই দুই নদীর মধ্যবর্তী এলাকা 'মেসোপটেমিয়া' নামে পরিচিত। ইরাকে রয়েছে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান- আসুর ও সামারা। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের নাম মসুল। ১৯২০ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্য বিভক্তর কারনে ইরাকের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ব্রিটেনের হাতে। ১৯৩২ সালে ইরাক ব্রিটেন হতে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫৮ সালে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে, প্রতিষ্ঠা হয় ইরাকি প্রজাতন্ত্র। ইউফ্রেটিস, টাইগ্রিস, সাত-ইল-আরব, লিটর জ্যাব, ডিয়ালা ইত্যাদি ইরাকের উল্লেখযোগ্য নদী । হস্তশিল্প, কার্পেট ইত্যাদি উৎপাদনে ইরাকের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী।
জেনে নিই
আব্বাসীয় আমলে ইরাকের বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত একটি গ্রন্থাগার ও অনুবাদ কেন্দ্র ছিল বাইতুল হিকমাহ । এটিকে ইসলামী স্বর্ণযুগের একটি প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র ও নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা হারুনুর রশিদ এবং তার পুত্র খলিফা আল মামুনের সময়কালে চুড়ান্ত সমৃদ্ধ লাভ করে ।
জেনে নিই
মৌলিক তথ্য
মধ্যপ্রাচ্যের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সুন্নি মুসলিম প্রধান একটি দেশ। ১৯৬৩ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে শিয়া গোষ্ঠীর বাথ পার্টি। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় রয়েছেন ২০০০ সাল থেকে। দেশটিতে আরব বসন্ত শুরু হয়েছিল ১৫ই মার্চ ২০১১ সালে। দেশটির পার্লামেন্ট- পিপলস পার্লামেন্ট। বর্তমানে আলেপ্পো, বসরা, দারা, দামেস্ক, রাক্কা, ইদলিব, সারখেভ ইত্যাদি সিরিয়ার যুদ্ধাঞ্চল ।
জেনে নিই
পালমিরা
সিরিয়ার একটি প্রাচীন শহর । ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান। মরুভূমির মুক্তা' নামে পরিচিত । গোড়াপত্তন হয় ২০০০ বছর আগে। পালমিরা 'তাদমুর' নামেও পরিচিত । রোমান সভ্যতার নিদর্শন। এখানেই অবস্থিত ঐতিহাসিক বেল মন্দির ও আর্ক অব অর্কেস্ট্রা । এই শহরকে তালগাছের শহরও বলা হয়।
সিরিয়া-ইসরাইল বিরোধ
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইলের তৃতীয় যুদ্ধের সময় ইসরাইল সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে। The Syrian Observatory for Human Rights যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা।
মৌলিক তথ্য
আব্দুল আজিজ ইবনে সউদ ১৯৩২ সালে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং সৌদি রাজতন্ত্রের সূচনা করেন। আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে বড় দেশ এটি। ৭ম শতাব্দীতে মুহাম্মাদ (সঃ) এখানে ইসলামের প্রচার করেন এবং এটি খিলাফতের প্রথম কেন্দ্র। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে বিশাল তেলের মজুদ আবিষ্কার দেশটিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলে। ৭ম শতক থেকে মক্কা ও মদিনা শহরগুলো মুসলিম বিশ্বের জন্য সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ অঞ্চল ।
জেনে নিই
আইনসভা
সৌদি আরবে কোন আইনসভা নেই। তবে কনসালটেটিভ কাউন্সিল আছে যার নাম- মজলিস আশ-শূরা। এর সদস্যদেরকে বাদশাহ নিয়োগদান করেন।
জাতীয় পতাকা
পতাকার রং সবুজ। 'লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ কালেমা থাকাতে এই পতাকা কখনও অর্ধনমিত হয় না। এর নিচে একটি তরবারি অঙ্কিত, যার দ্বারা ন্যায়বিচারকে বুঝান হয়েছে।
মৌলিক তথ্য
১৯১১ সালের ১০ অক্টোবর জিনহাই বিপ্লব (Xinhai Revolution) এর মাধ্যমে কিং রাজবংশ (King Dynasty) কে উৎখাত করে চীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। চীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন ড. সান ইয়াৎ সেন। তিনি চীনের প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আধুনিক চীনের জনক। তবে গণচীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং (১৯৪৯ সালে)। জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম এ দেশটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। বর্তমানে প্রযুক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে টান। সামরিক ও অর্থনৈতিক বিচারে পৃথিবীতে দ্বিতীয় শক্তিশালী দেশ। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড চীনের আলোচিত মেগাপ্রকল্প।
জেনে নিই
১৭ শতকে প্রথমবারের মতো তাইওয়ানের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ পায় চীন। তখন চীনে শাসন করছিল কুইং রাজপরিবার। পরে প্রথম চীনজাপান যুদ্ধে হেরে ১৮৯৫ সালে দ্বীপটি জাপানের কাছে ছেড়ে দেয় চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান পরাজয় স্বীকারের পর আবার তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ পায় এরপর চীনের মূল ভূখণ্ডে চিয়ান কাইশেক (যুক্তরাষ্ট্রপন্থী) নেতৃত্বাধীন দেশটির জাতীয়তাবাদী সরকার ও মাও সেতুংয়ের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে গৃহযুদ্ধ দেখা দেয়। ওই যুদ্ধে ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টদের জয় হয়। কমিউনিস্ট পার্টির কাছে পরাজিত হওয়ার পর চিয়াং কাইশেক ও তাঁর জাতীয়তাবাদী দল 'কুয়োমিনটাং এর অনেকে তাইওয়ানে পালিয়ে যান। এর পরের কয়েকটা দশক সেখানেই তাঁরা শাসন করেছিলেন। ওই সময় থেকেই কুয়োমিনটাং দ্বীপটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল। মূলত ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করেই চীন দাবি করে আসছে, তাইওয়ান তাদের একটি প্রদেশ। ইতিহাসের কথা টেনেই আবার উল্টো দাবি করছে তাইওয়ান। তাদের ভাষ্য, ১৯১১ সালের বিপ্লবের পর যে আধুনিক চীন গড়ে উঠেছিল, কোনোকালেই তার অংশ ছিল না তাইওয়ান। এমনকি ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের হাত ধরে গড়ে ওঠা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অধীনেও ছিল না তারা। মাত্র ১৩টি দেশের কাছ থেকে তাইওয়ান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মজার বিষয় হল তাইওয়ান ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের সদস্য ছিল । কিন্তু বর্তমানে তাইওয়ান জাতিসংঘের সদস্যও না।
জেনে নিই
কোরিয়া বিভক্তি (১৯৪৫-১৯৫০)
১৯০৫ সাল থেকে ২য় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত কোরিয়া জাপানের অধীনে ছিল। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে জাপানিরা সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তখন ১৯৫০ সালে ৩৮ ডিগ্রি অক্ষরেখায় মানচিত্র বিভক্ত করে উত্তর কোরিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের মতাদর্শে সমাজতান্ত্রিক ব্লকে, অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া পুঁজিবাদী আমেরিকার মতাদর্শে এর পুঁজিবাদী ব্লকে যোগ দেয়। বিভক্ত কোরিয়াকে সংযুক্তিকরণের লক্ষে ১৯৫০ সালের ২৫ জুন উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রমণ করে। অবশেষে | ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
জেনে নিই
জাপান হল পূর্ব এশিয়ার দূরপ্রাচ্যের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। জাপান একটি যৌগিক আগ্নেয়গিরীয় দ্বীপমালা। এই দ্বীপমালাটি ৬.৮৫২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। জাপানের বৃহত্তম চারটি দ্বীপ হল হোনশু, হোক্কাইদো, ক্যুৎ ও শিকোকু। ১৯৪৫ সালেজাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। ১৯৪৭ সালে। সংশোধিত সংবিধান (শান্তির সংবিধান) গ্রহণের পর জাপান একটি এককেন্দ্রিক সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত হয়। এর পার্লামেন্টের নাম ন্যাশনাল ডায়েট। জাপানকে প্রায়শই "উদীয়মান সূর্যের দেশ" বলে অভিহিত করা হয়। রাজধানী টোকিও হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেগাসিটি।
জেনে নিই
জাপানের বর্তমান ১২৬ তম সম্রাট নারুহিতো হলেন জাপান রাষ্ট্রের প্রধান। ১৯৪৭ সালের সংবিধান অনুযায়ী, তিনি "রাষ্ট্র ও জনগণের ঐক্যের প্রতীক" এবং তার "সরকার সম্পর্কিত কোন ক্ষমতা" নেই। ঐতিহাসিকভাবে, তিনি শিন্তো ধর্মের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। জাপানি ভাষায় সম্রাটকে 'তেন্নো' বলা হয়, যার অর্থ "স্বর্গীয় সার্বভৌম"। ইংরাজিতে বলে মিকাদো বা মিকাডো।
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
ফরাসি উপনিবেশবাদীরা ব্রিটিশদের নিকট টিকতে না পেরে ভারত হতে ব্যবসা গুটিয়ে ১৮০৪ সালে এই অঞ্চলসমূহ দখল করে নাম দেয় Union of | Indochina (ইন্দোচীন)। বর্তমানে ইন্দোচীন বলতে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওসকে বোঝায়। এশিয়ায় ফরাসি শাসনের মূল ভিত্তি ছিল এই অঞ্চল । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান এই অঞ্চল দখল করে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এই অঞ্চল থেকেই আজাদ হিন্দ ফৌজ এর যাত্রা শুরু করেন।
জেনে নিই
ইউরো
গিন্ডার
ক্রোন
ইউরো
গিল্ডার
ক্রোন
লিরা
গ্রেট ব্রিটেনের রাজ্য- ৪টি
ব্রিটেনের কিছু তথ্যঃ
ব্রিটেনের রাজা-রানী ও প্রধানমন্ত্রী
ম্যাগনাকার্টা
গৌরবময় বিপ্লবের
শিল্প বিপ্লব
ব্লাসফেমি
ইউনিয়ন জ্যাক
ভিক্টোরিয়া ক্রস
নির্বাহী পদ
পার্লামেন্ট
ব্রেক্সিট
বৃটেনের শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রবচন গুলো:-
ফ্রান্স ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে থাকার অন্যতম কারন হলো এর দক্ষিণে ভূ-মধ্যসাগর এবং পশ্চিমে | আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। ১৭৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের মাধ্যমে দেশটিতে প্রজাতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। উল্লেখ্য যে নেপোলিয়নের (১৮০৪-১৮১৫) সময়কে বলা হয় ফ্রান্সের স্বর্ণযুগ কারণ এই সময় ইতালি, জার্মানী, এবং স্পেনসহ ইউরোপের মূল ভূ- খণ্ডের অধিকাংশ ফ্রান্সের সাম্রাজ্যভুক্ত হয়ে ছিল।
জেনে নিই
তথ্য
জার্মানি ইউরোপের অন্যতম প্রধান শিল্পোন্নত ও অর্থনীতির দেশ। এটি ১৬টি রাজ্য নিয়ে গঠিত একটি সংযুক্ত ইউনিয়ন। এটির উত্তর সীমান্তে উত্তর সাগর, ডেনমার্ক ও বাল্টিক সাগর, পূর্বে পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণে অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড এবং পশ্চিম সীমান্তে ফ্রান্স, লুক্সেমবুর্গ, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ড্স অবস্থিত। জার্মানির ইতিহাস জটিল এবং এর সংস্কৃতি সমৃদ্ধ, তবে ১৮৭১ সালের আগে এটি কোন একক রাষ্ট্র ছিল না। ১৮১৫ থেকে ১৮৬৭ পর্যন্ত জার্মানি একটি কনফেডারেসি এবং ১৮০৬ সালের আগে এটি অনেকগুলি স্বতন্ত্র ও আলাদা রাজ্যের সমষ্টি ছিল।
জেনে নিই
বার্লিন টানেল: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র পূর্ব জার্মানিতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য জার্মানির পশ্চিম বার্লিন থেকে আধা কিলোমিটার সুরঙ্গ টানেল নির্মাণ করে পূর্ব জার্মানির দুর্ভেদ্য গোয়েন্দা নেটওয়ার্কে সংযোগ স্থাপন করে।
বার্লিন প্রাচীর:
জেনে নিই
ইউরোপের প্রথম উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছিল এই গ্রিসে। বর্তমান আধুনিক ইউরোপকে এর ফসল বললে অত্যুক্তি হবে না। রোম গ্রীস দখল করে- খ্রিস্টপূর্ব ১৪৬ অব্দে। Minoan, Ges Mycenaean সভ্যতার উত্থানের ফলে স্বতন্ত্র সরকার ও সমাজ কাঠামো বিশিষ্ট রাজ্যের সৃষ্টি হয়। এই রাজ্যগুলো স্পার্টা এবং এথেন্সের অধীনে একত্রিত হয়ে পার্সিয়ানদের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করেছিল। এথেন্সে গ্রিসের প্রথম গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ। সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রিস ১৪৬০ সালে তুরস্কের অধীনস্থ ছিল। ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে গ্রিস স্বাধীনতা লাভ করে।
জেনে নিই
পঞ্চম শতাব্দীতে যখন রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে, তখন প্রদেশগুলো শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে পরে এবং সেগুলো দস্যু | কবলিত হয়ে পরার ফলে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সামন্ত প্রথার | সূত্রপাত ঘটে ইতালিতে। পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত সামন্ত সমাজব্যবস্থা শক্তিশালী রূপ লাভ করে, পরবর্তীতে রেঁনেসার মধ্য দিয়ে সামন্ত প্রথার বিলুপ্তি ঘটে। সান মারিনো ও ভ্যাটিকান সিটি নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ইতালি অধিভুক্ত। ভ্যাটিকান সিটি, রোম শহরের সীমার মধ্যে একটি স্বাধীন দেশ, একটি শহরের মধ্যে একটি দেশের বিদ্যমান থাকার একমাত্র উদাহরণ এটি। এই কারণে রোমকে দুই রাষ্ট্রের রাজধানীও বলা হয়।
জেনে নিই
জেনে নিই
মৌলিক তথ্য:
ভ্যাটিকান সিটি মূলত একটি নগররাষ্ট্র । আয়তন ও জনসংখ্যায় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ ভ্যাটিকান সিটি। ভৌগোলিক পরিসরে যেসব রাষ্ট্রের মাঝে অন্য কোন রাষ্ট্রের অংশবিশেষ বা পুরো একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অবস্থান রয়েছে, সেটিকে ছিদ্রায়িত বলে। ছিদ্রায়িত রাষ্ট্র ইতালির অভ্যন্তরের দুইটি দেশ হলো- স্যানম্যারিনো ও ভ্যাটিকান সিটি।
জেনে নিই
১৯৯২ সালে সাবেক যুগোশ্লাভিয়া ভেঙ্গে সৃষ্টি হওয়া নতুন ৭ টি রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। সার্বিয়া আর মন্টিনিগ্রো ফেডাকে রিপাবলিক অব যুগোশ্লাভিয়া নাম নিয়ে কিছুকাল টিকে থাকলেও ২০০৬ সালে মন্টিনিগ্রো স্বাধীন হলে যুগোশ্লাভিয়া বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে সার্বিয়া ভেঙ্গে সার্বিয়া ও কসোভো (২০০৮) নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়।
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
মৌলিক তথ্য:
পর্তুগালকে মহাসমুদ্র অভিযাত্রীদের দেশ (A nation of great seafarers) বলা হয়। গামা ইউরোপ থেকে ভারতে আসার জনপথ আবিষ্কার করেন। ১৪৯৮ সালে তিনি ভারতের কালি উপস্থিত হন।
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
সাইপ্রাস (Cyprus)
মাল্টা (Malta)
বলকান অঞ্চল (The Balkans) বলতে দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের একটি ঐতিহাসিক প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এক অঞ্চলকে বোঝায়। এর পূর্বে কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিমে অ্যাড্রিয়াটিক সাগর, দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর। দানিউব, সাভা ও কৃপা নদীগুলি অঞ্চলটির উত্তর সীমানা নির্ধারণ করেছে। বুলগেরিয়া থেকে পূর্ব সার্বিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত বলকান পর্বতমালার নামে অঞ্চলটির নাম এসেছে। যার অর্থ সারি সারি পর্বত। বলকান অঞ্চলের আয়তন প্রায় ৫.৫০,০০০ বর্গকিলোমিটার। এ অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি লোকের বাস। ঐতিহাসিকভাবে বলকান ছিল। উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইউরোপীয় অংশ।
জেনে নিই
বলকান রাষ্ট্র মোট ১১ টি
[নোট: সাবেক যুগোস্লোভিয়ার ভেঙ্গে যাওয়া ৭টি রাষ্ট্রও বলকান রাষ্ট্র।
জেনে নিই
জেনে নিই
রাষ্ট্রীয় নামঃ State of the Vatican City
রাজধানীঃ ভ্যাটিকান সিটি
ভাষাঃ ইটালিয়ান
মুদ্রাঃ ইউরো
মৌলিক তথ্য:
ভ্যাটিকান সিটি মূলত একটি নগররাষ্ট্র । আয়তন ও জনসংখ্যায় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ ভ্যাটিকান সিটি। ভৌগোলিক পরিসরে যেসব রাষ্ট্রের মাঝে অন্য কোন রাষ্ট্রের অংশবিশেষ বা পুরো একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অবস্থান রয়েছে, সেটিকে ছিদ্রায়িত বলে। ছিদ্রায়িত রাষ্ট্র ইতালির অভ্যন্তরের দুইটি দেশ হলো- স্যানম্যারিনো ও ভ্যাটিকান সিটি।
জেনে নিই
উত্তর ইউরোপের তিনটি দেশ নরওয়ে, সুইডেন ও ডেনমার্কে বলা হয় স্কান্ডিনেভিয়ান দেশ।
অধুনা উত্তর ইউরোপের পাঁচটি দেশ নরওয়, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ডকে নর্ডিক রাষ্ট্র নির্দেশ করে।
[মনে রাখুন: সব স্কান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রই নর্ডিক দেশ, কিন্তু সব নর্ডিক দেশ স্কান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্র নয়।]
দেশের নাম | রাজধানী | মুদ্রা | ভাষা | উপনিবেশ |
---|---|---|---|---|
ফিনল্যান্ড | হেলসিংকি | ইউরো | ফিনিশ, সুইডিশ | রাশিয়া |
ডেনমার্ক | কোপেনহেগেন | ক্রোন | ড্যানিশ |
|
আইসল্যান্ড | রিকজাভিক | ক্রোনা | আইসল্যান্ডিক | ডেনমার্ক |
সুইডেন | স্টকহোম | ক্রোনা | সুইডিস |
|
নরওয়ে | অসলো | ক্রোন | নরওয়েজিয়ান | সুইডেন |
জেনে নিই
উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অঞ্চল ভিত্তিক ৪৮টি স্বাধীন দেশ |
---|
উত্তর আমেরিকা | ৩ টি |
|
---|---|---|
মধ্য আমেরিকা | ৭টি |
|
ক্যারিবিয়ান অঞ্চল | ১৩ টি |
|
উত্তর আমেরিকা মহাদেশের প্রাথমিক তথ্য
মৌলিক তথ্য
আমেরিকা আবিষ্কার করেন ইতালিয় নাবিক কলম্বাস ১৪৯২ সালে। আমেরিগো ভেসপুচি আমেরিকায় আসেন ১৪৯৭ সালে। পরবর্তীতে তার নামে আমেরিকা নামকরণ হয়। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল ১৩টি রাজ্য নিয়ে। ব্রিটেনের বণিক সম্প্রদায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে উপনিবেশ স্থাপন করে ১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে। বর্তমানে আমেরিকার ৫০টি রাজ্য রয়েছে। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
আমেরিকার স্বাধীনতা
প্রশাসনিক কাঠামো
যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয় ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং একটি স্বাধীন ফেডারেল জেলা ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় ১৩টি রেখা এবং ৫০টি তারা। ১৩টি রেখা দ্বারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কালীন ১৩টি রাজ্যকে বোঝানো হয়েছে এবং ৫০টি তারকা দিয়ে ৫০টি অঙ্গরাজ্যকে বোঝানো হয়েছে।
বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র
আমেরিকার বিদেশের মাটিতে প্রথম যুদ্ধ
আমেরিকানদের অন্যতম লাভজনক সংঘাত হলো মেক্সিকো যুদ্ধ। ১৮৪৬ থেকে ১৮৪৮ সালের মধ্যে সংঘটিত মেক্সিকো- আমেরিকা যুদ্ধটি হলো বিদেশের মাটিতে আমেরিকার প্রথম যুদ্ধ। এই যুদ্ধটি ছিল রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত এবং অপ্রস্তুত মেক্সিকোর বিরুদ্ধে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেমস কে পোলকের চাপিয়ে দেওয়া একটি যুদ্ধ। এর উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার সীমানাকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত করা। তৎকালীন আমেরিকা এবং মেক্সিকোর মধ্যবর্তী রিও গ্র্যান্ডে যুদ্ধ শুরু হয় এবং যুদ্ধে একে একে আমেরিকা জিততে থাকে। চূড়ান্তভাবে জয়ী হওয়ার পর মেক্সিকোর ভূখণ্ডের ৩ ভাগের ১ ভাগ ভূখণ্ড আমেরিকার দখলে চলে আসে।
১. বুলেটের চেয়ে ব্যালট শক্তিশালী।
২. Democracy is a government of the people by the people and for the people.
'My Life'.
The President is Missing (Novel).
জো বাইডেনের বিখ্যাত গ্রন্থ:
“Promises to Keep ”
"Promise Me, Dad"
Ask not what your country can do for you, ask you can do for your country.
Let us never negotiate out of fear, but let us never fear to negotiate.
আমেরিকার সংবিধান
পার্লামেন্ট ও নির্বাচন
কংগ্রেস | আসন সংখ্যা |
---|---|
উচ্চ কক্ষ (সিনেট) | ১০০টি |
নিম্ন কক্ষ (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) | ৪৩৫ টি |
সংরক্ষিত আসন | ৩ টি |
লক্ষ্য- পঞ্চাশের দশকে ইন্দোচীনে সমাজতন্ত্রীদের ঠেকাতে সামরিক হস্তক্ষেপ।
তত্ত্বে বলা হয়েছে- কোন একটি রাষ্ট্রে যদি সমাজতন্ত্রীরা ক্ষমতাসীন হয়, তাহলে পাশের রাষ্ট্রটিও সমাজতন্ত্রীদের দখলে চলে যাবে।
কানাডা (Canada) উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এর দশটি প্রদেশ আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত (Pacific) মহাসাগর এবং উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত যা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। উত্তর আমেরিকার উত্তর-পূর্বাংশে যে প্রাচীন শিলা গঠিত ক্ষয়প্রাপ্ত মালভূমি অবস্থান করছে তাকে কানাডীয় শিল্ড অঞ্চল বলা হয়।
জেনে নিই
জেনে নিই
দক্ষিণ আমেরিকা সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনা
দেশ | রাজধানী | মুদ্রা |
---|---|---|
আর্জেন্টিনা | বুয়েন্স আয়ার্স | পেসো |
বলিভিয়া | লাপাজ | বিলিভিয়ানো |
ব্রাজিল | ব্রাসিলিয়া | রিয়াল |
চিলি | সান্টিয়াগো | পেসো |
কলম্বিয়া | বোগোতা | পেসো |
ইকুয়েডর | কিটো | ইউএস ডলার |
গায়ানা | জর্জ টাউন | ডলার |
প্যারাগুয়ে | আসুনসিওন | ওয়ারনি |
পেরু | লিমা | নিয়েভোলস |
সুরিনাম | প্যারামারিবো | ডলার |
উরুগুয়ে | মন্টিভিডিও | পেসো |
ভেনিজুয়েলা | কারাকাস | বলভার |
ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র। এছাড়াও জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এটি আমেরিকার একমাত্র পর্তুগিজভাষী দেশ, এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগিজভাষী রাষ্ট্র।
আমাজন
আমাজন আমাজন অরণ্য দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী বিধৌত অঞ্চলে অবস্থিত ৭০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার অববাহিকা পরিবেষ্টিত বনভূমি। ৯ টি দেশ জুড়ে এই অরণ্য বিস্তৃত। আমাজন অরণ্য ৬০% রয়েছে ব্রাজিলে, ১৩% রয়েছে পেরুতে এবং বাকি অংশ রয়েছে কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম ও ফরাসি গায়ানা। পৃথিবী জুড়ে যে রেইনফরেস্ট তার অর্ধেকটাই এই অরণ্য জুড়ে। পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন আসে আমাজন থেকে। এ কারনে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় আমাজনকে। এই বনে প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন বৃক্ষ রয়েছে যেগুলো প্রায় ১৬০০ প্রজাতিতে বিভক্ত। আমাজন পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি। এই বনের নদী বা আমাজন নদী বেশির ভাগ নদীর উৎস।
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
পূর্ব আফ্রিকা | ১৪ টি | ১. ইথিওপিয়া ২. ইরিত্রিয়া ৩. কমোরুস ৪. কেনিয়া ৫. জিবুতি ৬. জিম্বাবুয়ে ৭. তানজানিয়া ৮. মরিশাস ৯. মালাগাছি ১০. মোজাম্বিক ১১. মালাবি ১২. সিচেলিস ১৩. সোমালিয়া ১৪. কিংডম অব ইসওয়াতিনি |
---|---|---|
উত্তর আফ্রিকা | ৬ টি | ১. আলজেরিয়া ২. তিউনিশিয়া ৩. মিসর ৪. সুদান ৫. লিবিয়া ৬. দক্ষিণ সুদান |
দক্ষিণ ও দক্ষি ণপূর্ব আফ্রিকা | ৫ টি | ১. অ্যাঙ্গোলা ২. দক্ষিণ আফ্রিকা ৩. নামিবিয়া ৪. বতসোয়ানা ৫.লেসেথো |
পশ্চিম আফ্রিকা | ১৫ টি | ১.ঘানা ২. মালি ৩.আইভরি কোস্ট ৪. টোগো ৫. বেনিন ৬.বারকিনাফাসো ৭.. মরক্কো ৮. কেপভার্দে ৯. গিনি ১০.. গিনি বিসাউ ১১. গাম্বিয়া ১২. মৌরিতানিয়া ১৩. সেগেনাল ১৪. সিয়েরা লিওন ১৫. লাইবেরিয়া |
মধ্য ইউরোপ | ১৪ টি | ১. জাম্বিয়া ২. উগান্ডা ৩. কঙ্গো ৪. ক্যামেরুন ৫. মধ্য ইউরোপ প্রজাতন্ত্র ৬. চাঁদ ৭. ইয়াকুয়েটরিয়া গিনি ৮. কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ৯. নাইজার ১০. নাইজেরিয়া ১১. গ্যাবন ১২. বুরুন্ডি ১৩. সাওটোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপি ১৪. রুয়ান্ডা
|
আফ্রিকা সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র
[প্রশাসনিক] প্রিটোরিয়া
[সংসদীয়] কেপটাউন
[বিচারবিভাগীয়] ব্লুমফন্টেইন
[ইউনিয়ন] ৩১ মে, ১৯১০
[স্বশাসন] ১১ ডিসেম্বর, ১৯৩১
[প্রজাতন্ত্র] ৩১ মে, ১৯৬১
প্রশাসনিক বিভাগঃ
৯ টি প্রদেশ প্রদেশসমূহঃ
১। উত্তর অন্তরীপ,
২। উত্তর-পশ্চিম,
৩। কাওয়াজুলু নাটাল,
৪। গাউটেং,
৫। পশ্চিম অন্তরীপ,
৬। পূর্ব অন্তরীপ,
৭। ফ্রি স্টেট,
৮। মালাঙ্গা,
৯। লিম্পোপো
মৌলিক তথ্য
দক্ষিণ আফ্রিকার রয়েছে তিনটি রাজধানী শহর। তিনটির মধ্যে সবচেয়ে বড় কেপটাউন আইনসভার রাজধানী প্রিটোরিয়া প্রশাসনিক ও ব্লোয়েমফন্টেইন বিচারিক রাজধানী। দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। ১৯৯৪ সা বর্ণবাদ বিলুপ্তির পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে একচ্ছত্র প্রাধান্য বজায় রেখেছে আফ্রিকান ন্যাশনাল কনে বা এএনসি । ১৯৪৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অ্যাপারথাইড বা বর্ণ- বৈষম্যনীতি বলবৎ হয়।
জেনে নিই
জেনে নিই
সুয়েজ খাল
নীল নদ
ক্যাম্পডেভিড চুক্তি
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
রাষ্ট্রীয় নাম | রাজধানী | মুদ্রা |
---|---|---|
কেনিয়া | নাইরোবি | শিলিং |
তাঞ্জানিয়া | দারুস সালাম, দোদোমা | শিলিং |
মাদাগাস্কার | আনতানারিভা | এরিয়ারি |
সিচিলিস | ভিক্টোরিয়া | রুপি |
কমোরোস | মরোনি | ফ্রাঙ্ক |
জিবুতি | জিবুতি | ফ্রাঙ্ক |
সোমালিয়া | মোগাদিসু | শিলিং |
মালাবি | লিলাংগুয়ে | কোয়াচ |
জিম্বাবুয়ে | হারাবে | ডলার |
মোজাম্বিক | মাপুতে | মেটিছল |
মরিশাস | পোর্ট লুইস | রুপি |
ইথিওপিয়া | আদ্দিস আবাবা | বির |
ইরিত্রিয়া | আসমারা | নাকফা |
ইসওয়াতিনি | মেবেন, লোবাম্বা | ফ্রাঙ্ক |
জেনে নিই
জনে নিই
ওশেনিয়া মহাদেশের অঞ্চল ভিত্তিক ১৪ টি দেশের নাম
অস্ট্রেলিয়া | ২ টি | ১. অস্ট্রেলিয়া ২. নিউজিল্যান্ড |
---|---|---|
পলিনেশিয়া | ৩ টি | ১. সামোয়া ২. টোঙ্গা ৩. ট্রুভ্যালু |
মাইক্রোনেশিয়া | ৫ টি | ১. মাইক্রোনেশিয়া ২. কিরিবাতি ৩. নাউরু ৪ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫. পালাউ |
মেলানেশিয়া | ৪ ট | ১. পাপুয়া নিউগিনি ২. সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ৩. ভানুয়াতু ৪. ফিজি |
দেশের নাম | রাজধানী | মুদ্রা |
---|---|---|
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ | হোনিয়ারা | ডলার |
পাপুয়া নিউগিনি | পোর্ট মোরসবি | কিনা |
ভানুয়াতু | পোর্ট ভিলা | ভাতু |
ফিজি | সুভা | ডলার |
দেশের নাম | রাজধানী | মুদ্রা |
---|---|---|
টোঙ্গা | নুকুয়ালোফা | পাঙ্গা |
টুভ্যালু | ফুনাফুটি | ডলার |
পশ্চিম স্যামোয়া | আপিয়া | ডলার |
দেশের নাম | রাজধানী | মুদ্রা |
---|---|---|
ফেডারেটেড স্টেট অব মাইক্রোনেশিয়া | পালিকির | ডলার |
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ | মাজুরু | ডলার |
কিরিবাতি | তারাওয়া | ডলার |
নাউরু | ইয়ারেন | ডলার |
পলাউ | মেলিকিউক | ডলার |
রোহিঙ্গা সমস্যা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একটি আলোচিত সমস্যা বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ উদ্বাস্ত জনসংখ্যা হলো- রোহিঙ্গা। মায়ানমারের আরাকান বা রাখাইন প্রদেশে বসবাসকারী মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গা নামে পরিচিত। তবে মায়ানমান তদের নিজ জাতিগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকার করে না। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়- ১৯৮২ সালে। আরসা মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র সংগঠন।
ওয়াটার গেইট কেলেঙ্কারি বিশ্বের তাবৎ কেলেঙ্কারির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত এবং জনপ্রিয়ও বটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭তম প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এ ঘটনার খলনায়ক। ১৯৭২ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী ডেমোক্রেট পার্টির রাজনৈতিক তথ্য শুনতে ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াটার গেইট ভবনে আড়িপাতার যন্ত্র বসায় ক্ষমতাসীন রিপাবলিক পার্টির প্রশাসনিক কর্মকর্তা । পরে এ ঘটনা ফাঁস করে দেন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার সাংবাদিক কার্ল বার্সটেইন। রিচার্ড নিক্সন বরাবরঃ এ ঘটনার সাথে হোয়াইট হাউসের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তদন্তে রিপোর্টে ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যার ফলে নিক্সনের সম্পৃক্ততা লাইমলাইটে চলে আসে। নিক্সনের অফিস থেকে ওয়াটার গেইট কেলেঙ্কারির তদন্ত কর্মকর্তারা একটি টেপ রেকর্ডার উদ্ধার করেন যেটিতে নিক্সনের কথোপকথন রেকর্ড করা ছিল। এখানেই ফেঁসে যান তিনি এবং অভিশংসন হওয়ার ঠিক পূর্বমুহূর্তে ৯ আগস্ট, ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদ হতে পদত্যাগ করেন।
পানামাভিত্তিক একটি আইনি সেবাদান প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ লুট ও করফাঁকির তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। হালের সবচেয়ে আলোচিত, সমালোচিত এ ঘটনা পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত। মোসাক ফোনসেকা নামের এ প্রতিষ্ঠানটি কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানকে আইনি সহায়তা দিত। ১ কোটি ১৫ লাখ ফাসকত নথিতে উঠে আসে বিশ্বের মেইন্সট্রিম নেতৃবৃন্দের নাম। ১২ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রায় দেড়শজন রাজনীতিবিদদের মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, শি জিনপিং এর পরিবারের করফাঁকি এবং অবৈধ উপায়ে সম্পদ আত্মসাৎকরণের জড়িত থাকার নথি ফাস হয়। এমনকি ফুটবল কিং লিওনেল মেসি এবং বলিউডের অমিতাভ বচ্চনের নামও এ তালিকায় উঠে আসে। এছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ওলাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ দেখেই যোশুগিণের অর্থপাচারের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রায় ৫০ ব্যক্তি ও ৫ প্রতিষ্ঠানও এ স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ে। মোলাক ফোনসেকার ডাটাবেজ থেকে ২ দশমিক ৬ টেরাবাইট তথ্য ফাঁস হয় যা সাম্প্রতিক সময়ের উইকিলিক্স থেকে ফ চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি।
ভারতের দ্বাদশ প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও, যাকে বলা হত আধুনিক ভারতের চাণক্য তিনিও একটি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। কেলেঙ্কারিটি ইতিহাসে হাওয়ালা কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত। কালো টাকা সংশ্লিষ্ট বলে একে হাওয়ালা বলা হয়। নরসিমা রাও ছাড়াও এ ঘটনায় বিজেপির ভি.সি. শুক্লা, শারদ যাদব, যদন লালার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে ১৮ মিলিয়ন রুপি ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠে। পুরো ভারতে এর বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা হলেও কার্যত এটার কোন বিচার হয়নি।
১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অস্ত্রভর্তি বিমান ইসরায়েল হয়ে ইরানের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পুরো ঘটনাটি খুব গোপনীয়তার সাথে একটি অস্ত্রচুক্তির মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়। অস্ত্র বিক্রির সম্পূর্ণ টাকা নিকারাগুয়ার কমিউনিস্ট সরকারের পতনের জন্য গড়ে উঠা কন্ট্রা বিদ্রোহী গ্রুপকে সাহায্য হিসেবে প্রদান করা হয়। কিন্তু লেবাননের একটি পত্রিকায় সে চুক্তিসহ অস্ত্রপাচারের পুরো ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে, এ ঘটনা ইরান-কন্ট্রা কেলেঙ্কারি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর ফলাফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৭ তে জন টাওয়ার কমিশন তিনলক্ষ নথি পরীক্ষানিরীক্ষা করে প্রায় শ পাঁচেক সাক্ষাৎকার এবং ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে সমাপনী তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে। পদচ্যুত নিরাপত্তা সহকারী অলিভার নর্থকে এর পিছনে মূল হোতা হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়া প্রেসিডেন্ট রিগ্যান ছাড়াও ঐসময়কার উপ-রাষ্ট্রপতি জর্জ সিনিয়র বুশকেও অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়। পরে অবশ্য রিগ্যান এই স্ক্যান্ডালের সকল দায় স্বীকার করে ক্ষমাও চান।
রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেস সরকার আমলে, ১৯৮৬ সালে সুইডেনের অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বোফোর্সের সাথে ভারত সরকার দেড় হাজার কোটি রুপির একটি অস্ত্রচুক্তি করে। তখন সুইডেনের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয় যে, এ অস্ত্রচুক্তির জন্য বোফোর্স ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রচুর উৎকোচ প্রদান করেছে। এ নিয়ে দেশবিদেশে তুমুল বিতর্কের জন্ম হয়। গান্ধীর অর্থমন্ত্রী প্রতাপ এ তথ্য ফাঁস করলে গান্ধীকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর মতে, বোফোর্স কোন কেলেঙ্কারি নয় এবং ভারতের কোন আদালত এটিকে কেলেঙ্কারি হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি। তিনি এ ঘটনাকে গণমাধ্যমে সৃষ্ট বলে দাবি করেন।
ইনকা ও চিমু সভ্যতা
মুইজকা ও কারাল সভ্যতা
এশিয়ার বিশেষ অঞ্চল
পৃথিবীর বিভিন্ন বিশেষ অঞ্চল
হস্তান্তরিত কয়েকটি অঞ্চল
কয়েকটি বিখ্যাত দ্বীপ/অঞ্চল
ইস্ট এশিয়ান মিরাকল দেশ ৮টি। যথা: ১. জাপান ২. সিঙ্গাপুর ৩. তাইওয়ান ৪. দক্ষিণ কোরিয়া ৫. হংকং ৬. থাইল্যান্ড ৭.মালয়েশিয়া ৮. ইন্দোনেশিয়া।
২০১৯-২০২২ সালে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকট দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকায় চলমান একটি অর্থনৈতিক সংকট, যার কারণে অভূতপূর্ব মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় সম্পূর্ণ নিঃশেষ, চিকিৎসা দ্রব্য সরবরাহে ঘাটতি এবং মৌলিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির মতো ঘটনাগুলির সৃষ্টি হয়েছে। ঐ সমরো ক্ষমতাসীন সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকে মূলত এই সংকটের জন্য দায়ী করা হয়েছে। কর হ্রাস, টাকা সৃষ্টি, দেশব্যাপী জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ প্রবর্তন ২০১৯ সালের স্টার সানডের বোমা হামলা, করোনাভাইরাসের আঘাত, ইত্যাদি বহুসংখ্যক কারণ মিলে এই সংকটটির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সংকটের কারণে যে অর্থনৈতিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, তার জের ধরে ২০২২ সালে আসে রাষ্ট্রটির ইতিহাসের বৃহত্তম সরকার-বিরোধী আন্দোলন সংঘটিত হয়। শ্রীলংকাকে সার্বভৌম ঋণখেলাপের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, কেননা ২০২২ সালের মার্চ মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ছিল মাত্র ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার, যা দিয়ে ২০২২ সালে। দেশটির ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের কোনও সম্ভাবনা নেই। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে শ্রীলংকাকে দেশী ও বিদেশী ঋণ মিলিয়ে সব মিলিয়ে ৮৬০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধ করার কথা ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে শ্রীলংকার সরকার ঋণখেলাপি (দেওলিয়া) হিসেবে নিজেদের ঘোষণা দেয়, যা ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরে এইরূপ ঋণখেলাপির সর্বপ্রথম ঘটনা। শ্রীলংকার ক্ষুব্ধ জনতা রাজা পাকসে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করে।
-Gk Booster
রুশ-ইউক্রেনীয় ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের (ইউএসএসআর) পরে, ইউক্রেন ও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। ইউক্রেন ১৯৯৪ সালে একটি অ-পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট্র হিসাবে পারমাণবিক অস্ত্রের অপসারণ সংক্রান্ত চুক্তিতে যোগ দিতে সম্মত হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রাক্তন সোভিয়েত পারমাণবিক অস্ত্রসমূহ রাশিয়ায় সরিয়ে ফেলা হয়েছিল এবং নষ্ট করা হয়েছিল। বিনিময়ে, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা আশ্বাসের বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডামের মাধ্যমে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছিল। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, ২০১৪ সালে যখন রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দ্বীপটি দখল করে তখন থেকে। ক্রিমিয়া দখলের ফলে জি-৮ জোট থেকে রাশিয়াকে বের করে দেয়। ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট দখলের পর রাশিয়া কর্তৃক আয়োজিত ব্যাপকভাবে সমালোচিত স্থানীয় গণভোটের পর রাশিয়া ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করে, যেখানে স্বায়ত্তশাসিত ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের জনগণ রুশ ফেডারেশনে যোগদানের পক্ষে ভোট দেয়। উল্লেখ্য যে, ইউক্রেনে পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা যুক্তরাষ্ট্রপন্থী আর পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাস রাশিয়াপন্থী। পুতিন বলেছেন যে উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ করে রাশিয়ার নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে । তাই ইউক্রেনকে জোটে যোগদানে নিষেধ করে আসছে। সাম্প্রতিক ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চাইলে, রাশিয়া স্বঘোষিত গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক ও গণপ্রজাতন্ত্রী লুহানস্কে ২০২২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি দেয়, দোনবাসের দুটি স্ব- ঘোষিত রাষ্ট্র রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করে। রাশিয়ার কর্তৃক ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন আক্রমণ শুরু হয়। রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের দুটি বিদ্রোহী অঞ্চল (ক্রিমিয়া ও দোনবাস) থেকে বহুমুখী আক্রমণ শুরু হয়েছিল। চারটি প্রধান সামরিক আক্রমণের ফ্রন্ট গড়ে উঠেছে: কিয়েভ আক্রমণ, উত্তর-পূর্ব ইউক্রেন আক্রমণ, পূর্ব ইউক্রেন আক্রমণ ও দক্ষিণ ইউক্রেন আক্রমণ। রুশ বাহিনী খারকিড, খেরসন, কিয়েভ, মারিউপোল ও সুমি সহ পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস দখলে রেখেছে।
কাতালুনিয়া দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্রে স্পেনে অবস্থিত একটি স্বায়ত্বশাসিত সম্প্রদায় ও ঐতিহাসিক অঞ্চল। হিরোনা, বার্সেলোনা, তারাগোনা এবং ইয়েইদা নামক চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত। ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত বার্সেলোনা কাতালুনিয়ার রাজধানী নগরী। উত্তরে পিরিনীয় পর্বতমালাটি কাতালুনিয়াকে ফ্রান্স থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। কাতালোনিয়ায় স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি স্বশাসিত বর্তমানে অঞ্চলটি স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে। ১ অক্টোবর, ২০১৭ স্বাধীনতার প্রশ্নে সেখানে একটি বিতর্কিত গণভোট অঞ্চল । রাজধানী বার্সেলোনা। অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটের রায় স্বাধীনতার পক্ষে আসলে ২৭ অক্টোবর, ২০১৭ ক্যাটালন পার্লামেন্ট একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু এই ঘোষণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়।
কুর্দি মধ্যপ্রাচ্যের একটি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। কুর্দিস্থান বলতে তুরস্ক, ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলকে বোঝায়। ১৯৭০ এর দশকে কুর্দিস্তান এলাকা নিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কুর্দিরা কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি (কুর্দি ভাষায়: Partiya Karkeren Kurdistane PKK) গঠন করে।
বুগেনভিল ১৯১৪ সালে রুগেনভিল দখলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ রুগেনভিল। ১৯৭৫ সালে পাপুয়া নিউগিনি অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও ভৌগোলিকভাবে বুগেনভিল পাপুয়া নিউগিনির একটি প্রদেশে পরিণত হয়। বুগেনভিলের রাজধানীর নাম বুকা। ৯ বছরেরও অধিকসময় রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ আর পরবর্তী ধারাবাহিক শাস্তি প্রক্রিয়ার পর ২০০৫ সালে বুগেনভিলে স্বায়ত্তশাসিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। অধিক স্বায়ত্তশাসন নাকি স্বাধীনতা এই প্রশ্নে ২০১৯ সালে বুগেনভিলে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং জনগন স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেয়।
মিন্দানাও দ্বীপ ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জের মাঝে অবস্থিত। মিন্দানাওয়ের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বাংসামরো। এই অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রধানত মরো (মুসলিম) জাতির। বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে ফিলিপাইন স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পরপরই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে একটি পৃথক ভূখণ্ড গঠনের দাবি করে মরোরা। মূলত, মরোরা লড়াকু আর স্বাধীনচেতা প্রকৃতির। মরোদের দীর্ঘ সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয় Moro Islamic Liberation Front (MILF) এবং Moro National Liberation Front (MNLF) নামক গেরিলা সংগঠন। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অবশেষে ২০১৯ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে অঞ্চলটিতে স্বায়ত্তশাসন কার্যকর হয়। মরোদের একটির অন্তবর্তীকালীন সরকার অঞ্চলটির দায়িত্বভার গ্রহণ করে তবে কট্টরপন্থী উপগোষ্ঠী আবু সায়েফ (Abu Sayyat) শান্তি প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করে এখনও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
কারেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মায়ানমারের সবচেয়ে প্রাচীন উগ্র গোষ্ঠী। ১৯৪৮ সালে বার্মার স্বাধীনতার পরে কারেন প্রদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম শুরু করে কারেন বিদ্রোহীরা। পরবর্তীতে তারা স্বাধীনতার দাবি হতে সামান্য সরে গিয়ে স্বায়ত্তশাসনের জন্য সংগ্রাম চলমান রেখেছে।
ত্রিপুরা : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি গেরিলা সংগঠন NLFT (National Liberation Front of Tripura) আসাম : ভারতের আসাম রাজ্যের একটি গেরিলা সংগঠনের নাম উলফা (ULFA United Liberation Front of Assam) বর্তমানে উলফার প্রধান পরেশ বড়ুয়া। সংগঠনটি আসামের স্বাধীনতা দাবি করে আসছে।
ইউরোপে ২৮ জুলাই, ১৯১৪ থেকে ১১ নভেম্বর, ১৯১৮ পর্যন্ত সংঘটিত হওয়া ভয়াবহ যুদ্ধটি 'মহাযুদ্ধ বা Great Har' নামে পরিচিত। এটি মূলত Great Economic Powers এর মধ্যে ক্ষমতার মনের প্রতিফলন ছিল Great War'। শেষ হয় ১১ নভেম্বর ১৯১৮ সালে জার্মানির আত্মসমর্পণের মাধ্যমে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পক্ষসমূহ | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
অক্ষশক্তি | জার্মানি | অস্ট্রিয়া | হাঙ্গেরি | উসমানীয় সাম্রাজ্য | বুলগেরিয়া | * |
মিত্রশক্তি | যুক্তরাজ্য | যুক্তরাষ্ট্র | ফ্রান্স | রাশিয়া | ইতালি | জাপান |
জেনে নিই
অস্ট্রিয়ার হবু সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী, আর্কডিউক ফার্ডিনান্ড এবং সোফিয়া, বসনিয়া সফরে যান। ২৮শে জুন, ১৯১৪ বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজকে হত্যা করে সার্বিয়ার গ্যাবরিয়েল নামে এক নাগরিক জাতি হিসেবে সার্ব হওয়ায় অস্ট্রিয়া সার্বিয়ার থেকে বিচার চায়, সেই সাথে ক্ষতিপূরণ সার্বিয়া কিছু শর্ত মানলো, কিছু মানলো না। অস্ট্রিয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলো এবং সময় ফুরিয়ে গেলে অস্ট্রো-হাঙ্গেরি ২৮শে জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। অস্ট্রিয়াকে সরাসরি সাহায্য করে জার্মানি।
বিশ্বযুদ্ধের অন্যান্য কারণ
বেলফোর ঘোষণা (তারিখ ২ নভেম্বর ১৯১৭) হল ব্রিটিশ ইহুদি সম্প্রদায়ের একজন নেতা ব্যারন রথচাইল্ডের কাছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব আর্থার জেমস বেলফোরের লেখা একটি চিঠি। জায়নিস্ট ফেডারেশন অব গ্রেট ব্রিটেন এন্ড আয়ারল্যান্ড নামক সংগঠনের কাছে পাঠানোর জন্য চিঠিটি তাকে দেয়া হয়। সেটাই ইতিহাসে বেলফোরের ঘোষ নামে পরিচিত।
জাতিপুঞ্জে জার্মানিকে নিয়ে আসা।
ফ্রান্সের সাথে জার্মানির বিরোধের মীমাংসা।
প্রেক্ষাপট। মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী যুদ্ধ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এ যুদ্ধে বিশ্বের সব বড় দেশগুলো জড়িয়ে পড়ে। আধুনিক সামরিক অস্ত্রের নির্বিচারে ব্যবহারের ফলে এ যুদ্ধে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে পার কোটি মানুষ প্রাণ হারায়। যুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি, ইতালি এবং জাপানে ফ্যাসিবাদের উত্থান। ১ম বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানির ওপর চাপিয়ে দেয়া অপমানজনক ভার্সাই চুক্তি জার্মানিতে উগ্র নাৎসিবাদের জন দেয়। অবশেষে, ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে ২য় বিশ্বযুদ্ধের আনুষ্ঠানিকতা সূচিত হয়। ৭ ডিসেম্বর, ১৯৪১ সালে জাপান পার্ল হার্বার আক্রমণ করলে ২য় বিশ্বযুদ্ধ ইউরোপ ছাপিয়ে সারাবিশ্ব ছড়িয়ে পরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ সালে।
জেনে নিই
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পক্ষসমূহ | |||||
---|---|---|---|---|---|
মিত্রশক্তি | যুক্তরাজ্য | যুক্তরাষ্ট্র | রাশিয়া | ফ্রান্স | বেলজিয়াম |
অক্ষশক্তি | জাপান | জার্মানি | ইতালি | * | * |
মিত্রশক্তির রাষ্ট্রনায়ক | |
---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট এবং হ্যারি ট্রুম্যান |
যুক্তরাজ্য | চেম্বারলিন, উইনস্টন চার্চিল, এবং ক্লিমেন এটলি
|
সোভিয়েত ইউনিয়ন | যোসেফ স্ট্যালিন |
অক্ষশক্তির রাষ্ট্রনায়ক | |
---|---|
জার্মানি | এডলফ হিটলার |
জাপান | সম্রাট হিরোহিতা |
ইতালি | বেনিত মুসোলিনী |
পক্ষসমূহের সামরিক বাহিনীর প্রধান |
---|
দেশের নাম | সামরিক বাহিনীর প্রধান | বিশেষ্য তথ্য |
---|---|---|
ব্রিটেন | বার্নার্ড ল মন্টেগোমারী | ডেজার্ট ব্যাট নামে পরিচিত ছিলেন। |
যুক্তরাষ্ট্র | জর্জ মার্শাল | তিনি পরবর্তীতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। [যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব ছিল আইজেনহাওয়ায়] |
জার্মানি | ফিল্ড মার্শাল রোমেল | ডেজার্ট ফক্স নামে পরিচিত ছিলেন |
১৯৪৩ সালে ৩ সেপ্টেম্বর, মিত্রশক্তি সিসিলি আক্রমণ করে ইতালিকে পরাজিত করে এবং ১৯৪৩ সালের ২৫ জুলাই মুসোলিনী পদত্যাগে বাধ্য হন। ১৯৪৫ সালের ২৯ জুলাই মুসোলিনীকে পিটিয়ে হত্যা করে ইতালীয় পার্টিশন গ্রুপ ।
জার্মানি আত্মসমর্পণ করে ৭ মে, ১৯৪৫ আত্মসমর্পণ চুক্তি হয় ফ্রান্সের বিমস শহরে। জার্মানির পক্ষে আত্মসমর্পণ পরে স্বাক্ষর করে-ফিল্ড মার্শাল উইলহেম কেইটেল। মিত্রপক্ষের হয়ে স্বাক্ষর করে জেনারেল আইজেনহাওয়ার । ইউরোপে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়- ৮ মে, ১৯৪৫ খ্রি. Victory in Europe Day (VE Day)
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রম্যানের আদেশে পারমানবিক বোমা নিক্ষেপের পর ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট জাপান আত্মসমর্পণ করে । চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ সালে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হয় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস মিসৌরিতে । ১৫ আগস্ট, ১৯৪৫ থেকে ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মিত্রশক্তি উৎযাপন করে Victory Over Japan (VJ-day) নামে।
২য় বিশ্বযুদ্ধের Big Three হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে একমত পোষণ করলে জার্মানীর ন্যুরেমবার্গে একটি সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয় যা ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনাল নামে। পরিচিত। এই ট্রাইব্যুনালে প্রায় ২০০ জার্মান যোদ্ধাপরাধীর বিচার করা হয়। মোট অভিযুক্ত হয় ২৪ জন আর মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয় ১২ জন আসামিকে।
১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ গঠিত হয়। জাতিসংঘ রাতারাতি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১১ টি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের পাঁচটি সদস্য (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চান) এর বিশেষ ক্ষমতা (Veto Power) রয়েছে, যে ক্ষমতার বলে এই পাঁচ সদস্যের যে কেউ জাতিসংঘের যেকোন সিদ্ধান্তকে নাকচ করে দিতে পারে।
জেনে নিই
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য- ৫টি
১. যুক্তরাষ্ট্র
২. যুক্তরাজ্য
৩. ফ্রান্স
৪. রাশিয়া
৫. চীন
জেনে নিই
জাতিসংঘের আলাপ-আলোচনার মূল সভা সাধারণ পরিষদ। প্রতিবছর সাধারণ পরিষদের নিয়মিত অধিবেশন শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার। অধিবেশনে প্রতিটি দেশ সর্বোচ্চ প্রতিনিধি পাঠাতে পারে ৫ জন। সাধারণ পরিষদের যে পাঁচটি আঞ্চলিক এলাকা থেকে পালাক্রমে নির্বাচিত হন সেগুলো হলো এশিয়া, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং পশ্চিম ও অন্যান্য দেশ।
নারী সভাপতি ও ন্যায়পাল
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দায়িত্ব পালনকারী নারী সভাপতি তিন জন ।
মানবাধিকার সনদ (Universal Declaration of Human Rights) একটি ঘোষণাপত্র। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর পারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে এই ঘোষণা প্রদান করা হয়। প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিতই এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ১১ টি সম্মেলন
সম্মেলন | বিশেষত্ব |
---|---|
লন্ডন ঘোষণা (১৯৪১) |
|
আটলান্টিক সনদ (১৯৪১) |
|
ওয়াশিংটন ডিসি সম্মেলন (১৯৪২) |
|
কাসাব্লাঙ্কা সম্মেলন (১৯৪২) |
|
তেহরান সম্মেলন (১৯৪৩) |
|
মস্কো সম্মেলন (১৯৪৩) |
|
ভার্জিনিয়া সম্মেলন (১৯৪৩) |
|
ব্রিটন উডস সম্মেলন (১৯৪৪) |
|
ডাম্বারটন সম্মেলন (১৯৪৪) |
|
ইয়ান্টা সম্মেলন (১৯৪৫) |
|
সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন (১৯৪৫) |
|
জাতিসংঘের ভাষা
১. ইংরেজি
২. রুশ
৩. ফরাসি
৪. চাইনিজ
৫. স্প্যানিশ
৬. আরবি
ব্রিটন উডস চুক্তিটি ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রিটন উভসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মুদ্রা ও আর্থিক সম্মেলনে সম্পাদিত হয়। ব্রিটন উডস চুক্তি একটি নতুন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেছিল যন্ত্র মাধ্যমে স্বর্ণকে সর্বজনীন মান হিসাবে ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট মুদ্রা বিনিময় হার তৈরি করা যায়।
IBRD (1944)
IFC (1956)
IDA (1960)
ICSID (1966)
MIGA (1988)
Great War বা মহাযুদ্ধের পরে বিশ্ব নেতারা একটি সার্বজনীন সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এভাবেই ১৯২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের ১৪ দফার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিপুঞ্জ। যুদ্ধ বিরতিসহ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে জাতিপুঞ্জ তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে জাতিপুঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয় ১৯৪৬ সালে।
জেনে নিই
সনদ অনুযায়ী জাতিসংঘের ছয়টি মূল অঙ্গ সংগঠন রয়েছে।
১. সাধারণ পরিষদ (General Assembly)
২. নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council)
৩. অছি পরিষদ (Trusteeship Council)
৪.. আন্তর্জাতিক আদালত (ICJ)
৫. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ECOSOC)
৬. সচিবালয় (Secretariat )
জাতিসংঘের মূল সংস্থা ৬ টি
সাধারণ পরিষদ |
কাজ- নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নির্বাচন, মহাসচিব নিয়োগ, নতুন সদস্য গ্রহণ, বাজেট দেন। কোন রাষ্ট্রকে বহিষ্কার করা। |
---|---|
নিরাপত্তা পরিষদ |
কাজ- আন্তর্জাতিক বিরোধের নিষ্পত্তি, বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা |
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ |
১. ECA Economic Commission of Africa. (আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া) ২. ECE Economic Commission of Europe. (জেনেভা, সুইজারল্যান্ড)। ৩. ECLAC Economic Commission for Latin America and the Caribbean. (সান্টিয়াগো, চিলি)। ৪. ESCAP-Economic and Social Commission for Asia and the Pacific. (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)। ৫. ESCWA- Economic and Social Commission for Western Asia, (বৈরুত, লেবানন)। কাজ- ভবনযাত্রার মান উন্নয়ন, বেকার সমস্যা সমাধান শিক্ষা প্রान ও বাহ বিভিন্ন তল্যাণমূলক কাজ | |
অছি পরিষদ |
কাজ- অনুন্নত অঞ্চলের তত্ত্বাবধান, অন্তর্ভূক্ত অঞ্চলের উন্নতি ও অধিবাসীদের স্বাধীনতা। |
সচিবালয় |
কাজ- মহাসচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত, প্রধান থাকেন মহাসচিব যিনি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। |
আন্তর্জাতিক বিচারালয় |
কাজ- এই আদালতে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিরোধের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের যে কোন সদস্য রাষ্ট্র অন্য সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। |
SAARC- South Asian Association for Regional Co-operation (সার্ক) হলো দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি সর্ববৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশীয় দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতামূলক বাণিজ গড়ার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশের এ প্রস্তাব গ্রহণ করে ১৯৮১ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা প্রতিনিধিগণ। কলোম্বোতে মিলিত হয়। পরিশেষে, ১৯৮৩ সালে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এশিয়ার ৭টি দেশ নিয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রধান উদ্দেশ্য- ৫টি
সার্কের সদস্য দেশ- ৮টি
জেনে নিই
সার্কের বিভিন্ন সংস্থা
সার্কের সংস্থা | অবস্থান |
---|---|
আবহাওয়া কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় | ঢাকা, বাংলাদেশ |
বিশ্ববিদ্যালয় | নয়াদিল্লি, ভারত |
ডকুমেন্টেশন | |
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র | শ্রীলংকায় |
সার্ক কৃষি বিষয়ক কেন্দ্র | ঢাকা, বাংলাদেশ |
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র | গুজরাট, ভারত |
মানব উন্নয়ন কেন্দ্র | ইসলামাবাদ, পাকিস্তান |
সার্ক তথ্য কেন্দ্র | নেপালে |
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটঃ বান্দুং সম্মেলন না যুদ্ধকালে পুঁজিবাদী দেশসমূহ NATO জোটে আর সমাজতান্তি Warsaw Pact গড়ে তোলে যা পৃথিবীতে দুই মেরুকরণ করে। ঠিক তখনই ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বারে ২৯টি দেশের প্রতিনিধি একটি সম্মেলনে মিলিত হয়ে একটি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তোলার NAM, যা তৃতীয় বিশ্বের মুখপাত্র হয়ে কাজ করে।
জেনে নিই
উদ্যোক্তাঃ
Chandradeep
Sudharam
Suvarna Gram
Bikrampur
ব্রিকস (BRICS) হলো ব্রাজিল (Brazil), রাশিয়া (Russia), ভারত (India), চীন (China) (South Africa) এ ৫টি দেশের ইংরেজি আদ্যক্ষর নিয়ে গঠিত সংস্থা।
Goa
Chennai
Calcutta
New Delhi
কমনওয়েলথ অব নেশন্স বা কমনওয়েলথ (Commonwealth of Nations) অতীতে ইংরেজ সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল এমন স্বাধীন জাতিসমূহ নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ার ৩ টি দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সহ সর্বমোট ৫৪। সর্বশেষ সদস্য রুয়ান্ডা। এই সংস্থার সচিবালয় লন্ডনে অবস্থিত। ব্রিটেনই এর নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমনওয়েলথ অব নেশন্স গঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট: ১৯২৬ সালের বেলফোর ঘোষণা এবং ১৯২৯ সালের ইম্পেরিয়াল কনফারেন্স।
জেনে নিই
1972
1973
1974
1975
পূর্ণরূপ - Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation,
পূর্ব নাম - BIST-EC (Bangladesh-India-Sri Lanka-Thailand Economic Cooperation),
প্রতিষ্ঠা - ৬ জুন, ১৯৯৭ সালে,
সদর দপ্তর - ঢাকা, বাংলাদেশ,
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ - ৪টি
বর্তমান সদস্য দেশ - ৭টি,
1 January, 1994
1 June, 1995
1 January, 1995
1 June, 1994
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নে। ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি ইউরোপীয় অর্থনৈতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৯৯ সালে ইউরোপীয় মুদ্রার প্রবর্তন ইউরোপে ইউনিয়ন আর্থিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়ন করে। ১৯৯০ সালে বলকান অঞ্চলে সংঘাতময় পরিস্থিতির উদ্ভব হলে ইইউ "সাধারণ পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তানীতি" প্রণয়ন করে। ইউরোপীয় সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকেরা পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই অন্যা দেশগুলোতে যাতায়াত করতে পারে।
জেনে নিই
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য ২৮টি |
---|
১. জার্মানি
২. মাল্টা
৩. সাইপ্রাস
৪. হাঙ্গেরি
৫. অস্ট্রিয়া
৬. আয়ারল্যান্ড
৭. বেলজিয়াম
৮. ফিনল্যান্ড
৯. সুইডেন
১০. নেদারল্যান্ডস
১১. ইতালি
১২. ডেনমার্ক
১৩. পোল্যান্ড
১৪. লুক্সেমবার্গ
১৫. স্পেন
১৬. পর্তুগাল
১৭. স্লোভেনিয়া
১৮. বুলগেরিয়া
১৯. ক্রোয়েশিয়া
২০. স্লোভাকিয়া
২১. লাটভিয়া
২২. লিথুনিয়া
২৩. রোমানিয়া
২৪. এস্তোনিয়া
২৫. চেকপ্রজাতন্ত্র
২৬. গ্রীস
২৭. ফ্রান্স
Eurozone: ইউরো মুদ্রা গ্রহণকারী দেশসমূহকে একত্রে ইউরোজোন বলা হয়। এর সদস্য-১৯টি। সর্বশেষ ইউরো গ্রহণ করেছে লিথুনিয়া (১ জানুয়ারি ২০১৫)। কখনো ইউরো মুদ্রা গ্রহণ করেনি বা করবে না- ডেনমার্ক ও সুইডেন। ২০২৩ সালে ইউরোজোনে যোগ দিবে বুলগেরিয়া ও ক্রোয়েশিয়া।
চুক্তিসমূহঃ
রোম চুক্তি (Rome Treaty)- 1957, উদ্দেশ্য- European Economic Community (EEC) প্রতিষ্ঠা ।
শেনঝেন চুক্তি (Shengen Treaty)- 1985, উদ্দেশ্য- ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভিসামুক্ত প্রবেশ। ফলটিইটি
ম্যাসট্রিচট চুক্তি (Mastricht Treaty)- 1992, উদ্দেশ্য- ইউরোপীয় ইউনিয়নে মূল সংবিধান হলো ম্যাসট্রিচট চুক্তি।
এই চুক্তির ফল-
EEC থেকে EU হয় : ১ নভেম্বর, ১৯৯৩
Euro মুদ্রা চালু হয়: ১ জানুয়ারী, ১৯৯৯
লিসবন চুক্তি (Lasbon Treaty) - 2007, উদ্দেশ্য- ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংস্কার।
জেনে নিই
G-7 (Group of 7) হচ্ছে জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি অর্থনৈতিক সংঘ। এই দেশসমূহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-৭ এ প্রতিনিধিত্ব করে। এই সাতটি দেশ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল স্বীকৃত বিশ্বের সাতটি মূল উন্নত অর্থনীতির দেশ। ২০১৪ সালের ক্রিমিয়া সংকটে রাশিয়ার | সংশ্লিষ্টতার কারণে ২০১৪ এর ২৪ মে রাশিয়াকে জি-৮ থেকে বাদ দেওয়া হলে জোট আবারও স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের জি-৭ জোট নামে আগের পরিচিতি ফিরে পায়।
জেনে নিই
চতুর্পক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ (Quadrilateral Security Dialogue) বা সংক্ষেপে কোয়াড হল একটি অনানুষ্ঠানিক কৌশলগত নিরাপত্তা ফোরাম। কোয়াডের সদস্য দেশ মোট চারটি, যথা- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান। কোয়াডের প্রাথমিক উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হল একটি উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো- প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য কাজ করা এবং চীনের নয়া প্রভাবকে প্রতিহত করা ।
নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (NATO- North Atlantic Treaty Organization) আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ের সমাজতন্ত্র বিরোধী পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ১২টি দেশকে নিয়ে ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস ভিত্তিক এ সামরিক জোটের বর্তমান সদস্য দেশ ৩১ টি। যার সর্বশেষ সদস্য ফিনল্যান্ড(৪ এপ্রিল, ২০২৩ সালে)। সংস্থাটির বর্তমান মহাপরিচালক জেনস স্টলটেনবার্গ। উল্লেখ্য, ন্যাটোর বিপরীতে গঠিত সোভিয়েত ইউনিয়ন ভিত্তিক সংগঠন Warsaw Pat (বর্তমানে বিলুপ্ত)।
ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা- ৩১ | |
---|---|
১২ টি দেশ ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য |
|
অন্যান্য |
|
জেনে নিই
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট: ওআইসি আরব-ইসরাইলের তৃতীয় যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদ এ ইসরাইল কর্তৃক অগ্নিসংযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মরক্কোর বাবাতে মুসলিম জোট গড়ে উঠে। ১৯৬৯ সালে গঠিত সংস্থাটিতে ৫৭টি দেশ প্রতিনিধিত্ব করছে যার মধ্যে ৪৯টি মুসলমান প্রধান দেশ। সংস্থাটির মতে তারা মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত কন্ঠস্বর হিসেবে এবং 'আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি প্রচারের চেতনা নিয়ে মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ ধারণ ও সুরক্ষায় কাজ করে থাকে।
জেনে নিই
আসিয়ান ১০টি সদস্য
ইউনেস্কোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্য
স্থান | অবস্থান | ক্ষেত্র |
---|---|---|
ষাট গম্বুজ মসজিদ (১৯৮৫) | বাগেরহাট | স্থাপত্য |
সোমপুর বিহার (১৯৮৫) | পাহাড়পুর, নওগাঁ | স্থাপত্য |
সুন্দরবন (১৯৯৭) | খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও বরগুনা। |
|
উল্লেখ্য যে, বাউল গান, জামদানি শাড়ি, মোঙ্গল শোভাযাত্রা, শীতল পাটি, নওগাঁর নিকেতন নৃত্য ইত্যাদি স্পর্শকাতর সংস্কৃতির তালিকায় যুক্ত করেছে ইউনেস্কো।
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট: ওআইসি আরব-ইসরাইলের তৃতীয় যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদ এ ইসরাইল কর্তৃক অগ্নিসংযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মরক্কোর বাবাতে মুসলিম জোট গড়ে উঠে। ১৯৬৯ সালে গঠিত সংস্থাটিতে ৫৭টি দেশ প্রতিনিধিত্ব করছে যার মধ্যে ৪৯টি মুসলমান প্রধান দেশ। সংস্থাটির মতে তারা মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত কন্ঠস্বর হিসেবে এবং 'আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি প্রচারের চেতনা নিয়ে মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ ধারণ ও সুরক্ষায় কাজ করে থাকে।
জেনে নিই
আরব লিগ আরব দেশসমূহের সংস্থা। ১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ আরব লিগ গঠিত হয়। মিশরের রাজধানী কায়রোতে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। প্রতিষ্ঠার ভিত্তি: ১৯৪৪ সালের আলেকজান্দ্রিয়া প্রোটোকল।
জেনে নিই
লীলা নাগ
শান্তি ঘোষ
সুনীতি চৌধুরী
আশালতা সেন
রেনেসাঁস বা পুনর্জাগরণ / নবজাগরণ (ফরাসি: Renaissance, ইতালীয়: Rinascimento) ছিল পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে সংঘটিত ইউরোপীয় ইতিহাসে মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে পদার্পনের মধ্যবর্তী সময়। এটি মধ্যযুগের সংকটের পর ইতালির ফ্লোরেন্স নগরী থেকে সংঘটিত হয়ে ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন সাধিত করে। এটি দ্বারা সাংস্কৃতিক পর্যায়কেও বোঝানো হয়। এযুগের সময়কাল ছিল আনুমানিক ১৪০০ থেকে ১৬০০ শতাব্দী পর্যন্ত।
জেনে নিই
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লব হচ্ছে ইরানে সংঘটিত একটি যুগান্তকারী বিপ্লব যেটা ইরানকে শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলাভীর একনায়কতন্ত্র ও পাশ্চাত্যপন্থি দেশ হতে আয়াতুল্লাহ খোমেনির ইসলামিক প্রজাতান্ত্রিক দেশে পরিণত করে । একে বলা হয় রুশ ও ফরাসি বিপ্লবের পর ইতিহাসের তৃতীয় মহান বিপ্লব।
জেনে নিই
আরব বসন্তের শুরু হয় ২০১০ সালের ১৭ ই ডিসেম্বর তিউনিসিয়ার মোহাম্মদ বোয়াজিজি নামে এক ফল বিক্রেতার পুলিশের দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতির মাধ্যমে বিদ্রোহ শুরু হয়। গণবিক্ষোভের শুরু তিউনিসিয়ায়, এরপর তা মিশরে, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যায়। আরব বিশ্বের এই গনঅভ্যূত্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্রগুলো অস্ত্র সরবরাহ করে এবং সরাসরি আঘাত হেনে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রনায়কদের পতন ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
জেনে নিই
১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ঠা মে-র আন্দোলন তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার - এ নামে পরিচিত। ৪ঠা মে আন্দোলনের বিস্তৃতিকাল ছিল ১৯১৭ সাল থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত ইংরেজিতে এ আন্দোলন May Fourth Movement নামে পরিচিত।
১৯১৭ সালে সংগঠিত দুইটি বিপ্লবের মিলিত নাম রুশ বিপ্লব । সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্থান হয় এই বিপ্লবের মাধ্যমে এবং রাশিয়ায় জারতন্ত্রের শাসনের অবসান হয়। ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিকোলাসকে উৎখাত করে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করে বলশেভিক (কমিউনিস্ট) সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জমিদারদের ৪০ কোটি একর বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। রুশ বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তৎকালিন রাজধানী পেট্রোগ্রাদ (সেইন্ট পিটার্সবার্গ)।
জেনে নিই
যুদ্ধ সংঘটিত হয়- (১৮৩৯-১৮৪৯) সাল পর্যন্ত ইংরেজদের সাম্রাজ্যবাদী নীতি ও আফিম বাণিজ্য বিস্তারের কারণে ব্রিটিশ ও চীনের মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৪২ সালে নানকিং চুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত প্রথম আফিম হয়। আফিম যুদ্ধের পরে চীন বৃটেনের সকল শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়।
চীন ১৮৫৬ সালে বৃটেনের পতাকাবাহী জাহাজ আটক করলে দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধের সূচনা হয়। যথারীতি দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধেও চীন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ (১৮৫৬-১৮৬০) সাল পর্যন্ত পরিব্যাপ্তি ছিল।
১৯৯০ সালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখলের মাধ্যমে প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সূচনা। বৃটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স ও সৌদি আরব সামরিক জোট গঠন করে ইরাকের বিরুদ্ধে, সামরিক জোট কুয়েত থেকে সেনা। প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান করে। কিন্তু সাদ্দাম হোসেন এ আহ্বান প্রত্যাখান করে কুয়েতকে প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৯১ সালে সামরিক জোট ইরাক আক্রমণ করে এবং জয় লাভ করে। যুদ্ধের সময় 'Operation Desert Shield' ও ' Operation Desert Storm' নামে দুটি অপারেশন পরিচালনা করে মিত্র সামরিক জোট। No Fly Zone গঠিত হয় ইরাকে।
১৮০৫ সালে স্পেনের ট্রাফালগার নামক অঙ্গরীপে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সাথে নেপোলিয়নের বাহিনীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ইতিহাসে ট্রাফালগার যুদ্ধ নামেই পরিচিত। Trafalgar Square' নির্মাণ করে লন্ডনে ট্রাফালগার যুদ্ধের স্মরণে।
১৯৮২ সালে যুক্তরাজ্য ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে ফকল্যান্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়। আটলান্টিক মহাসাগরের কতগুলো দ্বীপের সমষ্টি হচ্ছে ফকল্যান্ড। ইসলাস মালভিনাস ফকল্যান্ড দ্বীপের অপর নাম। এই যুদ্ধকালীন সময়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লৌহমানবী মার্গারেট থ্যাচার।
১৯৫৪ সালে জেনেভা সম্মেলনের মাধ্যমে ভিয়েতনামকে বিভক্ত করা হয়। দক্ষিণ ভিয়েতনাম পুঁজিবাদী মতাদর্শ আর উত্তর ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট মতাদর্শে পরিচালিত হতো। ১৯৫৫ সালে দুই ভিয়েতনামের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং পরাজিত হয়। দীর্ঘস্থায়ী এই যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি লোক মারা হয়। এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় ইন্দোচীন যুদ্ধ নামেও অভিহিত করা হয়। ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ বন্ধ হয় এবং ১৯৭৬ সালে দুই ভিয়েতনাম একত্রিত হয়।
ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড ফ্রান্সের সিংহাসন দাবি করলে শতবর্ষব্যাপী যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের এই যুদ্ধ স্থায়ীত্ব ছিল (১৩৩৮-১৪৫৩) সাল পর্যন্ত। এই যুদ্ধে ফ্রান্স জয়লাভ করে।
১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধ শুরু হয়। শিয়া ও কুর্দি সমস্যা, সীমান্ত বিরোধ এবং তেল সম্পদ ছিল এই যুদ্ধের প্রধান কারণ। ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলজিয়ার্স (আলজেরিয়া) চুক্তির মাধ্যমে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। চুক্তির শর্তানুসারে ইরান উপসাগরের শাত-ইল আরব জলাধার লাভ করে।
১৯০৪ সালে জাপান রুশ জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯০৫ সালে মুসিমা প্রণালীতে রুশ-জাপানের তুমুল Treaty স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এই যুদ্ধে মধ্যস্থতার জন্যে। ১৯০৬ সালে রুজভেল্ট শান্তিতে যুদ্ধে রুশ বাহিনী পরাজিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের মধ্যস্থতায় ১৯০৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর Portsmouth নোবেল পুরস্কার পান।
১৮৯৪-১৯৯৫ সালে প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জাপানের লক্ষ্য ছিল কোরিয়া দখল করা, যাতে সহজেই ভূ- কৌশলগত মাঞ্চরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করা যায়। কোরিয়া ও মাঞ্চুরিয়ার মাঝখানে রয়েছে ইয়েলো নদী। চীন-জাপান যুদ্ধে চীন পরাজিত হয়। ১৮৯৫ সালে শিমোনোস্কি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
১৮২৪-১৮২৬ সালে সংঘটিত প্রথম ইঙ্গ-বার্মা যুদ্ধ ছিল বার্মায় ( মায়ানমার) ব্রিটিশ উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ। ১৮৫২ সালে সংঘটিত দ্বিতীয় ইঙ্গ-বার্মা যুদ্ধেও বার্মা রাজারা পরাজিত হয়। ব্রিটিশরা তৃতীয় ইঙ্গ-বার্মা (১৮৮৫-৮৬), যুদ্ধের মাধ্যমে বার্মাকে সম্পূর্ণ উপনিবেশিক আওতাভূক্ত করে। তৃতীয় ইঙ্গ-বার্মা যুদ্ধের সময় বর্মী রাজা ছিলেন রাজা থিবো। পরিশেষে বার্মা ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয় ১৮৮৫ সালে। বার্মা ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করেন।
১৮৫৩-১৮৫৬ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্তি ছিল এই যুদ্ধের। রুশ-সাম্রাজ্য ও অটোমান সাম্রাজ্যের মধ্যে ক্রিমিয়া যুদ্ধ সংঘটিত হয়। দার্দানেলিস প্রণালীতে আধিপত্য বিস্তার ও ক্রিমিয়াতে খ্রিস্টান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৮৫৩ সালে রুশ বাহিনী। আক্রমণ চালায়। তবে তুরস্ক সাম্রাজ্যকে ইউরোপীয়দের মাঝে বন্টনের জন্যই এই যুদ্ধ। এই যুদ্ধের সাথে জড়িত নাম ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল যাকে "The Lady with the Lamp" বলা হয় ।
১৮৬১-১৮৬৫ সাল অবধি চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ। আব্রাহাম লিংকনের ইউনিয়ন সরকারের সাথে দাস নির্ভর দক্ষিণের ১১টি প্রদেশের মাঝে এই গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ও রিপাবলিক দল ছিল দাস প্রথার ঘোরতর বিরোধী। এটি আন্তঃ প্রাদেশিক যুদ্ধ নামেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন জন উইলক্স বুধ নামক আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
(Diplomacy) হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিদ্যার একটি শাখা যেখানে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে পারস্পরিক চুক্তি বা আলোচনা সম্পর্কিত কলা কৌশল অধ্যয়ন করা হয়। সাধারণ অর্থে কূটনীতি হচ্ছে কোন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত সরকারি কার্যক্রম। হেনরি কিসিঞ্জারের মতে, “কূটনীতি হল আলোচনার মাধ্যমে পার্থক্য সমূহকে মানিয়ে নেওয়া।”
কূটনীতি শব্দটি ১৭৯৬ সালে এডমন্ড বার্ক প্রচলিত ফরাসী শব্দ diplomatic থেকে প্রচলন হয়। বাংলা কূটনীতি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ "কুটানীতি" থেকে আগত। প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের উপদেষ্টা চাণক্য কৌটিল্য'র নাম থেকে কূটনীতি শব্দটির উদ্ভব ঘটে।
জেনে নিই
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈশ্বিক প্রভাব বৃদ্ধি ও পশ্চিমা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই কূটনৈতিক তৎপরতা। আমেরিকা যে চীনা বিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে, চীনকে সকল ক্ষেত্রে কোণঠাসা করতে বিভিন্ন সংগঠন তৈরি করছে এসকল কার্যকলাপ পদদলিত করতেই চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং ২০২০ সঙ্গে এই আক্রমণাত্মক কূটনীতির অবতারণা করেন।
১৯৭১ সালে দীর্ঘদিনের শত্রুতা সম্পন্ন দুই দেশ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতির জন্য পিং পং কূটনীতি (Ping Pong Diplomacy) এর মাধ্যমে মার্কিন টেবিল টেনিস দল চীন সফর করে। এই সফরের মধ্য দিয়ে দেশ দুটির দীর্ঘ দিনের বৈরী সম্পর্কের বরফ গলতে আরম্ভ করে এবং চীন জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ ও স্থায়ী প্রতিনিধি লাভ করে।
One Belt One Road (OBOR) মেগা প্রকল্পটি গণচীন সরকারের ২০১৬ সালে হন্ত সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক বন্দর, ভূমিতে আন্তঃসীমান্ত সড়ক, উচ্চগতির রেলপথ, বিমানবন্দর এবং ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের কৌশল। এই উদ্যোগের পরিধি। অনিকভাবে এশিয়া ও ইউরোপের প্রায় ৬০ টি দেশ। ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড বন্ত্রিক ট্রেডিং ব্যবস্থার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করেছে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ। এবং নি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ। বেন্ট অ্যান্ড রোড। শিয়েটিভ এখন ঐতিহাসিক "সিল্ক রোড" বাণিজ্য রুটের সময় ভৌগোলিক | জাতাকে বোঝায়, যা প্রাচীনকালে ব্যবহৃত হতো। BRI এর উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক হও এর পেছনে ভূ-রাজনীতি বিদ্যমান।
১৯৪৭-১৯৯১ সাল পর্যন্ত চলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন স্নায়ুযুদ্ধ (Cold War) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রসমূহ এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্রসমূহের মধ্যকার টানাপোড়েনের নাম। ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৮০ দশকের শেষ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ছিল। প্রায় পাঁচ দশকব্যাপী সময়কালে এই দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যকার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও রাজনৈতিক মতানৈক্য আন্তর্জাতিক রাজনীতির চেহারা নিয়ন্ত্রণ করত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশসমূহ ছিল গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদের পক্ষে; আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্র সশসমূহ ছিল সাম্যবাদ বা সমাজতন্ত্রপন্থী । স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান মিত্র ছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি জাপান ও কানাডা। আর সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে ছিল পূর্ব ইউরোপের অনেক রাষ্ট্র, যেমন বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, পূর্ব জার্মানি ও রোমানিয়া। স্নায়ুযুদ্ধের কিছুকাল যাবৎ কিউবা এবং চীন সোভিয়েতদের সমর্থন দেয়।যে সমস্ত দেশ দুই পক্ষের কাউকেই সরকারিভাবে সমর্থন করত না, তাদেরকে নিরপেক্ষ দেশ বলা হত। তৃতীয় বিশ্বের নিরপেক্ষ সেগুলি জোট নিরপেক্ষ দেশগুলি জোট আন্দোলনের অংশ ছিল। অবশেষে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের নাটকীয় পরিবর্তন ও পতনের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সমাপ্তি হয় ।
প্রথম যুদ্ধ (১৯৪৭-৪৯)
দ্বিতীয় যুদ্ধ (১৯৬৫-৬৬)
তৃতীয় যুদ্ধ (০৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১)
চতুর্থ যুদ্ধ (১৯৯৯)
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধকারী ' প্যারিস প্যাক্ট' স্বাক্ষরিত হয়? ১৯২৮ সালের ২৭ আগস্ট ফ্রান্সের প্যারিসে 'প্যারিস প্যাস্ট' স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি 'ক্যালগ - ব্রিয়ান্ড ' বলেও পরিচিত। কার্যকর হয় ২৪ জুলাই ১৯২৯ ।
৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মদিনা নগরীতে হিজরত করেন। এসময় সেখানে বসবাসরত বানু আউস এবং বানু খাযরাজ সম্প্রদায় দ্রুতির মধ্যে ছিল। গোষ্ঠীগত হিংসা-বিদ্বেষ, তারা কলহে লিপ্ত ছিল। এ দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্প্রীতি স্থাপন ও মদিনায় বসবাসরত সকল গোত্রের মধ্যে সুশাসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠ লক্ষ্যে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ৪৭ ধারার একটি সনদ বা সংবিধান প্রণয়ন করেন। | যা ইতিহাসে মদিনার সনদ (Medina charter) নামে পরিচিত। এটিই পৃথিবীর প্রথম লিখিত সনদ বা সংবিধান।
প্রথম ভার্সাই চুক্তি (১৭৮৩)
দ্বিতীয় ভার্সাই চুক্তি (১৯১৯)
দ্বিতীয় ভার্সাই চুক্তির প্রধান দিকসমূহ
শেনজেন একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের জাতীয় সীমানা বিলুপ্তি করে দেশগুলোর মধ্যে ব্যক্তিদের অবাধ চলাচলের অনুমতি প্রদান করে। শেনজেন চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল সীমানাবিহীন একটি ইউরোপ তৈরি করা যা "শেঞ্জেন এলাকা" নামে পরিচিত হবে।
মন্ট্রিয়ল চুক্তি বা মন্ট্রিয়ল প্রটোকল হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। ওজোন স্তরকে রক্ষা করার জন্যে ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষরিত হয় মন্ট্রিল চুক্তি, এবং ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয়। এ পর্যন্ত মন্ট্রিয়ল চুক্তি ৫ বার সংশোধন হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এটি সংশোধিত হয়- কিগালিতে, রুয়ান্ডা।
বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সংক্ষেপে সিটিবিটি) সামরিক ও অসামরিক ক্ষেত্রে যাবতীয় পারমাণবিক পরীক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৫১তম অধিবেশনে এই চুক্তি গৃহীত হয়। দুখের বিষয় হলো এ চুক্তি এখনো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
জেনেভা কনভেনশন মূলত যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ৪টি চুক্তি ও ৩টি প্রটোকলের সম্মনয়ে গৃহীত পদক্ষেপ। জেনেভা কনভেনশন “১৯৪৯ সালের একটি সন্ধিপত্রকে" নির্দেশ করে, যেটি সম্পাদিত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও তার ফলাফল সরূপ। ১৯৪৯ সালে পূর্বের তিনটি কনভেনশন (১৮৬৪, ১৯০৬ ও ১৯২৯) সালে সম্পাদিত যা পরিমার্জন ও সম্প্রসারণ করা হয়। চতুর্থ কনভেনশনটি যোগ করা হয় ১৯৪৯ সালে। এটি "চারটি রেডক্রস কনভেনশন” নামেও পরিচিত।
১ম জেনেভা কনভেনশন
২য় জেনেভা কনভেনশন
৩য় জেনেভা কনভেনশন
৪র্থ জেনেভা কনভেনশন
Ramsar Convention হলো বিশ্বব্যাপী জৈবপরিবেশ রক্ষার একটি সম্মিলিত প্রয়াস। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ইরানের রামসারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসমূহ Convention on Waterland নামক একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
ওজোন স্তর সুরক্ষা জন্য ভিয়েনা কনভেনশন একটি বহুমুখী পরিবেশগত চুক্তি। এটি ১৯৮৫ সালের ভিয়েন কনফারেন্সের সম্মত হয়েছিল এবং ১৯৮৮ সালে কার্যকর হয়। সার্বভৌমত্বের শর্তানুযায়ী এটি সর্বকালের সর্বাধিক সফল চুক্তিগুলির মধ্যে একটি। এটা ওজোন স্তর (স্ট্রাটোমন্ডল) রক্ষা আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জন্য একটি কাঠামো হিসাবে কাজ করে।
কনভেনশনটি ৫ জুন ১৯৯২ তারিখে রিও ডি জেনিরোতে আর্থ সামিটে স্বাক্ষরের জন্য খোলা হয়েছিল এবং ২৯ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে কার্যকর হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র যারা এই কনভেনশনটি অনুমোদন করেনি। এর দুটি সম্পূরক চুক্তি রয়েছে, কার্টাগেনা প্রটোকল এবং নাগোয়া প্রোটোকল ।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-
Hamlet, Antonio Cleopatra, King Lear, Othello, Twelfth Night,
The Tempest, Romeo and Juliet, The Merchant of Venice
Power: A New Social Analysis
The Conquest of Happiness
The Proposed Roads to Freedom
The Problems of Philosophy
History of Western Philosophy
Positive Polity,
Scientific Positivism &
Positive Philosophy
মানুষ স্বভাবতই স্বার্থপর ও আত্মত্মকেন্দ্রিক।
Knowledge is power
Leisure is the mother of philosophy
একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা ও সমাজকর্মী। দার্শনিক হলেও তিনি ১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
তাঁর লেখা বিখ্যাত গ্রন্থ
Principia Mathematica
Marriage and Morals
Albert Camus-- The Outsider
Proposed Roads to Freedom
Power:A New Social Analysis
কিতাব আল-শিফা' (দর্শন শাস্ত্র)।
আল-কানুন (The Canon of Medicine)
আল-ইশারাত ওয়াত-তানবিহাত
My Brief History
A Brief History of Time
The Grand Design
The Universe in a Nutshell
The Theory of Moral Sentiments
The Wealth of Nations
Two Treatises of Civil Government.
An Essay Concerning Human understanding.
A Letter Concerning Toleration.
“I am Prepared to Die”
“Don't call me, I will call you”
“Conversation myself”
“A Long Walk to Freedom”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ডব্লিউ বি ইয়েটস
চার্লস ডিকেন্স
জন কিটস
বিখ্যাত রচনা-
সাহিত্যকর্ম
তার বিখ্যাত উপন্যাস :
নেপোলিয়নের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ :
বিখ্যাত উক্তি
বিখ্যাত গ্রন্থ-
উপর্যুক্ত গ্রন্থ দুটি ফরাসী বিপ্লবের অন্যতম নিয়ামক গ্রন্থ।
বিখ্যাত গ্রন্থ-
বিখ্যাত উপন্যাস-
বিখ্যাত উক্তি-
বিখ্যাত চিত্রকর্ম-
তার বিখ্যাত গ্রন্থ-
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়িনী আমেরিকান প্রথম মহিলা (১৯৮৩)।
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন যুক্তরাজ্যের গোডউইন জেব তিনি ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ সাল থেকে ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য যে, এ্যাডউইন জেন ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কিন্তু নির্বাচিত প্রথম মহাসচিব ছিলেন ট্রিগভেলী।
কর্সিকা দ্বীপ
সেন্ট এলবা দ্বীপ
মিন্দানাও দ্বীপ
আবু মুসা দ্বীপ
প্যারাসেলস দ্বীপ
সেন্ট হেলেনা দ্বীপ
শাত-ইল-আরব
হাওয়াই দ্বীপ
গুয়াম দ্বীপ
গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ
জাপান
ওকিনাওয়া দ্বীপ
কুড়িল দ্বীপপুঞ্জ
স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জ
ফকল্যান্ড দ্বীপ
শাখালিন দ্বীপ
সিসিলি দ্বীপ
সুবিক বে
গুয়ানতানামো বে
সেনকাকু দ্বীপ
লায়লা/পেরিজিল
ভারত মহাসাগরে বৃটেনের অধীনে চ্যাগোজ দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। মরিশাস এই দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে।
হিমালয়; এর অবস্থান - চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল
আন্দিজ এ অবস্থান - দক্ষিন আমেরিকা
আল্পস এর অবস্থান - সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইতালি, ফ্রান্স
জেনে নিই
বিশ্বের বৃহত্তম নদ-নদী
নদীর নাম | অবস্থান | বিশেষত্ব |
---|---|---|
নীল নদ | আফ্রিকা মহাদেশ (মোট ১১ টি দেশ) | আফ্রিকা তথা পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী । |
আমাজন | দক্ষিণ আমেরিকার |
|
হোয়াংহো | কুনলুন পর্বত | চীনের দুঃখ নামে পরিচিত। |
জেনে নিই
ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি তাজমহল। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অপূর্ব সাদা মার্বেলের সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে, যা সম্পন্ন হয়েছিল প্রায় ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণের পর থেকেই তাজমহল বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে।
প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগের তৈরি। মিশরের পুরনো রাজরাজাদের সংরক্ষিত স্মৃতিচিহ্ন। প্রাচীনকালে হেলেনীয় সভ্যতার পর্যটকরা প্রথম এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করে। সপ্তাশ্চর্যের সর্বশেষ তালিকায় প্রকাশিত হয়েছে ২০০৭ সালে। এ তালিকায় প্রথমেই স্থান পেয়েছে গিজার পিরামিড। এটি মিসরের সবচেয়ে বড়, পুরনো ও আকর্ষণীয় পিরামিড। যা খুফুর পিরামিড (৪৮১ ফুট) হিসেবেও পরিচিত।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউস। ১৯৫৯ সালে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হতে লেগেছিল ১৪ বছর। বিস্ময়কর স্থাপনার তালিকায় এটিও রয়েছে। অপেরা হাউসটি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বন্দরে। এটি নৌকার পাল আকৃতির ন্যায় দেখতে। অপেরা হাউসটি মহাসাগরের এক প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে, যা দেখতে অনেকটা উপত্যকার মতো।
আমেরিকার সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের কিস্টোনে অবস্থিত মাউন্ট রাশমোর। গ্রানাইট পাথরের পাহাড় কেটে তৈরি করা একটি মনুমেন্ট। ভাস্কর গাটজন বর্গলাম এটি নির্মাণ করেন। ৬০-ফুট (১৮ মি) উচ্চতার এই প্রেসিডেন্সিয়াল ভাস্কর্য দ্বারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ১৩০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন সময়ে দ্বায়িত্ব পালনকৃত যে চারজন মার্কিন রাষ্ট্রপতির আবক্ষমূর্তি স্থান পেয়েছে তারা হলেন, জর্জ ওয়াশিংটন, থমাস জেফারসন, থিওডোর রুজভেল্ট, এবং আব্রাহাম লিংকন।
আঙ্করভাট কম্বোডিয়ার আংকরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মধ্যযুগীয় মন্দির। সুবিশাল এই স্থাপনাটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দির। ১২শ শতাব্দীতে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা ২য় সূর্যবর্মণ। তিনি এটিকে তার রাজধানী ও প্রধান উপাসনালয় হিসাবে তৈরি করেন। আন্তরভাটের নির্মাণশৈলী খেমারুজ সাম্রাজ্যের স্থাপত্য শিল্পকলার অনুপম নিদর্শন ।এটি কম্বোডিয়ার জাতীয় পতাকায় স্থান পেয়েছে, এবং দেশটির প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।
ইটালির লিনিং টাওয়ার অব পিসা। মার্বেলের তৈরি এই সৌধটি বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম। স্তম্ভটি ঘন্টা বাজানোর উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল। এর এক পাশ হেলে থাকার কারণে সমগ্র বিশ্বে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। নির্মাণের শুরু থেকেই এই গুচ্ছের এক দিক থেকে ক্রমশ হেলতে থাকে। বর্তমানে এ অবকাঠামোটিকে রক্ষা করতে যুল্লখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এর হেলে পড়া রোধ ও ভূপাতিত হওয়া থেকে রক্ষা করা গিয়েছে।
এটি আমেরিকার নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যে অবস্থিত। ১ জুলাই ১৯৪৪ সালে এখানে জাতিসংঘের মুদ্রা আর্থিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং এই সম্মেলনের সিদ্ধাস্তানুযায়ী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংক অনু লাভ করে এজন্য এ দুটি সংস্থাকে ব্রিটনউডস ইনস্টিটিউট বলা হয়।
ভূ-মধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত। মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও প্রধান সমুদ্র বন্দর।
লন্ডনে অবস্থিত মানমন্দির ও হাসপাতালের জন্য প্রসিদ্ধ। গ্রিনিচ মান মন্দির (GMT) ধর দ্রাঘিমাংশ) এ স্থানের উপর দিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সাথে সময়ের ব্যবধান +৬ ঘণ্টা।
ঐতিহাসিক মসজিদটি ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় অবস্থিত ষোড়শ শতকে মোঘল সম্রাট জহিরউদ্দীন মুহম্মদ বাবর এটি নির্মাণ করেন মসজিদটির নির্মাণকাল ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু উগ্রবাদীদের দাবি যে, মসজিদটি দেবতা রামের মন্দির যদিও ঐতিহাসিক কোনো প্রমান পায়নি ভারতীয় প্রত্নতাতিক বিভাগ। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরে বাবরী মসজিদ হিন্দু সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিধ্বস্ত হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ আলোচিত বাবরী মসজিদ মামলার রায় হয়, রায়ে বলা হয়, মুসলিম সম্প্রদায় পাবে এক-তৃতীয়াংশ এবং হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন দুই-তৃতীয়াংশ ।
ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রান্তর। এখানে সামেস্কের অধিপতি এজিদের সেনাবাহিনীর সাথে ধর্মযুদ্ধে হযরত মুহাম্মদ (স) এর দৌহিত্র ও হযরত আলী (রা)-এর কনিষ্ঠ পুত্র ইমাম হোসেন (রা) মর্মান্তিকভাবে শাহাদৎ বরণ করে।
পুরাতন দিল্লিতে অবস্থিত। উচ্চতা ৫৮ মিটার কুতুব উদ্দীন আইবেক নির্মিত ভারতের সর্বোচ্চ মিনার। ১২৩২ সালে নির্মাণ করা হয়।
সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত চীনের এ মহাপ্রাচীরটি বিশ্বের মানবসৃষ্ট অন্যতম বড় নিদর্শন। এটি পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা যা চাঁদ থেকে দেখা যায়। খ্রিস্টের জন্মের আগে থেকে উত্তরের মঙ্গল আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য চীনের সম্রাটরা এটি নির্মাণ শুরু করে। ২২০-২০৬ খ্রিস্টপূর্বে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দেয়ালগুলো নির্মাণ করা হয়। পূর্বে ডাংডং থেকে শুরু করে পশ্চিমে লপ লেক পর্যন্ত ৬৪০০ কিমি. দীর্ঘ এ দেয়ালটির বিস্তৃতি।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ওয়াটার গেট নামক বাণিজ্যিক ভবন অবস্থিত মার্কিন ডেমোক্রেটিক দলের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। ১৯৭২ সালের ১৭ জুন, রিপাবলিকান দল ডেমোক্রেটদের গোপন আলোচনা ও নির্বাচনী কৌশল জানার জন্য তাদের সদর দপ্তরে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে। এ ব্যাপারে ৫ জন হাতেনাতে ধরা পড়ে ঘটনাটি পরে ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারী নামে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে সংবিধান বিরোধী এ কাজের জন্য রিচার্জ নিক্সনকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
১৯৬১ সালের ১৩ ও ১৪ আগস্ট পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিনের মধ্যে এ প্রাচীর নির্মিত হয় পূর্ব জার্মানীর নাগরিকগণ যাতে পশ্চিম জার্মানে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তখন পূর্ব জার্মান সরকার এ প্রাচীর নির্মাণ করে এ প্রাচীর শীতল যুদ্ধের অন্যতম প্রতীকে পরিণত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনে ফলে বার্লিন প্রাচীরের পতন ঘটে। বার্লিন প্রাচীরের দৈর্ঘ্য ১৫৫ কি.মি। ১৯৯০ সালে ৩ অক্টোবর (মধ্যরাতে) দুই জার্মানী একীভূত হয়। ১৯৯০ সালে পূর্ব জার্মানী রাষ্ট্রের বিলুপ্তি ঘোষিত হয়।
প্রভাতে অবস্থিত রুশ সরকারের প্রধান কার্যালয়। মস্কোর ক্রেমলিন প্রাসাদের পাশে অবস্থিত বিখ্যাত রাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের সমাধি রয়েছে।
লন্ডন শহরের প্রায় ১৬৫ কি.মি. উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত একটি বৃহৎ শিল্পনগর। এটি রেলগাড়ির ইঞ্জিন ও নানা প্রকার যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য বিখ্যাত।
ফিনল্যান্ড উপসাগরের তীরে অবস্থিত রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং বিখ্যাত শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্র। ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ দ্বারা এ শহর সাইবেরিয়ার পূর্বপ্রান্তে ভ্লাদিভস্তক বন্দরের সাথে সংযুক্ত।
ইসরাইল অধিকৃত একটি ফিলিস্তিন উপত্যকা ১৯৬৭ সালে ইসরাইল এটি দখল করে নেয় বর্তমান শান্তি চুক্তি ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের নিকট অর্পণ করা হয়েছে।
পশ্চিবঙ্গের বোলপুর অবস্থিত একটি ছোট শহর। এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত আশ্রম রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে বিশ্বভারতী নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটিকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে।
স্থানটি মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদি তিন ধর্মের নিকট পবিত্র নগরী হিসেবে পরিচিত। হযরত মূসা (আ) ধর্ম প্রচার করে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। হযরত মুহাম্মদ (স)-এর মিরাজ এখান থেকে শুরু হয় ইসলামের প্রথম কেবল ঐতিহাসিক মসজিদ। বায়তুল মোকাদ্দাস অবস্থিত এখানে। স্থানটি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর নগরীতে অবস্থিত শিখদের পবিত্র মন্দির। ১৯৮৪ সালে ভারতের ইন্দিরা সরকার স্বাধীনতাকামী শিখদের দমনের জন্য উক্ত মন্দিরে ব্লু স্টার অভিযান প্রেরণ করেন। এর ফলে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। উল্লেখ্য যে, শিখরা গুরু নানক (প্রধান গ্রন্থ- গ্রন্থ সাহেব) এর অনুসারী।
ফিলিপাইনের রাজধানী, বৃহত্তম নগরী ও বন্দর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB) এবং আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (IRRI) প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।
তিয়েন আনমেন শব্দের অর্থ- চিরশান্তির তোরণ নামে পরিচিত। এই স্কয়ারে দাঁড়িয়ে ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর মাও সে তুং চীনকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ঘোষণা করে এই স্থানে ১৯৮৯ সালের জুন মাসে । গণতন্ত্রের দাবিতে চীনের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভ করলে সৈন্যদের কামান ও ট্যাংকের গুলিতে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী নিহত হয়। ১৯৯৭ সালে হংকং হস্তান্তরের আনন্দঘন অনুষ্ঠানটি এই স্কয়ারে পালিত হয়।
পশ্চিমবঙ্গের ভাগিরথী নদীর তীরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রান্তর। ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন এই স্থানে ইংরেজ সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ ও বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজ-উদ দৌলার মাঝে যুদ্ধ হয় এবং নবাবের পতন হয়। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ হাজার।
সৌদি আরবে অবস্থিত একটি শহর মুসলমানদের নিকট একটি পবিত্র স্থান। ইসলাম ধর্মের পবিত্র কাবা শরীফ অবস্থিত। উপনাম- বালাদুল আমীন নিরাপদ শহর। সৌদি আরবে অবস্থিত একটি শহর মুসলমানদের নিকট দ্বিতীয় পবিত্র স্থান। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্মগ্রহণ করেন (৫৭০ খ্রিস্টাব্দে) । পবিত্র মক্কা নগরীকে কেন্দ্র বলা হয়।
৬২২ খ্রিস্টাব্দে নবীজী (সাঃ) পবিত্র মক্কা হতে মদীনায় হিজরত করেন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পবিত্র রওজা মোবারক অবস্থিত
বিশ্বের বিভিন্ন বাসভবনের অবস্থান
ব্লু হাউজ- দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।
হোয়াইট হাউজ - যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াসিংটন ডিসিতে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।
জনপদ রোড - ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন।
এলিসি প্রাসাদ - ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।
মালকানাং প্রাসাদ - ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।
১০ নং ডাউনিগ্ন স্ট্রিট - ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন।
১১ নং ডাউনিং স্ট্রিট- ইংল্যান্ডের অর্থমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন।
প্লানলেট প্রাসাদ - ব্রাজিলের রাজধানী রিওডোজেনিরোতে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।
মিরাফ্লোরাম - ভেনিজুয়েলার কারাকাসে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।
টেম্পল ট্রি- শ্রীলংকার কলম্বো অবস্থিত প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।
মারদেকা প্রাসাদ - ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন
পোডালা প্রাসাদ - তিব্বতের লাসাতে অবস্থিত আধ্যাত্মিক প্রধান দালাইলামার বাসভবন।
বাকিংহাম প্যালেস - বৃটিনের রানীর স্থায়ী বাসভবন।
ব্লেয়ার হাউজ - আমেরিকার ওয়াসিংটনে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা ।
বিভিন্ন দেশের সচিবালয
পেন্টাগন
ক্রেমলিন
হোয়াইট হল- বৃটিশ সরকারের কার্যালয়, বর্তমান অবস্থান- লন্ডন ।
বুশ হাউজ- বিবিসির প্রধান কার্যালয়, বর্তমান অবস্থান- লন্ডন।
ক্যাপিটাল হিল- ক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন, বর্তমান অবস্থান- ওয়াসিংটন ডিসি।
ওভাল অফিস- আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সরকারি কার্যালয়, বর্তমান অবস্থান- ওয়াসিংটন ডিসি।
সিংহ দরবার- নেপাল সরকারের কার্যালয়, বর্তমান অবস্থান- কাঠমন্ডুতে ।
রাইটার্স বিল্ডিং- ভারতের পশ্চিম বঙ্গ সরকারের সচিবালয়। বর্তমান অবস্থান- কলকাতা ।
ফ্লাসিং মিডোস- জাতিসংঘের মূল সভাকেন্দ্রস্থল। বর্তমান অবস্থান- নিউইয়র্ক।
কুবে প্যালেস- মিশর সরকারের সচিবালয়। বর্তমান অবস্থান- কায়রো।
শান্তি প্রাসাদ- আন্তর্জাতিক বিচারালয় ভবন। বর্তমান অবস্থান- নেদারল্যান্ডসের হেগ শহর।
ইউরোপের ক্ষুদ্রতম ও বৃহত্তম
আন্তর্জাতিক নারী দিবস (পূর্বনাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস) প্রতি বছর মার্চ মাসের ৮ তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদ্যাপন করে থাকেন। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদ্যাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়।
বছর | জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য |
---|---|
১৯৯৬ | অতীত উদ্যাপন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা |
১৯৯৭ | নারী এবং শান্তি |
১৯৯৮ | নারী এবং মানবাধিকার |
১৯৯৯ | নারী প্রতি সহিংসতামুক্ত পৃথিবী |
২০০০ | শান্তি স্থাপনে একতাবদ্ধ নারী |
২০০১ | নারী ও শান্তি : সংঘাতের সময় নারীর অবস্থান |
২০০২ | আফগানিস্তানের নারীদের বাস্তব অবস্থা ও ভবিষ্যৎ |
২০০৩ | লিঙ্গ সমতা ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা |
২০০৪ | নারী এবং এইহ আই ভি/ এইডস |
২০০৫ | লিঙ্গ সমতার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যত |
২০০৬ | সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী |
২০০৭ | নারী ও নারী শিশুর ওপর সহিংসতার দায়মুক্তির সমাপ্তি |
২০০৮ | নারী ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ |
২০০৯ | নারী ও কিশোরীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে নারী-পুরুষের একতা |
২০১০ | সমান অধিকার, সমান সুযোগ- সকলের অগ্রগতি |
২০১১ | শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ |
২০১২ | গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সমাপ্তি |
২০১৩ | নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময় |
২০১৪ | নারীর সমান অধিকার সকলের অগ্রগতির নিশ্চয়তা |
২০১৫ | নারীর ক্ষমতায়ন ও মাবতার উন্নয়ন |
২০১৬ | অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান |
২০১৭ | নারী-পুরুষ সমতায় উন্নয়নের যাত্রা, বদলে যাবে বিশ্ব কর্মে নতুন মাত্রা। |
২০১৮ | সময় এখন নারীর: উন্নয়নে তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরের কর্ম-জীবনধারা |
২০১৯ | সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো |
২০২০ | প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারী অধিকার |
২০২১ | করোনাকালে নারী নেতৃত্ব গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব |
২০২২ | যত্নসই আগামীকালের জন্য আজ লিঙ্গ সমতা |
২০২৩ | ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন। (DG) |
হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর। এটি এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি। এর আয়তন ১৮,১১৫ হেক্টর, তন্মধ্যে শুধুমাত্র বিলের আয়তন ৪,৪০০ হেক্টর।
নিউইয়র্ক
মুম্বাই
ম্যানিলা
ঢাকা
পুঁজিবাজার নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ (NYSE) বিশ্বের বৃহত্তম পুঁজিবাজার। নিউইয়র্কের ওয়াল (Wall Street) স্ট্রিট সড়কে অবস্থিত ।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ : যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীনতম স্টক এক্সচেঞ্জ ।
Euronex: স্টক এক্সচেঞ্জ : ১৬০২ সালে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ‘আমস্টারডাম স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করে। গ্রিনিচ রেকর্ড অনুযায়ী, এটি বিশ্বের প্রাচীনতম স্টক এক্সচেঞ্জ। ২০০০ সালে আমস্টারডাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রাসেলস স্টক এক্সচেঞ্জ এবং প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জ একীভূত হয়ে Euronext স্ট্ক এক্সচেঞ্জ গঠিত হয়।
বাংলাদেশ – ঢাকা- টাকা – জাতীয় সংসদ (এককক্ষবিশিষ্ট)
ভুটান – থিম্পু - গুলট্রাম- সোংডু (দ্বিকক্ষবিশিষ্ট)
নেপাল - কাঠমান্ডু - রুপি - ফেডারেল পার্লামেন্ট (এককক্ষবিশিষ্ট)
ভারত – দিল্লী - রুপি – সংসদ (দ্বিকক্ষবিশিষ্ট)
শ্রীলঙ্কা - কলম্বো - রুপি - পার্লামেন্ট (এককক্ষবিশিষ্ট)
মালদ্বীপ - মালে - রুপিয়া - মজলিস (এককক্ষবিশিষ্ট)
পাকিস্তান – ইসলামাবাদ – রুপি – জাতীয় পরিষদ বা সিনেট (দ্বিকক্ষবিশিষ্ট)
আফগানিস্তান – কাবুল – আফগানি – শোরা বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি (দ্বিকক্ষবিশিষ্ট)
দেশের নাম | আইনসভা নাম |
---|---|
বাংলাদেশে | জাতীয় সংসদ |
ভারত | সংসদ |
পাকিস্তান | মজলিস-ই-শুরা |
জাপান | ডায়েট |
নেপাল | কংগ্রেস বা পঞ্চায়েত |
আফগানিস্তান | পার্লামেন্ট এ্যাসেম্বলি |
ভুটান | সোংডু |
মালদ্বীপ | মজলিস |
ইরান | মজলিস |
যুক্তরাষ্ট্রের | কংগ্রেস |
যুক্তরাজ্যের | পার্লামেন্ট |
চীন | কংগ্রেস |
ডেনমার্কের | ফোকেটিং |
জার্মান | রাইখস্ট্যাগ |
কানাডা | পার্লামেন্ট |
অস্ট্রেলিয়া | পার্লামেন্ট |
মালয়েশিয়া | মজলিস |
মঙ্গোলিয়ার | স্টেট গ্রেট-খুরাল |
ইসরাইল | নেসেট |
তাইওয়ান | উয়ান |
রাশিয়া | ফেডারেল অ্যাসেম্বলি |
স্পেন | জেনারেল কোর্টস |
তুরস্কোর | গ্রান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি |
সুইডেন | রিক্সড্যাগ |
ফ্রান্স | পার্লামেন্ট |
নেদারল্যান্ড | স্ট্যাটেড জেনারেল |
পোলেন্ড | সীম |
নরওয়ের | স্টরটিং |
ইতালির | সিনেট |
মিশরের | দারুল আওয়াম |
আয়ারল্যান্ড | ডেল আয়ারম্যান বা ওয়ারেখটাস |
গ্রিস | চেম্বার অব ডেপুটিজ |
আইসল্যান্ড | আলথিং |
ইন্দোনেসিয়া | পিপন্স কনসাল্টেটিভ অ্যাসেম্বলি |
উত্তর কোরিয়া | সুপ্রিম পিপল্স অ্যাসেম্বলি |
জায়ার | ন্যাশনাল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল |
দক্ষিণ আফ্রিকা | হাউজ অব অ্যাসেম্বলি |
নিউজিল্যান্ড | হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ |
মায়ানমার | পিথু ইটার্ড |
লিথুনিয়া | সিসাম |
লিবিয়া | জেনারেল পিপন্স কংগ্রেস |
সিরিয়ার | পিপন্স কাউন্সিল |
রুমানিয়া | গ্রান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি |
হাইতির | চেম্বার অব ডেপুটিজ সিনেট |
হাঙ্গেরি | ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি |
সেসেলসের | পিপন্স কাউন্সিল |
সুইজারল্যান্ড | ফেডারেল অ্যাসেম্বলি |
ব্রাজিল | ন্যাশনাল কংগ্রেস |
গ্রানাডার | হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ |
কেপভার্দে | পিপন্স ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি |
ইউরো (মুদ্রা প্রতীক: €; ব্যাংক কোড: EUR) হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশসমূহের মুদ্রা। বর্তমানে ইউরো ইউরোপের ২০টি দেশে ব্যবহৃত। ১৯৯৯ সালে ইউরোপের ১৪টি দেশ (অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবুর্গ, মোনাকো, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সান মারিনো এবং ভ্যাটিকান সিটি) ইউরো প্রথমদিকে ব্যবহার করতে শুরু করে।
ইউরো |
---|
মার্কিন ডলার বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্ব মুদ্রা বাজারে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা (Hard Currency) হিসেবে পরিগণিত করা হয়। ডলারের এক শতাংশের নাম সেন্ট। অর্থাৎ ১ ডলার = ১০০ সেন্ট। মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় (১৮৬১-১৮৬৫) আব্রাহাম লিংকন যুক্তরাষ্ট্রে Greenback নামক এক প্রকার কাগজের মুদ্রা চালু করেছিলেন।
যেসব দেশের মুদ্রার নাম ডলার-
অস্ট্রেলিয়া
বেলিজ
তাইওয়ান
ব্রুনাই
বাহামা
গ্রানাডা
অ্যান্টিগুয়া
কানাডা
জিম্বাবুয়ে
ইকুয়েডর
পূর্ব তিমুর
বার্বাডোস
ফিজি, হংকং
লাইবেরিয়া
বারবুডা
নিউজিল্যান্ড
নামিবিয়া
গায়ানা
সুঙ্গাপুর
সুরিনাম
জ্যামাইকা
জানুয়ারি, ১৯৯৯ আর্থিক বাজারে ইউরো মুদ্রা প্রবর্তিত হয়। ইউরো মুদ্রা হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন একক মুদ্রা। ১ জানুয়ারি, ২০০২ ইউরো নোট ও ধাতব মুদ্রা বাজারে ছাড়া হয়। ১ মার্চ, ২০ শগুলো পুরাতন মুদ্রা বাতিল করে দেয় এবং একক মুদ্রা হিসাবে ইউরো চালু করে। রবার্ট মুলোকের জনক বলা হয়। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ১৯টি সহ মোট ইউরো মুদ্রা চালু আছে ২৫ টি দেশে। ১ জানুয়ারি, ২০১৫, লিথুয়ানিয়া ১৯তম দেশ হিসেবে ইউরো মুদ্রা গ্রহণ করে।
যেসব দেশের মুদ্রার নাম ইউরো -
ইতালি
ফ্রান্স
জার্মানি
স্পেন
অস্ট্রিয়া
বেলজিয়াম
লুক্সেমবার্গ
নেদারল্যান্ড
সাইপ্রাস
মাল্টা
মোনাকো
এস্তোনিয়া
লাটভিয়া
আয়ারল্যান্ড
পর্তুগাল
শোধেনিয়া
গ্রিস
ফিনল্যান্
ক্র্যাটিকান সিটি
স্যানমেরিনো
মন্টিনিগ্রো
লিথুয়ানিয়া
কসোভো
যুক্তরাজ্য, মিশর, সিরিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান, লেবানন, প্রভৃতি দেশের মুদ্রার নাম পাউন্ড। পাউন্ডকে Green money বলা হয়।
গ্যাবন, নিরক্ষীয় গিনি, গিনি, গিনি-বিসাউ, বেনিন, বুর্কিনা ফাসো, বুরুন্ডি, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ক্যামেরুন, চাদ, কমোরোস, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, মালি, লিচেনস্টেইন, নাইজার, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশের মুদ্রার নাম ফ্রাঙ্ক
শিলিং (Shilling) : সোমালিয়া, উগান্ডা, কেনিয়া, তানজানিয়া, প্রভৃতি দেশের মুদ্রা।
পেসো (Peso ) : আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, চিলি, কলম্বিয়া, কিউবা, উরুগুয়ে, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র প্রভৃতি দেশের মুদ্রা।
রুপি (Rupee) : ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, সিচেলিস প্রভৃতি দেশের মুদ্রা ।
দিনার (Dinar) : আলজেরিয়া, জর্ডান, কুয়েত বাহরাইন, ইরাক, লিবিয়া, সার্বিয়া, তিউনিসিয়া
দিরহাম (Dirham) : সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো প্রভৃতি দেশের মুদ্রা।
ডিজিটাল মুদ্রা হলো ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা Bitcoin । যেমন- Bitcoin ( BTC), Litecoin (LTC), Ethereum (ETH), Ripple (XRP), Libra (ফেইজবুক) ইত্যাদি। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিট কয়েনকে বৈধ মুদ্রার (Currency) স্বীকৃতি দেয় এল সালভেদর। মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত লেনদেনের জন্য ডিজিটাল মুদ্রা আবের প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো (অজ্ঞাতনামা) বিট কয়েনের প্রচলন করেন। ১ এপ্রিল, ২০১৭ সালে জাপান আনুষ্ঠানিক ভাবে বিটকয়েনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ
ভারত
পাকিস্তান
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাজ্য
জেনে রাখি
ইতালির ফ্লোরেন্স নগরীর একটি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মাইকেল অ্যাঞ্জেলা ছোটবেলা থেকেই ভাস্কর্য তৈরিতে তার আগ্রহ ছিল।
বিখ্যাত চিত্রঙ্কন
উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম
১৮৫৩ সালে নেদারলেভসের জুনডারট গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ভিনসেন্ট ভ্যানগণ। তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটে ফ্রান্সে। একজন মানবতাবাদী শিল্পী হিসেবে। তিনি নিপীড়িত, দরিদ্র, শ্রমিক কৃষকের কথা তার চিত্রকর্মে ভুলে নিয়ে আসেন।
উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম
পাবলো পিকাসো একজন চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, মৃৎ শিল্পী, কবি ও নাট্যকার। পিকাসো কিউরিস্ট আন্দোলনের | সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। স্পেনের গৃহযুদ্ধের বিরুদ্ধে আঁকা। 'গোয়ের্নিকা' তার বিখ্যাত চিত্রকর্ম। 'উইমেন অব আলজিয়ার্স' ছবিটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়।
উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম-
উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম
উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম
উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম
উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম
জেনে নিই
প্রতিষ্ঠানের নাম (৪টি)
প্রথম নোবেল বিজয়ী ও দেশ
ভারতীয় উপমহাদেশে নোবেল পুরস্কার জয় করেন- ১২ জন।
নোবেল বিজয়ী | ক্ষেত্র | সাল |
---|---|---|
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ভারত) | সাহিত্য | ১৯১৩ |
২. চন্দ্রশেখর ভেক্টর রমন (ভারত) | পদার্থ | ১৯৩০ |
৩. হয় গোবিন্দ খোরানা (তার) | চিকিৎসা | ১৯৬৮ |
৪. মামার ফেরেসা (ভারত) | শান্তি | ১৯৭৯ |
৫. সালাম (পাকিস্তান) | পদার্থ | ১৯৭৯ |
৬. সুব্রামানিয়ান চন্দ্রশেখর (ভারত) | পদার্থ | ১৯৮৩ |
৭. অমর্ত্য সেন (ভারত) | অর্থনীতি | ১৯৯৮ |
৮. ড. মুহাম্মদ ইউনূস (বাংলাদেশ) | শান্তি | ২০০৬ |
৯. ভেঙ্কটরমন রামকৃষ্ণ (ভারত) | রসায়ন | ২০০৯ |
১০. কৈলাশ সত্যার্থী (ভারত) | শান্তি | ২০১৪ |
১১. মালালা ইউসুফজাই (পাকিস্তান) | শান্তি | ২০১৪ |
১২. অভিজিৎ ব্যানার্জী (ভারত) | অর্থনীতি | ২০১৯ |
জেনে নিই
মুসলিম নোবেল বিজয়ী
নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখানকারী
মরণোত্তর নোবেল বিজয়ী
এ পর্যন্ত মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন- ৩ জন।
১. কানাডার রালফ এম স্টেইনম্যান: ২০১১ সালে (চিকিৎসায়)।
২. সুইডেনের দ্যাগ হ্যামারশোল্ড: ১৯৬১ সালে (শান্তিতে)।
৩. সুইডিশ কবি এরিক কার্লফেল্ট; ১৯৩১ সালে (সাহিত্যে)।
নোবেল বিজয়ী নারী
মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নোবেল জয়
অন্যান্য
Nadia Murad
Obama
Dr. Yunus
Malala
ফিলিপাইনের সাবেক রাষ্ট্রপতি রামোন ম্যাগসেসেকে স্মরণ করে পুরস্কারটি প্রবর্তিত হয়- ১৯৫৭ সালে। পুরস্কারটিকে বিবেচনা করা হয়- এশিয়ার নোবেল পুরস্কার হিসেবে। এ পর্যন্ত ১২ জন বাংলাদেশী এ পুরস্কার লাভ করেন।
পুরস্কারটি প্রদান করা হয় ছয়টি বিভাগে-
বাংলাদেশে ইন্টারনেট জেনারেশন
জেনারেশন | সাল | বাংলাদেশে |
---|---|---|
First Generation (1G) | জাপান, ১৯৭৯ সালে | ১৯৯৩ |
Second Generation (2G) | ফিনল্যান্ড, ১৯৯১ সালে | ১৯৯৭ |
Third Generation (3G) | জাপান, ১৯৯৮ সালে | ২০১২ |
Fourth Generation (4G) | দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০৬ সালে | ২০১৮ |
Fifth Generation(5G) | দক্ষিণ কোরিয়া, ২০২০ সালে | ২০২১ |
বাংলাদেশে কম্পিউটার স্থাপন
ইন্টারনেট অপারেটিং সফটওয়্যার
সার্চ ইঞ্জিন
দার্শনিক মতবাদ
উপমহাদেশের ব্যাংক
Big Bang তত্ত্বের জনক বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জি. ল্যামেটার। ধারনা করা হয়, Big Bang বা মহাবিস্ফোরণের ফলে মহাবিশ্বে ছায়াপথ, গ্রহ, উপগ্রহ ইত্যাদির আবির্ভাব ঘটে প্রায় ১৫ শত কোটি বছর পূর্বে সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু হলো সূর্য। সৌরজগতের একমাত্র আদর্শ ও তৃতীয় গ্রহটির নাম পৃথিবী ।
রাত্রিবেলা মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকালে উজ্জ্বল আলোক বিন্দু মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়, এদেরকে নক্ষত্র বলে।
ভূপৃষ্ঠের চারপাশে বেষ্টন করে যে বায়ুর আবরণ আছে, তাকে বায়ুমণ্ডল বলে। বায়ুমণ্ডলের গভীরতা প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার। বায়ুমণ্ডলের স্তরসমূহ- চারটি। যথা: ট্রপোমণ্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল ও তাপমণ্ডল।
পৃথিবী এবং অন্যান্য সমস্ত গ্রহ, সূর্য ও অন্যান্য তারা ও নক্ষত্র, জ্যোতির্বলয়স্থ স্থান ও এদের অন্তবর্তী গুপ্ত পদার্থ, ল্যামডা-সিডিএম নকশা, তমোশক্তি ও মহাশূণ্য (মহাকাশ)- যেগুলো এখনও তাত্ত্বিকভাবে অভিজ্ঞাত কিন্তু সরাসরি পর্যবেক্ষিত নয় এমন সব পদার্থ ও শক্তি মিলে যে জগৎ তাকেই বলা হচ্ছে মহাবিশ্ব বা বিশ্ব ভ্রম্মান্ড। আমাদের পর্যবেক্ষণ-লব্ধ মহাবিশ্বের ব্যাস প্রায় ৯৩ বিলিয়ন parsee (৩০০ বিলিয়ন light-year)। পুরো বিশ্বের আকার অজানা হলেও এর উপাদান ও সৃষ্টিধারা নিয়ে বেশ কয়েকটি hypotheses বিদ্যমান। এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিষয়কে বলে বিশ্বতত্ত্ব। বস্তুত, প্রতিটি সৃষ্টিই ঈশ্বরপ্রদত্ত।
মহাবিশ্বের উৎপত্তি, বিবর্তন এবং চূড়ান্ত পরিণতি নিয়ে গবেষণাকে বিশ্বতত্ত্ব বলে। মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও বিকাশ সম্বন্ধে যে। সব তত্ত্ব আছে, তার মধ্যে বহুল প্রচলিত হলো বিগ ব্যাঙ তত্ত্ব। কোটি কোটি বছর পূর্বে ছোট অথচ ভীষণ ভারী ও পরম বস্তুপিণ্ড বিস্ফোরিত হয়ে সকল দিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই বিস্ফোরণকে মহাবিস্ফোরণ বলা হয়। মহাবিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছিল প্রায় ১৩.৭৫ বিলিয়ন বছর (১৩৭৫ কোটি বছর) পূর্বে এবং এটাই মহাবিশ্বের বয়স। মহাবিস্ফোরণের পর অতি ক্ষুদ্র পদার্থ কণা প্রথমে ছোট ছোট কণায় পরিণত হয়। তারপর ছোট ছোট কণাগুলো কিছুটা ঠাণ্ডা ও একত্রিত হয়ে জ্যোতিষ্কে পরিণত হয়। বেলজিয়ামের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জি. লেমেটার (G. Lemaitre) বিগ ব্যাঙ তত্ত্বের প্রবক্তা। হাবল মহাবিশ্ব সম্পর্কে বলেন মহাবিশ্ব প্রতিনিয়তই সম্প্রসারিত হচ্ছে। পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তাঁর বিখ্যাত A Brief History of Time গ্রন্থে পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিগ ব্যাঙ তত্ত্বের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন ।
জেমস ওয়েব মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ( James Webb Space Telescope বা JWST) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা, কানাডীয় মহাকাশ সংস্থা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত একটি মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র। এই টেলিস্কোপ প্রথম মহাবিশ্বের সম্পূর্ণ রঙ্গিন ছবি ধারনে সক্ষম হয়, নাসা প্রকাশ করে। ২০২২ সালে। মহাজগতের বয়স বলা হয় ১৩৮০ বছর। হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরী বলা হয় জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপকে।
মহাশূন্যে অবস্থিত বস্তুসমূহকেই জ্যোতিষ্ক যা Astronomical Bodies বা স্বর্গীয় বস্তু বা Heavenly Bodies বলা হয়ে থাকে। জ্যোতির্বিজ্ঞান মহাবিশ্বে ভ্রাম্যমাণ জ্যোতিষ্ক বিষয়ক বিজ্ঞান। পৃথিবী ছাড়া অন্য সব বস্তুই এর অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে পৃথিবীসহ মহাবিশ্বের যাবতীয় বস্তুকে খ-বস্তু বা জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু বা Astronomical Objects বলা হয় ।
ABM- Anti-Ballistic Missile
ACC - Asian Cricket Council.
ACD- Asia Cooperation Dialogue.
AFC- Asian Football Confederation.
AI- Amnesty International.
AIDS- Acquired Immune Deficiency Syndrome
AIT- Asian Institute of Technology
AME- Arab Monetary Fund
APEC- Asia-Pacific Economic Cooperation.
AESM- Asia Europe Summit Meeting.
B Pharm- Bachelor of Pharmacy.
BCCI- Board of Control for Cricket in India.
BIS- Bank for International Settlements
CIA - Central Intelligence Agency.
CID- Criminal Investigation Department.
CNN- Cable News Network.
CSE- Certificate of Secondary Education.
D.Lit- Doctor of Literature.
DV- Diversity Visa
ECG- Electro Cardio Gram
FM- Frequency Modulation.
GMT- Greenwich Mean Time.
HDC- Human Development Centre.
HDI- Human Development Index.
HIV- Human Immunodeficiency Virus.
IBA- Institute of Business Administration.
ICC- International Conference Center.
ICC- International Chamber of Commerce.
ICC- International Cricket Council.
ICC- International Criminal Court.
ICDDRB- International Centre for Diarrhoeal Diseases Research Bangladesh.
ICI- Imperial Chemical Industries.
ICJ- International Court of Justice.
IJC- International Jute Corporation.
IIT- Islamic Institute of Technology.
ILO- International Labour Organization.
IMO- International Maritime Organization.
IMO- International Mathematical Olympiad.
IMO- International Meteorological Organization
IPO- International Police Organization.
IOC- International Olympic Committee
IOJ- International Organization of Journalists
IPUC- International Parliamentary Union Conference.
IRRI- International Rice Research Institute.
ISI- Inter-Services Intelligence.
ITU- International Telecommunication Union
JP- Justice of the Peace.
LLB- Bachelor of Law.
LMG- Light Machine Gun
MA- Master of Arts
MBBS- Bachelor of Medicine and Bachelor of Surgery.
MP- Member of Parliament.
M. Phar- Master of Pharmacy.
MSC- Master of Science.
NDI- National Democratic Institute
NP- Notary Public
PC- Personal Computer.
PHD- Doctor of Philosophy
PM- Prime Minister
PNC- Palestine National Council
PTO- Please Turn Over
RA - Royal Academy
RAW- Research and Analysis Wing
RMS- Railway Mail Service
SDI- Strategic Defence Initiative
SEATO- South East Asian Treaty Organization
SIM- Subscriber Identity Module
SIS - Secret Intelligence Service
SMS- Short Message Service
TI- Transparency International
TTE- Traveling Ticket Examiner
UK- United Kingdom
USA- United States of America
USSR- Union of Soviet Socialist Republic.
VAT- Value Added Tax.
VHF- Very High Frequency
VIP- Very Important Person
WB- World Bank
WFC- World Food Council
WFP- World Food Programme
WTC- World Trade Centre
X-mas- Christmas
British Rural Research Institute
Bangladesh Road and Railway Institute
Bangladesh Rice Research Institute
Bangladesh Rich Research Institution
ক্রিকেট হচ্ছে ব্যাট ও বলের একটি দলীয় খেলা যাতে এগারোজন খেলোয়াড়বিশিষ্ট দুইটি দল অংশ নেয়। এই খেলাটির উদ্ভব হয় ইংল্যান্ডে। পরবর্তীতে ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোসহ অন্যান্য দেশগুলোতে এই খেলা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার লাভ করে চলছে। বর্তমানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৫ দিনের টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ খেলে থাকে। ২০০৫ সাল থেকে জিম্বাবুয়ে স্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে। ২০১১ সালে আবার খেলায় ফিরে আসে। ক্রিকেট খেলার জন্ম হয়- ইংল্যান্ডে।
জেনে নিই
ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান আউট হতে পারে- ১১ টি উপায়ে। (তথ্যসূত্র: ICC)
১. বোল্ড আউট
২. ক্যাচ আউট
৩. এলবিডাব্লিউ আউট
৪. স্টাম্পড আউ
৫. হিট উইকেট আউট
৬. হিট দ্য বল টোয়াইস আউট
৭. রান আউট
৮. হ্যান্ডেও না বল আউট
৯. টাইমড আউট
১০. অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট
১১. রিটায়ার্ড আউট
নো-বল (No ball) হলেও ব্যাটসম্যানকে আউট করা যায়- ৩টি উপায়ে
১ রান আউট
২. অবস্ট্রাকিং দ্য ফিল্ড আউট
৩. হিট দ্য বল টোয়াইস আউট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)
টেস্ট ক্রিকেট
ওয়ানডে ক্রিকেট
টি-টুয়েন্টি
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-২০
France
Qatar
Russia
USA
১৯শ শতকের শেষের দিকে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে সর্বপ্রথম টেনিস খেলার প্রচলন হয়। এই খেলা একটি আয়তকার কোর্টে খেলা হয় যার দৈর্ঘ্য থাকে ৭৮ ফিট ও প্রস্থ ২৭ ফিট। তবে টেনিস কোর্টের প্রকৃতি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। মূলত টেনিস কোর্ট ৪ ধরনের হয় যথা- ক্লে কোর্ট, গ্রাস কোর্ট, হার্ড কোর্ট এবং কার্পেট কোর্ট।
জেনে নিই
উইম্বলডন
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন
ইউএস ওপেন
ফ্রেঞ্চ ওপেন
১৯৭৮ সালে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বার্মার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় প্রথম এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে আস্তে আস্তে কাবাডি খেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠে ।
বাস্কেটবল (Basketball) অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। গোলাকৃতি, কমলা রঙের বল দিয়ে অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃস্থ উভয় প্রকার মাঠেই খেলা হয়ে থাকে। দলগত ক্রীড়া হিসেবে বাস্কেটবলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে করা কোর্টে উলম্বভাবে স্থাপিত একটি বাস্কেট বা ঝুড়িতে বল নিক্ষেপের মাধ্যমে পয়েন্ট সংগ্রহ করা।
বক্সিং মার্শাল আর্ট যুদ্ধ খেলা (যা ওয়েস্টার্ন বক্সিং বা পিউগিলিজম নামেও পরিচিত) একটি সম্মুখসমর ক্রীড়া যেখানে দুটি ব্যক্তি, হেলমেট এবং মাউথপিস পরে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে একে অপরের দিকে মুষ্টিনিক্ষেপ করে ।
আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা [Olympic Games] হলো একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। দুইশতাধিক দেশের অংশগ্রহণে মুখরিত এই অলিম্পিক গেমস বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সর্বোচ্চ সম্মানজনক প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। অলিম্পিক গেমস প্রত্যেক চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর দুটো প্রকরণ গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন প্রতিযোগিতা প্রত্যেক দুই বছর পর পর হয়ে থাকে, যার অর্থ দাঁড়ায় প্রায় প্রত্যেক দুই বছর পর পর অলিম্পিক গেমসের আসর অনুষ্ঠিত হয়। খ্রীষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দিতে প্রাচীন গ্রীসের অলিম্পিয়া থেকে শুরু হওয়া প্রাচীন অলিম্পিক গেমস থেকেই মূলত আধুনিক অলিম্পিক গেমসের ধারণা জন্মে। ১৮৯৪ সালে ব্যারন পিয়ের দ্য কুবেরতা সর্বপ্রথম International Olympic Committee (IOC) গঠন করেন এ কারণে ব্যারন পিয়ের দ্য কুবার্তাকে অলিম্পিকের জনক বলা হয়।
জেনে নিই
পাঁচ রং পাঁচ মহাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি ও ফরাসি।
Russia
Japan
USA
China
মধ্য আমেরিকা সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য
রাষ্ট্রের নাম | রাজধানী | মুদ্রা | ভাষা |
---|---|---|---|
পানাম | পানামা সিটি | বেলবো | স্প্যানিশ |
নিকারাগুয়া | মানাগুয়া | করডোবা | স্প্যানিশ |
কোস্টারিকা | সানজোসে | ক্লোন | স্প্যানিশ |
হুন্ডুরাস | তেগুসিগালপা | ল্যাম্পিরা | স্প্যানিশ |
গুয়েতেমালা | গুয়েতমালা সিটি | কুয়েটজাল | স্প্যানিশ |
এল সাভাদর | সাল সালভাদর | ডলার | স্প্যানিশ |
বেলিজ | বেলমোপেন | ডলার | ইংরেজি |
দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত সব রাষ্ট্র ছিল বৃটেনের উপনিবেশ
পশ্চিম এশিয়ার দু'টি দেশ ছিল ফ্রান্সের উপনিবেশ
উত্তর-পশ্চিম বা মধ্য এশিয়া এশিয়ার সবগুলো দেশ ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের উপনিবেশ
ইন্দোচীনের দেশগুলো ছিল ফ্রান্সের উপনিবেশ
দক্ষিণ আমেরিকার তিনটি দেশ ব্যতীত সব ছিল স্পেনের উপনিবেশ
মধ্য আমেরিকার দেশ পানামা ব্যতীত সব ছিল স্পেনের উপনিবেশ
অন্যান্য
Read more