ওয়েব ডিজাইনঃ ওয়েব ডিজাইন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার সাহায্যে ওয়েবপেইজের বাহ্যিক সৌন্দর্য তৈরি করা হয়। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় একটি ওয়েবপেইজ বা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন লেআউট, রং, গঠন, গ্রাফিক্স এবং ইন্টারেক্টিভ বৈশিষ্ট্যগুলি নির্ধারন করা হয়। ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং টুলস ব্যবহার করা হয়।
এইচটিএমএল (HTML) হল ওয়েবপেজ তৈরির জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি ল্যাংগুয়েজ। HTML এর পূর্ণরূপ হল Hyper Text Markup Language। তবে এটা কোন প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নয়। এইচটিএমএল-কে Markup Languageও বলা হয়, যা কতকগুলাে Markup ট্যাগের সমষ্টি আর এই Markup ট্যাগের কাজ হল ওয়েব পেজে বিভিন্ন এলিমেন্ট কিভাবে প্রদর্শন করবে তা নির্দেশ করা যেমন- একটি ওয়েব পেজে টেক্সট, ইমেজ, এনিমেশন, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি এলিমেন্ট থাকতে পারে; আর এই এলিমেন্টগুলাে ওয়েব পেজে প্রর্দশন করা বা কিভাবে প্রর্দশন করবে তা নিধারণ করাই হল মার্কআপ ট্যাগ বা এইচটিএমএল ট্যাগের কাজ।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (সংক্ষিপ্তরূপ দি ওয়েব) হল ইন্টারনেট দিয়ে দর্শনযোগ্য আন্তঃসংযোগকৃত তথ্যাদির একটি ভাণ্ডার। একটি ওয়েব ব্রাউজারের সহায়তা নিয়ে একজন দর্শক ওয়েবপাতা বা ওয়েবপৃষ্ঠা দেখতে পারে এবং সংযোগ বা হাইপারলিঙ্ক ব্যবহার করে নির্দেশনা গ্রহণ ও প্রদান করতে পারে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হাইপার টেক্সট ডকুমেন্টগুলো নিয়ে কাজ করার প্রক্রিয়া ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিত। হাইপার লিংকের সাহায্যে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে, ওয়েব পৃষ্ঠা দেখা যায়, যা টেক্সট, চিত্র, ভিডিও ও অন্যান্য মাণ্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ হতে পারে। ১৯৮৯ সালের মার্চে ইংরেজ পদার্থবিদ টিম বার্নাস লি, বর্তমানে যিনি ওয়ার্ণ্ড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের ডাইরেক্টর, পূর্ববর্তী হাইপারটেক্সট সিস্টেম হতে ধারণা নিয়ে, যে প্রস্তাবনা লেখেন তা হতেই উপত্তি ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের। পরবর্তীতে এ কাজে লি'র সাথে যোগ দেন বেলজিয়ান বিজ্ঞানী রবার্ট কাইলিয়াউ। এসময় তারা উভয়েই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সের্নে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯০ এর ডিসেম্বরে তাদের প্রকাশিত এক প্রস্তাবনায় তারা উল্লেখ করেন,“ হাইপারটেক্সট্-কে লিংক ও ওয়েব হতে নানবিধ তথ্যের সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে একজন ব্যাবহারকারি তার মর্জিমাফিক ওয়েব পরিভ্রমণ করতে পারবে।”
বর্তমান ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে, অন্যান্য ওয়েব সাইট তৈরি হয়েছিল, সারা বিশ্বব্যাপী, ডোমেইন এর নাম ও এইচটিএমল এর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান স্থাপিত হয়েছিল। তখন থেকেই বার্নাস লি ওয়েব স্টান্ডার্ড এর ব্যাপারে তার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন(যেমন, ওয়েব পেই্জ তৈরীতে কোন মার্কআপ ভাষা ব্যবহার করা হবে)। সাম্প্রতিক কালে তিনি আওয়াজ তুলেছেন Semantic ওয়েব এর ব্যাপারে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সহজে ব্যবহার যোগ্য ও সাবলীল পক্রিয়ায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সমূহের প্রসার বা বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। আর এভাবেই তারা ইন্টারনেটকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্ববহ ভূমিকা রেখেছেন। অনেক সময় সাধারণত এদের অর্থকে গুলিয়ে ফেলা হয় যদিও ইন্টারনেট কখনই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিশব্দ নয়। ওয়েব হল মূলত ইন্টারনেটের উপর ভিত্তিকরে গড়ে ওঠা একটা এপ্লিকেশন মাত্র।
Url এর পূর্ণরূপ বা URL full form হল uniform resource locator (ইউনিফর্ম রিসোর্স লোকেটর) । uniform resource locator এর মানে হল রিসোর্স লোকেট করা অর্থাৎ খোঁজা । এইসমস্ত ইনফরমেশন স্টোর থাকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www এ তে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে সেই ওয়েব সাইটের উপরে একটি এড্রেস দেখতে পান সেটাই হচ্ছে ইউআরএল । অর্থাৎ ইউআরএল বলতে বোঝায় ওয়েবসাইটের এড্রেস বা ঠিকানা কে ।
প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের আলাদা আলাদা Url থাকে। এই ইউআরএল এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায়। আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ছেন, ঠিক আপনারা কি আর্টিকেলের একদম উপরের দিকে চলে যান এড্রেসবারে একটি লিঙ্ক পাবেন এটাই হচ্ছে ইউআরএল ।
The IP address is a 32-bit number that uniquely identifies a network interface on a machine. An IP address is typically written in decimal digits, formatted as four 8-bit fields separated by periods. Each 8-bit field represents a byte of the IP address.
ডোমেইন হচ্ছে কোন একটা ওয়েবসাইটের নাম যেমন, www.google.com এটি একটি ওয়েব সাইট যা সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে দেখতে পারে। এখানে তিনটি W হচ্ছে যথাক্রমে world wide web আর google.com হচ্ছে সেই ওয়েব সাইটের মূল নাম। প্রথমত এই ওয়েব সাইটের একটি আইপি এড্রেস থাকে যা প্রত্যেক ওয়েব সাইটের থাকে আপনি চাইলে সেই আইপি আপনার ব্রউজারের এড্রেসবারে দিয়ে ওয়েব সাইটটি দেখতে পারবেন কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি সব ওয়েব সাইটের আইপি এড্রেস মনে রাখতে পারবেন কিন্তু ডোমেইন নেম থাকলে আপনি তা সহজেই মনে রাখতে পারবেন।
সার্চ ইঞ্জিন একটি সফটওয়্যার টুল যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইট ওয়েব থেকে ইনফর্মেশন খুঁজে বের করে । ইন্টারনেটে কোন তথ্য সার্চ করার ফলে সার্চ ইঞ্জিন সেই তথ্য জমিয়ে রেখে বিভিন্ন ওয়েব পেইজ থেকে বাছাই করে তথ্যটি খুঁজে দেয় । সার্চ ইঞ্জিন গুরুত্বপূর্ণ শব্দের সূত্র ধরে ওয়েবসাইট খুঁজে বের করে আর ওয়েব পেজ থেকে কোন কিছু খোঁজাকে সার্চ বলে। খোঁজার কাজটি সু-সম্পন্ন করার জন্য বেশ কিছু সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে।
কোন তথ্য খোঁজার জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ( List of Search Engine) রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ:-
FTP মানে File Transfer Protocol. এই প্রোটোকল আপনাকে ইন্টারনেটের মতো নেটওয়ার্ক জুড়ে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তর করতে দেয়। এটি সাধারণত প্রোগ্রামার এবং ওয়েবসাইট ডিজাইনাররা ব্যবহার করে যখন তারা ওয়েব পেজ, স্ক্রিপ্ট, ছবি এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে এমন অন্যান্য সামগ্রী আপলোড বা ডাউনলোড করতে চায়। FTP সাধারণ ব্যবহারকারীরাও ব্যবহার করতে পারেন যারা তাদের কম্পিউটারে ইন্টারনেট থেকে বড় ফাইল ডাউনলোড করতে চান।
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার খুব সাধারণ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হলেও অনেকেই হয়ত জানেন না কীভাবে ইন্টারনেটের যুক্ত হওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ইন্টারনেটে কীভাবে যুক্ত হবেন সে সম্পর্কে।
যা যা লাগবে–
১। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার
২। সিমকার্ড, মডেম বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ
৩। প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও অ্যাপস- যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজার, মেসেঞ্জার ইত্যাদি
স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হবার উপায়-
১। স্মার্টফোনে সিম কার্ড লাগিয়ে সেই সিম কোম্পানির বিভিন্ন ডাটা প্যাকেজ কিনে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিম কোম্পানির ডাটা প্যাকেজ কীভাবে কিনতে হয় সেসব জানতে হবে। আবার আশেপাশের ফ্লেক্সিলোডের দোকানে এখন মিনিট কার্ডের মত করে ডাটা প্যাকেজের জন্য আলাদা কার্ড পাওয়া যায়। এই কার্ড রিচার্জ করে ডাটা প্যাকেজ নিতে পারবেন। ডাটা প্যাকেজের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে (যেমন- ৩ সপ্তাহ, ১ মাস ,৩ মাস) এবং এই মেয়াদের মধ্যে সেটি ব্যবহার করতে হবে। কারণ মেয়াদের মধ্যে আবার রিচার্জ না করলে অব্যবহৃত ডেটা আর ব্যবহার করা যায় না। মেয়াদ এবং ডাটা শেষ হয়ে গেলে আবারো ডাটা প্যাকেজ কিনতে হবে।
২। ওয়াইফাই (WiFi) ব্যাবহার করেও যুক্ত হতে পারবেন, সেক্ষেত্রে সিমের প্রয়োজন হবে না। তবে সেজন্য বাসায় বা অফিসে যেখানে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন সেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ থাকা লাগবে। এলাকাভেদে বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার থাকে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলেই সংযোগ দিয়ে যাবে। তবে আপনাকে সংযোগের জন্য একটি রাউটার কিনতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্যাবল কিনতে হবে। ব্রডব্যান্ড কানেকশন নিলে প্রতি মাসে মাসে প্যাকেজ অনুযায়ী বিল (যেমন-পাঁচশত, আটশত, ১ক হাজার টাকা) দিতে হয়।
কম্পিউটারের মাধ্যমে যুক্ত হবার উপায়-
১। সিম কার্ড এবং মডেমের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারবেন।
মডেম এর মাধ্যমেকম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়। এই ডিভাইসে সিম যুক্ত করার জায়গা আছে, সিমে ডাটা প্যাকেজ কিনে তারপর সে সিমকে মডেমে লাগিয়ে কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টে যুক্ত করলেই ইন্টারনেট সংযোগ পেয়ে যাবেন।
২। ওয়াইফাই দিয়ে যুক্ত হতে পারেন
ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিলে ক্যাবলের মাধ্যমে ডেস্কটপ/ল্যাপটপ দুই ধরনের কম্পিউটারেই ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু ডেস্কটপে আলাদা অ্যাপডাপ্টার ছাড়া ওয়াইফাই সংযোগ পাওয়া যায় না।
৩। ফোনের হটস্পট দিয়ে যুক্ত হতে পারেন
অনেক সময় বাসার বা অফিসের বাইরে থাকার কারণে ব্রডব্যান্ড বা ওয়াইফাই এলাকার মধ্যে না থাকা অবস্থাতেও আমাদের অনেক কাজ করতে হতে পারে। সেসব ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে ডাটা প্যাকেজ কিনে বা কারো ফোনে ডাটা প্যাকেজ থাকলে সেই ফোনে ডাটা কানেকশন অন করতে হবে। এরপর ফোনে মোবাইলের সেটিংস অপশনে গিয়ে পোর্টেবল হটস্পট অন করতে হবে। এই হটস্পট অন করার ফলে মোবাইলের নেটওয়ার্কটা কম্পিউটারের কাছে ওয়াইফাইয়ের মত কাজ করবে। হটস্পটে যুক্ত করার জন্য হটস্পটে প্রবেশ করে পাসওয়ার্ডটি দেখে নিবেন। তারপর কম্পিউটারের ওয়াইফাই অন করে এই পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোনের হটস্পটের সাথে যুক্ত করে নিলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্রাউজার হলো একটি software application যেটাকে ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেটে সক্রিয় website গুলোর ওয়েব সার্ভার এর সাথে সংযোগ স্থাপন করে, ওয়েবসাইট গুলোর কনটেন্ট (content) বা ফাইল (file) গুলোকে search বা access করার ক্ষেত্রে।
যেকোনো ওয়েবসাইটের সার্ভার এর সাথে সংযোগ স্থাপন করে ওয়েবসাইটের file, style, design, web-pages, content ইত্যাদি দেখে নিতে আমাদের সাহায্য করে এই ব্রাউজার।
সাধারণভাবে একটি ডোমেইন এর অধীনে একাধিক ওয়েবপেজের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলে। প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি হয় ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট। আবার ডোমেইনের মাধ্যমে দেখার যোগ্য ওয়েব সার্ভারে জমা রাখা ছবি, অডিও ও ভিডিও ওয়েব পেজ, ডেটাবেজ ফাইল এবং অন্য সকল তথ্যের সমষ্টিকে একসাথে ওয়েবসাইটে বলা হয়। সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইট গুলো কে সমষ্টিগতভাবে World-Wide-Web বা বিশ্বব্যাপী জাল নাম দেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে প্রথম ঢুকলে যে পেজটি প্রদর্শিত হয় সেটিকে হোমপেজ বলা হয়। ওয়েবসাইট যেখানে হোস্ট করা হয় তাকে ওয়েবসার্ভার বলা হয়। সারা বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। যে ওয়েবসাইট যে বিষয়ের উপর সে বিষয়ে সার্চ ইঞ্জিনে আমরা সার্চ করলে সার্চ ফলাফলে সেই ওয়েবসাইট লিংক চলে আসে।
Read more