ওয়েল্ডিং (চতুর্থ অধ্যায়)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফার্ম মেশিনারি-১ প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | - | NCTB BOOK

ওয়েল্ডিং এক প্রকার জয়েন্ট বা জোড়া লাগানোর প্রক্রিয়া । যা একই জাতীয় বা ভিন্ন জাতীয় দুটি ধাতব পদার্থকে তীব্র উত্তাপের মাধ্যমে জোড়া লাগানো হয়। এ অধ্যায় ওয়েল্ডি এর সংজ্ঞা, ওয়েল্ডিং এর শ্রেণি বিভাগ, আর্ক ওয়েল্ডিং এ ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আর্ক ওয়েল্ডিং-এর জোড়, স্পট ওয়েল্ডি, আর্ক ওয়েল্ডিং এর সাবধানতা ইত্যাদি আলোচনা করা হয়েছে ।

common.content_added_by

ওয়েল্ডিং এর সংজ্ঞা (Definition of Welding) (৪.১)

দুটি ধাতব পদার্থকে তীব্র উত্তাপের মাধ্যমে গলিয়ে পরস্পরের সাথে জোড়া লাগানোকে ওয়েল্ডিং বলা হয় । এ জোড় পদ্ধতি তাপ ও চাপে অথবা উভয়ের সংমিশ্রণে করা হয়। এ কাজে অধিকাংশ সময় ফিলিং ম্যাটেরিয়াল (Filling Material) ব্যবহার করা হয়। এই ফিলিং বস্তুর গলনাঙ্ক সাধারণত জোড়া লাগানো ধাতব পদার্থের গলনাঙ্কের সমান হয়ে থাকে। উত্তাপের কারণে ধাতু গলে গিয়ে যে শূন্যতার সৃষ্টি করে ফিলার ধাতু সেই শূন্যস্থান পূরণ করে ।

common.content_added_and_updated_by

ওয়েল্ডিং এর শ্রেণি বিভাগ (Classification of Welding) (৪.২)

বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ওয়েল্ডিং-
এর বিভিন্ন শ্রেণি বিভাগ করা যায়। নিম্নে ওয়েল্ডিং-এর বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক শ্রেণি বিভাগ দেখানো হলো। 

ক) তাপের উৎসের ভিত্তিতে শ্রেণি বিভাগ 
তাপের উৎসের ভিত্তিতে ওয়েল্ডিংকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন- 
১) আর্ক ওয়েল্ডিং ( Arc Welding) 
২) গ্যাস ওয়েল্ডিং (Gas Welding ) 

খ) পদার্থের উপর চাপের ভিত্তিতে ওয়েন্ডিং-এর শ্রেণি বিভাগ 
পদার্থের উপর চাপের ভিত্তিতে ওয়েল্ডিংকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- 
১) ফোর্ড ওয়েল্ডিং বা প্রেসার ওয়েল্ডিং (Forge Welding) 
২) নন-প্রেসার বা ফিউশন ওয়েল্ডিং (Fusion Welding) 

গ) মেটালজিক্যাল বৈশিষ্টের ভিত্তিতে ওয়েল্ডিং-এর শ্রেণি বিভাগ 
মেটালার্জিক্যাল বৈশিষ্টের ভিত্তিতে ওয়েল্ডিংকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন- 
১) অক্টোজেনাস ওয়েল্ডিং (Autogenous Welding) 
২) হোমোজেনাস ওয়েল্ডিং (Homogenous Welding) 
৩) হেট্রোজেনাস ওয়েল্ডিং (Hetrogenous Welding )

ফ্লাক্স ও ফ্রান্সের কাজ বা ব্যবহার 
ফ্লাক্স :
ফ্লাক্স এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা ওয়েল্ডিং এর সময় জবে অক্সিজেনের যৌগ গঠন বাধা প্রদান করে এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক বিক্রিয়া হতে জবকে রক্ষা হবে। নিখুঁত এবং দ্রুত ওয়েল্ডিং-এর জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন প্রকারের ফ্লাক্স পাউডার, পেস্ট, কঠিন এবং তরল আকারে পাওয়া যায়। এদের কতকগুলো জোড়া স্থানের ক্ষয় করে, কতগুলো জোড়াস্থানের কম ক্ষয় করে, অথবা কতকগুলো ক্ষয় করে না ।

ফ্লাক্সের কাজ বা ব্যবহার : 

১. ওয়েল্ডিং এর সময় ফ্লাক্স বহুবিধ কাজ করে যেমন ফ্লাক্স ওয়েন্ডিং জোড়ার চারদিকে এমন গ্যাসীয় আবরণ সৃষ্টি করে যাতে জোড়া স্থানে বায়ুর অক্সিজেন ক্ষতিকারক অক্সাইড তৈরি করতে পারে না। 

২. জব এবং ফিলার মেটানকে দ্রুত গলাতে সাহায্য করে । 

৩. ধাতুমল তৈরিতে সহায়তা করে। 

৪. ভালো পেনিটেশন অর্থাৎ জবের দুই প্রাপ্ত গলে একটির মধ্যে আর একটি প্রবেশ করাতে সহায়তা করে যাতে জোড়ার শক্তি বেশি হয়। 

৫. ফ্লাক্স ওয়েল্ড করা স্থানে স্লাগের আবরণ সৃষ্টি করে যা জোড়াস্থানকে ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হতে সহায়তা করে; ফলে জোড়াস্থান নমনীয় হয় এবং এর শক্তি বেশি হয়। 

৬. ফ্রান্স ব্যবহারের ফলে গলিত ধাতু জবের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে না তাই জোড়াস্থানে সুন্দর হয় । 

৭. ফ্লান্ত মূল ধাতু, ফিলার মেটাল অর্থাৎ ওয়েল্ডিং-এর সময় জোড়াস্থানে যে মেটাল দেওয়া হয়, তাকে ভালোভাবে গালিয়ে সঠিকস্থানে পৌঁছে দিতে সহায়তা করে । 

৮. ওয়েল্ড মেটাল বা রানিং বিডের সৌন্দর্য ও খাঁটিত্ব রক্ষা করে ।

ফ্লাক্স মেটেরিয়ালস :
 ফ্লাক্স হিসেবে ব্যবহৃত হয় এরূপ রাসায়নিক পদার্থের নাম নিচে দেওয়া হলো- 
১। বোরাক্স, 

২। বোরিক অ্যাসিড, 

৩। ফসফেট, 

৪। ম্যাগনেসিয়াম সিলিকেট, 

৫। লিথিয়াম ক্লোরাইড, 

৬ পটাসিয়াম ক্লোরাইড, 

৭। চুন ইত্যাদি।

আর্ক ওয়েন্ডিং (Arc Welding) 
বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ বা বিদ্যুৎ ঝলকানির মাধ্যমে সৃষ্ট উত্তাপে ধাতু গলিয়ে জোড়া লাগানোর পদ্ধতিকে আর্ক ওয়েন্ডিং ( Arc Welding) বলে।

common.content_added_by

আর্ক ওয়েন্ডিং এর যন্ত্রপাতি (Tools of Arc Welding) (৪.৩)

আর্ক ওয়েল্ডিং-
এ বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। এদের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো : 

১) ওয়েল্ডিং মেশিন (Welding Machine) 

২) সংযোগ তার বা পাওয়ার ক্যাবল (Power Cable) 

৩) ইলেকট্রোড হোন্ডার ( Electrode Holder) 

৪) ক্যাবল কানেক্টার (Cable Connector) 

৫) গ্র্যাউন্ড ক্যাম্প (Ground Clamp ) 

৬) চিপিং হ্যামার (Chipping Hammer) 

৭) অয়্যার ব্রাশ (Wire Brush ) 

৮) ফেস শিশু (Face Shield )

common.content_added_by

ইলেকট্রোঙ্ক ও এর ব্যবহার (Use of Electrode) (৪.৪)

ইলেকট্রোড হচ্ছে আর্ক ওয়েন্ডিং এ ব্যবহৃত কিলার ম্যাটেরিয়াল। ইলেকট্রোড ছাড়া আর্ক ওয়েল্ডিং করা সম্ভব নয়। এগুলো দেখতে পেন্সিলের চেয়ে সরু লম্বা কাঠির মতো যার উপরিভাগে একটা রাসায়নিক পদার্থের প্রলেপ দেওয়া থাকে। ইলেকট্রোডকে প্রধান দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন, 
* কনজ্যুমেবল ইলেকট্রোড (Consurable Electrode) 
* নন-কনমেবল ইলেকট্রোড (Non-Consumable Electrode)

কনজুমেবল ইলেকট্রোড (Consumable Electrode) 
এ ধরনের ইলেকট্রোড ওয়েন্ডিং কালে উত্তাপে গলে গিয়ে ধাতুর সাথে মিলে জোড়া লাগার ফলে শেষ হয়ে যায়। তাই এর নামকরণ হয়েছে কনজ্যুমেবল ইলেকট্রোড বা নিঃশেষযোগ্য ইলেকট্রোড । এ ইলেকট্রোড বিভিন্ন ধরনের ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয় যা ওয়েন্ডিং করা ধাতুর উপর নির্ভর করে। কনজ্যুমেবল ইলেকট্রোভকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন- 
* ফ্রান্স কোর্টেড ইলেকট্রোড (Flux Coated Electrode) 
* নন-ফোর্টেড ইলেকট্রোড (Non-Coated Electrode)

ফ্লাক্স কোর্টেড ইলেকট্রোড (Flux Conted Electrode) 
ফ্লাক্স কোটেড ইলেকট্রোড দিয়ে নন-কোটেড ইলেকট্রোড অপেক্ষা ভালোভাবে ওয়েল্ডিং-এর কাজ সম্পন্ন হয়। তাই এই ইলেকট্রোড সচারাচর সর্বত্র ব্যবহৃত হয় এবং এ জন্য একে কনভেনশনাল ইলেকট্রোড (Conventional Electrode) ও বলা হয়ে থাকে। এ ইলেকট্রোডর পারে ফ্রান্স কোটিং দেওয়া থাকে, বা ইলেকট্রোড ধাতুকে পুড়িয়ে ফেলা বা অক্সিডাইজ হওয়া থেকে রক্ষা করে। ফ্লাক্স কোর্টেড ইলেকট্রোডকে আবার দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন- 

• হালকা কোটিং দেওয়া ইকো (Light Coated Electrode) 

• ভারি কোটিং দেওয়া ইলেকট্রোড (Heavy Coated Electrode)

ফ্রান্স কোর্টেড ইলেকট্রোড (Flux Conted Electrode) 

ফ্লাক্স কোটেড ইলেকট্রোড দিয়ে নন-কোটেড ইলেকট্রোড অপেক্ষা ভালোভাবে ওয়েল্ডিং-এর কাজ সম্পন্ন হয়। তাই এই ইলেকট্রোড সচারাচর সর্বত্র ব্যবহৃত হয় এবং এ জন্য একে কনভেনশনাল ইলেকট্রোড (Conventional Electrode) ও বলা হয়ে থাকে। এ ইলেকট্রোডর পারে ফ্রান্স কোটিং দেওয়া থাকে, বা ইলেকট্রোড ধাতুকে পুড়িয়ে ফেলা বা অক্সিডাইজ হওয়া থেকে রক্ষা করে। ফ্লাক্স কোর্টেড ইলেকট্রোডকে আবার দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন- 
• হালকা কোটিং দেওয়া ইকো (Light Coated Electrode) 
• ভারি কোটিং দেওয়া ইলেকট্রোড (Heavy Coated Electrode)

নন-কনজ্যুমেবল ইলেকাট্রোড (Non-Consumable Electrode) 
এ ধরনের ইলেকট্রোড ওয়েন্ডিং কালে উত্তাপে গলে গিয়ে ধাতুর সাথে মিশে যায় না বা নিঃশেষ হয়ে যায় না। তাই এর নামকরণ হয়েছে নন-কনজামেল ইলেকট্রোড । এ ইলেকট্রোড বিভিন্ন প্রকার ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয় । যেমন - 

● কার্বন (Carbon ) 

● গ্রাফাইট (Graphite) 

● টাংস্টেন (Tungsten)

common.content_added_and_updated_by

আর্ক ওয়েল্ডিং-এর জোড় (Weld Joint of Are Welding) (৪.৫)

ওয়েল্ডিং জোড় বা ওয়ে জয়েন্ট (Weld Joint) 
দুটি ধাতব পদার্থকে ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে ওয়েন্ড জয়েন্ট বলে। আর্ক ওয়েল্ডিং ও গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর মাধ্যমে সাধারণত পাঁচ প্রকার জোড়া দেওয়া যায়। যেমন- 
১) এজ জয়েন্ট (Edge Joint ) 
২) কর্নার জয়েন্ট (Corner Jaint) 
৩) টি জয়েন্ট (T-Joint)
৪) ল্যাপ জয়েন্ট (Lap Joint) 
৫) এটি জয়েন্ট (Butt Jaint) 


১) এজ জয়েন্ট (Edge Jaint ) 
দুটি ধাতব পাতকে একটার উপর আরেকটারে লাগিয়ে উভয়ের কিনারা বরাবর ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে এজ মায়েন্ট বলে।  

২) কর্নার লরেন্ট (Corner Joint ) 
দুটি ধাতব পাতকে তাদের কিনারা একটার উপর আরেকটাকে ৯০° কোণে এক সাথে মিলিয়ে ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে কর্নার জয়েন্ট বলে। 

৩) টি-জয়েন্ট (T-Jolnt ) 
একটা ধাতব পাতকে অন্য আরেকটা ধাতব পাতের উপর খাড়াভাবে, দুই পাশেই ১০° কোণ করে বসিয়ে ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে টি-জয়েন্ট বলে। 

৪) ল্যাপ জয়েন্ট (Lap Joint) 
একটা ধাতব পাতকে অন্য আরেকটা ধাতব পাতের উপর ওভারল্যাপিং (Over Lapping) করে বসিয়ে ওয়েল্ডিং করে যে জোড়া দেওয়া হয় তাকে ল্যাপ-জয়েন্ট বলে। 

৫ ৰাট রেন্ট (Batt Joint) 
একই সমতলে বসিয়ে দুটি বাস্তব পাতের কিনারা পাশাপশি লাগিয়ে ওয়েন্ডিং করে যে জোড়া লেওরা হয় তাকে বাট-জয়েন্ট বলে।

মার্ক ওয়েন্ডিং কার্যপদ্ধতি চিত্র : 
বাট-জয়েন্ট করে প্রয়োজনে (আর্ক ওয়েল্ডিং এ) হেলমেট বা ওয়েন্ডিং কার্যপদ্ধতির ধাপগুলো নিম্নরূপ : 

১. ওয়েস্তারকে কাজের উপযুক্ত পোশাক পরিধান হ্যান্ডশীল্ড ব্যবহার করতে হবে। 

২. জবের উপর হতে জিল, তেল, মরিচা, বালি ইত্যাদি পরিষ্কার করতে হবে।

৩. লে-আউট অনুযায়ী প্রয়োজনে জনের পার্শ্বদেশ প্রস্তুত করাতে হবে। 

৪. জবের গুরুত্ব জোড়ার ধরন এবং ইলেকট্রোডের পরিমাপের উপর নির্ভর করে কারেন্ট নির্ধারণ করতে হবে। 

৫. আর্ক ওয়েল্ডিং এর জন্য জবের গুরুত্ব অনুযায়ী ইলেকট্রোড এবং গ্যাস ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে ফিলার রঙ নির্বাচন করতে হবে। 

৬. ধাতব দণ্ডকে সঠিক স্থানে রাখার জন্য এবং উত্তাপে জোড়া যাতে বাঁকা না হয় সেজন্য ভাবের দুই বা তিন স্থানে ট্যাক নামে ছোট ছোট ওরেঙ্ক করে নিতে হয়ে। 

৭. আর্কের দৈর্ঘ্য ঠিক রেখে সঠিক কোণে ইলেকট্রোড ধরতে হবে এবং সঠিক গতিতে পরিচালনা করতে হবে। 

৮.একটি রান টানার পর আরেকটি রান টানার পূর্বে প্রাগের আবরণ পরিষ্কার করতে হবে।

common.content_added_by

স্পট ওয়েল্ডিং (Spot Welding) (৪.৬)

দুটি পাতলা ধাতব সিঁটকে স্পট ওয়েল্ডিং মেশিনের দুটি পয়েন্টে মাঝে রেখে চাপ দিয়ে উত্তাপের মাধ্যমে জোড়া দেওয়াকে স্পট ওয়েন্ডিং বলে। স্পট ওয়েল্ডিং বা রেজিট্যাল ওয়েডিং এ সাধারণত। পরেন্টেড (চোখা) ও ইলেকট্রোড (কন্ডাকটর) ব্যবহার করা হয়। কাজেই এই দুটি ইলেকট্রোডের মাঝখানে দুটি ধাতব পদার্থ স্থাপন করে ইলেকট্রোভারের সাহায্যে চাপ দিয়ে ধরার পর কম প্রোস্ট এবং বেশি অ্যাম্পিয়ার এ বিদ্যুৎ প্রবাহ করা হয়। ইহাতে এক ইলেকট্রোড হতে অপর ইলেকট্রোডে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে ইলেকট্রোডের প্রাপ্ত বরাবর মেটাল গলন ধরে এবং ইলেকট্রোডের মাধ্যমে চাপ প্ররোগে সেখানে স্পটের আকারে ধাতু গলে জোড়া লাগে।

common.content_added_by

আর্ক রেন্ডিং-এ সাবধানতা (Precautions of Are Welding) (৪.৭)

পার্ক ভরেন্ডিং কাজ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। এ বিষয়ে অবহেলা করলে বা কাজের সমর অসাবধান হলে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ভরেন্ডিং করার সময় যে সব সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন তার একটি তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো। 

৬) আর্ক ওয়েল্ডিং করার সময় চোখ ও মুখমণ্ডলের সুরক্ষার জন্য অবশ্যই পাশের চিত্রের ন্যায় ফেস-শিশু ব্যবহার করতে হবে। খালি চোখে কখনই ধরেন্ডিং করা উচিত নয়, এতে ব্যবহারকারীর চোখ নষ্ট হবে। অন্ধ হয়ে যেতে পারে । 

৭) আর্ক ওয়েল্ডিং করার সময় পাশের চিত্রের ন্যায় হাতে রাবার প্রোভস্ এবং গারে অ্যাপ্রোন পরে ওয়েন্ডিং কাজ করতে হবে। 

৮) ওয়েন্ডিং কাজ শুরু করার আগে মেশিনের সাথে আর্থিং বা গ্রাউন্ড সংযোগ দিয়ে নিতে হবে। 

৯) কাজ শুরু করার আগে মেশিনের সাথে সংযুক্ত সকল ক্যাবল সংযোগ ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোথাও কোনো দূর্বলতা বা চিলা আছে কিনা । 

১০) বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ কাছাকছি স্থানে রাখা উচিৎ, যাতে কাজের সময় যে কোনো জরুরি প্রে মেইন সুইচ বন্ধ করা যায়।

১১) ইলেকট্রোড লাইনের সাথে দূর্বল ক্যাবল ব্যবহার করা যাবে না। সব সময় সঠিক মানের মোটা ক্যাবল ব্যবহার করতে হবে। 

১২) ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডকে হোল্ডারের সাথে মজবুতভাবে আটকিয়ে নিয়ে ওয়েন্ডিং কাজ করতে হবে। 

১৩) সদ্য ওয়েন্ডিং করা স্থানে কখনো হাত দিতে নেই। হাত দিলেই হাত পুড়ে যাবে। 

১৪) ওয়েন্ডিং করা স্থানে চিপিং অথবা গ্রাইভিং করার সময় চোখে নিরাপদ চশমা বা সেফটি গগলস হা করতে হবে।

১৫) ওয়েল্ডিং কাজের কাছাকাছি স্থানে কোনো দাহ্য পদার্থ রাখা উচিত নয়। 

১৬) নিরাপত্তার জন্য ওয়েন্ডিং কক্ষে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার মজুদ রাখা উচিত। 

১৭) ওয়েল্ডিং কক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি বা ফার্স্টএইড বক্স প্রস্তুত রাখা উচিত। 

১৮) বদ্ধ কক্ষে ওয়েন্ডিং করা উচিত নয়। কক্ষে প্রচুর বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা উচিত।

common.content_added_by

অনুশীলনী-৪

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১. আর্ক ওয়েল্ডিং কী?
২. ওয়েল্ডিং প্রধানত কত প্রকার ও কীকী? 
৩. স্পট ওয়েল্ডিং কাকে বলে। 
৪. পদার্থের উপর চাপের ভিত্তিতে ওয়েন্ডিং কত প্রকার ও কী কী? 
৫. মেটালার্জিক্যাল বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ওয়েন্ডিং কত প্রকার ও কী কী?
৬. আর্ক ওয়েল্ডিং-এর জোড় জয়েন্ট কাকে বলে? 
৭. ইলেকট্রোড কী? 
৮. ফ্লাক্স কী? 
৯. ইলেকট্রোড কত প্রকার ও কী কী? 
১০. নন-কনজ্যুমেবল ইলেকট্রোড কত প্রকার ও কী কী? 
১১. নন-কনজ্যুমেবল ইলেকট্রোড কী কী পদার্থ দ্বারা তৈরি করা হয়? 
১২. ফ্লাক্সের কাজ কী? 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১. আর্ক ওয়েল্ডিং কাকে বলে? 
২. আর্ক ওয়েন্ডিং-এ ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির একটি তালিকা তৈরি কর। 
৩. স্পট ওয়েল্ডিং করার পদ্ধতি বর্ণনা কর। 
৪. ইলেকট্রোডের কাজ কী ? 
৫. কনজ্যুমেবল ইলেকট্রোড কাকে বলে ? 
৬. ফ্রান্সের কাজ বা ব্যবহার লিখ ? 
৭. ফ্লাক্স মেটেরিয়ালসসমূহের নাম লিখ ? 
৮. নন-কনজ্যুমেবল ইলেকট্রোড কাকে বলে ? 
৯. আর্ক ওয়েল্ডিং-এর জোড় জয়েন্ট কত প্রকার ও কী কী ? 

রচনামূলক প্রশ্ন 

১. আর্ক ওয়েল্ডিং কাজে ব্যবহৃত প্রত্যেক প্রকার জোড়ের চিত্র অংকন করে ইহাদের কার্য প্রণালী বর্ণনা কর । 
২. আর্ক ওয়েন্ডিং-এ সাবধানতার তালিকা উল্লেখ কর । 
৩. আর্ক ওয়েল্ডিং কৌশল সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

common.content_added_and_updated_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion