কম্পিউটার একটি আধুনিক অত্যন্ত দ্রুতি গতি সম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। অন্যান্য ইলেট্রনিক্স যন্ত্রের সাহায্যে দুই-তিনটির বেশী কাজ করা যায় না। কিন্তু কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক রকম দুরূহ কাজ নিখুতভাবে করা সম্ভব। কম্পিউটারের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য হল
১. এটি লক্ষ লক্ষ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।
২. অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ও নির্ভুলভাবে নির্দেশিত নির্দেশসমূহ পালন করতে পারে।
কম্পিউটারের বাংলা অর্থ হল গণকযন্ত্র । কম্পিউটারের ভাষা/ল্যাংগুয়েজই হল কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ব্যতীত কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ।
কম্পিউটার এর সংজ্ঞা ঃ
‘‘কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ বৈদুতিক তরঙ্গকে নিজস্ব সংকেতে রূপান্তর করে ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রয়োগকৃত কমান্ডের সাহ্যায্যে উদ্ভূ সমস্যার সমাধান করে থাকে।’’
কম্পিউটারের উৎপত্তি:
১৬৭১ সালে জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড উইলহেম লিবনিজ চাকা ও দন্ড দিয়ে পৌনঃপনিক যোগ করার একটি যন্ত্র তৈরি করেন। এরপর স্যার স্যামুয়েল মরল্যান্ড ১৭৮৬ সালে একটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন। ১৮৮২ সালে চার্লস ব্যাবেজ যে যন্ত্রটি তৈরি করেন তাকেই আজকের দিনের কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ মনে করা হয়। চার্লস ব্যাবেজের পরেই ১৯৪০ সালে মার্ক-১ বাজারে আসে। এটি একটি মেক্যানিকাল যন্ত্র ছিল। ১৯৫১ সালে উইনিভ্যাক নামে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক কম্পিউটার ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করে।
১৯৭১ সালে বাজারে আসে মাইক্রোপ্রসেসর। আবার ১৯৭৪ সালে বাজারে আসে ৮০৮০ প্রসেসর আর এই মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি কম্পিউটার সারা দুনিয়ায় কম্পিউটার বিপ্লবের সূচনা করে। কম্পিউটারের ক্রমবিকাশের ধারণাকে পাঁচটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়।
প্রাথমিক ও মেকানিক্যাল যুগের এবং ইলেক্ট্রনিক যুগের প্রথম কম্পিউটার গুলোকে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়। ট্রানজিস্টের আবিস্কার হওয়ার পর ষাটের দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত যেসব তৈরি হয়েছে সেগুলোকে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার হল ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭১ সালে আবিস্কৃত মাইক্রোপ্রসেসরের সাহায্যে প্রস্তুতকৃত কম্পিউটার গুলোর পূর্ব পর্যন্ত প্রস্তুত কম্পিউটার সমূহ। মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি সাম্প্রতিক কম্পিউটার সমুহকে চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হত। আবার সাম্প্রতিক কালে অতি উন্নত ও ব্যাপক ক্ষমতাবান মাইক্রো প্রসেসর দিয়ে অত্যাধুনিক যেসব কম্পিউটার তৈরি হচ্ছে সেগুলোকে পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়।
আধুনিক কম্পিউটার এর বিকাশ শুরু হয় ষাটের দশেকের প্রথম থেকেই। ঐ সময় থেকেই ইউরোপ-আমেরিকায়ও কম্পিউটারের ব্যবহার ও প্রসার লাভ করতে থাকে। ঠিক একই সময়ে বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ঢাকায়। তখন পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ঢাকা ছিল তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার ছিল আইবিএম ১৬২০ মডেলের।কম্পিউটারের জঅগ ছিল মাত্র ২০ কিলোবাইট। পরে এর পরিমাণ বাড়িয়ে ৬৪ কিলোবাইট করা হয়। বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম কম্পিউটারে ইনপুট দিতে হতো পাঞ্চকান্ডের সাহায্যে এবং আউটপুট পাওয়া যেত পাঞ্চকার্ডে। ১৯৮২-৮৩ সালে চতুর্থ প্রজন্মের আইবিএম ৪৩৪১ মেইনফ্রেম কম্পিউটারটি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাভারে অবস্থিত পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে স্থাপন করা হয়।
১. তথ্যের নির্ভুলতা:
মূলত, এই যন্ত্র আবিষ্কার করার উদ্দেশ্যই ছিল নির্ভুল গণনা ও তার সঠিক ফল প্রকাশ। আমরা সকলেই জানি, যে কম্পিউটার ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট এই পদ্ধতিতে কাজ করে।
অর্থাৎ, আমরা গণকযন্ত্রকে কোনো তথ্য পাঠাই এবং সেই তথ্য এই যন্ত্রটি অসংখ্য সূক্ষ বৈদ্যুতিক বর্তনীর সাহায্যে গণনা করে সঠিক ফলাফল দিয়ে থাকে।তাই, মানুষের করা গণনার থেকে যন্ত্র-নির্ভর গণনা অনেকটাই নির্ভুল ও যুক্তিসঙ্গত। তবে, মানুষ যদি ভুল তথ্য প্রদান করে, তবে কম্পিউটার সেখানে ভুল তথ্যই সরবরাহ করবে, এবং তখন তাকে আমরা গার্বেজ ইনপুট ও গার্বেজ আউটপুট বলে থাকি।
২. উচ্চ গতিসম্পন্নতা:
গণকযন্ত্র নির্ভুলভাবে গণনার পাশাপাশি দ্রুতগতিতে ফল ঘোষণা করতেও সক্ষম। যেহেতু, এই যন্ত্র বৈদ্যুতিক সংকেতের সাহায্যে কাজ করে, তাই এই যন্ত্র মাইক্রো, মিলি, ন্যানো পিকো সেকেন্ডের মধ্যে ফলাফল বের করে দিতে পারে। একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার গড়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষেরও বেশি গাণিতিক প্রব্লেমের সমাধান করতে পারে।
৩. ত্রুটি সনাক্তকরণ ও সংশোধন:
মানুষের ভুল নির্ধারণ ও পরবর্তীতে সংশোধন করার ক্ষমতা এই যন্ত্রের তুলনায় অনেকটাই কম। এই যন্ত্রগুলো এমনভাবেই প্রোগ্রাম করা হয়, যা অতি দ্রুত ভুল সনাক্ত করতে ও সংশোধন করতে সক্ষম।
৪. মেমরি:
কম্পিউটারের মেমোরি বা স্টোরেজ স্পেস অনেকটাই বেশি থেকে থাকে। যার ফলে, অসংখ্য কিংবা কোটি কোটি তথ্য কম্পিউটারের মধ্যে জমা রাখা সম্ভব। মানুষের থেকে ইনপুট পাওয়া মাত্রই এই যন্ত্র চট করে ও নির্ভুলভাবে সেইসব তথ্য দেখতে বা ব্যবহার করতে পারে। একটি কম্পিউটার বছরের পর বছর কোটি কোটি তথ্য কোনোরকম অসঙ্গতি ছাড়াই সেভ বা জমা রাখতে পারে।
৫. বিশাল তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা:
এই যন্ত্র মানুষের দেওয়া তথ্য ইনপুট আকারে গ্রহণ করে, সেই তথ্যকে বিশ্লেষণ করে আউটপুটের আকারে তা প্রদর্শন করে। তাই, জটিল গাণিতিক হিসাব থেকে শুরু করে তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সবকিছুর সঠিক প্রক্রিয়াকরণের জন্যেই মানুষ এই যন্ত্রেই উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
৬. লজিকাল ডিসিশন মেকিং:
কম্পিউটারের সমস্ত প্রক্রিয়াই নির্ভর করে যুক্তির উপর। যেহেতু, এই যন্ত্রের নিজস্ব বুদ্ধি বা বিচার করার ক্ষমতা এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হয়নি। এই কারণেই, গণকযন্ত্র গুলো প্রোগ্রামে দেওয়া যুক্তির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে।
৭. অক্লান্ত কর্মক্ষমতা:
মানুষের দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা মতো বিশ্রাম নেওয়ার প্রয়োজন থাকে। কিন্তু, কম্পিউটারের মতো যন্ত্র নিরলসভাবে একটানা কাজ করে যেতে সক্ষম।
৮. সূক্ষ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা:
মানুষ যতই জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হোক না কেন, সূক্ষ গাণিতিক বিশ্লেষণে কম্পিউটারের মতো পাকা হিসেবি ও সঠিক উত্তর প্রদান মানুষের পক্ষে সবসময় দেওয়া অসম্ভব। তাই, কম্পিউটার যেকোনো গাণিতিক সমস্যার ফল যদি দশমিকের ঘর অতিক্রম করে, তবে সেই উত্তরও সে নির্ভুলভাবে প্রকাশ করতে পারে।
৯. বহুমুখতা:
একটি গণকযন্ত্র মাল্টিটাস্কিং বা একসাথে অনেকগুলো কাজ করতে সক্ষম। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি এই যন্ত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণা, তথ্য সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, এন্টারটেইনমেন্ট, শিক্ষা ও টেলিকমুনিকেশন, ও আরও নানানধরণের কাজ করতে পারে।
১০. স্বয়ংক্রিয়তা:
কম্পিউটারকে তথ্য প্রদান বা ইনপুট দিলে বাকি সমস্ত কাজটা সে একাই করতে পারে। এই প্রসেসিং করার জন্য একটি গণকযন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করতে পারে।
Compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (Computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে।
অত্যাধুনিক কম্পিউটারের যুগে ঘরে ঘরে কম্পিউটার এসে গেছে, অনলাইন কাজ থেকে ডাটা এন্ট্রি সবই হচ্ছে কম্পিউটার নামের এই যন্ত্রটির মাধ্যমে, আধুনিক কম্পিউটারের এই চেহারা কিন্তু একদিনে আসেনি, যুগ যুগ ধরে বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে এই যন্ত্র।
কম্পিউটার সৃষ্টির ইতিহাস অনেকেরই অজানা। কম্পিউটারের জন্ম কিন্তু কিছু বছর আগে নয়, কয়েক হাজার বছর আগে হয়। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় তিন হাজার বছর আগে চীন গণনার জন্য ব্যবহৃত হত এ্যাবাকাস(Abacus)। এই Abacus থেকেই আধুনিক ক্যালকুলেটর তৈরীর ধারণা এসেছে বলে মনে করা হয়। কয়েকটি বিডস অর্থাৎ গোলচাকতির মাধ্যমে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গণনার কাজ করা হতো। প্রাচীন যুগের Abacus থেকে কম্পিউটারের প্রথম চিন্তার সূত্রপাত।
Abacus আবিষ্কারের কয়েক হাজার বছর পর সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে ১৬৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লায়াস প্যাসকেল প্যাসকেলাইন যন্ত্র তৈরী করেন। যা প্রায় Abacus এর মতই কার্যকারী ছিল, ১৬৯৪ সালে প্যাসকেলাইন যন্ত্রের উন্নত সংষ্করণ স্টেপড রেকোনার তৈরী করেন গটফ্রেড উইলহেম ভন লেইবনিজ।
১৮২১ সালে চার্লস ব্যাবেজ একটি যন্ত্র আবিষ্কার করলেন যেখানে অংকের পাশাপাশি তথ্য নিয়েও কাজ হত, সেই যন্ত্রটির নাম ডিফারেন্স ইঞ্জিন নামে। এই যন্ত্রেরও উন্নত সংস্করণ এনালাইটিক্যাল ইঞ্জিন আবিষ্কার হল কিছুদিন পর, তবে এই যন্ত্র চালানোর জন্য ছিদ্রযুক্ত পাঞ্চকার্ড কেবলমাত্র একবারই ব্যবহার করা যেত৷ এই যন্ত্রে তিনটি অংশ ছিল একটি তথ্য প্রদানের অংশ, একটি ফলাফল প্রদানের অংশ এবং তথ্য সংরক্ষণের অংশ। আধুনিক কম্পিউটারে থাকা অংশ গুলির সঙ্গে চার্লস ব্যাবেজের এনালাইটিক্যাল ইঞ্জিনের অংশগুলির মিল আছে। এই কারনেই চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়ে থাকে।
চার্লস ব্যাবেজ
স্টিফেন হকিন্স
জর্জ বুশ
ডোর ফেল্ট
ইতিহাস ঘেটে যতটুকু জানা যায়, প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে চীনাদের তৈরি অ্যাবাকাস নামক গণনাকারী যন্ত্রটিই প্রথম গণনাকারী যন্ত্র । যাকে কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ বলা হয়। তখন থেকে আজ অবধি অনেক পর্যায় অতিক্রম করে বর্তমান আধুনিক কম্পিউটার । আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে জাপানে অ্যাবাকাসকে বলা হয় সারোবান রাশিয়ায় বলা হয় স্কোসিয়া। গ্রিক, রোমান এবং মিশরীয়রা অ্যাবাকাস ব্যবহার করলেও তাঁদের হিসাব পদ্ধতিতে শূন্যকে সূচনা করার কোন পদ্ধতি ছিল না। ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম শূন্যকে একটি চিহ্ন প্রদান করে হিসাব পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।এ সময় দশভিত্তিক হিসাব পদ্ধতি শুরু হলেও অংকগুলোর কোন স্থানিক মান ছিল না। ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ভারতবর্ষে দশভিত্তিক হিসাব প্রণালীতে অংক গুলোর স্থানিক মান দেওয়া হয়।
স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার ১৬১৪ সালে লগারিদম (Logarithm) এর উদ্ভাবন করেন। এই আবিস্কার গুণ, ভাগ, বর্গ, বর্গমূল, ঘনমূল নিরূপনের কাজ অনেক সহজ করে দেয়। লগারিদমভিত্তিক হিসাবকার্যের জন্য নেপিয়ার যে সংখ্যাচিহ্নিত দন্ডগুলো ব্যবহার করেছিলেন সেগুলো নেপিয়ারের অস্থি বা দন্ড (Napier's bones or rods) নামে পরিচিত।
নেপিয়ারের লগারিদমের সারণী ব্যবহার করে উইলিয়াম অটরেড (William Oughtena। ১৬৩০ সালে প্রথম বৃত্তাকার সাইড রুল আবিস্কার করেন।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় গণিতবিদ অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ ১৮২২ সালে ডিফারেন্স ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন। ১৮৩৩ সালে এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামক একটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং নকশা করেন। এজন্য তাকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
১৮০১ সালে বস্ত্রশিল্পে নকশা নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঞ্চকার্ডের ব্যবহার শুরু হয় । ফ্রান্সের জোসেফ মরী জেকাড (Joseph Marie lacquard )পাকার্ড ব্যবহার শুরু করেন।
1887 সালে ডঃ হরম্যান হলোরিথ যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি গননা কাজে যে মেশিন ব্যবহার করেছিলেন তাকেই টেবুলেটিং মেশিন বলা হয়।
বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র কম্পিউটার যাদুঘর যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় অবস্থিত
ট্রানজিস্টরের পর আসে আইসি (IC) -এর ব্যবহার। সিলিকন বা সেমিকন্ডাক্টর-এর একটি ক্ষুদ্র অংশে একাধিক ট্রানজিস্টর সন্নিবেশিত করা হলে তাকে বলা হয় আইসি বা সমন্বিত সার্কিট। (Integrated Circute-IC)। আইসি ব্যবহার করে তৈরি হল নতুন প্রজন্মের কম্পিউটার। কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটে মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে। ১৯৭১ সালে আমেরিকার ইন্টেল (Intel) নামক কোম্পানি সর্বপ্রথম মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor) তৈরি করে। আধুনিক কম্পিউটারের দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট। ১৯৫৮ সালে জ্যাক কেলবি (Jack Kilby) নামক একজন বিজ্ঞানী আই সি (I.C) তৈরি করেন। আইসি ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের আকার ছোট হয়, দাম কমে যায়, ব্যবহারের সুবিধা বেড়ে যায় এবং কাজের ক্ষমতা হাজার হাজার গুণ বেড়ে যায় । মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি কম্পিউটারকেই আধুনিক মাইক্রোকম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটার বলা হয়।
B3500, B2500 |
১৯৬৮ বারোস কোম্পানী আই.সি সার্কিট ভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার |
IBM systern 360 |
আই.সি চিপ দিয়ে তৈরি প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার । |
১৯৪৮ সালে তার ট্রানজিস্টর (Trasistor) আবিষ্কৃত হবার পর কম্পিউটারে ভাল্বের বদ্লে ট্রানজিস্ট্ররের ব্যবহার শুরু হয়। ট্রানজিস্টর ব্যবহৃত কম্পিউটার ছোট হয়ে যেতে শুরু করে। কম্পিউটার গুলো আগের কম্পিউটার অপেক্ষা উন্নত ছিল। দুটি অর্ধপরিবাহী ডায়োড কি পাশাপাশি যুক্ত করে একটি অর্ধপরিবাহী ট্রায়োড তৈরি করা হয়। একে ট্রানজিস্টর বলা হয়। আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে ১৯৪৮ সালে জন বারডিন (Jhon Bardeen), উইলিয়াম শকলে (William Shocley) এবং ওয়াল্টার ব্রাটেইন (Walter Brattain) ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন। ট্রানজিস্টর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনিক্স বিপ্লব শুরু হয়। ট্রানজিস্টর তৈরিতে অর্ধপরিবাহী (Semiconductor) এর প্রয়োজন হয়। এতে অর্ধপরিবাহী হিসাবে সিলিকন বা জার্মেনিয়াম ব্যবহৃত হয়।
প্রথম প্রজন্ম কম্পিউটার বা First Generation Computer (1946-1959)
পঞ্চাশ দশকের কম্পিউটারকেই প্রথম প্রজনাের কম্পিউটার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। বায়ুশূন্য টিউব দ্বারা এ সময়ের কম্পিউটার তৈরি হতাে। হাজার হাজার ডায়ােড ভালভ, রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হতাে বলে এরা আকারে অনেক বড় ছিল এবং টিউব। ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ খরচও পড়তাে অনেক বেশি।
বৈশিষ্ট্য :
১. ভ্যাকুয়াম টিউববিশিষ্ট ইলেকট্রনিক বর্তনীর বহুল ব্যবহার
২. চুম্বকীয় ড্রাম মেমােরির ব্যবহার
৩.মেশিন ভাষার মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান ও প্রোগ্রামে অর্থসূচক নির্দেশ সংকেত বা কোড-এর ব্যবহার।
৪.ডেটা সংরক্ষণের জন্য ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক টিউব অথবা মার্কারি ডিলে লাইন-এর ব্যবহার এবং সীমিত ডেটা ধারণক্ষমতা।
৫.ইনপুট/আউটপুট ব্যবস্থার জন্য পাঞ্চকার্ডের ব্যবহার।
৬.বিশাল আকৃতির ও সহজে বহন অযােগ্য
৭.কম নির্ভরশীলতা ও স্বল্পগতি সম্পন্ন
৮.অত্যধিক বিদ্যুৎ শক্তির খরচ ও
৯.রক্ষণাবেক্ষণ ও উত্তাপ সমস্যা।
উদাহরণ: UNIVACI, IBM 650, IBM 704, IBM 709, Mark II, Mark III ইত্যাদি।
দ্বিতীয় প্রজন্ম কম্পিউটার বা Second Generation Computer (১৯৫৯-১৯৬৫)
১৯৫৯ সাল থেকে কম্পিউটারে ভালভের পরিবর্তে ট্রানজিস্টর ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ১৯৪৭ সালে আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে উইলিয়াম বি শকলে (William B. Shokly), জন বার্ডিন (Jon Berdeen) এবং এইচ ব্রাটেইন (H. Bratain) সম্মিলিতভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করেন। ট্রানজিস্টর আবিস্কৃত হওয়ার পর কম্পিউটার প্রযুক্তির জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মােচিত হয়।
বৈশিষ্ট্য :
১.ট্রানজিস্টরের ব্যবহার।
২.চুম্বকীয় কোর মেমােরির ব্যবহার ও ম্যাগনেটিক ডিস্কের উদ্ভব।
৩.উচ্চ গতিবিশিষ্ট ইনপুট/আউটপুট সরঞ্জাম।
৪.ফরট্রান ও কোবলসহ উচ্চতর ভাষার উদ্ভব।
৫.আকৃতির সংকোচন।
৬.তাপ সমস্যার অবসান
৭.টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে ডেটা প্রেরণের ব্যবস্থা
৮.গতি ও নির্ভরযােগ্যতার উন্নতি।।
এ প্রজন্মের একটি কম্পিউটার IBM 1620 দিয়ে ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের সূচনা হয়। এ কম্পিউটারটি ঢাকার পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে সুদীর্ঘ কয়েক বছর চালু ছিল । উদাহরণ: Honeywell 200, IBM 1620, IBM 1400,CDC 1604, RCA 301, RCA 501, NCR 300 GE 200, IBM 1600 ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্ম কম্পিউটার বা Third Generation Computer (১৯৬৫-১৯৭১)
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে ইনটিগ্রেটেড সার্কিট বা সমন্বিত চিপ (Integrated Circuit বা IC) থাকে যাতে অনেক অর্ধপরিবাহী ডায়ােড, ট্রানজিস্টর এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ থাকে। এর ফলশ্রুতিতে কম্পিউটারের আকার আরাে ছােট হয়ে আসে, দাম কমে যায়, বিদ্যুৎ খরচ কমে যায়; কাজের গতি ও নির্ভরশীলতা বহুগুণে বেড়ে যায় ।
বৈশিষ্ট্য :
১.একীভূত বর্তনী বা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের (IC) ব্যাপক প্রচলন।
২.অর্ধপরিবাহী মেমােরির উদ্ভব ও বিকাশ
৩.আকৃতির সংকোচন
৪.উন্নত কার্যকারিতা ও নির্ভরযােগ্যতা
৫.মিনি কম্পিউটারের প্রচলন
৬.উচ্চতর ভাষার বহুল প্রচলন।
৭.ভিডিও মনিটর ও লাইন প্রিন্টারের প্রচলন এবং নির্বাহী পদ্ধতির উন্নয়ন।
উদাহারণ: IBM 360, IBM 370, PDP-8, PDP-11, GE 600 ইত্যাদি।
চতুর্থ প্রজন্ম কম্পিউটার বা Fourth Generation Computer (১৯৭১-বর্তমান কাল)
বর্তমানে আমরা যে সকল কম্পিউটার ব্যবহার করছি এ সকল কম্পিউটারই চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত। এ সময় থেকে কম্পিউটারে অর্ধ পরিবাহী মেমােরি প্রবর্তিত হয় এবং LSI (Large Scale Integration) ও VLSI (Very large Scale Integration) প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor) ব্যবহার হয়। ফলে কম্পিউটারের আকার ও দাম আরাে কমে যায় এবং কাজ করার ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায় ।
বৈশিষ্ট্য :
১. বৃহদাকার একীভূত বর্তনী (VLSI)
২. মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor) ও মাইক্রোকম্পিউটার (বা পার্সোনাল কম্পিউটার) এর প্রসার ও প্রচলন।
৩. বর্ধিত ডেটা ধারণক্ষমতা
৪. নির্ভরযােগ্যতার উন্নতি
৫. সরাসরি প্রয়ােগের জন্য প্রােগ্রাম প্যাকেজের ব্যাপক প্রচলন।
উদাহরণ: IBM 3033, HP 3000, IBM 4341, TRS 80, Sharp PC-1211,IBM PC ইত্যাদি।
পঞ্চম প্রজন্ম কম্পিউটার (Fifth Generation Computer) (ভবিষ্যৎ প্রজন্ম)
ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এখনাে চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার প্রচলিত আছে। আমেরিকা ও জাপান পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার চালুর অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। Super VLSI (Very Large Scale Integratiion) চিপ ও অপটিক্যাল ফাইবারের সমন্বয়ে পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের অবতারণা করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর ও প্রচুর ডেটা ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার। এ কম্পিউটারের বিশেষত্ব হলাে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ থেকে ১৫০ কোটি লজিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মানুষের কণ্ঠস্বর শনাক্ত করার ক্ষমতা ও কণ্ঠে দেয়া নির্দেশ বুঝতে পেরে কাজ করতে পারবে এ কম্পিউটার।
বৈশিষ্ট্য :
১. বহু মাইক্রোপ্রসেসরবিশিষ্ট একীভূত বর্তনী সম্বলিত।
২. কৃত্রিম বুদ্ধির ব্যবহার।
৩. কম্পিউটার বর্তনীতে অপটিক্যাল ফাইবারের (Optical Fiber) ব্যবহার।
৪. প্রােগ্রাম সামগ্রীর উন্নতি।।
৫. স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ, শ্রবণযােগ্য শব্দ দিয়ে কম্পিউটারের সাথে সংযােগ ।
৬. চৌম্বক বাবল মেমােরি।।
৭. ডেটা ধারণ ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি
৮. অধিক সমৃদ্ধশালী মাইক্রোপ্রসেসর ও মাইক্রোকম্পিউটার।
৯. বিপুল শক্তিসম্পন্ন সুপার-কম্পিউটারের উন্নয়ন ইত্যাদি।
ডিজিটাল কম্পিউটার: যে কম্পিউটার সংখ্যা ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তাই ডিজিটাল কম্পিউটার। এটি যে কোনো গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ, গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন যোগের সাহায্যে সম্পাদন করে।
হাইব্রিড কম্পিউটার: হাইব্রিড কম্পিউটার হল এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহৃত হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে অ্যানালগ ও ডিজিটালের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার।
সুপার কম্পিউটার: অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে । এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর।পৃথিবীর আবহাওয়া বা কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা করার মতো স্মৃতিভাভার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। Supers XII, CRAY 1 ইত্যাদি সুপার কম্পিউটারের উদাহরণ ।
মেইনফ্রেম কম্পিউটার: মেইনফ্রেম কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি বড় কম্পিউটার যার সঙ্গে অনেকগুলো ছোট কম্পিউটার যুক্ত করেএক সঙ্গে অনেকে কাজ করতে পারে। জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, উচ্চস্তরেরপ্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ, বৃহৎ প্রতিষ্ঠানেরশৈল্পিক ব্যবহারে এটা কাজে লাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে এ 5 ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে । CYBER-170, IBM-4300 এ ধরনের কম্পিউটার।
মিনি কম্পিউটার: যে কম্পিউটারে টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। NCRS/9290,PDP-II.IBM S/36 ইত্যাদি এ শ্রেণীর কম্পিউটার ।
এম্বেডেড কম্পিউটার (Embedded Computer) হচ্ছে একটি বিশেষায়িত কম্পিউটার সিস্টেম, যা একটি বৃহৎ সিস্টেম বা মেশিনের অংশবিশেষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি কোন প্রচলিত কম্পিউটার নয়। এম্বেডেড সিস্টেমে সাধারণত একটি মাইক্রোপ্রসেসর বোর্ড এবং সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রোগ্রামিং সম্বলত একটি রম থাকে। আধুনিক এম্বেডেড কম্পিউটার সিস্টেমে মাইক্রোকন্ট্রোলার এর ব্যবহার দেখা যায়। এম্বেডেড কম্পিউটারের তৈরি খরচ অনেক কম এবং এটি আকারে মাইক্রোকম্পিউটারের চেয়ে ছোট। এটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়।
যেমন: একটি এয়ার কন্ডিশনারে ঘরের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নির্দেশ করে কমান্ড দেয়া হল। ঘরের তাপমাত্রা ঐ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌছানো মাত্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এয়ার কন্ডিশনার বন্ধ হয়ে যাবে। আর এই কাজটি করবে এয়ার কন্ডিশনারে থাকে এম্বেডেড কম্পিউটার। এছাড়াও এই কম্পিউটার প্রিন্টার, থার্মোস্ট্যাট, ভিডিও গেম, ব্যাংকিং কার্যক্রমে ব্যবহৃত এটিএম প্রভৃতিতে এম্বেডেড কম্পিউটার সিস্টেমের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
নেটবুক (Netbook): আকারে ছােট অপেক্ষাকৃত ছােট কী-বাের্ড এবং ফ্লিপ-আপ মনিটর সম্বলিত এক প্রকার মােবাইল কম্পিউটার। এরা আকারে ল্যাপটপের চেয়ে ছােট কিন্তু পামটপের চেয়ে বড়।
নেটবুক এর বৈশিষ্ট্য:
মাইক্রো কম্পিউটার: মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ, একটি মাইক্রোপ্রসেসর CPU এবং RAM, ROM সহযােগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনে কম্পিউটারের উদাহরণ।
মাইক্রো কম্পিউটার এর শ্রেণীবিভাগ
১. ডেস্কটপ (Desktop)।
২. ল্যাপটপ বা নোটবুক (Laptop or Notebook) |
৩. নেটবুক (Netbook)
৪. ট্যাবলেট পিসি বা ট্যাব (Tablet PC or Tab)।
৫. হেন্ডহেল্ড বা পামপিসি বা পামটপ (Handheld or Palm PC or Palmitop)
ল্যাপটপ কম্পিউটার (LaptopComputer): ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটার, যেটি আকারে খুবই ছোট। অর্থাৎ এ ধরনের কম্পিউটার সাধারণত কোলের ওপর রেখে প্রয়োজনীয় কার্যাবলী সম্পাদন করা যায়। ১৯৮১ সালে এপসম কোম্পানি প্রথম ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রবর্তন করে।
ল্যাপটপ এর বৈশিষ্ট্য:
১. এটি ডেস্কটপ পিসির চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।
২. লোড শেডিংয়ের সময় ডেস্কটপ চালাতে হলে ইউপিএস ব্যবহার করা হয় এবং তার ব্যাকআপ দেওয়ার ক্ষমতা ১৫-৩০ মিনিট হয়ে থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের সাথে ব্যাটারী। সংযুক্ত থাকে বিধায় এটাকে ২-৫ ঘন্টা চালানো যায়।।
ল্যাপটপ ডেস্কটপ পিসির চেয়ে আকারে অনেক ছোট ও হালকা। ল্যাপটপ কম্পিউটার। দেখতে অনেকটা ছোট ব্রিফকেসের মত। এটি সহজে বহনযোগ্য।
৪. এতে মাউসের পরিবর্তে টাচপ্যাড ব্যবহার করা হয়।
৫. এতে বিল্টইন ওয়েবক্যাম আছে যা দ্বারা ইন্টারনেট এ ভিডিও চ্যাট করা যায়।
ল্যাপটপ ব্যবহারের অসুবিধা:
অ্যানালগ কম্পিউটার: যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে, তাই অ্যানালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে। মােটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র অ্যানালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
আইবিএম হল International Business Machines এর সংক্ষিপ্ত নাম। এটি একটি প্রযুক্তি কোম্পানি যা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার তৈরি করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ কম্পানির মধ্যে একটি । ১৭০টি দেশে কোম্পানিটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার সদরদপ্তর আরমংক, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। ১৯১১ সালে কম্পিউটিং-ট্যাবুলেটিং-রেকর্ডিং কোম্পানি হিসেবে এ কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়, ১৯২৪ সালে যার নাম দেওয়া হয় "ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস"।
আইবিএম মূলত একটি প্রযুক্তি কোম্পানি যা বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার এবং এর উপকরণসমূহ উন্নয়ন করে। এছাড়াও, এটি কোম্পানির জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং সেবা উন্নয়ন করে। এটি প্রায় সমস্ত কোম্পানি ও সরকারের জন্য কম্পিউটার সংযোগ ও সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত সেবা উন্নয়ন করে। আইবিএম সম্পর্কে জানা যায় যে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কম্পিউটার নির্মাতা এবং সরবরাহকারী হিসাবে পরিচিত।
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন (ইংরেজি: Microsoft Corporation) একটি বহুজাতিক আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানি। এর সদরদপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের রেডমন্ড, ওয়াশিংটনে অবস্থিত। মাইক্রোসফট সফটওয়্যার, ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স, ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও এর সাথে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন সেবা উন্নয়ন, উৎপাদন, অনুমোদন, সমর্থন, ও বিক্রি করে থাকে। কোম্পানিটির বহুল পরিচিত সফটওয়্যার পণ্য এর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ধারা, অফিস স্যুট, এবং ইন্টারনেট এক্সফ্লোরার ও বর্তমানে এজ ওয়েব ব্রাউজার। আর উল্লেখযোগ্য হার্ডওয়্যার পণ্যের মধ্যে আছে এক্সবক্স ভিডিও গেম কনসোল ও সারফেস ব্যক্তিগত কম্পিউটার ধারা। ২০১৬ সালে মাইক্রোসফট ছিলো আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর বৃহত্তর সফটওয়্যার নির্মাতা (বর্তমানে সে জায়গা আলফাবেটের দখলে)। দুটো শব্দ "মাইক্রোকম্পিউটার" ও "সফটওয়্যার"-এর মিলনে "মাইক্রোসফট" নামটির সৃষ্টি।
৪ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে বিল গেটস ও পল অ্যালেন অল্টেয়ার ৮৮০০ এর জন্য বেসিক ইন্টারপ্রেটার নির্মান ও বিক্রির জন্য মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝিতে এসে মাইক্রোসফট তাদের এমএস-ডস দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম বাজারে বিশেষ জায়গা করে নিতে শুরু করে। ১৯৮৬ সালে কোম্পানিটির আইপিও এবং তারপর ক্রমশ শেয়ারের মূল বৃদ্ধির ফলে কোম্পানির চাকরিজীবীদের মধ্যে ২ জন লক্ষকোটিপতি, ও ১২ জন লক্ষপতির সৃষ্টি হয়। ১৯৯০-এর দশক থেকে মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেমের বাইরেও বিভিন্ন দিকে ছড়ানো শুরু করে এবং এসময় তারা কিছু কোম্পানি অধিগ্রহণও করে। মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ লিংকডইন, যা তারা $২,৬০০ কোটির বিনিময়ে ২০১৬ সালে অধিগ্রহণ করে।
গুগল এলএলসি(ইংরেজি: Google LLC) বা গুগল লিমিটেড লায়াবেলিটি কোম্পানি ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা ও পণ্যে বিশেষায়িত একটি আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ছাত্র থাকাকালীন ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন ১৯৯৮ সালের ৪ই সেপ্টেম্বর গুগল নির্মান করেন। গুগলের ১৪ শতাংশ শেয়ার তাদের এবং বিশেষ সুপারভোটিং ক্ষমতার মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ স্টকহোল্ডারকে নিয়ন্ত্রণ করে। ৪ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮ সালে তারা গুগলকে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। গুগল আগস্ট ১৯, ২০০৪ সালে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) দেয় ও গুগলপ্লেক্স নামে মাউন্টেইন ভিউতে তাদের নতুন সদরদপ্তরে স্থানান্তরিত হয়। আগস্ট ২০১৫ সালে গুগল এর বিভিন্ন কার্যক্রম আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড নামে সমন্বিত করার পরিকল্পনার কথা জানায়। আলফাবেটের প্রধান অধীনস্থ সংগঠন হিসেবে আলফাবেটের ইন্টারনেট কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পুনর্গঠনের সমাপনী অংশ হিসেবে ল্যারি পেজ সুন্দর পিচাইকে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিস্থাপন করেন। (ল্যারি পেজ এখন আলফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা)
গুগলের প্রধান সেবা গুগল সার্চ ছাড়াও নতুন পণ্য, অধিগ্রহণ ও অংশীদারত্বের সাথে সাথে কোম্পানিটির দ্রুত প্রসার হয়। কাজ ও প্রোডাক্টিভিটি সেবা (গুগল ডক, শিট ও স্লাইড), ইমেইল (জিমেইল/ইনবক্স), সময়সূচী ও সময় ব্যবস্থাপক (গুগল ক্যালেন্ডার), ক্লাউড স্টোরেজ (গুগল ড্রাইভ), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (গুগল+), ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং ও ভিডিও চ্যাট (গুগল এলো/ডুও/হ্যাংআউট), অনুবাদক (গুগল ট্রান্সলেট), মানচিত্র (গুগল ম্যাপস/ওয়েজ/আর্থ/স্ট্রিট ভিউ), ভিডিও ভাগাভাগি (ইউটিউব), নোট নেওয়া (গুগল কিপ), এবং ছবি ব্যবস্থাপক (গুগল ফটোজ) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
ইয়াহু হলো গুগলের মত একটি সার্চ ইঞ্জিন সাইট। অর্থাৎ নেটে কিছু সার্চ করে বের করার ওয়েব সাইট এর নাম। ২০০০ সালের আগে গুগল এখনকার মত জনপ্রিয় ছিলো না, তখন সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে ইয়াহু ছিলো টপ লেভেলের একটা কোম্পানি।
১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকাতে ইয়াহুর যাত্রা শুরু হয়। ৯০ এর দশকে এটি সর্বাধিক জনপ্রিয় ওয়েব সাইট ছিলো। এখনো কিছুটা আছে তবে ধুকে ধুকে আরকি!!
Yahoo এর জনক প্রতিষ্টাতা হলেন Jerry Yang এবং David Filo নামের দুজন।
ইন্টেল কর্পোরেশন একটি আমেরিকান বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি এবং আয়ের উপর নির্ভর করে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। এটি মাইক্রোপ্রসেসরের এক্স৮৬ সিরিজের আবিষ্কারক, প্রসেসরটি বেশিরভাগ পারসোনাল বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে দেখা যায়। ইন্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জুলাই ১৮, ১৯৬৮ সালে ইন্টিগ্রেটেড ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন (কেউ কেউ ইন্টিগ্রেটেডকে ইন্টিলিজেন্স মনে করে থাকে) হিসেবে। ইন্টেল কম্পিউটার প্রসেসর তৈরির পাশাপাশি আরো তৈরী করে মাদারবোর্ড চিপসেট, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কন্ট্রোলার, ইন্ট্রিগ্রেটেড সার্কিট, ফ্ল্যাস মেমোরি, গ্রাফিক্স কার্ড, সংযুক্ত প্রসেসর এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছু যা কম্পিউটার এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। এই কোম্পানি শুরু করেন সেমিকন্ডাক্টরের অগ্রগামী রবার্ট নয়েস এবং গর্ডন মুর এবং এন্ড্রু গুভ। ইন্টেল আধুনিক প্রযুক্তি চিপ নকশা এবং উৎপাদন করায় সমর্থ। যদিও শুরুতে ইন্টেল শুধু মাত্র ইন্জিনিয়ার এবং প্রযুক্তিবিদদের কাছে পরিচিত ছিল, কিন্তু ১৯৯০ দশকের বিজ্ঞাপন "ইন্টেল ইনসাইড" এটাকে এবং এটার "পেন্টিয়াম" প্রসেসরকে ঘরে ঘরে পরিচিত করে তোলে।
ইন্টেল ছিল প্রথমদিকের স্ট্যাটিক র্যাম এবং ডায়নামিক র্যামের স্মৃতির উন্নয়নকারী এবং এটাই তাদের ব্যবসাকে ১৯৮১ সাল পযর্ন্ত পরিচিতির মাধ্যম ছিল। যখন ইন্টেল প্রথম বানিজ্যিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ বানায় ১৯৭১ সালে, এটা তাদের প্রধান ব্যবসায় তখনও পরিনত হয়নি কারন তখনও পারসোনাল বা ব্যক্তিগত কম্পিউটার জনপ্রিয় হয়নি। ইন্টেল ১৯৯০ দশকে, নতুন মাইক্রোপ্রসেসরের উপর ব্যপক বিনিয়োগ করে কম্পিউটার শিল্পের চাহিদা পূরণ এবং উৎসাহদানের লক্ষ্যে। এই সময়েই ইন্টেল মাইক্রোপ্রসেসরের চিপের প্রভাবশালী সরবরাহকারী হিসেবে এবং জানা যায় আক্রমনাত্মক এবং কোন কোন সময় বেআইনি কৌশল গ্রহণকারী হিসেবে এটার বাজার ধরে রাখার জন্য। বিশেষভাবে, এএমডি এবং মাইক্রোসফটের সাথে প্রতিযোগীতা হয় পিসি শিল্প করায়ত্ত করতে। ২০১০ সালের মিলওয়ার্ড ব্রাউন অপটিমর রেংকিংয়ে বিশ্বের ১০০ শক্তিশালী ব্র্যান্ড এর মধ্যে এর অবস্থান ছিল ৪৮তম[৬]। ইন্টেল ইলেক্ট্রিকাল ট্রান্সমিশন এবং প্রজন্মে গবেষনা শুরু করেছে। ইন্টেল সম্প্রতি ৩ মাত্রার ট্রানজিস্টরের নমুনা দেখিয়েছে, যেটা কার্যক্ষমতা এবং শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করবে[৯] ইন্টেল তাদের ২২ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির প্রসেসরে ব্যাপকভাবে ত্রিমাত্রিক ট্রানজিস্টর ব্যবহার করবে, যা ট্রাই গেট ট্রানজিস্টর নামে পরিচিত।
অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড (ইংরেজি: Apple, Inc.) একটি বিখ্যাত আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি, যেটি কনজুমার ইলেকট্রিক, কম্পিউটার সফটওয়্যার, এবং অনলাইন সেবা ডিজাইন, ডেভলপ ও বিক্রি করে। কোম্পানিটির হার্ডওয়্যার পণ্যের মধ্যে আইফোন স্মার্টফোন, আইপ্যাড ট্যাবলেট কম্পিউটার, ম্যাক ব্যক্তিগত কম্পিউটার, আইপড বহনযোগ্য মিডিয়া প্লেয়ার, অ্যাপল ওয়াচ স্মার্টওয়াচ, ও অ্যাপল টিভি ডিজিটাল মিডিয়া প্লেয়ার রয়েছে। অ্যাপলের সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে ম্যাক ওএস এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেম, আইটিউন্স মিডিয়া প্লেয়ার, সাফারি ওয়েব ব্রাউজার, এবং আইলাইফ ও আইওয়ার্ক সৃজনশীল ও প্রোডাক্টিভিটি স্যুট, সাথে সাথে রয়েছে প্রফেশনাল এপ্লিকেশন— ফাইনাল কাট প্রো, লজিক প্রো, এবং এক্সকোড। তাদের অনলাইন সেবার মধ্যে রয়েছে আইটিউন্স স্টোর, আইওএস অ্যাপ স্টোর এবং ম্যাক অ্যাপ স্টোর, অ্যাপল মিউজিক ও আইক্লাউড।
এপ্রিল ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েন ওজনিয়াকের অ্যাপল ১ ব্যক্তিগত কম্পিউটার ডেভেলপ ও বিক্রির জন্যে অ্যাপল গঠন করেন। জানুয়ারি ১৯৭৭ সালে এটি "অ্যাপল কম্পিউটার, ইংক" হিসেবে ইনকর্পোরেটেড হয়।
ওরাকল কর্পোরেশন (ইংরেজি: Oracle Corporation) হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক কম্পিউটার প্রযুক্তি কর্পোরেশন যার সদর দফতর ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড সিটিতে অবস্থিত। কোম্পানিটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সিস্টেম এবং এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার পণ্যতে পারদর্শী - বিশেষভাবে এর নিজস্ব ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্রান্ডে। ওরাকল মাইক্রোসফট এবং আইবিএম পরে, আয় অনুসারে তৃতীয় বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাণকারী।
কোম্পানিটি ডেটাবেজ উন্নয়ন এবং মধ্যম-স্তর সফটওয়্যারের সিস্টেম, এন্টারপ্রাইজ সম্পদ পরিকল্পনা সফটওয়্যার (ইআরপি), ক্রেতা সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার (সিআরএম) এবং সরবরাহ ব্যবস্থাপনা (এসসিএম) সফটওয়্যারের জন্য সরঞ্জাম তৈরিও করে।
যে পদ্ধতি সংখ্যা গণনা করা হয় বা প্রকাশ করা হয়, তাকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এ সকল সংখ্যাকে বিভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় গণনার কাজ করা হয়।
প্রকারভেদঃ
১. ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি
২. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
৩. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
৪. হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
নাম |
বৈশিষ্ট্য |
ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা |
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮ এবং ৯ এই দশটি প্রতীক দিয়ে সব ধরণের সংখ্যা গঠন করা হয়। দশটি প্রতীক বা অংক ব্যবহার করা হয় বলে এ সংখ্যা পদ্ধতিকে বলা হয় দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হচ্ছে ১০। *দশমিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে একক, দশক, শতক এভাবে কোন সংখ্যার মান নির্ণয় করতে হয়। পূর্ণ দশমিক সংখ্যার স্থানীয় মান নির্ণয় করতে সংখ্যার ডানদিক থেকে প্রথম ঘরের মান ১০° (=১) , দ্বিতীয় ঘরের মান ১০১ (=১০), তৃতীয় ঘরের মান ১০২ (=১০০) , চতুর্থ ঘরের মান ১০৩(=১০০০) |
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি |
শূন্য (০) এবং (১) এর অন্তহীন সমবায়ে গঠিত বাইনারী সিস্টেম। বাইনারীতে কেবল দুটি ডিজিট বা প্রতীক ব্যবহৃত হয়। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে টমাস হ্যারিয়ট প্রথম বাইনারী সংখ্যা কাজে লাগান। |
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি |
যে সকল সংখ্যা যে সংখ্যা পদ্ধতিতে আটটি অংক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। |
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি। |
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ষােলটি অংক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অকাল। +এ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংকগুলাে হলাে ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E, F |
খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০০ সালে হায়ারোগ্লিফিক্স সংখ্যা পদ্ধতির মাধ্যমে সর্বপ্রথম গণনার ক্ষেত্রে লিখিত সংখ্যা বা চিহ্নের ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তিতে পর্যায়ক্রমে মেয়ান, রোমান ও দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়।
সংখ্যাঃ সংখ্যা হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা কোনকিছু গণনা, পরিমাণ এবং পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
গাণিতিক কাজে সংখ্যার মান বোঝানোর জন্য ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অবস্থা ব্যবহৃত হয়!! ফলে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা বোঝানোর জন্য যথাক্রমে + ও – চিহ্ন ব্যবহার করা হয়!! এই + বা – যুক্ত সংখ্যাকেই চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বলে!!
বিসিডি কোড (BCD Code): বিসিডি (BCD) কোডের পূর্ণ অর্থ হচ্ছে বাইনারি কোডেড ডেসিমাল (Binary Coded Decimal)। কোনাে দশমিক সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় কিংবা বাইনারি সংখ্যাকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করার পদ্ধতি সহজতর করার জন্য বিসিডি কোড ব্যবহার করা হয়। বিসিডি কোড সাধারণত ৪, ৬, ৮ বিটের হতে পারে। তৰে ৮ বিটের বিসিডি কোডকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
সংখ্যাকে কম্পিউটারে কিংবা ইলেকট্রনিক সার্কিট দিয়ে ডিজিটাল প্রক্রিয়া করার জন্য সেগুলোকে বাইনারিতে রূপান্তর করে নিতে হয়। কিন্তু দশমিক সংখ্যার বহুল ব্যবহারের জন্য এর দশমিক রূপটি যতটুকু সম্ভব অক্ষুণ্ণ রেখে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করার জন্য বিসিডি (BCD: Binary Coded Decimal) কোডিং পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এই পদ্ধতিতে একটি দশমিক সংখ্যার প্রত্যেকটি অঙ্ককে আলাদাভাবে চারটি বাইনারি বিট দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যদিও চার বিটে 0 থেকে 15 এই 16টি সংখ্যা প্রকাশ করা সম্ভব, কিন্তু BCD কোডে 10 থেকে 15 পর্যন্ত এই বাড়তি ছয়টি সংখ্যা কখনোই ব্যবহার করা হয় না। দশমিক 10কে বাইনারিতে 1010 হিসেবে চার বিটে লেখা যায় কিন্তু বিসিডিতে 0001 0000 এই আট বিটের প্রয়োজন। নিচে BCD কোডের একটি উদাহরণ দেওয়া হলো :
উদাহরণ : 100100100110 বিসিডি কোডে লেখা একটি দশমিক সংখ্যা, সংখ্যাটি কত? উত্তর : 100100100110 বিটগুলোকে চারটি করে বিটে ভাগ করে প্রতি চার বিটের জন্য নির্ধারিত দশমিক অঙ্কটি বসাতে হবে।
আসকি (ASCII): ASCII-এর পূর্ণ অর্থ হলাে আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড কোড ফর ইনফরমেশন ইন্টারচেঞ্জ (American Standard Code for Information Interchange)। এটি মাইক্রো বা পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য বহুল ব্যবহৃত ও বর্তমানে প্রচলিত কম্পিউটার কোড। যেমন-A-এর আসকি কোড ৬৫ এবং a-এর আসকি কোড ৯৭।
ASCII হচ্ছে American Standard Code for Information Interchange কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি সাত বিটের একটি আলফানিউমেরিক কোড। এটি প্রাথমিকভাবে টেলিপ্রিন্টারে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে কম্পিউটারে এটি সমন্বয় করা হয়। সাত বিটের কোড হওয়ার কারণে এখানে সব মিলিয়ে 128টি চিহ্ন প্রকাশ করা যায়। এর প্রথম 32টি কোড যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয়, বাকি 96টি কোড ছোট হাতের, বড় হাতের ইংরেজি অক্ষর, সংখ্যা, যতিচিহ্ন, গাণিতিক চিহ্ন ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা হয়। টেবিলে অ্যাসকি কোডটি দেখানো হলো। ইদানীং 16, 32 কিংবা 64 বিট কম্পিউটারের প্রচলনের জন্য সাত বিটের ASCII- তে সীমাবদ্ধ থাকার প্রয়োজন নেই বলে অষ্টম বিট যুক্ত করে Extended ASCII- তে আরো 128টি চিহ্ন নানাভাবে ব্যবহার হলেও প্রকৃত ASCII বলতে এখনো মূল 128টি চিহ্নকেই বোঝানো হয়। টেবিলে অ্যাসকি কোডের প্রথম 32টি যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের কোড (0-31) ছাড়া পরবর্তী 96টি (32-127) প্রতীক দেখানো হয়েছে।
ANSI কোড বলতে আমরা স্ট্যান্ডার্ড এনকোডিং বোধ করি, যা হল আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট (ANSI) দ্বারা প্রকাশিত একটি স্ট্যান্ডার্ড কোড। এটি ইউনিকোড না হলেও, একটি পুরাতন স্ট্যান্ডার্ড কোড হিসাবে ব্যবহৃত হয় যা অধিকাংশ সিস্টেমে সমর্থিত হয়।
ANSI কোড একটি 8-বিট কোডিং সিস্টেম যা ইংরেজি অক্ষর, সংখ্যা, প্রতীক এবং সাধারণ পাঁচালী চিহ্ন সহ অন্যান্য স্থানীয় ভাষার ক্যারেক্টারগুলি কোড করে।
ইউনিকোড হলো প্রাচীন মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক্স ভাষা থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের অক্ষর, বর্ণ, চিহ্ন, ইমোজি ইত্যাদির এনকোডিং পদ্ধতি। বর্তমানে পূর্বের এনকোডিং পদ্ধতি যেমন ASCII ও EBCDIC-কেও ইউনিকোডের আওতায় আনা হয়েছে। তথা পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার লেখালেখির মাধ্যমগুলোকে ইউনিকোড পদ্ধতিতে সমন্বিত করা হয়েছে। ইউনিকোড ৩. UTF-32: এটি 32 বিটের (longs) একক। এখানে একটি অক্ষরকে নির্ধারিত 4 বাইটের মধ্যে উপস্থাপন করা হয়। এখানে দক্ষতার সাথে অক্ষরকে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ থাকে যে, UTF-8 এবং UTF-16 হচ্ছে সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি। এর মাঝে ওয়েবসাইটে ব্যবহার করার জন্য UTF-8 অলিখিত স্ট্যান্ডার্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এ ক্ষেত্রে প্রতিটি বর্ণের জন্য 4 বাইট স্থান সংরক্ষণ করা থাকলেও ব্যবহারের ক্ষেত্রে UTF-8 শুধুমাত্র যতগুলো বিট প্রয়োজন হয় ততটুকু ব্যবহার করে থাকে
ইবিসিডিআইসি (EBCDIC): ইবিসিডিআইসি (EBCDIC)-এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে এক্সটেন্ডেড বাইনারি কোডেড ডেসিমাল ইনফরমেশন কোড (Extended Binary Coded Decimal Information Code)। বিশ্ব বিখ্যাত আইবিএম কোম্পানী তাদের নিজস্ব কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য এই কোড উদ্ভাবন করেছে। এটি ৮ বিটের কোড, যার ডান দিকের ৪টি এবং ৪ বিটের মধ্যে মাঝের ৩ বিট হলাে জোনাল বিট এবং সর্ব বামের বিটটি প্যারাটি বিট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি (Binary Digital System): সাধারণ ০ এবং ১ এ দুই সংখ্যার পদ্ধতিকে বলা হয় বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি। বাইনারির সবচেয়ে সহজ একটি পদ্ধতি এটা যার ভিত্তি হচ্ছে ২। এ পদ্ধতি বােঝার জন্য সবচেয়ে ভালাে একটি উদাহরণ হচ্ছে অডােমিটার ।।
সংখ্যা পদ্বতির রূপান্তর: ডেসিমেল, বাইনারি, অক্টাল ও হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে এক সংখ্যা পদ্ধতির সংখ্যাকে অন্য আর এক সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর করা যায়।
বাইনারি থেকে ডেসিমেল এ রূপান্তর:
বাইনারি সংখ্যা ভিত্তি দুই ভাই এর ঘাত বা শক্তি ২ দিয়ে হিসাব করতে হবে। যেমন- |
|
বাইনারি সংখ্যা। |
দশমিক সংখ্যা |
(১১০১১)২ |
=(১×২৪)+ (১×২৩)+ (০×২২)+ (১×২১)+ (১×২০) |
(১১০১১)২ = (২৭)১০
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল আট। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি সংখ্যা রয়েছে। এগুলি হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ এবং ৭ যার মানে এখানে সবচেয়ে বড় সংখ্যা হল ৭। এবং এর চেয়ে একটি বড় সংখ্যা গঠন করতে, আপনাকে দুই বা তার বেশি সংখ্যা বিন্যাস করতে হবে। নীচের টেবিলটি দশমিক সংখ্যার পাশাপাশি বাইনারি সমতুল্য সংখ্যাগুলি দেখায়।
কম্পিউটারে ব্যবহৃত আরেকটি সংখ্যা পদ্ধতিকে বলা হয় হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি। এই নম্বর সিস্টেমটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ বাইনারি সংখ্যাগুলি প্রক্রিয়া করতেও ব্যবহৃত হয়। হেক্সাডেসিমেল হল একটি ১৬ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ১৬টি চিহ্ন, প্রতীক বা সংখ্যা রয়েছে। এগুলি হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E এবং F।
আমরা সাধারণত যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি তাকে বলা হয় দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। কম্পিউটার যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এরকম আরো অনেক সংখ্যা পদ্ধতি আছে।
নিচে কয়েকটি সংখ্যা পদ্ধতির নাম দেওয়া হল।
1. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (০ থেকে ৯ পর্যন্ত)।
2. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি (০ এবং ১)।
3. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি (০ থেকে ৭ পর্যন্ত)।
4. হেক্স-ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি (০ থেকে ১৬ পর্যন্ত- ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ০, A, B, C, D, E এবং F)।
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি
আমরা জানি যে গণিত লেখা কিছু চিহ্ন বা সংখ্যার সাহায্যে করা হয়। যাইহোক, আমরা যে পদ্ধতিতে সংখ্যা লিখি তার উপর নির্ভর করে কতগুলো চিহ্ন বা সংখ্যা লেখা যাবে তা জানা যাই। আমরা সাধারণত যে পদ্ধতিতে সংখ্যা লিখি তাতে দশটি চিহ্ন বা অক্ষর ব্যবহার করা হয়, তাই একে দশমিক পদ্ধতি বলা হয়। অর্থাৎ, দশমিক পদ্ধতিতে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ০ দশটি সংখ্যা থাকে। এই পদ্ধতিতে লেখা সংখ্যার ভিত্তি হল ১০।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
০ এবং ১ এ দুই অঙ্কের সংখ্যা পদ্ধতিকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়। বাইনারি হল সবচেয়ে সহজ সংখ্যা পদ্ধতি। এর ভিত্তি হল ২। ০ এবং ১ চিহ্ন দুটিকে গণিতের ভাষায় সংখ্যা বলা হয়। মাত্র দুটি চিহ্ন বা সংখ্যা দিয়ে সংখ্যা লেখার এই পদ্ধতি বাইনারি পদ্ধতি নামে পরিচিত। তাই এই দুটি সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যা বা বাইনারি অংক বলা হয়। কম্পিউটার বাইনারি সংখ্যার সাহায্যে সব ধরনের গণনা বা যেকোনো কাজ করে থাকে। বাইনারি সংখ্যা দ্বারা গঠিত কম্পিউটার ভাষাকে বাইনারি ভাষা বলে।
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
বাইনারি সংখ্যাগুলিকে বেশ দীর্ঘ হয় তাই অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির উদ্ভব হয়েছে যা এটিকে সহজ এবং সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করে। এই নম্বর সিস্টেমটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ বাইনারি সংখ্যাগুলি প্রক্রিয়া করতে ব্যবহৃত হয়। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল আট। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি সংখ্যা রয়েছে। এগুলি হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ এবং ৭ যার মানে এখানে সবচেয়ে বড় সংখ্যা হল ৭।
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
কম্পিউটারে ব্যবহৃত আরেকটি সংখ্যা পদ্ধতিকে বলা হয় হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি। এই নম্বর সিস্টেমটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ বাইনারি সংখ্যাগুলি প্রক্রিয়া করতেও ব্যবহৃত হয়। হেক্সাডেসিমেল হল একটি ১৬ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ১৬টি চিহ্ন, প্রতীক বা সংখ্যা রয়েছে। এগুলি হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E এবং F। নীচের টেবিলটি দশমিক সংখ্যার পাশাপাশি হেক্সাডেসিমেল সমতুল্য সংখ্যাগুলিও দেখানো হলো৷
দশমিক থেকে বাইনারি রূপান্তর
আসুন এখন জানি কিভাবে একটি দশমিক সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করা যায়। দশমিককে বাইনারিতে রূপান্তর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল দশমিক সংখ্যাকে দুই দ্বারা ভাগ করা। এবং ভাগশেষগুলোকে পাশাপাশি সাজালেই সমতুল্য বাইনারি সংখ্যা পাওয়া যাবে। এখানে শেষ অবশিষ্ট সংখ্যাগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সংখ্যা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। উদাহরণ: চলুন ২৫ (দশমিক) সংখ্যাটিকে বাইনারিতে রূপান্তর করি।
ফলাফল ১১০০১(পঁচিশ) বাইনারি
বাইনারি থেকে দশমিকে রূপান্তর
আমরা একটি সংখ্যার স্থানীয় মান দিয়ে গুণ করে তার মোট মান খুঁজে পেতে পারি। যেমন একক, দশক, শতাব্দী, স্থানীয় মান এইভাবে পাওয়া যাবে। তবে বাইনারি সংখ্যাগুলিকে তাদের স্থানীয় মানগুলিকে গুণ করে এবং প্রাপ্ত মানগুলি যোগ করে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করা যেতে পারে।
নীচে সংখ্যাটি ১১০০১ (বাইনারী পঁচিশ) দশমিক সংখ্যায় রূপান্তরিত হয়েছে।
আপনি যদি একটি বাইনারি সংখ্যার একটি ভগ্নাংশকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করতে চান, আপনি ফলাফলটিকে তার স্থানীয় মান দ্বারা গুণ করতে পারেন এবং গুণফলটিকে যোগ করলে দশমিক সমতুল্য সংখ্যা পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আসুন .১০১০ সংখ্যাটিকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করি।
দশমিক থেকে অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর
যেহেতু অক্টাল সংখ্যার ভিত্তি আট। সুতরাং যেকোনো দশমিক পূর্ণ সংখ্যাকে আট দ্বারা ভাগ করে অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর করা যেতে পারে। ভাগফল শূন্য না হওয়া পর্যন্ত পুনঃবন্টন করতে হবে এবং ভাগফলকে পাশাপাশি সাজিয়ে অক্টাল সংখ্যা পাওয়া যাবে। এখানে শেষ অংশটি সর্বোচ্চ গুক্তত্বের সংখ্যা হিসাবে বিবেচিত হবে। উদাহরণস্বরূপ, আসুন ৭৫ (দশমিক) সংখ্যাটিকে একটি অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর করি।
আপনি যদি একটি দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যাকে অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর করতে চান তবে আপনাকে সেই সংখ্যাটিকে আট দ্বারা গুণ করতে হবে এবং পূর্ণ সংখ্যাটি আলাদা করতে হবে। যদি গুণফলে ভগ্নাংশ থাকে তবে এটিকে আবার গুণ করতে হবে। সবশেষে, পূর্ণ সংখ্যাগুলো পাশাপাশি সাজানো হলে অক্টাল সংখ্যা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রথম পূর্ণ সংখ্যাটিকে সর্বোচ্চ গুক্তত্বে সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আসুন ০.২৫ কে একটি অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর করি।
অক্টাল থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর
অক্টাল সংখ্যা একইভাবে তার স্থানীয় মান দ্বারা গুণিত করে এবং পরে গুণফল দ্বারা যোগ করলে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর হয়। নিচের উদাহরণটি লক্ষ্য করুন। ১১৩.১২ অক্টাল সংখ্যাটি দশমিক সংখ্যায় রূপান্তরিত।
দশমিক থেকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যার ভিত্তি হল ১৬। একটি পূর্ণ দশমিক সংখ্যাকে একটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর করতে এটিকে ১৬ দ্বারা ভাগ করতে হবে। ভাগফলটি শূন্য না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় ভাগ করতে হবে। সবশেষে, ভাগশেষসমূহ শেষ থেকে শুরুতে অবশিষ্টাংশকে বাছাই করলে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পাওয়া যায়৷ ৫৫ দশমিক সংখ্যাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর করা যাক।
ফলাফল: ৩৭ (পঞ্চান্ন হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি)।
আপনি যদি একটি দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর করতে চান তবে আপনাকে পুনঃ পুনঃ ১৬ দ্বারা ভগ্নাংশকে গুণ করতে হবে। গুণফল থেকে প্রাপ্ত পূর্ণসংখ্যাগুলি পাশাপাশি সাজিয়ে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, আসুন আমরা ০.৫০ সংখ্যাটিকে একটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর করি।
ফলাফল: ০.৮ হেক্সাডেসিমেল
হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যার ভিত্তি হল ১৬। আপনি যদি একটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করতে চান, আপনি সেই সংখ্যাটিকে তার স্থানীয় মান দ্বারা গুণ করতে পারেন এবং প্রাপ্ত সংখ্যাগুলি যোগ করলে দশমিক সংখ্যা পাবেন।
A২.৮ কে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর।
যে পদ্ধতি সংখ্যা গণনা করা হয় বা প্রকাশ করা হয়, তাকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এ সকল সংখ্যাকে বিভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় গণনার কাজ করা হয়।
প্রকারভেদঃ
১. ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি
২. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
৩. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
৪. হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
নাম |
বৈশিষ্ট্য |
ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা |
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮ এবং ৯ এই দশটি প্রতীক দিয়ে সব ধরণের সংখ্যা গঠন করা হয়। দশটি প্রতীক বা অংক ব্যবহার করা হয় বলে এ সংখ্যা পদ্ধতিকে বলা হয় দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হচ্ছে ১০। *দশমিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে একক, দশক, শতক এভাবে কোন সংখ্যার মান নির্ণয় করতে হয়। পূর্ণ দশমিক সংখ্যার স্থানীয় মান নির্ণয় করতে সংখ্যার ডানদিক থেকে প্রথম ঘরের মান ১০° (=১) , দ্বিতীয় ঘরের মান ১০১ (=১০), তৃতীয় ঘরের মান ১০২ (=১০০) , চতুর্থ ঘরের মান ১০৩(=১০০০) |
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি |
শূন্য (০) এবং (১) এর অন্তহীন সমবায়ে গঠিত বাইনারী সিস্টেম। বাইনারীতে কেবল দুটি ডিজিট বা প্রতীক ব্যবহৃত হয়। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে টমাস হ্যারিয়ট প্রথম বাইনারী সংখ্যা কাজে লাগান। |
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি |
যে সকল সংখ্যা যে সংখ্যা পদ্ধতিতে আটটি অংক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। |
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি। |
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ষােলটি অংক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অকাল। +এ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংকগুলাে হলাে ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E, F |
যে অ্যালজেবরায় ব্যবহৃত চলকের শুধুমাত্র দুটি মান সত্য এবং মিথ্যা হতে পারে তাকে বুলিয়ান অ্যালজেবরা(Boolean algebra) বলে।
প্রখ্যাত ইংরেজ গণিতবিদ জর্জ বুল 1847 সালে তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ “The mathematical analysis of logic ” এ সর্বপ্রথম বুলিয়ান অ্যালজেবরা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সর্বপ্রথম গণিত ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক আবিষ্কার করেন এবং গণিত ও যুক্তির উপর ভিত্তি করে এক ধরনের অ্যালজেবরা তৈরি করেন। একেই আমরা বুলিয়ান অ্যালজেবরা বলি।
বুলিয়ান অ্যালজেবরায় কোনো ধরনের ভগ্নাংশ, লগারিদম, বর্গ, ঋণাত্মক সংখ্যা, কাল্পনিক সংখ্যা ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় না। শুধু তা-ই না, এখানে কোনো ধরনের জ্যামিতিক বা ত্রিকোণমিতিক সূত্র ব্যবহার করা যায় না। বুলিয়ান অ্যালজেবরায় শুধু মাত্র যৌক্তিক যোগ, গুণ ও পূরকের মাধ্যমে সমস্ত গাণিতিক কাজ করা হয়।
বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যে রাশির মান পরিবর্তনশীল তাকে বুলিয়ান চলক বলে। যেমন- C = A + B, এখানে A ও B হচ্ছে বুলিয়ান চলক। আর যে রাশির মান অপরিবর্তনশীল থাকে তাকে বুলিয়ান ধ্রুবক বলে। এই অ্যালজেবরায় যেকোনো চলকের মান ০ অথবা ১ হয়। এই ০ এবং ১ কে একটি অপরটির বুলিয়ান পূরক বলা হয়। বুলিয়ান পূরকে ‘–’ চিহ্নের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। গণিতের ভাষায় লেখা হয় A এর পূরক A′।
A
B
AB
I
যে সকল টেবিল বা সারণির মাধ্যমে বিভিন্ন গেইটের ফলাফল প্রকাশ করা হয় অর্থাৎ লজিক সার্কিটের ইনপুটের উপর আউটপুটের ফলাফল প্রকাশ করা হয় তাই সত্যক সারণি।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা (Boolean Algebra): শুধু ০ এবং ১ এ দুটি বাইনারি সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে অন্য সকল প্রকার সংখ্যার প্রদর্শন ও হিসাবনিকাশের বীজগণিতীয় পদ্ধতিকে বুলিয়ান আলজেবরা বলে। বুলিয়ান অ্যালজেবরায় প্রতিটি চলকের মান কেবল ০ কিংবা ১ হতে পারে। কোনাে চলকের মান সত্য হলে ১ এবং মিথ্যা হলে ০ ধরা হয়। লজিক গেইট বা যুক্তি বর্তনীর। উচ্চ ভােল্টেজ ১ এবং নিম্ন ভােল্টেজ ০ ধরা হয়।
উলেখ্য, বুলিয়ান অ্যালজেবরা লজিক সার্কিড ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত হয়। জর্জবল ১৮৫৪ সালে গণিত এবং যুক্তির মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে তা সনাক্ত করতে সক্ষম হন। তার এই বীজগণিতই বুলিয়ান অ্যালজেবরা নামে পরিচিত।
লজিক গেট (Logic Gate): লজিক বা যৌক্তিক গেট হলাে এক ধরনের ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা বুলিয়ান এলজেবরা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের যৌক্তিক অপারেশন বা লজিক অপারেশন করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের লজিক গেটের মধ্যে মৌলিক গেট হলাে- AND গেট, OR গেট এবং NOT গেট। এসব গেট ব্যবহার করে অন্যান্য যৌক্তিক গেট তৈরি করা যায়।
মৌলিক গেট |
যৌগিক গেট |
AND, OR এবং NOT |
NAND গেট, NOR গেট, XOR গেট, এবং XNOR গেট |
গেট (Gate) |
বৈশিষ্ট্য |
||||||||||||||||||
OR গেট |
দুই বা ততােধিক ইনপুট এবং একটি মাত্র। আউটপুট থাকে। এখানে আউটপুট ইনপুট
অর গেটের সত্যক সারণি |
||||||||||||||||||
AND গেট |
দুই বা ততােধিক ইনপুট এবং একটি মাত্র । আউটপুট থাকে। এখানে আউটপুট ইনপুটগুলাে। যৌক্তিক গুণফলের সমান। সবগুলাে ইনপুট ১ হলে আউটপুট ১ হয়।। যেকোন একটি ০ হলে আউটপুট ০ হয়।
অ্যান্ড গেটের সত্যক সারণি |
||||||||||||||||||
NOT গেট |
একটি মাত্র ইনপুট এবং একটি মাত্র আউটপুট থাকে। এটি এমন একটি গেট যা আউটপুট, ইনপুটের বিপরীত মান।
নট গেটের সত্যক সারণি |
||||||||||||||||||
NOR গেট |
OR গেট ও NOT গেট এর সমন্বিত গেটকে নর গেট বলে। |
||||||||||||||||||
NAND গেট |
AND গেট ও NOT গেট এর সমন্বিত গেট হল ন্যান্ড গেট। |
||||||||||||||||||
XOR গেট |
Exclusive ORএর সংক্ষিপ্ত রূপ হলাে XOR। XOR গেট মৌলিক গেট দিয়ে তৈরি করা হয়। |
||||||||||||||||||
XNOR গেট |
XOR গেট ও NOT গেট এর সমন্বিত গেটের নাম XNOR। |
অ্যাডার হচ্ছে এমন একটি সমবায় সার্কিট (Combination Circuit) যার সাহায্যে বাইনারি সংখ্যা যোগ করা যায়। যেহেতু কম্পিউটারের যাবতীয় গাণিতিক কাজ বাইনারি যোগের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় তাই অ্যাডার একটি গুরুত্বপূর্ণ সার্কিট।
অ্যাডার দুই প্রকার। যথা–
১. অর্ধযোগের বর্তনী বা হাফ-অ্যাডার : দুই বিট যোগ করার জন্য যে সমন্বিত বর্তনী ব্যবহৃত হয় তাকে হাফ-অ্যাডার বলে।
২. পূর্ণ যোগের বর্তনী বা ফুল-অ্যাডার : দুই বিট যোগ করার পাশাপাশি যে সমন্বিত বর্তনী ক্যারি বিট যোগ করে তাকে ফুল-অ্যাডার বলে।
এনকোডার এর মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য অর্থাৎ যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তর করে।
কিন্তু কম্পিউটারের বোধগম্য অর্থাৎ যান্ত্রিক ভাষা যদি মনিটরের পর্দায় প্রদর্শিত হয় তাহলে মানুষ যান্ত্রিক ভাষা বুঝতে পারবেনা।
আর এই যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরের কাজটিই ডিকোডার করে থাকে।
ফ্লিপ ফ্লপ হচ্ছে একটি মেমরি উপাদান যা ১ বিট তথ্য ধারন করতে পারে। এটি মূলত লজিক গেইট দ্বারা তৈরি।।
রেজিস্টর হলো একটি ইলেক্ট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট বা উপাদান যা বৈদ্যুতিক সার্কিট এ বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করে। বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তে কারেন্ট প্রবাহকে বাধা দেয়ার কাজে যে উপাদান বা কম্পোনেন্ট ব্যবহৃত হয় তাকে রেসিস্টর(Resistor) বলে।
কাউন্টার হলো এমন একটি সিকুয়েন্সিয়াল ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিট, যা তার ইনপুটে দেয়া পালসের সংখ্যা গণনা করতে পারে। কিছু সংখ্যক ফ্লিপ ফ্লপ একসাথে সংযুক্ত করে কাউন্টার তৈরি করা হয়। কাউন্টার দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা গণনা করা হয়।
কম্পিউটার সিস্টেম পরস্পর সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের উপাদান নিয়ে গঠিত, যা ব্যবহারকারী প্রদত্ত কোনো প্রোগ্রামের নির্দেশাবলি পালন করে এবং ফলাফল প্রদান করে।
কম্পিউটার সংগঠন বলতে কেবল হার্ডওয়্যারের সংগঠনকে বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ কম্পিউটার সংগঠন হচ্ছে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের বিন্যাস বা গঠন। কম্পিউটারের কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ বিচ্ছিন্নভাবে সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারে না। কম্পিউটারের সাহায্যে কাজ করার জন্য তাই প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের মধ্যে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজন হয়। নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়াকে কম্পিউটার সংগঠন বলে।
আধুনিক কম্পিউটারের প্রধান সাংগঠনিক অংশগুলো হলো:
১. ইনপুট ইউনিট।
২. অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট বা গাণিতিক যুক্তি অংশ (ALU)।
৩. কন্ট্রোল ইউনিট বা নিয়ন্ত্রণ অংশ।
৪. মেমোরি।
৫. আউটপুট ইউনিট।
১. ইনপুট ইউনিট : ইনপুট দিয়ে কম্পিউটারকে সমস্যা সমাধানের জন্য কাজের নির্দিষ্ট নির্দেশ পালনের উপযোগী প্রয়োজনীয় ডাটা দেয়া হয়। এ ইউনিট বিশেষ মাধ্যম থেকে ডাটা ও প্রোগ্রাম গ্রহণ করে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে রূপান্তর করে কম্পিউটারের মেমোরিতে পাঠায়। কিছু ইনপুট যন্ত্র হলো:
ক. কীবোর্ড;
খ. মাউস;
গ. জয়স্টিক;
ঘ. স্ক্যানার;
ঙ. ডিস্ক;
চ. ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
২. সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) : কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হচ্ছে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ যা কম্পিউটারের মস্তিষ্কস্বরূপ। সিপিইউ যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, হিসাব নিকাশ ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। সিপিইউ এর মধ্যে তিনটি প্রধান ইউনিট থাকে। যেমন:
ক. অ্যারিথমেটিক Logic/লজিক ইউনিট বা গাণিতিক যুক্তি অংশ;
খ. কন্ট্রোল ইউনিট বা নিয়ন্ত্রণ অংশ; ও
গ. মেমোরি বা স্মৃতি ভান্ডার।
৩. আউটপুট ইউনিট : আউটপুট ইউনিট প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পাওয়া ফলাফল মানুষের অনুধাবনযোগ্যরূপে তুলে ধরে। কিছু আউটপুট যন্ত্রপাতি হলো:
ক. মনিটর;
খ. স্পিকার;
গ. প্রিন্টার;
ঘ. প্লটার ইত্যাদি।
ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে ফলাফল হিসেবে তথ্য পাওয়া যায়। এই প্রাপ্ত ডেটাকে প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ, বিন্যাস প্রভৃতির মাধ্যমে অর্থপূর্ণ তথ্য বা ইনফরমেশনে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ বা ডেটা প্রসেসিং (Data processing)। যেমন পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে ছাত্রদের মেধাক্রম নির্ণয়, বাৎসরিক কেনাবেচার সাপেক্ষে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাভ, লােকসানের হিসাব নির্ণয় ইত্যাদি। বাহ্যিকভাবে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করার দুটো পদ্ধতি আছে। যথা হাতে-কলমে ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সহায়তা নিয়ে। তাই ডেটা প্রসেসিং দুই প্রকার, যথা-
১. MDP (ম্যানুয়াল ডেটা প্রসেসিং)
২. EDP (ইলেক্ট্রনিক ডেটা প্রলােসং)
ম্যানুয়াল ডেটা প্রসেসিং (MDP)
কম্পিউটার বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া হাতে কলমে ডেটা প্রসেসিং করাকে MDP (Manual Data Processing) বলে। যেমন: ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন রিপাের্ট বা পে-রােল তৈরি করতে হলে প্রত্যেক কর্মী মােট কত ঘণ্টা কাজ করেছে তার ভিত্তিতে ক্যালকুলেটর চেপে কাগজ-কলমে লিখে যােগ, বিয়ােগ, গুণ ও ভাগ করে চূড়ান্ত রিপাের্ট তৈরি করা। এতে অনেক সময় লাগে এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও প্রচুর।
ইলেক্ট্রনিক ডেটা প্রসেসিং (EDP)
ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে কম্পিউটার বা অন্য কোন যন্ত্রপাতির সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে প্রসেসিং করা হয় তাকে ইলেক্ট্রনিক ডেটা প্রসেসিং বা EDP (Electronic Data Processing) বলা হয়। এতে সময় অনেক কম লাগে এবং একই কাজ বার বার করতে হয় এমন কাজ দ্রুত ও সহজে করা যায়। কম্পিউটার দিয়ে অতি দ্রত নির্ভুলভাবে ডেটা প্রসেসিং করা যায়। এক্ষেত্রে ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা কম্পিউটারে ঢুকানাে হয়। কম্পিউটার তার অস্থায়ী মেমােরিতে ডেটা রেখে প্রোগ্রামের নির্দেশ অনুযায়ী প্রসেসিং করে। কম্পিউটার প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী ডেটাকে বিভিন্নভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে এবং প্রয়ােজনীয় গাণিতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বা যুক্তিনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সবশেষে কাঙ্ক্ষিত তথ্য আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদর্শন করে।
IOPS (Input/Output Operations Per Second) Cycle হল ডিস্ক ড্রাইভের কাজ করার প্রক্রিয়া যা প্রতিটি I/O অপারেশনের মাধ্যমে ঘটে।
সিস্টেমের ডিস্ক ড্রাইভ থেকে ডেটা পড়া এবং ডাটা লেখার কাজে I/O অপারেশন ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি I/O অপারেশনের মধ্যে সিস্টেম ডিস্ক ড্রাইভের মাধ্যমে ডেটা বা ফাইল থেকে পড়া হয় বা ডাটা লেখার জন্য ডিস্ক ড্রাইভে ডেটা লেখা হয়। এই প্রক্রিয়াকে IOPS Cycle বলা হয়।
একটি IOPS Cycle দুটি অংশে বিভক্ত হয়: প্রথমে সিস্টেম ডিস্ক ড্রাইভ থেকে ডেটা পড়া বা লেখার জন্য ডিস্ক ড্রাইভের স্পিন্ডল মটর এবং রেডিং/রাইটিং হেড ঘুরে যায়। এরপর ডেটা মেমরি বা ক্যাশে লোড করা হয়। এই দুইটি অংশ একসাথে IOPS Cycle হিসাবে কাজ করে এবং একাধিক IOPS সম্পন্ন হলে সিস্টেম ডিস্ক ড্রাইভের কাজ পরিস্কার হয়।
হার্ডওয়্যার (Hardware): কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতি সম্পন্ন সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইসসমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
ক. ইনপুট যন্ত্রপাতি: কী-বাের্ড, মাউস, জয়স্টিক, ডিস্ক, স্ক্যানার, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, অপটিক্যাল বা আলােকীয় বর্ণ রিডার, ভিজুয়াল ডিসপ্লে ইউনিট ইত্যাদি।
খ. সিস্টেম ইউনিট (System Unit): সিপিইউ বা মাইক্রোপ্রসেসর, র্যাম, হার্ডডিস্ক, ফ্লোপি ডিস্ক, মাদারবাের্ড, পাওয়ার সাপ্লাই, ভিজিএ/এজিপি কার্ড, নেটওয়ার্ক কার্ড, সাউন্ড কার্ড, সিডিরম ড্রাইভ, কনসােল ইত্যাদি।
গ. আউটপুট যন্ত্রপাতি: মনিটর, প্রিন্টার, প্লেটার, মাইক্রোফিল্ম , ডিস্ক, স্পিকার ইত্যাদি।
Transistor
Capacitor
register
RAM
ইন্টারফেস দুটি এনটিটির মধ্য যোগাযোগের মাধ্যম বা সীমানাকে সংজ্ঞায়িত করে। মূলত এটি একটি এবসট্রাকশন যা একটি এনটিটি যোগাযোগের জন্য নিজেকে প্রদান করে থাকে, বাইরের যেকোন এনটিটিকে। এর ফলে বাইরের কোন এনটিটি কোন একটি এনটিটির নিজস্ব মেথড গুলোকে ব্যবহার করতে পারলেও পরিবর্তন করতে পারে না।
পাওয়ার সাপ্লাই (Power supply): কম্পিউটারের মাদারবাের্ড, কুলিং ফ্যান, হার্ডডিস্ক, পাওয়ার সাপ্লাই, সিডি বা ডিভিডি রােম ও অন্যান্য ড্রাইভকে বিদ্যুৎ শক্তি যােগানের মাধ্যমে সক্রিয় বা কার্যক্ষম করা হয় যার মাধ্যমে, সেটা হল পাওয়ার সাপ্লাই।
কম্পিউটারের বাস হলো এমন একগুচ্ছ তার, যার মধ্যে দিয়ে ডিজিটাল সংকেত ০ বা ১ চলাচল করতে পারে। বাসের সাহায্যেই কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়্যার একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে।
কম্পিউটার বাসকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। -
সিস্টেম বাস:-যে সমস্ত বাস মাদারবোর্ড ও সিপিইউ বা মাইক্রোপ্রসেসরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থেকে মেমরি, ইনপুট আউটপুটসহ অন্যা ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তথ্য আদান প্রদান করে তাদেরকে সিস্টেম বাস বলে। সিস্টেম বাসকে ইন্টারনাল বাসও বলা হয়।
সিস্টেম বাসকে ব্যবহারিক দিক থেকে প্রধানত তিনটি ভাগে করা হয়। যথা
ডেটা বাস (Data Bus) :-
কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের অভ্যন্তরের বিভিন্ন উপাদান যেমন মাইক্রোপ্রসেসর, হার্ডডিস্ক, র্যাম ইনপুট / আউটপুট পোর্ট ইত্যাদির মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানে যে বাস ব্যবহৃত সেই বাসকে ডেটা বাস বলা হয়।
অ্যাড্রেস বাস (Address Bus) :-
কম্পিউটার সিস্টেমে মাইক্রোপ্রসেসর ও মেমরি উভয়ের মধ্যে একগুচ্ছ লাইন বা তার সংযুক্ত থাকে, যার মাধ্যমে মাইক্রোপ্রসেসর মেমরির নির্দিষ্ট অ্যাড্রেসে যোগাযোগ করে তথ্য আহরণ করে বা সংরক্ষণ করে। এই গুচ্ছ লাইন বা তারগুলোই হলো অ্যাড্রেস বাস।
কন্ট্রোল বাস (Control Bus) :-
কন্ট্রোল বাস এক ধরনের দ্বিমুখী বাস। কম্পিউটারের অভ্যন্তরে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী বাস হচ্ছে কন্ট্রোল বাস।
এক্সপানশন বাস (Expansion Bus) বা সম্প্রসারিত বাস :-যে সকল বাস প্রধান বাসের সাহায্যকারী বাস হিসেবে কাজ করে তাকে সম্প্রসারিত বাস বা এক্সপানশন বাস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
মাইক্রোপ্রসেসর:
মাইক্রোপ্রসেসর হলাে একক ভিএলএসআই (VLSI-Very Large Scale Integration) সিলিকন চিপ (Chip)। কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউকে ভিএলএসআই প্রযুক্তির মাধ্যমে একীভূত করে মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করা হয়। মাইক্রোপ্রসেসর মাইক্রো কম্পিউটার বা মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক পদ্ধতির মস্তিষ্ক বা ব্রেইন স্বরূপ। মাইক্রোপ্রসেসরের প্রকৃতি ও ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে কম্পিউটারের ক্ষমতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।
মাইক্রোপ্রসেসরের প্রকারভেদ:
বর্তমানে প্রচলিত মাইক্রোপ্রসেসরকে সাধারণভাবে নিমােক্ত তিনভাগে ভাগ করা যায়-
১. সিস্ক প্রসেসর (CISC Processor)
২. রিস্ক প্রসেসর (RISC Processor)
৩. বিশেষ ব্যবহার কার্যের প্রসেসর (Special Purpose Processor)
সিদ্ধ প্রসেসর (CISC Processor)
>সিল্ক এর পূর্ণ Complex Instruction Set Computing।
>এই প্রসেসরে তুলনামূলকভাবে জটিল ইনস্ট্রাকশন ব্যবহার করা হয়।
>এসেম্বলি ভাষায় প্রােগ্রামিং এর জন্য এ প্রসেসর বেশি উপযােগী।
উদাহরণঃ Intel -Pentium, Motorola-6800, AMD (Advance Micro Device)-K6, AMD Athlon, Cyrix- 486DLC, IBM -Blue Lighting, TI (Texas Instrument)-486SLC/E ইত্যাদি।
রিস্ক প্রসেসর (RISC Processor)
রিস্ক এর পূর্ণনাম (Reduced Instruction Set Computing) এই প্রসেসরে সরল ও ছােট মােডেম ইনস্ট্রাকশন ব্যবহার করা হয়। উচ্চতর ভাষায় প্রােগ্রামিং এর জন্য এ প্রসেসর বেশি উপযােগী। প্রসেসরের উদাহরণঃ Motorola Power PC -601. DEC Alpha-21064, MIPs-R10000, SPARC-TMS390S10 ইত্যাদি।
বিশেষ ব্যবহার কার্যের প্রসেসর (Special Purpose Processor)
বিশেষ কোন কাজের উদ্দেশ্যে অথবা প্রধান প্রসেসরের কার্যক্ষমতা বাড়ানাের জন্য যে সকল প্রসেসর ব্যবহৃত হয়, তাকে বিশেষ ব্যবহার কার্যের প্রসেসর বলে। কোপ্রসেসর হলাে বিশেষ ব্যবহার কার্যের প্রসেসরের উদাহরণ। মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে মাইক্রো কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ কাজ সমাধান করা হয়।
নিচে এ ধরনের কয়েকটি কাজের নাম দেয়া হলাে :
১. কম্পিউটারের সব অংশের নিয়ন্ত্রণ ও সময় নির্ধারণ সংকেত প্রদান করা;
২. মেমােরি ও ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে ডেটার আদান-প্রদান করা;
৩. মেমােরি থেকে ডেটা ও ইনস্ট্রাকশন নেয়া;
৪. ইনস্ট্রাকশন ডিকোড করা;
৫. গাণিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ বা সিদ্ধান্তমূলক কাজ করা;
৬. কম্পিউটারের মেমােরিতে সংরক্ষিত প্রােগ্রাম নির্বাহ করা ও
৭. ইনপুট ও আউটপুট অংশগুলাের সাথে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি।
এসব প্রক্রিয়ার জন্য মাইক্রোপ্রসেসর চিপের অভ্যন্তরে প্রয়ােজনীয় লজিক সার্কিট থাকে। মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকে প্রােগ্রামের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রােগ্রামকে কম্পিউটারের মেমােরি অংশে সংরক্ষণ করা হয়।
সিপিইউ
কম্পিউটারের যে অংশ ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তাকে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ বলে। সিপিইউ কম্পিউটারের মস্তি’ বা ‘বেইন’ স্বরূপ। কম্পিউটারের কাজ করার গতি এবং ক্ষমতা- সিপিইউ-এর ওপর নির্ভরশীল। কম্পিউটারের প্রাণশক্তি হচ্ছে সিপিইউ (CPU)। কম্পিউটারের কাজ করার গতি ও ক্ষমতা সিপিইউর উপর নির্ভরশীল।
সিপিইউ এর গঠন:
সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ নিম্নলিখিত তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। যথা :
১.রেজিস্টার সমূহ (Register Set)।
২.গাণিতিক যুক্তি অংশ (Arithmetic & Logic Unit-ALU)
৩.নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit)
গাণিতিক যুক্তি অংশ (Arithmatic & Logic Unit-ALU): অ্যারিথম্যাটিক অ্যান্ড লজিক্যাল ইউনিট কম্পিউটারের ইনস্ট্রাকশনগুলাে নির্বাহ (Execution) করার জন্য মাইক্রো অপারেশনগুলাে (Micro Operation) পালন করে। এটি কম্পিউটারের গাণিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ বা সিদ্ধান্তমূলক কাজ করে।
নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit): কন্ট্রোল সিপিইউ-এর রেজিস্টেশনসমূহ এবং গাণিতিক যুক্তি অংশের মধ্যে ডেটার আদান-প্রদান তদারকি করে এবং গাণিতিক অংশ কি কাজ করবে তার ইনস্ট্রাকশন প্রদান করে। তাছাড়া কম্পিউটারের সব অংশের নিয়ন্ত্রণ ও সময় নির্ধারণ সংকেত প্রদান করে।
রেজিস্টার সেট: প্রক্রিয়াকরণের সময় অস্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষনের জন্য সিপিইউ-এর ভেতর ইলেক্ট্রনিক সার্কিট দিয়ে গঠিত রেজিস্টারসমূহ দরকার হয়। এ রেজিস্টারগুলো অ্যাকিউমুলেটর রেজিস্টার, ইনস্ট্রাকশন রেজিস্টার, অ্যাড্রেস রেজিস্টার, সাধারণ রেজিস্টার, বিশেষ ব্যবহারকার্যের রেজিস্টার ইত্যাদি।
সিপিইউ-এর কাজ:
১.কম্পিউটারের সব অংশের নিয়ন্ত্রণ ও সময় নির্ধারণ সংকেত (Timing & Control signals) প্রদান করা।
২.মেমােরি ও ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে ডেটার আদান-প্রদান করা (Transferring data)
৩. মেমােরি থেকে ডেটা ও ইন্সট্রাকশন নেয়া (Fetching instructions & date)
৪. ইনস্ট্রাকশন ডিকোড করা (decode)
৫. গাণিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ বা সিদ্ধান্তমূলক কাজ করা (Arithmetic & logical opertions)
৬. কম্পিউটারের মেমােরিতে সংরক্ষিত প্রােগ্রাম নির্বাহ করা ও
৭. ইনপুট ও আউটপুট অংশগুলাের সাথে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি।
অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট বা গাণিতিক যুক্তি অংশ
আরিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট হচ্ছে কম্পিউটারের ক্যালকুলেটর স্বরূপ। এটা সব গাণিতিক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ (Decision making function) করে থাকে। আধুনিক প্রসেসরের কাজে গতি বাড়ানাের জন্য এক বা একাধিক গাণিতিক যুক্তি অংশ ব্যবহার করা হয়। অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিটের কার্যাবলীকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
১. গাণিতিক কাজ (Arithmetic operations).
২.যুক্তিমূলক কাজ (Logical operatios) এবং
৩.ডেটা সঞ্চালন (Data manipulation)।
গাণিতিক কাজ: যােগ, বিয়ােগ, গুণ, ভাগ হলাে গাণিতিক কাজের উদাহরণ। বড়, ছােট বা সমান যাচাইয়ের জন্য বিয়ােগের সহায়তায় দুটি সংখ্যার তুলনাও গাণিতিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তিমূলক কাজ: যুক্তি বর্তনীতে ব্যবহৃত AND, OR, NOT, NOR ইত্যাদি কিংবা এদের সমন্বয়ে গঠিত জটিল যুক্তিমূলক কাজও গাণিতিক যুক্তি অংশ দিয়ে করা যায়।
ডেটা সঞ্চালন: কোনাে রেজিস্টার পরিষ্কারকরণ এ ধরনের কাজের একটি উদাহরণ। এ কাজের ফলে রেজিস্টার শূন্য থাকবে। স্থানান্তর (Shift) দ্বারা রেজিস্টারে রক্ষিত বাইনারি সংখ্যাকে ডানে বা বামে শুধু এক বিট স্থান সরানাে হয় ।
সিস্টেমবাের্ড হিসেবে পরিচিত, কম্পিউটার সিস্টেমের সকল উপাদান প্রত্যক্ষ বা পরেক্ষভাবে যে সর্ববৃহৎ সার্কিটবাের্ডের সাথে যুক্ত থাকে, তাকে মাদার বাের্ড বলা হয়। মাদারবাের্ড মূলত একটি প্রিন্টেড সার্কিড বাের্ড (Printed Circuit Board PCB) যাতে বিভিন্ন ধরনের কানেক্টর এবং এক্সপানশন পাের্ট থাকে। মাদারবাের্ডের সাথে সমস্ত উপাদান যেমন মেমোরি স্টোরেজ, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, হার্ডডিস্ক ড্রাইভ। ডিভিডি ড্রাইভ, ভিডিও কার্ড, সাউন্ড কার্ড, এজিপি কার্ড, ডিভিআর কার্ড, অন্যান্য ইনপুট এবং আউটপুট। ডিভাইসসমূহ যা প্রসেসরের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। বাংলাদেশের বাজারে Intel, Gigabyte, MSI, Asus, ASRock ইত্যাদি মাদারবাের্ড পাওয়া যায়।
কম্পিউটারে কাজ করার সময় বিভিন্ন ধরনের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের সহায়তা নিতে হয়। এসব ডিভাইস কম্পিউটার পদ্ধতির জন্য অপরিহার্য উপাদান। এ ধরনের ডিভাইসসমূহ কম্পিউটারের পেরিফেরাল ডিভাইস হিসেবে পরিচিত।
জয়স্টিক হল একটি ভিডিও গেম কন্ট্রোলার যা ভিডিও গেম খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। জয়স্টিক হলো এমন একটি ইনপুট ডিভাইস যা ব্যবহারকারীর গতিবিধিকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়। জয়স্টিক ইলেকট্রনিক গেমিং ডিভাইসে এবং নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কম্পিউটার সিস্টেমেও ব্যবহৃত হয়।
ভিডিও গেমে ব্যবহৃত প্রথম জয়স্টিকটি 1962 সালে প্রথম তৈরি করা হয়েছিল, যখন স্যান্ডার্স অ্যাসোসিয়েটসের রাল্ফ এইচ বেয়ার এবং বিল রাশ প্রথম ভিডিও গেম কনসোল তৈরি করেছিলেন।
গ্রাফিক্স ট্যাবলেট (যাকে ডিজিটাইজার বা ডিজিটাল ড্রয়িং ট্যাবলেট বা পেন ট্যাবলেট বা ডিজিটাল আর্ট বোর্ড নামেও ডাকা হয়) হল এমন একটি কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস যা ব্যবহারকারীর হাতে আকা ছবি, এ্যানিমেশন এবং গ্রাফিক্সকে বিশেষ কলম সদৃশ স্টাইলাস দিয়ে আকাঁর সুবিধা দেয়। বাস্তবে কোন ব্যক্তি যেমন কাগজে কলম, তুলি, পেন্সিল বা এই ধরনের সামগ্রী দিয়ে ছবি আকে ঠিক তেমনি গ্রাফিক্স ট্যাবলেটে তা আকা হয়। এই সমস্ত ট্যাবলেট দিয়ে হাতে লিখা স্বাক্ষর বা ডেটা ইনপুট হিসেবে কম্পিউটারে দেয়া সম্ভব হয়। এটি দিয়ে কোন ছবিকে একটি কাগজ হতে ট্রেস করা যায় যা ট্যাবলেটের উপরিভাগে ঠিকভাবে রাখলেই শুধুমাত্র সম্ভব। এই পদ্ধতিতে ডেটা কম্পিউটারের ইনপুট করা বা ধারণ করাকে ডিজিটাইজিং বলে।
লাইট পেন হচ্ছে কম্পিউটারের একটি ইনপুট যন্ত্র। লাইট পেন দেখতে অনেকটা কলমের মতো, এইজন্য এটির নাম দেওয়া হয়েছে লাইটপেন। এর এক মাথায় লাইট সেন্সর থাকে যা আলো অনুভব করতে পারে, অন্য প্রান্ত কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত। মনিটরের পর্দার কোন বিন্দুতে লাইটপেনের মাথা নিয়ে এলে সেই বিন্দুতে কি আছে বা সেই বিন্দুর স্থানাঙ্ক CPU বুঝতে পারে। এছাড়া এর দ্বারা VDU পর্দার কিছু লেখা বা ছবি আঁকা যায় বা পর্দার ছবিকে প্রয়োজনমতো পাল্টানো যায়। প্রকৌশল ডিজাইন, বিভিন্ন ধরনের নকশা বা ডায়াগ্রাম তৈরিতে লাইট পেন ব্যবহার করা হয়।
স্ক্যানার হল এক ধরনের হার্ডওয়ার ইলেকট্রনিক ইনপুট ডিভাইস। যেটির সাহায্যে যেকোনো ডাটা স্ক্যান করে কম্পিউটারে নিয়ে যেতে পারি। অর্থাৎ এটির সাহায্যে যেকোনো লেখা, ডকুমেন্ট বা ফটো স্ক্যান করতে পারি এবং সেগুলো কে ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তরিত করতে পারি।
যে ইনপুট ডিভাইসের সাহায্যে যেকোনো লেখা, ডকুমেন্ট, ফটো hard copy থেকে soft copy বা digital copy তে রূপান্তরিত করে তাকে স্ক্যানার বলে।
MICR এর পূর্ণ রূপ Magnetic Ink Character Recognition।
যে মেশিন MICR লেখা পড়তে পারে তাকে MICR Reader বলে। চৌম্বক কালি বা ফেরােসােফেরিক অক্সাইডযুক্ত কালির সাহায্যে MICR লেখা হয়। এই কালিতে লেখা কাগজ শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রে রাখলে কালির ফেরােসােফেরিক অক্সাইড চুম্বকে পরিণত হয়। এরপর এই বর্ণচুম্বকগুলাে তাড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশের দ্বারা তড়িৎপ্রবাহ উৎপন্ন করে। এই আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের মান থেকে কোন বর্ণ পড়া হচ্ছে কম্পিউটার তা বুঝতে পারে ও সঞ্চিত রাখে। এই পদ্ধতিতে ব্যাংকের চেকের চেক নম্বর লেখা ও পড়া হয়। উন্নত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রাহকদের হিসাব নম্বর, জমা রাখা টাকার পরিমাণ, সুদের হিসাব ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটারের সাথে এমআইসিআর ব্যবহার করা হয়। কোন কোন ব্যাংক গ্রাহককে প্লাস্টিক আইডেন্টিটি কার্ড ইস্যু করে থাকে। কার্ডটি ব্যাংক কাউন্টারে ইনপুট করে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব। এতে কোন ব্যাংকে কর্মীর প্রয়ােজন হয় না। কিছু কিছু ব্যাংকে গ্রাহকদের একাউন্ট নম্বর ও সিগনেচার যাচাইয়ের জন্য এমআইসিআর ব্যবহার করা হয়
ওএমআর (OMR)-এর পুরো অর্থ হলো অপটিক্যাল মার্ক রিডার (Optical Mark Reader)। অপটিক্যাল মার্ক রিডার এমন একটি যন্ত্র যা পেন্সিল বা কালির দাগ (Mark) বুঝতে পারে। পেন্সিলের দাগ বোঝা যায় পেন্সিলের সীসের উপাদান গ্রাফাইটের বিদ্যুৎ-পরিবাহিতা বিচার করে। কালির দাগ বোঝা যায় কালির দাগের আলোর প্রতিফলন বিচার করে। অপটিক্যাল মার্ক রিডার বিশেষ ব্যবস্থার সাহায্যে এই দাগগুলোর অস্তিত্ব বুঝতে পারে এবং সঠিক দাগ গণনা করতে পারে। অবজেকটিভ প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষা, বাজার সমীক্ষা, জনগণনা ইত্যাদি কাজে OMR ব্যবহৃত হয়।
ওসিআর (OCR)-এর পূর্ণরূপ অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার (Optical Character Reader)। অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার শুধু দাগই বোঝে না, বিভিন্ন বর্ণের পার্থক্যও বুঝতে পারে। ওসিআর কোন বর্ণ পড়ার সময় সেই বর্ণের গঠন অনুযায়ী কতকগুলো বৈদ্যুতিক সংকেত সৃষ্টি করে। ওসিআরে আগে থেকেই প্রত্যেক বর্ণের বৈদ্যুতিক সংকেত কম্পিউটারে জমা থাকে- এর সাথে মিলিয়ে কোন বর্ণ পড়া হচ্ছে ওসিআর তা বুঝতে এবং কম্পিউটারে জমা রাখতে পারে। চিঠির পিন কোড, ইলেকট্রিক বিল, জীবন বীমার প্রিমিয়াম, নোটিশ ইত্যাদি পড়ার জন্য OCR ব্যবহৃত হয়।
Software designed
An input device
A part of the monitor
A Part of the key-board
কোন পণ্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য (যেমন পণ্যটির দাম কত ছিল, পণ্যটি কবে তৈরি হয়েছিল ও সেটি কন কোম্পানির ইত্যাদি) সেই পণ্যের উপর সমান্তরালভাবে যে সাদা কালো দাগের সারি দেখতে পান তাকেই বারকোড বলে।
বারকোড রিডার হলো এক ধরনের স্ক্যানিং মেশিন। যা বারকোড এর মধ্যে থাকা তথ্য ক্যাপচার করতে এবং পড়তে সাহায্য করে অর্থাৎ দোকানে কোন পণ্য কিনতে গেলে দেখবেন সে পণ্যের উপর একটি বারকোড থাকে । সেই বারকোড এর মধ্যে থাকা তথ্যগুলো ক্যাপচার করতে বা পড়তে যে স্ক্যানিং মেশিন ব্যবহার করা হয় তাকে বারকোড রিডার বা বারকোড স্ক্যানার বলে।
সেন্সর হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যা আমাদের পরিবেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের ইনপুট সংগ্রহ করে তার সাপেক্ষে একটি আউটপুট জেনারেট করে এবং তা প্রদর্শন করে। এখানে ইনপুট হিসেবে আমাদের পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান কাজ করতে পারে যেমন – আলো, চাপ, তাপ, আর্দ্রতা অথবা গতি। সেন্সরটি ইনপুট কালেক্ট করে তা প্রসেস করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল জেনারেট করতে পারে যা হয়তো একটি হিউম্যান-রিডেবল অবস্থায় এনে কোনো ডিসপ্লে’তে দেখানো হবে অথবা অন্য কোনো ডিভাইসে হস্তান্তর করা হবে।
ওয়েবক্যাম হল একটি ভিডিও ক্যামেরা যা কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে রিয়েল টাইম ইমেজ বা ভিডিও আদানপ্রদান করে। এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে ভিডিও চ্যাটিং করা যায়, কম্পিউটার থেকে ভিডিও দেখে নিরাপত্তার কাজ করা যায় এবং ভিডিও রেকর্ডিং করা যায়।
ডিজিটাল ক্যামেরা বলতে এমন ক্যামেরা বোঝায়, যেগুলোতে সনাতনী ফিল্ম ব্যবহৃত হয় না, বরং তার বদলে মেমরী চিপের মধ্যে ছবি ধারণ করে রাখার ব্যবস্থা থাকে।
ডিজিটাল ক্যামেরার মান হিসাব করা হয় মেগা পিক্সেল দিয়ে: যত বেশি মেগা পিক্সেল তত বেশি বড় ছবি ধারণ করার ক্ষমতা। প্রথমে দাম বেশি থাকলেও ফিল্ম ক্যামেরা থেকে অনেক দ্রুত দাম কমছে, এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ফিল্ম লাগেনা এবং সাথে সাথে স্ক্রিনে ছবি দেখা যায় বলে এর চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। নিকট ভবিষ্যতে এটি ফিল্ম ক্যামেরাকে জাদুঘরের পণ্যে পরিণত করতে পারে।
প্রজেক্টর (Projector) হলাে একটি ইলেকট্রো-অপটিক্যাল যন্ত্র যার মাধ্যমে কম্পিউটারের কোন তথ্য, ছবি, ভিডিও বড় স্ক্রিনে উপস্থাপন করা যায়। বিভিন্ন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ক্লাসরুম ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
প্রজেক্টরের মূল কাজগুলাে হলোঃ
বহনযােগ্য প্রজেক্টরের জন্য আদর্শ রেজ্যুলেশন এসভিজিএ (৮০০x৬০০ পিক্সেলের) মানের হতে হয়। প্রজেক্টরের মূল্য শুধুমাত্র এর রেজুলেশনের উপরই নির্ভর করে না, এর ঔজ্জ্বল্যের উপরও নির্ভর করে। বিশাল সভাকক্ষে ব্যবহারের জন্য এর ঔজ্জ্বল্য এক হাজার থেকে চার হাজার এনসি লুমেন্সের হতে হয়।
স্পিকার হচ্ছে কম্পিউটারের একটি আউটপুট ডিভাইস। কম্পিউটারে শব্দ শােনার জন্য স্পিকার ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া পিসির অন্যতম অংশ হলাে স্পিকার। অনেক পিসিতে বিল্ট ইন সাউন্ড প্রসেসর ও স্পিকার থাকে। বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এক্সটারনাল স্পিকার ব্যবহার করে থাকেন। কারণ এগুলাের অডিও মান অত্যন্ত ভালাে হয় এবং এমপ্লিফায়ার যুক্ত থাকে ফলে হাতে ধরে ভলিউম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বর্তমানে ভালাে মানের সাউন্ডের জন্য অনেকে উচ্চমূল্যের সাবওয়েফার এবং থ্রিডি সারাউন্ডেড সাউন্ড স্পিকার ব্যবহার করে থাকেন। কম্পিউটারের ক্যাসিং এর পেছনে সাউন্ড কার্ডের জ্যাকে স্পিকারের ইনপুট জ্যাক লাগাতে হয়।
স্পিকারের ব্যবহার
স্পিকার নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যথা:
(ক) বিবর্ধিত ইলেকট্রিক্যাল শক্তিকে মানুষের শ্রবণযােগ্য শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত করার কাজে ব্যবহার হয়।
(খ) রেডিও, টেলিভিশনে শব্দ তরঙ্গ উৎপাদনের জন্য।
(গ) পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, টেপ রেকর্ডার, কম্পিউটার অ্যামপ্লিফায়ারে মানুষের শ্রবণযােগ্য শব্দ উৎপাদনে।
(ঘ) টেলিকমিউনিকেশন যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার করা হয়।
হেডফোন (Headphone) হলো কানের কাছাকাছি নিয়ে শব্দ শোনার যন্ত্র। একে অনেকে এয়ারফোন বা হেডসেট নামেও ডেকে থাকে। এটি একটি আউটপুট ডিভাইস। সাধারণত মোবাইল ফোন, সিডি/ডিভিডি প্লেয়ার, এমপিথ্রি/এমপিফোর প্লেয়ার, ল্যাপটপ বা পার্সোনাল কম্পিউটারের সাথে ব্যবহার করা হয়। একাকী ব্যবহার করা হয় বলে এতে অন্যের বিরক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে হেডফোনের বহুল ব্যবহার বিশেষ করে উচ্চশব্দে বাজানো থেকে বিরত থাকা উচিত। তা নাহলে আমাদের শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
বর্তমানে তারবিহীন হেডফোন অনেকেই ব্যবহার করে। এগুলো ব্লুটুথ বা ওয়াই ফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের শব্দ শোনায়।
ইনপুট হলাে বাইরে থেকে কোনাে ডেটা বা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য কম্পিউটারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করানাে। কম্পিউটারের যেসব যন্ত্রাংশের মাধ্যমে এতে বিভিন্ন ধরনের ডেটা এন্ট্রি করা হয়, সেসব যন্ত্রাংশকে ইনপুট ডিভাইস বা গ্ৰহণমুখ যন্ত্রাংশ বলে। কীবাের্ড ও মাউস হলাে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইনপুট ডিভাইস। ইনপুট দিয়ে কম্পিউটার সমস্যা সমাধানের কাজের নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং নির্দেশ পালনের জন্য প্রয়ােজনীয় ডেটা দেয়া হয়। এ ইউনিটে বিশেষ মাধ্যম থেকে ডেটা ও প্রােগ্রাম গ্রহণ করে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে রূপান্তরের পর কম্পিউটারের মেমােরিতে সংরক্ষণ করা হয়।
উদাহরণ: কয়েকটি ইনপুট ডিভাইসের উদাহরণ নিচে দেয়া হলাে :
১. কী-বাের্ড
২. মাউস
৩. স্ক্যানার
৪. ভয়েস ডেটা এন্ট্রি পদ্ধতি
৫. ভিজুয়াল ডিসপ্লে ইউনিট
৬. ওসিআর (OCR) বা অপটিক্যাল বা আলােকীয় বর্ণ রিডার
৭. ওএমআর (Optical Mark Reader)
৮. বারকোড রিডার।
৯. পাঞ্চ কার্ড রিডার
১০.পেপার টেপ রিডার
১১. চুম্বক কাল বর্ণ রিডার
১২. চুম্বক টেপ ড্রাইভ
১৩.হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ
১৪. ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ
১৫.ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
ইনপুটের কাজঃ বিভিন্ন প্রয়ােজনীয় ডেটা ও নির্দেশ গ্রহণ করাই ইনপুটের কাজ।
OMR
OCR
MICR
Scanner
যে সকল ডিভাইসে ইনপুট ডেটা প্রসেসিং হওয়ার পর, আউটপুট প্রদান করে সেই সকল ডিভাইসকে আউটপুট ডিভাইস বলে। কম্পিউটারকে বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইসের সাহায্যে যে সমস্ত ইনপুট গুলি দেওয়া হয় সেগুলি কম্পিউটার প্রসেসিং করে, আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ইউজারকে দেখায়।
নিচে ১০ টি আউটপুট ডিভাইসে নাম দেওয়া হলঃ
১। Monitor (মনিটর)
২। Printer (প্রিন্টার)
৩। Plotter (প্লোটার)
৪। Projector (প্রজেক্টর)
৫। Earphone (ইয়ারফোন)
৬। Speaker (স্পিকার)
৭। GPS (জিপিএস)
৮। Sound Card (সাউন্ড কার্ড)
৯। Video Card (ভিডিও কার্ড)
১০। Braille Reader (ব্রেইল রিডার)
কী-বোর্ডঃ এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস। দেখতে অনেকটা টাইপ রাইটারের কী-বোর্ডের টাইপ রাইটারের কী-বাের্ডের বােতামগুলাে শুধু অক্ষর টাইপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। পক্ষান্তরে, কম্পিউটারের কী-বাের্ডের বােতামের সাহায্যে ঢাহপ ছাড়াও
প্রয়ােজনীয় সব ধরনের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
স্ক্যান কোড : কী-বাের্ডে প্রত্যেকটি কী-র একটি অন্যান্য কোড প্রত্যেকটি কী-র একটি অন্যান্য কোড আছে, যাকে স্ক্যান কোড বলা হয়। এ কোড কী-বাের্ডের নকশার ওপর নির্ভর করে না। একই অক্ষর একাধিক কী-তে পরিদৃষ্ট হলেও প্রত্যেকটি কী-র কোড কিন্তু ভিন্ন। যেমন-ডান ও বাম Shift কী দুটির স্ক্যান কোড আলাদা।
কী-বোর্ডে কাজ করে যেভাবে
কম্পিউটার কী-বোর্ডের সাথে অনুক্রমিক বা সিরিয়াল ইন্টারফেসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। কী বোর্ডের সাথে কম্পিউটারকে সংযুক্ত করার জন্য সাধারণত পাঁচ বা ছয় পিনের DIN সংযােজন ব্যবহার করা হয়। এ সংযােজনের মাধ্যমে আট বিট প্রস্থের ডেটা অনুক্রমিকভাবে বিনিময় করা হয়।
কী-বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য যেমন কী-বোর্ডের অভ্যন্তরে মাইক্রোপ্রসসেসর থাকে, তেমনি কম্পিউটারের অভ্যন্তরে কী-বোর্ডে সংক্রান্ত কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানের জন্য কী-বোর্ড
কন্ট্রোলার চিপ থাকে। কী-বাের্ডে কোনাে একটি কী চাপ দেয়ার মুহূর্তের মাঝেই সংশ্লিষ্ট অক্ষরটি মনিটরের পর্দায়, প্রতীয়মান হয়। কোনাে একটি অক্ষরের সাথে সংশ্লিষ্ট কী চাপ দেয়ার সময় থেকে মনিটরের পর্দায় অক্ষরটি পরিদৃষ্ট হওয়া পর্যন্ত কি ঘটে তার প্রতি ধাপের পর্যানুক্রমিক বর্ণনা নিচে দেয়া হয়েছে।
১. কী-বোর্ডের অভ্যন্তরস্থ চিপ প্রথমে কোন কীটি চাপ দেয়া হয়েছে তা নির্ধারণ করে।
২. কী-বোর্ডে কন্ট্রোলার চিপ এরপর কীর সাথে জড়িত কী-কোডটি কী-বোর্ডে বাফারে (Keyboard buffer) সংরক্ষণ করে এবং একই সাথে কী-বোর্ডে ক্যাবল দিয়ে কী-কোডটি কম্পিউটারকে পাঠায়।
৩. কী-বোর্ডে কন্ট্রোলার কীবাের্ডের জন্য নির্ধারিত ইনপুট মুখ দিয়ে কী কোডটি পড়ে এবং কী-বাের্ডের নকশার ওপর ভিত্তি করে কী-কোডকে স্ক্যান কোডে রূপান্তরিত করে।
৪. কী-বোর্ডে কন্ট্রোলার এরপর ৯ নং বায়ােস ইন্টোপ্টের মাধ্যমে কম্পিউটারকে একটি স্ক্যান কোডের উপস্থিতির কথা অবগত করায়। বায়ােসে এ পর্যায় থেকে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
৫. কীবোর্ডের ইন্টেরাপ্ট হ্যান্ডলার স্ক্যান কোডটি পড়ে এবং কোন কীটি চাপ দেয়া বা ছেড়ে দেয়া হয়েছে তা নির্ধারণ করে এবং স্ক্যান কোডটি কোন কন্ট্রোল অক্ষরের ইন্টেরাপ্ট হ্যান্ডলার ঐ কন্ট্রোল অক্ষরের নির্ধারিত কাজটি সমাপন করে। অর্থাৎ অক্ষরটি মনিটরে দেখা যায়।
কী এর ধরন |
কাজ |
ফাংশন কী |
তথ্য সংযােজন বা বিয়ােজন প্রদান। |
নিউমেরিক কী-প্যাড |
যােগ, বিয়ােগ, গুণ ও ভাগ |
অ্যালফানিউমেরিক কী |
অ্যালফাবেট (A-Z), নিউমেরিক (0-9) গুলাে টাইপ করা। |
মডিফাইড কী |
শিফট= Shift, কন্ট্রোল = Ctrl, অল্টার = Alt, ডিলেট = Del, ব্যাক স্পেস = Back space, এন্টার = Enter, হােম = Home, পেজ আপ Page Up, পেজ ডাউন = Page Down, এন্ড = End, এসকেপ = Esc এবং ট্যাব = Tab ইত্যাদি কমান্ড দেওয়া। |
কার্সর মুভমেন্ট কী |
কার্সরকে বিভিন্ন দিকে সরানো |
যে ইলেকট্রনিক হার্ডওয়ার আউটপুট ডিভাইসে কম্পিউটার সিস্টেমের কোন তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পর প্রাপ্ত ফলাফল দেখতে পাই তাকে মনিটর বলে।
কম্পিউটারকে কোন ইনপুট দিলে কম্পিউটার CPU তে সেটা প্রসেস করে এবং মনিটর এর মাধ্যমে আমাদেরকে আউটপুট দেয়। আমরা জানি কিবোর্ড হল ইনপুট ডিভাইস তো কীবোর্ড এ যদি A টাইপ করি সেটা CPU তে প্রসেসিং হয় এবং মনিটরে আমরা A আউটপুট দেখতে পাই।
IC মানে হলো Integrated Circuit. আই.সি. কে সিলিকন চিপ বা চিপ বলা হয়।
এটি এক ধরনের মাইক্রো ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, যাতে অনেকগুলো ট্রানজিস্টর, ডায়োড, রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর ইত্যাদি কম্পোনেন্ট সিলিকন চিপের উপর নির্মান করে জোড়া লাগানো হয়। এটি দেখতে চ্যাপটা, ছোট, কালো বা ধুসর রঙের হয়। আই.সি. ডিজিটাল ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। আই.সি. ব্যাবহারের ফলে সার্কিট অনেক ছোট এবং অধিক কর্মক্ষমতা সম্পন্ন হয়। এক খন্ড পাতলা এবং ক্ষুদ্রাকৃতির সিলিকন ক্রিস্টালের উপর অনেকগুলো ট্রানজিস্টর, ডায়োড, রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর ইত্যাদি বসিয়ে আই.সি. তৈরি করা হয়।
BIOS এর পূর্ণরূপ হলো: Basic Input Output System
Basic Input Output System হল একটি প্রোগ্রাম যা উইন্ডোজ ভিত্তিক কম্পিউটারগুলিতে পূর্বে থেকেই ইনস্টলড থাকে যা কম্পিউটার শুরু করার জন্য ব্যবহার করে। যা কীবোর্ড, ডিসপ্লে স্ক্রিন, ডিস্ক ড্রাইভ এবং অন্যান্য ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় জেনেরিক কোড ধারণ করে। অপারেটিং সিস্টেমটি লোড হওয়ার আগেই সিপিইউ BIOS এ অ্যাক্সেস করে। BIOS তারপরে আপনার সমস্ত হার্ডওয়্যার সংযোগগুলি পরীক্ষা করে এবং আপনার সমস্ত ডিভাইস সনাক্ত করে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তবে BIOS অপারেটিং সিস্টেমটিকে কম্পিউটারের মেমোরিতে লোড করে এবং বুট-আপ প্রক্রিয়াটি(boot-up process) শেষ করে।
BIOS শব্দটি প্রথম ১৯৭৬ সালে আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী গ্যারি কিল্ডাল (Gary Kildall) দ্বারা তৈরি হয়েছিল। এটি IBM এর প্রথম ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ১৯৮১ সালে সংযুক্ত করা হয়েছিল এবং পরবর্তী বছরগুলিতে, অন্যান্য পিসিগুলির মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। গ্যারি কিল্ডাল “BIOS” শব্দটি তৈরি করেছিলেন এমন একটি মেশিনের একটি অংশ হিসেবে যা বুট আপের সময় লোড হয় এবং মেশিনের অন্যান্য হার্ডওয়্যারের সাথে যোগাযোগ করে।
ROM BIOS
CPU
boo.ini
None
BIOS
Boot
Bus
Cache
যে হার্ডওয়ার আউটপুট ডিভাইস যা হার্ডকপি তৈরি করতে এবং কম্পিউটার থেকে ডাটা বা আউটপুট গ্রহণ করে কাগজে তথ্য স্থানান্তর করে তাকে প্রিন্টার বলে।
যেকোনো ধরনের নথি যেমন টেক্সট, ফাইল, ছবি, ডকুমেন্ট ইত্যাদি জিনিস আমরা প্রিন্টারের মাধ্যমে কাগজের উপর প্রিন্ট করতে পারি।
হাব
রিসোর্স
সার্ভার
অ্যাডস্টার
মাউস(MOUSE) এর পূর্ণরূপ Manually Operated User Selection Equipment।
মাউস হল এক ধরনের ছোট হার্ডওয়ার ইনপুট ডিভাইস (input device) যা হাত দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এর জন্যে এটিকে hand operated input device ও বলা হয়। এটি কম্পিউটারের কার্সারের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাইল, ফোল্ডার, টেক্সট আইকন সারাতে এবং নির্বাচন করতে ব্যবহার করা হয়।
ডগলাস এঞ্জেলবার্ট (Douglas Engelbart) 1964 সালে সর্বপ্রথম মাউস আবিষ্কার করেন। তিনি 1964 সালে Stanford Research Institute জন্য কাজ করার সময় এটি আবিষ্কার করেছিলেন।
প্লটার এক ধরনের প্রিন্টার। স্থপতি, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য ধরনের নকশাবিদ এবং যারা মানচিত্র তৈরি করেন তাদের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম রেখার সুস্পষ্ট ও সঠিক ব্যবহারের জন্য প্লটার ব্যবহার করা হয়। প্লটারে অনেক চওড়া কাগজে প্রিন্ট করা যায়, যা মানচিত্র এবং বিভিন্ন প্রকার নকশার জন্য অপরিহার্য।
প্লটার দু’রকম। যথা–
১. ফ্ল্যাট বেড প্লটার (Flat bed Plotter) : ফ্ল্যাট বেড প্লটারের উপর অনুভূমিকভাবে কাগজ স্থির হয়ে থাকে। একটি বাহকের উপর বসানো পেন x y উভয় অক্ষ বরাবরই সরতে পারে। সফটওয়্যারের নির্দেশ মতো CPU পেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে গ্রাফ বা ছবি আঁকে।
২. ড্রাম প্লটার (Drum Plotter) : ড্রাম প্লটারে একটি ঘূর্ণমান অনুভূমিক ড্রামের উপর কাগজ জড়ানো থাকে। কাগজের উপর বসানো পেন কেবল অক্ষ বরাবর (ডাইনে বা বামে) সরতে পারে। ড্রামের ঘূর্ণনের ফলে কাগজ সামনে বা পেছনে সরে যেতে পারে। CPU সফটওয়্যারের নির্দেশ অনুযায়ী পেন ও ড্রাম উভয়ের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখানেও একাধিক পেন দ্বারা বহু বর্ণ গ্রাফ ও ছবি আাঁকা যায়।
কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলি সম্পাদন করার জন্য কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় ডেটা ও নির্দেশনা প্রদান করতে হয়। এ ধরনের নির্দেশনাবলির সমষ্টিকেই বলা হয় সফটওয়্যার। সফটওয়্যার অদৃশ্য শক্তি। একে ধরা বা ছোঁয়া যায় না।
সফটওয়্যার প্রধানত দুই প্রকার। যথা:
১. সিস্টেম সফটওয়্যার ( System software )
২. ব্যবহারিক সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ( Application software )
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও বিভিন্ন সফটওয়্যারকে কার্যকর করার জন্য ব্যবহৃত সাহায্যকারী প্রোগ্রামসমূহকে সিস্টেম সফটওয়্যার বলে।
সিস্টেম সফটওয়্যার তিন প্রকার: যথা- i) অপারেটিং সফটওয়্যার ii) ইউটিলিটি সফটওয়্যার ও iii) ডিভাইস সফটওয়্যার
i) অপারেটিং সফটওয়্যারঃ কম্পিউটার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করার জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ( Operating System Software ) বলে। যেমন: উইন্ডোজ ( Windows ), ম্যাক ( Mac ), লিনাক্স ( Linux ) ইত্যাদি। অপারেটিং সফটওয়্যার ( O S ) ছাড়া কম্পিউটার পরিচালনা করা যায় না। আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সফটওয়্যার হলো Windows 7, Windows 10
ii) ইউটিলিটি সফটওয়্যারঃ যেসব সফটওয়্যার কম্পিউটারের রক্ষণাবেক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয় তাকে Utility Software বলে। যেমন: এন্টিভাইরাস, ডিস্ক ক্লিনার, ব্যাকআপ ইউটিলিটি ইত্যাদি। কম্পিউটারের পারফরমেন্স বৃদ্ধি করার জন্য ইউটিলিটি সফটওয়্যার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
iii) ডিভাইস সফটওয়্যারঃ ডিভাইস এর সাথে যেসব সফটওয়্যার দেওয়া হয় তাকে Device Software বলে। এগুলোকে ড্রাইভারও বলা হয়। ডিভাইস সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাঝে ট্রান্সলেটর হিসাবে কাজ করে। যেমন- আপনি যদি নতুন একটি স্ক্যানার/প্রিন্টার/মডেম কিনেন তাহলে প্রথমে এটি কম্পিউটারে যুক্ত করার সময় একটি Driver ইন্সটল করতে হয়। একেই বলে ডিভাইস সফটওয়্যার। কখনো এসব ডিভাইস সফটওয়্যার ডিভাইসের সাথে দেওয়া থেকে কখনো আলাদা সিডি/ডিভিডি এর মধ্যে দেওয়া থাকে। বিশেষ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিতে হয়।
Firefox
Notepad
Windows 98
Avira
None of these
কোন বিশেষ কাজ সম্পাদানের উদ্দেশ্যে যে সফটওয়্যার তৈরি করা হয় তাকে ব্যবহারিক সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে। এই সফটওয়্যার নির্দিষ্ট কোনো কাজ সম্পাদান করতে ব্যবহারকারীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন: Accounting Software ( Odoo Accounting / Wave Accounting ), Graphics Software ( Illustrator / Photoshop ), Internet browser ( Google Chrome / Mozilla Firefox), Office Program ( MS- Word / Excel / Power point ) etc.
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে অনেকে অ্যাপস (apps) বলে।
Application Software দুই প্রকার। যথাঃ i) কাস্টমাইজড সফটওয়্যার ii) প্যাকেজ সফটওয়্যার
i) কাস্টমাইজড সফটওয়্যারঃ কাস্টমাইজড সফটওয়্যার একটি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম যা কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে নির্দিষ্ট কাজ বা সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করা ব্যয় বহুল তবে সুবিধা হলো প্রয়োজনে Customized Software পরিবর্তন করা যায়।
ii) প্যাকেজ সফটওয়্যারঃ ব্যবহারিক কাজ করার জন্য যেসব সফটওয়্যার বিনামূল্যে বা অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোকে প্যাকেজ সফটওয়্যার বলে। একই ক্যাটাগরির কাজ করার জন্য, একই বৈশিষ্ট্য নিয়ে বান্ডেল আকারে প্যাকেজ সফটওয়্যার পাওয়া যায়। সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো Package Software জনসাধারণের জন্য পাবলিকলি উপস্থাপন করে। যেমন: মাইক্রোসফট কোম্পানির অফিস প্রোগ্রাম ( ওয়ার্ড / এক্সেল / পাওয়ার পয়েন্ট ), এডোভি এর ( ফটোশপ / ইলাস্ট্রটর ) ইত্যাদি। Package Software তুলানামূলক স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়। তবে ইহা ব্যবহারকারীর ইচ্ছা বা সুবিধা মতে পরিবর্তন করা যায় না।
এমএস ওয়ার্ড
উইন্ডোজ
লিনাক্স
ডস
কোনোটিই নয়
সফটওয়্যার হলো কতকগুলো প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের সমষ্টি, যা হার্ডওয়্যারকে কর্মক্ষম করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রদান করে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে কার্যোপযোগী করা হয়। Dos, Windows, MS Office, Adobe Photoshop, Video Player, Pagemaker ইত্যাদি হলো সফটওয়্যারের উদাহরণ।
কম্পিউটারকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে হলে তাকে বিশেষভাবে নির্দেশ দিতে হয়। কম্পিউটারের প্রসেসর কেবল একটি নির্দিষ্ট সেটের কমান্ড এক্সিকিউট করতে পারে, যাকে বলে ইনস্ট্রাকশন সেট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে অংশটুকু যন্ত্রকে মানুষের মত করে মানুষের ভাষা ব্যবহার করার ক্ষমতা দেয় সেটাকে 'ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং টুল' বলতে পারি।
প্রোগ্রামের সংগঠন বলতে কোন প্রোগ্রামের গঠনশৈলীকে বোঝায়। প্রত্যেক প্রোগ্রামের তিনটি অংশ যথা- ইনপুট, আউটপুট এবং প্রসেসিং থাকা অপরিহার্য। ইনপুট হলো ফলাফল লাভের জন্য প্রোগ্রামে যে ডাটা ও ইস্ট্রাকশন দেওয়া হয় তাই। আউটপুট হলো প্রক্রিয়াকরণের ফলে প্রাপ্ত ফলাফল। আর প্রসেসিং হলো প্রোগ্রামে দেয়া নির্দেশ অনুসারে প্রদেয় ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে তথ্যে পরিণত করা। এগুলোর মধ্যে দিয়ে একটি প্রোগ্রাম গঠিত হতে পারে। আর এটিকেই প্রোগ্রামের সংগঠন বলা হয়।
কম্পিউটারের সাহায্যে কোনাে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রােগ্রাম তৈরির পাঁচটি ধাপ আছে। যথা-
ক. সমস্যা বিশ্লেষন।
খ. প্রােগ্রাম ডিজাইন
গ. প্রােগ্রাম ডেভেলপমেন্ট বা কোডিং।
ঘ প্রােগ্রাম বাস্তবায়ন (টেস্টিং ও প্রােগ্রামের ডিবাগিং)
ঙ. প্রােগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ।
ক. সমস্যা বিশ্লেষণ (Problem analysis) : সমস্যা নির্দিষ্ট করার পর সমস্যা সম্বন্ধে বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করতে হয়। এর জন্য সমস্যাকে ছােট ছােট অংশে ভাগ করা হয়। প্রয়ােজনে চার্ট, তালিকা, গ্রাফ ইত্যাদির আশ্রয় নিতে হয়। একে বলে সিস্টেম বিশ্লেষণ। সমস্যার বিশ্লেষণে বর্তমান সিস্টেমের নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে গুরুত্ব দিতে হয়-ইনপুট শনাক্তকরণ ও আউটপুট শনাক্তকরণ।
খ. প্রােগ্রাম ডিজাইন (Program design): প্রােগ্রাম ডিজাইন বলতে বােঝায় সমস্যা সমাধান করার জন্য বর্তমান সিস্টেমের প্রয়ােজনীয় সংশােধন করে নতুন সিস্টেমের মূল রূপরেখা নির্ণয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনাে জটিল সমস্যাকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারলেই তার সহজ সমাধান বেরিয়ে আসে। সমাধানের জন্য সমস্যাকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে প্রত্যেক অংশ সম্বন্ধে পৃথকভাবে ও সব অংশ সম্বন্ধে সামগ্রিকভাবে চিন্তা করতে হয়। বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক সম্বন্ধও বিচার করতে হয়। নতুন সিস্টেমের আর্থিক দিকও ভেবে দেখতে হয়। প্রােগ্রাম ডিজাইনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে অন্তর্ভুক্ত। যথা-
অতঃপর সামগ্রিকভাবে চিন্তা করে প্রােগ্রামের বিভিন্ন অংশ কার্যকরী করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে তৈরি করতে হয়।
গ. প্রােগ্রাম ডেভেলপমেন্ট বা কোডিং (Program coding) : অ্যালগােরিদম, ফ্লোচার্ট ও সুডােকোড থেকে সুবিধামত কোনাে প্রােগ্রামিং ভাষায় প্রােগ্রাম লিখতে হয়। এ হলাে প্রােগ্রামিং-এর সবচেয়ে সহজ অংশ, একে প্রােগ্রাম কোডিং (Coding) বলে।
ঘ. প্রােগ্রাম বাস্তবায়ন (Program development) : প্রােগ্রাম কোডিং করার পর প্রােগ্রাম বাস্তয়বান করা হয়। এ পর্বের প্রথমে প্রােগ্রামকে টেস্টিং করা হয় এবং টেস্টিং করার পর প্রয়ােজন অনুসারে সংশােধন করা হয়। প্রােগ্রামে ভুল থাকলে তা সংশােধন করা হয়। প্রোগ্রামের ভুলকে প্রােগ্রামের বাগ বলা হয়। আর এ বাগ সংশােধন করাকে ডিবাগিং বলা হয়।
ঙ. প্রোগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ (Program maintenance); বাইরের পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য মাঝে মাঝে প্রােগ্রামে ছােটখাট পরিবর্তন করার প্রয়ােজন হয়। একে বলে রক্ষণাবেক্ষণ। সাধারণত কোনাে প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার স্থাপনের কয়েক বছর পর থেকে নতুন প্রােগ্রাম তৈরি করার চেয়ে পুরানাে প্রোগ্রামে রক্ষণাবেক্ষণে বেশি সময় ব্যয় হয়। জটিল প্রােগ্রামকে সাধারণত কতগুলাে ছােট অংশে ভাগ করা হয়, প্রত্যেক অংশকে বলে মডিউল (Module)। প্রত্যেক মাডিউল একটি নির্দিষ্ট কাজ করে। প্রােগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ সহজ করার জন্য প্রােগ্রামের সঠিক ডকুমেন্টেশন তৈরি করতে হবে।
অ্যালগােরিদম শব্দটি আরব দেশের গণিতবিদ আল খারিজমী’র নাম থেকে উৎপত্তি হয়েছে। অ্যালগােরিদম অর্থ ধাপে ধাপে সমস্যা সমাধান অর্থাৎ একটি সমস্যাকে কয়েকটি ধাপে ভেঙ্গে প্রত্যেকটি ধাপ পরপর সমাধান করে সমগ্র সমস্যা সমাধান করা।
অ্যালগােরিদম চারটি শর্ত সিদ্ধ করে। যথা-
১. অ্যালগােরিদম সহজবােধ্য হবে।
২. কোনাে ধাপই দ্ব্যর্থবােধক হবে না, প্রত্যেকটি ধাপ স্পষ্ট হবে যাতে কম্পিউটার সহজেই তা বুঝতে পারে।
৩. সসীমসংখ্যক ধাপে সমস্যার সমাধান হবে, কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ সময়েই সমাধান পাওয়া যাবে।
৪. একে ব্যাপকভাবে প্রয়ােগ করা সম্ভব হবে।
কম্পিউটার নিজে চিন্তা করে কোনাে কিছু করতে পারে না বলেই এভাবে অ্যালগােরিদমের মাধ্যমে তাকে পরপর কি করতে হবে সেই নির্দেশ দিতে হয়। অ্যালগােরিদম হাই লেভেল ভাষায় অনুবাদ করে তবেই ইনপুটে দিতে হয়।
ফ্লোচার্ট হলাে এমন কতগুলাে ছবি যা থেকে বােঝা যায় সমস্যা সমাধান করতে হলে পরপর কিভাবে অগ্রসর হতে হবে। একে ফ্লোচার্ট বলার কারণ এ থেকে প্রােগ্রামের প্রবাহ (Flow) কিভাবে হচ্ছে তা বােঝা যায়। ফ্লোচার্ট প্রােগ্রাম বুঝতে প্রভূত সাহায্য করে ফলে বিভিন্ন প্রােগ্রামার সিস্টেম বিশ্লেষক, কম্পিউটার ব্যবহারকারী প্রমুখের মধ্যে যােগাযােগের সুবিধা হয়।
ফ্লোচার্ট এর প্রকারভেদ ও সুবিধাবলী
ফ্লোচাটকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. সিস্টেম ফ্লোচার্ট এবং
২. প্রােগ্রাম ফ্লোচার্ট।
একটি উন্নতমানের ফ্লোচার্ট নিম্নলিখিত সুবিধা প্রদান করে :
১. সহজে প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য বােঝা যায়।
২. প্রােগ্রামের ভুল নির্ণয়ে সহায়তা করে।
৩. প্রােগ্রাম পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে সহায়তা করে।
৪. প্রােগ্রাম রচনায় সহায়তা করে।
৫. সহজে ও সংক্ষেপে জটিল প্রােগ্রাম লেখা সম্ভব হয়।
ফ্লোচার্ট আঁকার নিয়ম
ফ্লোচার্ট আঁকার নিয়মাবলী নিচে বর্ণনা করা হলাে :
১. প্রবাহ রেখার দ্বারা কোন চিহ্নের পর কোন চিহ্নের কাজ হবে তা বােঝানাে হয়। সাধারণত উপর থেকে নিচে বা বাম থেকে ডানদিকে প্রবাহ অগ্রসর হয় ।
২. একাধিক প্রবাহরেখা পরস্পরকে ছেদ করলেও তাদের মধ্যে কোনাে লজিক্যাল সম্পর্ক বা যােগাযােগ বােঝায় না।
৩. চিহ্নগুলাে ছােট বা বড় যে কোনাে সাইজের হতে পারে কিন্তু তাদের বিশিষ্ট আকৃতি যেন বজায় থাকে।
৪. প্রত্যেক ফ্লোচার্টের একটি নাম থাকবে, তাছাড়া রচয়িতার নাম ও তারিখ দিতে হবে।
৫. প্রয়ােজনে চিহ্নের সঙ্গে মন্তব্যও দেওয়া যায়।
৬. যতদূর সম্ভব রেখার ছেদ কম হওয়া ভালাে।
৭. বেশি সংযােগ রেখার পরিবর্তে সংযােগ প্রতীক ব্যবহার করা ভালাে।
৮. প্রতিটি ব্লকের লেখা সংক্ষেপে অথচ সহজবােধ্য হওয়া দরকার।।
৯. ফ্লোচার্ট বিশেষ কোনাে প্রােগ্রামের ভাষায় লেখা ঠিক নয়।
১০.ফ্লোচার্টের কোনাে অংশের বিস্তারিত বর্ণনা প্রয়ােজন হলে সে অংশের জন্য পৃথকভাবে বিস্তারিত ফ্লোচার্ট ব্যবহার করা ভালাে।
সুডো (Pseudo) গ্রিক শব্দ। প্রোগ্রামাররা অনেক সময় প্রোগ্রামের জন্য যে কোড লেখা হবে তার একটি খসড়া টেক্সট ভার্সন তৈরি করেন, একটি দেখতে অনেকটা প্রোগ্রামিং কোডের মতে হলেও আসল নয়। প্রোগ্রামের ধরন ও কার্যাবলি তুলে ধরার জন্য কিছু সংখ্যক নির্দেশ বা স্টেটমেন্টের সমাহারকেই সুডোকোড বলা হয়।
প্রােগ্রামের ভুলত্রুটি খুঁজে বের করে তা দূর করাকে বলে ডিবাগিং। এর আক্ষরিক অর্থ পোকা বাছা। ১৯৪৫ সালে মার্ক 1 কম্পিউটারটির ভেতরে একটি মথপোকা ঢোকায় কম্পিউটারটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ থেকেই ডিবাগিং কথাটির উৎপত্তি । সব ভুলত্রুটি দূর না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রােগ্রামই ব্যবহার করা যায় না। ডিবাগিং এর জন্য প্রথমে প্রােগ্রামের আগাগােড়া ভালাে করে পরীক্ষা করে দেখা হয়। এ ছােটখাট ভুল এতেই দূর হয়ে যায়। এরপরও যেসব ভুল থেকে যায় সেগুলাে দূর করতে হলে প্রথমে সিনট্যাক্স ভুল দূর করে তারপর লজিক ভুল দূর করা হয়।
প্রোগ্রাম ডিজাইন মডেল : প্রােগ্রামের গঠনশৈলীকে বা প্রােগ্রামের গঠন রীতিনীতিকে প্রােগ্রামের মডেল বলা হয়। সুচারুভাবে প্রােগ্রাম লেখা এবং সহজে বােঝার জন্য প্রােগ্রাম রচনার ক্ষেত্রে কয়েকটি মডেল ব্যবহার করা হয়। এই মডেলগুলাে প্রােগ্রামের অনুধাবনযােগ্যতা বৃদ্ধি করে।
উল্লেখযােগ্য কয়েকটি প্রোগ্রাম ডিজাইন মডেল সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে:
স্ট্রাকচার্ড প্রােগ্রামিং:- ডাচ কম্পিউটার বিজ্ঞানী এডগার ওয়েইবে ডেইস্ট্রা (Edsger Wybe Dijkstra) প্রথম বড় আকারের প্রােগ্রাম উন্নয়নের উদ্দেশ্যে স্ট্রাকচার্ড প্রােগ্রামিং-এর ধারণা দেন। স্ট্রাকচার্ড মডেলে পুরাে সমস্যাকে বিভিন্ন অংশ বা মডিউলে ভাগ করা হয়। প্রতিটি মডিউলকে ছােটো আকারের সমস্যা ভাবা যেতে পারে।
অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রােগ্রামিং (OOP):- যে প্রকার প্রোগ্রামিং এ অনেক অনেক অবজেক্ট কে নিয়ে বা অবজেক্ট কে ঘিরে প্রোগ্রামিং করা হয় তাকে OOP বা অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং বলে।
ভিজুয়্যাল প্রােগ্রামিং:- এটি এমন এক ধরনের ভাষা যা কোডিং আকারে আইকন, বোতাম এবং প্রতীকের মতো গ্রাফিকাল উপাদান ব্যবহার করে। এই প্রোগ্রামিং ভাষা কম্পিউটার দ্বারা উত্পন্ন কোডিং ধারণার চাক্ষুষ চিত্রের অনুমতি দেয়। এই ধরনের প্রোগ্রামিং ভাষা অ-প্রযুক্তিগত ব্যবহারকারীদের চার্ট এবং প্রক্রিয়াগুলিকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে যা বেশিরভাগ নতুনরা বুঝতে পারে। ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহারকারীদের সহজভাবে একটি টেনে আনতে এবং ড্রপ ইন্টারফেস ব্যবহার করতে দেয় এবং কম-কোড প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করে।
ইভেন্ট ড্রাইভেন প্রােগ্রামিং:- যে প্রোগ্রামিং এর বিভিন্ন নির্দেশ বা ইনস্ট্রাকশন চিত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয় তাকে ইভেন্ট ড্রাইভেন প্রোগ্রামিং বলে। কী-বোর্ডের কোনো কী তে চাপ দেওয়া, কোনো বিশেষ কন্ট্রোলের ওপর মাউসের পয়েন্ট দিয়ে ক্লিক করা ইত্যাদি হলো ইভেন্ট। ব্যবহারকারী যখন কোনো কমান্ড বাটনের ওপর ক্লিক করেন তখন সেই নির্দেশটি কার্যকর হয়। এক্ষেত্রে Command হচ্ছে ‘নিয়ন্ত্রণ’ বা ‘কন্ট্রোল’ এবং ক্লিক করা হচ্ছে ‘ইভেন্ট’।
সি প্রোগ্রামিং হল একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা যা উন্নয়ন করেছেন Dennis Ritchie। এটি একটি লো-লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষা যা একটি কম্পিউটার সিস্টেমের ভিতরে কাজ করতে পারে। এটি অ্যাসেম্বলি ভাষার চেয়েও উচ্চতর এবং সরল প্রোগ্রামিং ভাষা।
সি প্রোগ্রামিং ভাষাটি প্রথমবার বেল ল্যাবরেটরিজে ব্যবহার করা হয়েছিল কারণ তারা একটি সমস্যার সমাধান করার জন্য একটি ভাষা প্রয়োজন ছিল যা সিস্টেম লেভেলে কাজ করতে পারে। এরপর সি প্রোগ্রামিং একটি গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা হিসাবে বিকাশ পেয়েছে এবং এখনও একটি জনপ্রিয় ভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সি প্রোগ্রামিং দ্বারা আমরা কম্পিউটার এপ্লিকেশন এবং সিস্টেম সফ্টওয়্যার উন্নয়ন করতে পারি।
যে সকল ঘটনা বা ফ্যাক্ট প্রক্রিয়াকরণের জন্য সংগ্রহ করা হয় তাকে বলা হয় ডাটা বা উপাত্ত। যেমন- ছাত্র ছাত্রীদের রেজাল্ট প্রস্তুত করার জন্য সংগৃহীত নাম, রোল নং, বিভিন্ন বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর হলো এক একটি ডাটা। আর বিভিন্ন ধরনের ডাটার বিন্যাসই হলো ডাটা টাইপ।
সি প্রোগ্রামিং ভাষা ডাটা টাইপের জন্য বেশ সমৃদ্ধ। সাধারণত ডাটা টাইপ মেশিনের উপর নির্ভরশীল। ANSI C তে চার ধরনের ডাটা ব্যবহৃত হয়। যথা–
(১) মৌলিক বা প্রাইমারী বা ফান্ডামেন্টাল ডাটা টাইপ (Primary or Fundamental data type)
(২) ব্যবহারকারী কর্তৃক সংজ্ঞায়িত বা ইউজার ডিফাইন ডাটা টাইপ (User define data type)
(৩) ডিরাইভড ডেটা টাইপ (Derived data type) এবং
(৪) ফাঁকা বা এ্যামটি ডাটা টাইপ (Empty data type)
সাধারণত ডাটা টাইপ বলতে Primary (or fundamental) data type কেই বোঝানো হয়। প্রাইমারী ডাটা টাইপকে আবার নিচের মত করে ভাগে ভাগ করা যায়:
চলক (Variable) হলো মেমোরি (RAM) লোকেশনের নাম বা ঠিকানা। Variable হলো Memory location এর নাম। যে নাম দ্বারা একজন User বা ব্যবহারকারী Memory location কে access করে থাকে। ইহা একজন User বা ব্যবহারকারী প্রদত্ত বিভিন্ন Value কে Hold করে। যেমনঃ a,b,c, Sum, Product, account, b_c, etc.
চলক নামকরণ
কম্পাইলারের কাজ হাই লেভেল ভাষার উৎস প্রােগ্রামকে বস্তু প্রােগ্রামে অনুবাদ করা। এটি গৌণ মেমােরিতে থাকে। কোনাে নির্দিষ্ট কম্পাইলার একটিমাত্র হাই লেভেল ভাষাকে মেশিন ভাষায় পরিণত করতে পারে। তাই ভিন্ন ভিন্ন হাই লেভেল ভাষার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কম্পাইলার প্রয়ােজন।
কম্পাইলারের প্রধান কাজ হলাে:
১. উৎস প্রােগ্রামের উপাত্ত বস্তু প্রােগ্রামে অনুবাদ করা।
২. প্রােগ্রামের সাথে প্রয়ােজনীয় রুটিন যােগ করা।
৩. প্রােগ্রামে কোনাে ভুল থাকলে তা জানানাে।
৪. প্রধান মেমােরিতে প্রয়ােজনীয় স্মৃতি অবস্থানের ব্যবস্থা করা।
Compiler কার্যপ্রণালী
কম্পাইলারের প্রধান প্রধান সুবিধা
১. পুরাে প্রােগ্রামটিকে একবারেই বস্তু প্রােগ্রামে অনুবাদ করে ।
২. প্রােগ্রামে কোনাে ভুল থাকলে তা জানানাে।
৩.প্রধান মেমােরিতে প্রয়ােজনীয় স্মৃতি অবস্থানের ব্যবস্থা করা (Allocation)
৪. প্রয়ােজনে বস্তু বা উত্স প্রােগ্রামকে ছাপিয়ে বের করা।
কম্পাইলারের অসুবিধা হলাে কম্পাইলার যেহেতু পুরাে প্রোগ্রামটিকে একবারেই বস্তু প্রােগ্রামে অনুবাদ করে, তাই ধাপে ধাপে এর ভুল শনাক্ত করা যায় না ফলে সাথে সাথে সংশােধনও করা যায় না।
প্রথম কম্পিউটার প্রােগ্রামের রচয়িতা
ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা অগাস্টা অ্যাডা বায়রনকে প্রথম কম্পিউটার প্রােগ্রামের রচয়িতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
কম্পিউটারের ভাষা
কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র । ইলেকট্রনিক সংকেতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটারের ভাষা। গণিতের বাইনারি পদ্ধতিতে যে কোনাে সংখ্যাকে ১ এবং ০ দ্বারা প্রকাশ করা যায়। এরূপ বাইনারি যে কোনাে সংখ্যাকে ইলেক্ট্রনিক অন/অফ করে প্রকাশিত ভাষাই হলাে ইলেকট্রনিক ল্যাঙ্গুয়েজ বা কম্পিউটারের ভাষা। বাইনারি হলাে এমন সংখ্যা পদ্ধতি, যাতে যে কোনাে সংখ্যাকে ০ এবং ১ দ্বারা প্রকাশ করা যায়। যেমন, ২৯ কে ১১১০১ দ্বারা, ২০৩ কে ১১০০১০১১ দ্বারা প্রকাশ করা যায়। এভাবে যে কোনাে সংখ্যাকে ১ এবং ০ দ্বারা প্রকাশ করা যায়। কম্পিউটার কেবল ইলেকট্রনিক সংকেত অর্থাৎ সার্কিটে বিদ্যুৎ আছে কি নেই তা বােঝে। অর্থাৎ কম্পিউটার শুধু দুটি অবস্থা বােঝে। বাইনারি 1 দ্বারা বিদ্যুৎ আছে (On) এবং 0 দ্বারা। বিদ্যুৎ নেই (Off) এর উপর ভিত্তি করেই কম্পিউটারের ভাষা তৈরি করা হয়েছে। এভাবে যে কোনাে শব্দ বা চিহ্ন কম্পিউটারকে বােঝার উপযােগী করে অর্থাৎ ০ এবং ১ এ রূপান্তরিত করে। দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ এ।
প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ
মেশিনের ভাষায় বিদ্যুতের অনুপস্থিতিকে ০ এবং উপস্থিতিকে ১ ধরা হয়। কিন্তু ০ এবং ১ দিয়ে লেখা মানুষের পক্ষে বুঝা কঠিন। প্রাথমিক পর্যায়ে কম্পিউটারের জন্য এ কঠিন কাজটি করতে হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মানুষ কম্পিউটারকে মানুষের ভাষার কাছাকাছি কিছু শব্দ চেনাতে সক্ষম হয়েছিল। এ রকম কৃত্রিমভাবে তৈরী করা ভাষা দিয়ে প্রণীত নির্দেশাবলি কম্পিউটার বুঝতে পারে। এ ভাষাকে বলা হয় প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। কম্পিউটার দিয়ে সহজে কোনাে সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারকে তার নিজস্ব বােধগম্য ভাষায় নির্দেশ প্রদান করতে হয়। কম্পিউটারের নিজস্ব ও বােধগম্য ভাষায় নির্দেশ প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী শব্দ, বর্ণ, সংকেত ইত্যাদির সুনির্দিষ্ট বিন্যাস হচ্ছে প্রােগ্রাম। প্রোগ্রামে ব্যবহৃত বর্ণ, শব্দ, সংকেত ইত্যাদি নির্দিষ্ট গঠনে তৈরি হয় প্রােগ্রামের ভাষা।
বিভিন্ন স্তরের প্রােগ্রামের ভাষা
প্রােগ্রামের ভাষাকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পাঁচটি স্তরে (Level) বা প্রজন্মে (Generation) ভাগ করা যায়। যথা-
ক. প্রথম প্রজন্ম ভাষা (১৯৪৫) : মেশিন ভাষা (Machine Language);
খ. দ্বিতীয় প্রজন্ম ভাষা (১৯৫০) : অ্যাসেম্বলি ভাষা (Assembly Language);
গ. তৃতীয় প্রজন্ম ভাষা (১৯৬০) : উচ্চতর বা হাই লেভেল (High Level) ভাষা।
ঘ. চতুর্থ প্রজন্ম ভাষা (১৯৭০) : অতি উচ্চতর বা ভোর হাই লেভেল (Very High Level) ভাষা ও
ঙ. পঞ্চম প্রজন্ম ভাষা (১৯৮০); স্বাভাবিক বা ন্যাচারাল (Natural) ভাষা।
ইন্টারপ্রেটারের কাজ হাই লেভেল ভাষার উৎস প্রােগ্রামকে মেশিন ভাষায় পরিণত করা। এটি একটি নির্দেশ মেশিন ভাষায় অনুবাদ করে তা কার্যে পরিণত করতে পারে এবং এরপর পরবর্তী নির্দেশে হাত দেয়।
ইন্টারপ্রেটারের সুবিধা : এর ব্যবহারে প্রােগ্রামের ভুল সংশােধন করা বা প্রােগ্রামের পরিবর্তন করা সহজ হয়। ইন্টারপ্রেটার প্রােগ্রাম আকারে ছােট বলে এর ব্যবহারে মেমােরি অবস্থানের জায়গা বাঁচে। অনুদিত বস্তু প্রােগ্রামকে মেমােরিতে সঞ্চয় করে রাখতে হয় না।
ইন্টারপ্রেটারের অসুবিধা ; ইন্টারপ্রেটার ব্যবহারে প্রােগ্রাম কার্যকরী করতে প্রচুর সময় লাগে। কারণ ইন্টারপ্রেটারের ক্ষেত্রে প্রােগ্রাম কার্যকরী করার সময়ের মধ্যে অনুবাদের সময়ও ধরতে হয়। ইন্টারপ্রেটর ব্যবহারে যতবার প্রােগ্রাম কার্যকরী করতে হয় ততবারই প্রােগ্রামের নির্দেশগুলাে একটির পর একটি অনুবাদ করতে হয়।
কম্পাইলার ও ইন্টারপ্রেটারের মধ্যে পার্থক্য
কম্পাইলার ও ইন্টারপ্রেটারের মধ্যে পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলাে :
কম্পাইলার |
ইন্টারপ্রেটার |
কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রােগ্রামটি এক সাথে অনুবাদ করে। |
ইন্টারপ্রেটার এক লাইন করে পড়ে এবং অনুবাদ করে। |
কম্পাইলার প্রােগ্রামের সবগুলাে ভুল এক সাথে প্রদর্শন করে। |
ইন্টারপ্রেটার প্রতিটি লাইনের ভুল প্রদর্শন করে অনুবাদ কার্য বন্ধ করে দেয়। |
ডিবাগিং ও টেস্টিং-এর ক্ষেত্রে ধীর গতিসম্পন্ন। |
ডিবাগিং ও টেস্টিং-এর ক্ষেত্রে দ্রুত গতিসম্পন্ন |
কম্পাইলারের মাধ্যমে প্রােগ্রাম রূপান্তরের পর পুনঃরুপান্তরের প্রয়ােজন হয় না অর্থাৎ একবার কম্পাইল করা হলে পরবর্তীতে আর কম্পাইল করা প্রয়ােজন হয় না |
ইন্টারপ্রেটারের মাধ্যমে রূপান্তরিত প্রোগ্রাম পুন:রূপান্তরের প্রয়ােজন। |
কম্পাইলারের মাধ্যমে রূপান্তরিত প্রোগ্রাম পূর্ণাঙ্গ যান্ত্রিক প্রােগ্রামে রূপান্তরিত হয়। এই প্রােগ্রামকে অবজেক্ট প্রােগ্রাম বলে। |
ইন্টারপ্রেটারের মাধ্যমে রূপান্তরিত ভােগ পূর্ণাঙ্গ যান্ত্রিক প্রােগ্রামের রূপান্তরিত হয় না। |
বড় ধরনের কম্পিউটারে একে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। |
মাইক্রো কম্পিউটারে এবং পকেট কম্পিউটার অধিক ব্যবহার হয়ে থাকে। |
এই প্রােগ্রামটি সাধারণত বড় হয়ে থাকে এবং প্রধান মেমােরিতে বেশি জায়গার প্রয়ােজন হয়। |
এই প্রােগ্রামটি সাধারণত ছােট হয়ে থাকে এবং প্রধান মেমােরিতে কম জায়গার প্রয়ােজন হয়। |
প্রােগ্রাম নির্বাহের জন্য কম সময় প্রয়ােজন। |
প্রােগ্রাম নির্বাহের জন্য বেশি সময় প্রয়ােজন। |
Java হল একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম যা Sun Microsystems প্রথম 1995 সালে প্রকাশ করে।
এটি একটি ক্লাস-ভিত্তিক, অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড ল্যাঙ্গুয়েজ যা পোর্টেবল করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যার অর্থ Java কোড বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমে চলতে পারে। Java ব্যাপকভাবে এন্টারপ্রাইজ-স্তরের অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল অ্যাপস, ভিডিও গেমস এবং অন্যান্য ধরণের সফ্টওয়্যার তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি "একবার লিখুন, যেকোনো জায়গায় চালান" দর্শনের জন্য পরিচিত, কারণ Java ভার্চুয়াল মেশিন ( JVM) সমর্থন করে এমন যেকোনো প্ল্যাটফর্মে চালানোর জন্য Java কোড কম্পাইল করা যেতে পারে। উপরন্তু, Java একটি বৃহৎ এবং সক্রিয় ইকোসিস্টেম আছে যেখানে ডেভেলপারদের জন্য প্রচুর লাইব্রেরি এবং ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে।
ডেটাবেজকে বলা হয় তথ্যভাণ্ডার। ডেটাবেজ হলো কম্পিউটারভিত্তিক একটি পদ্ধতি, যার সাহায্যে সংগৃহীত উপাত্ত সংরক্ষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী পুনরুদ্ধার করা যায়। অন্য কথায়, ডেটাবেজ হচ্ছে সংগৃহীত উপাত্তের ভাণ্ডার, যা থেকে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিভিন্ন উপায়ে এবং আকারে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, ডেটাবেজ হলো অসংখ্য উপাত্তের একটি সুসজ্জিত তালিকা, যেখান থেকে নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয় কোনো উপাত্তকে দ্রুত এবং খুব সহজেই শনাক্ত করার উপায় বা পন্থা আছে। এ তথ্যভাণ্ডারে বিভিন্ন প্রকার এবং বিপুল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়। একজন ব্যবহারকারী তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো তথ্য এ তথ্যভাণ্ডার থেকে আহরণ বা সংগ্রহ করতে পারেন ।
একটি ডেটাবেজ মূলত কলাম এবং সারির সমন্বয়ে গঠিত। প্রত্যেকটি কলামের একটি করে হেডিং বা শিরোনাম থাকে। এই হেডিং বা শিরোনাম থেকেই বোঝা যায় সেই কলামে কী ধরনের ডেটা বা তথ্য আছে। হেডিং বা শিরোনামগুলো ফিল্ড নামে পরিচিত। আর পাশাপাশি কয়েকটি কলামের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি সারি । প্রতিটি সারিকে বলা হয় রেকর্ড।
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রধান কার্যবলী নিম্নে উল্লেখ করা হলো
১. নতুন রেকর্ড সংযোজন করা ।
২. প্রয়োজনে রেকর্ড আপডেট করা।
৩. অপ্রয়োজনীয় রেকর্ড মুছে ফেলা ।
৪. ডেটা সংরক্ষণ করা।
৫. ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৬. ডেটার অনুলিপি (ডুপ্লিকে
ডেটাবেজের উপাদানসমূহ হলো-
অ্যাট্রিবিউট/ফিল্ড/কলামঃ কোনো একটি এনটিটি সেটের যে প্রোপার্টিজগুলো ঐ এনটিটির বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশ করে এবং যার ওপর ভিত্তি করে উপাত্ত গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ করা হয় তাকে অ্যাট্রিবিউট বলে। অনেক সময় অ্যাট্রিবিউটকে ডেটা আইটেম, ডেটা উপাদান, ডেটা ফিল্ড, ফিল্ড, আইটেম, এলিমেন্টারি আইটেম, অবজেক্ট প্রোপার্টি ইত্যাদি বলা হয়। যেমন - Student info একটি এনটিটি যার অ্যাট্রিবিউট হলো Id, Name ইত্যাদি। অ্যাট্রিবিউটকে ভিজুয়্যাল ডেটাবেজ প্রোগ্রামে সাধারণত ডেটা ফিল্ড বলে। অ্যাট্রিবিউটকে আবার বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
অ্যাট্রিবিউট ভেলু বা মানঃ একটি এনটিটি সেটের প্রত্যেকটি অ্যাট্রিবিউটের একটি নির্দিষ্ট মান আছে। অ্যাট্রিবিউটের এ মানকে তার ভেল্যু বলে। যেমন: Student_Info একটি এনটিটি সেট যার অ্যাট্রিবিউট হলো Id, Name, Address ইত্যাদি। এখন প্রতিটি অ্যাট্রিবিউটের একটি নির্দিষ্ট মান আছে।
এনটিটি/রেকর্ড/টাপল/সারিঃ কোনো নির্দিষ্ট ডেটা ফাইলে ব্যবহৃত অ্যাট্রিবিউটের মানের সমষ্টিকে বলা হয় এনটিটি। অন্যভাবে বলা যায়, কোনো ডেটাবেজের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য যেসব রেকর্ড ব্যবহার করা হয় তাকে এনটিটি বলে। এনটিটির বাস্তব উপস্থিতি থাকতে পারে অথবা এটি শুধুমাত্র ধারণার ওপর ভিত্তি করে হতে পারে।
এনটিটি সেট/টেবিলঃ এনটিটি সেট হলো সমজাতীয় এনটিটির সমাবেশ অর্থাৎ ডেটাবেজের অন্তর্গত ডেটা ফাইল বা টেবিলসমূহকে এক একটি এনটিটি সেট বলা হয়। টেবিলকে ডেটাবেজ স্ট্রাকচারের ফাউন্ডেশন ধরা হয়। টেবিল হচ্ছে ডেটা স্ট্রাকচারের একটি রূপ যা রো ও কলামের এক সমন্বয়। আর একটি টেবিলের প্রাইমারি ফাংশন হচ্ছে ইনফরমেশন বা তথ্য সংরক্ষণ। এই তথ্য সমূহ রো ও কলাম আকারে সংরক্ষিত হয় ডেটাবেজের নির্দিষ্ট টেবিলে অর্থাৎ টেবিল হচ্ছে তথ্যের ধারক। একটি টেবিল হতে তথ্য উপস্থাপন করা হয়। একটি টেবিল হতে ডেটা সর্ট, ফিল্টার, ক্যালকুলেট এবং মেনিপুলেট করা সহজ। একটি রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে টেবিল সবকিছুর মূল।
কুয়েরি
কুয়েরি পদ্ধতিতে শর্তযুক্ত তথ্য আহরণ ও প্রদর্শন করা যায়। তবে, শর্তযুক্ত তথ্য সংরক্ষণ এবং মুদ্রণ নেওয়ার জন্য প্রদর্শিত তথ্য কুয়েরি আকারে সংরক্ষণ করতে হয়। কুয়েরি আকারে সংরক্ষিত তথ্য সরাসরি মুদ্রণ নেওয়া যায়। তবে, মুদ্রণ নেওয়া বা মুদ্রিত আকারে তথ্য সরবরাহের জন্য রিপোর্ট আকারে রূপান্তরিত করে নিতে হয়। এতে তথ্য আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায় ।
কুয়েরি পদ্ধতিতে তথ্য আহরণ এবং সংরক্ষণ
ধরা যাক, প্রণীত টেবিলের ভিত্তিতে কুয়েরি পদ্ধতিতে তথ্য আহরণ এবং সংরক্ষণ করতে হবে। এ জন্য –
১. ডেটাবেজের টেবিল ১ (Table 1 ) খোলা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি টেবিলই আছে।
২. Create মেনুর রিবনে কুয়েরি Query Design আইকন ক্লিক করলে কুয়েরি পদ্ধতিতে তথ্য আহরণের ছক আসবে। এ ছকের সঙ্গে Show Table ডায়ালগ বক্স আসবে।
3. Show Table ডায়ালগ বক্সে Table 1 সিলেক্ট করে Add বোতামে ক্লিক করলে ফিল্ড ধারকে টেবিলের সব ফিল্ড বা হেডিং অন্তর্ভুক্ত অবস্থায় পাওয়া যাবে ।
8. Show Table ডায়ালগ বক্সের Close বোতামে ক্লিক করে ডায়ালগ বক্সটি বন্ধ করে দিতে হবে।
৫. ফিল্ড বক্সের ফিল্ডের নামের উপর ডবল ক্লিক করলে ওই ফিল্মটি ছকের প্রথম ফিল্ড ঘরে চলে আসবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সব ফিল্ড ছকের ফিল্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া যেতে পারে অথবা শুধু প্রয়োজনীয় কয়েকটি ফিল্ড অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া যেতে পারে। বর্তমান উদাহরণে নাম, বয়স, গ্রাম এবং ইউনিয়ন ফিল্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৬. যে ফিল্ডের ভিত্তিতে তথ্য আহরণ করা প্রয়োজন সেই ফিল্ডের বরাবর নিচে ক্রাইটেরিয়া (Criteria) সারির ঘরে শর্ত যুক্ত করতে হবে। যেমন- বয়সের ক্ষেত্রে কয়েক রকম শর্ত আরোপ করা যেতে পারে।
Leaf
Internal node
Root
Outside
Java
MySQL
Oracle
উপরের সবগুলো
ডেটা সিকিউরিটি অবজেক্ট লেবেলে ডেটাবেজের একসেস ও ব্যবহার নিয়লন করে। এক্ষেত্রে কোনাে ব্যবহারকারী কী কী অবজেক্ট ব্যবহার করতে পারবে এবং কী ধরনের অ্যাকশন প্রয়ােগ করতে পারে তাকে ডেটা সিকিউরিটি বলে।
ব্লকচেইন টেকনোলজি হল একধরনের ডিজিটাল লেজার টেকনোলজি যা তথ্য রেকর্ড করে। বিশেষ করে লেনদেনের তথ্য। এমনভাবে করে যাতে সেগুলো পরিবর্তন করা, হ্যাক করা, দুর্নীতি করা বা সিস্টেমে প্রতারণা করা প্রায় অসাধ্য। এই লেনদেনগুলি ব্লকচেইনে কম্পিউটার সিস্টেমের সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কের সঙ্গে বিতরণ এবং রেকর্ড করা হয়। অন্য ভাবে বললে, এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত বিতরণ নেটওয়ার্ক যা চেইনে ব্লকের আকারে বিভিন্ন লেনদেন রেকর্ড করে। যখনই ব্লকচেইনে কোনও নতুন লেনদেন হয় তখনই তার রেকর্ড প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর লেজারে রেকর্ড করা হয়। কারও পক্ষে এই এন্ট্রি পরিবর্তন করা সম্ভব নয় কারণ প্রত্যেক লেনদেন রিয়েল টাইমে নথিভুক্ত করা হয়।
এক্সেল হলো মাইক্রোসফট অফিসের একটি স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম এবং অফিস ৩৬৫ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অ্যাপ্লিকেশন। মাইক্রোসফট এক্সেল -এর মাধ্যমে একজন ইউজার স্প্রেডশিটের ডাটা ফরম্যাট, অর্গানাইজ এবং ক্যালকুলেট করতে পারবেন। এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটি উইন্ডোজ, ম্যাক-ওএস, এন্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যায়।
এ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামটির সাহায্যে জটিল গাণিতিক গণনা, ডাটা এন্ট্রি ও তথ্যকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনায় নিখুঁতভাবে চার্ট বা গ্রাফ তৈরি করা ইত্যাদি আরও অনেক জটিল কাজকে অতি সহজে সমাপন করা যায়। এক্সেলের সুবিশাল পৃষ্ঠাটি কলাম ও সারিভিত্তিক সেলে বিভক্ত হওয়ায় এতে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি করে তথ্য বিশ্লেষণ করা যায় বলে একে স্প্রেডশীট অ্যানালাইসিস প্রোগ্রাম বলা হয়।
ফর্মুলা (Formula) : ফর্মুলা হল এক বা একাধিক সেল অ্যাড্রেস বা সেলের মধ্যে উপযুক্ত সংখ্যাগুলির মধ্যেকার বিভিন্ন গাণিতিক অপারেশন। ফর্মুলা ব্যবহার করে এক বা একাধিক সেলের সংখ্যাগুলির যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, বর্গমূল ইত্যাদি সহজ গাণিতিক অপারেশন। Accounting, Finance, Statistical, Engineering প্রভৃতি জটিল গণনার কাজও সম্পন্ন করা হয়। ফর্মুলা লেখার নিয়মটি হল -
i. Worksheet-এর যে সেলে ফর্মুলা লিখতে হবে সেই সেলটি সিলেট করতে হবে।
ii. এরপর = চিহ্ন কী-বোর্ড থেকে টাইপ করতে হবে।
iii. এরপর প্রথম সেলের অ্যাড্রেস টাইপ করতে হবে।
iv. এরপর প্রয়োজনীয় গাণিতিক Operator (+ - * /ইত্যাদি) টাইপ করতে হবে।
v. এবার পরবর্তী সেল অ্যাড্রেস টাইপ করতে হবে।
vi. সবশেষে Enter প্রেস করতে হবে এবং সেলে ফলাফল প্রদর্শিত হবে।
কোনে বিশেষ হিসাব নিকাশ সম্পাদনের জন্য মান নির্ণয়ের জন্য স্পেডশীটগুলোতে পূর্ব থেকে নির্ধারিত ফর্মুলাকে ফাংশন বলে।
ডাটা সর্টিং বা ডাটা সাজানো বলতে একই শ্রেণিভুক্ত ডাটাকে তাদের মানের ঊর্ধ্বক্রম বা অধঃক্রম অনুসারে সাজানোকে বুঝায়। ডাটা নিয়ে কাজ করার সময় ডাটাকে সর্টিং করার প্রয়োজন হয়। ডাটাকে দুই ভাবে সর্টিং বা সাজানো যায়। যথা:
Excel Macros হল একটি রেকর্ড এবং প্লেব্যাক টুল যা আপনার এক্সেলের ধাপগুলিকে সহজভাবে রেকর্ড করে এবং ম্যাক্রো এটিকে আপনি যতবার চান ততবার প্লে করবে৷ VBA ম্যাক্রো সময় বাঁচায় কারণ তারা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজগুলিকে স্বয়ংক্রিয় করে।
এটি প্রোগ্রামিং কোডের একটি অংশ যা এক্সেল পরিবেশে চলে তবে আপনাকে ম্যাক্রো প্রোগ্রামের কোডার হতে হবে না। যদিও, ম্যাক্রোতে উন্নত পরিবর্তন করতে আপনার VBA এর প্রাথমিক জ্ঞান থাকা দরকার।
Excel Chart হলো একটি শক্তিশালি টুলস যা ডাটাকে ভিজুয়ালিভাবে বিভিন্ন চার্ট ফরমেটে (যেমন:Bar, Column, Pie, Line, Area, Doughnut, Scatter, Surface, or Radar charts) প্রদর্শন করতে পারে।
মেমোরির সংজ্ঞা (Define Memory) : যে যন্ত্রাংশের মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত, ছবি, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তাকে কম্পিউটারের ভাষায় মেমোরি বা স্মৃতি বলে।
কম্পিউটারের যে অংশে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে তথ্য-উপাত্ত জমা হয় তাকে কম্পিউটারের স্মৃতি বা মেমোরি বলে। কম্পিউটারের মেমোরি হিসাবে র্যাম, রম, হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডি, প্রেনড্রাইভ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। মেমোরিতে দুই ভাবে অর্থাৎ স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে তথ্য ও উপাত্ত সংরক্ষণ করা যায়।
স্টোরেজ ডিভাইস মানে হচ্ছে কোন কিছু স্টোর কোরে রাখা। অর্থাৎ স্টোরেজ ডিভাইস হলো এক ধরনের হার্ডওয়ার কম্পনেন্টস যেখানে সমস্ত ডেটা গুলো আমরা সেভ করতে পারি temporary অথবা permanently। একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়ার এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
স্টোরেজ ডিভাইস মূলত দুই প্রকার।
১. primary storage device
২. Secondary storage device
primary storage device:- প্রাইমারি স্টোরেজ হলো মাইক্রোপ্রসেসরের কর্মক্ষেত্র বা ওয়ার্কপ্লেস। প্রোগ্রাম চলাকালীন সময়ে কম্পিউটারে প্রেগ্রামের বিভিন্ন তথ্য ও ফলাফলকে অস্থায়ীভাবে সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসসমূহকে প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস বলা হয়। যেমন- র্যাম।
Secondary storage device:- কম্পিউটারে বিপুল পরিমাণে তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হার্ডওয়্যারসমূহকে বলা হয় সেকেন্ডারি ডিভাইস।
যেমন:- হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডি, পেনড্রাইভ, জিপ ড্রাইভ, ম্যাগনেটিক টেপ ইত্যাদি সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইসের উদাহরণ।
কম্পিউটারের যে অংশে স্থায়ী বা অস্থায়ী ডেটা বা তথ্য সঞ্চয় করে রাখে , তাকে Memory বা স্মৃতি বলে।
Memory বা স্মৃতি কে 2 ভাগে ভাগ করা হয়
Primary Memory
যে মেমরি CPU র সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত এবং ডেটা বা তথ্য গুলি অস্থিয়ী ভাবে জমা রাখে তাকে Primary Memory বা মুখ্যস্মৃতি বলে।
Primary Memory কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়-
Secondary Memory
যে মেমরি CPU র সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত না থেকে ডেটা , তথ্য বা নির্দেশাবলি ভবিষ্যতের জন্য স্থিয়ীভাবে সঞ্চয়রাখে, তাকে Secondary Memory বা গৌণ স্মৃতি বলে
Secondary Memory কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়
যে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ বা চার্জ আংশিকভাবে চলাচল করতে পারে তাকে অর্ধ পরিবাহী বলে। আর এ অর্ধপরিবাহী বস্তু দিয়ে যে মেমরি তৈরি করা হয় তাকে অর্ধ পরিবাহী মেমরি বলে।
RAM= Random Access Memory
RAM (র্যাম) হল এক ধরনের কম্পিউটার মেমরি যা র্যান্ডমভাবে অ্যাক্সেস করা যায় এবং মেমরি অবস্থানের বিভিন্ন অংশে ডেটা পড়তে ও লেখার অনুমতি দেয়। RAM হল একটি দ্রুত পরিবর্তনশিল মেমরি, যার অর্থ সঞ্চিত তথ্য বজায় রাখতে শক্তি প্রয়োজন। যেমন, কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে র্যামে সংরক্ষিত তথ্য অদৃশ্য হয়ে যায়। বিপরীতে, একটি হার্ড ডিস্ক ড্রাইভে সংরক্ষিত ডেটা কম্পিউটার পুনরায় চালু করার সময় হারিয়ে যায় না।
DRAM হল এক ধরণের মেমোরি যা কম্পিউটিং ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়। অর্ধপরিবাহী মেমরি যা সাধারণত কম্পিউটার প্রসেসরের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা বা প্রোগ্রাম কোডের জন্য ব্যবহৃত হয়।DRAM প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন রবার্ট ডেনার্ড এবং ১৯৬৮ সালে পেটেন্ট করেছিলেন।
DRAM একটি volatile মেমরি যার মানে হলো এটি যদি বিদ্যুৎ থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তবে এ মেমরির তথ্য হারিয়ে যায়।
Rom এর পূর্ণরূপ হল Read only memory (রেড অনলি মেমোরি) একটি কম্পিউটারের Primary memory এর একটি অংশ। Rom হল non volatile memory এর অর্থ হল রম একটি অস্থিতিশীল মেমোরি অর্থাৎ Rom এমন এক ধরনের স্টোরেজ যা স্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।
floppy disk অর্থাৎ এটি কতগুলো চাকতি বা disk নিয়ে তৈরি। যেগুলো হল পুরোপুরি ম্যাগনেটিক বা চৌম্বকীয়। যেগুলি ঘোরার মাধ্যমে ডাটা ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারে। ১৯৭০ দশকের পর থেকে floppy disk প্রচুর পরিমাণ অনেক বেশি সবাই ব্যবহার করত।
কিন্তু যখন CD (সিডি) আবিষ্কার হয় এবংআবিষ্কারের পর থেকে এর জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে। floppy disk খুব কম পরিমাণে ডেটা সংরক্ষণ করতে পারে যদিও বর্তমানে floppy disk তেমন আর অনেকেই ব্যবহার করে না। আশা করি ফ্লপি ডিস্ক কি এ বিষয়টি আপনি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন।
অপটিক্যাল স্টোরেজ ডিভাইস একটি বৈদ্যুতিন-যান্ত্রিক ইউনিট যা একটি লেজার আলোর সাহায্যে একটি বিশেষ ডিস্ক মিডিয়ামে তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধার করতে পারে। অপটিকাল ড্রাইভগুলি বিভিন্ন ধরণের মিডিয়া: সিডি ("কমপ্যাক্ট ডিস্ক"), ডিভিডি (ডিজিটাল বহুমুখী ডিস্ক বা ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক) এবং ব্লু-রে ডিস্কের সাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
সিডি রম (CD ROM) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Compact Disk Read Only Memory। বর্তমানে কম্পিউটারের সবচেয়ে জনপ্রিয় বহনযোগ্য স্টোরেজ মিডিয়া হলো সিডি। সিডি রম একটি অপটিক্যাল মাধ্যম। সিডি ১২০ মিলিমিটার ব্যাস বিশিষ্ট গোলাকার একটি ডিস্ক যা ১.২ মিলিমিটার পুরু। এর কেন্দ্রে ১৫ মিলিমিটার একটি ছিদ্র আছে। সিডি হালকা পরিস্কার পলিকার্বনেট এবং মেটাল (অ্যালুমিনিয়াম) দিয়ে তৈরি। সিডিরমে ডেটা সংরক্ষণের জন্য লেজার রশ্মি নিক্ষেপণের মাধ্যমে অতি ক্ষুদ্র গর্ত সৃষ্টি করা হয় যা পিটস (Pits) নামে পরিচিত। একটি সিডিরমের ৭০০ মেগাবাইট পর্যন্ত ডেটা ধারণ ক্ষমতা আছে। এটি সহজে বহনযোগ্য ও আকৃতিতে ছোট। একটিমাত্র সিডিতে অনেক বেশি তথ্য রাখা যায়, তাই বর্তমানে সিডির ব্যবহার অনেক।
ডিভিডি (DVD) হচ্ছে ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক (Digital Video Disc) বা ডিজিটাল ভার্সাটাইল ডিস্ক (Digital Versatile Disc)। এটি এক ধরনের অপটিকাল ডিস্ক-ভিত্তিক তথ্য রাখার ফরম্যাট।
ম্যাগনেটিক টেপ হলো ম্যাগনেটিক রেকর্ডিং এর একটি মাধ্যম, যা প্লাস্টিকের ফিল্মের (plastic film) দীর্ঘ ও সরু মাধ্যমের উপর পাতলা চৌম্বকীয় আবরণ দিয়ে তৈরি। ১৯২৮ সালে জার্মানিতে চৌম্বকীয় তারের রেকর্ডিং (magnetic wire recording) এর ভিত্তিতে এটি উদ্ভাবন করা হয়েছিল।
ফ্লাশ মেমোরি হল এক ধরনের রম। কম্পিউটার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এ মেমোরি থেকে ডাটা পড়তে পারে বা কোন ডাটা পাঠাতে পারে। খুব দ্রুত ডাটা স্থানান্তর করা যায় বলে এ মেমোরির নাম ফ্লাশ মেমোরি। এ মেমোরিকে সাধারণত ইউএসবি (USB) পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা যায়। বর্তমানে পেন ড্রাইভ হিসেবে এ মেমোরি বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ফ্লাশ মেমোরিতে যতবার ইচ্ছা ততবার পুরনো ডাটার স্থানে নতুন ডাটা পাঠানো যায় বা লেখা যায়।
মেমোরি কার্ড (Memory Card) হলো একটি ইলেকট্রনিক ডেটা স্টোরেজ ডিভাইস যা ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত পোর্টেবল ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট, পিডিএ, পোর্টেবল মিডিয়া প্লেয়ার, ভিডিও গেম কনসোল, সিন্থেসাইজার, ইলেকট্রনিক কীবোর্ড এবং ডিজিটাল পিয়ানোতে ব্যবহৃত হয়। এগুলো খুবই ছোট আকৃতির, হালকা, রি-রেকর্ডেবল। অত্যান্ত কম মূল্যের অধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মেমোরি কার্ড থেকে কার্ড রিডারের মাধ্যমে সহজেই কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তর করা যায়।
মেমোরি কার্ডের বৈশিষ্ট্য
ইউএসবি (ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস) ইংরেজি USB (Universal Serial Bus) হলো একপ্রকার ক্যাবল প্রটোকল যেটি একধরনের সংযোগ তৈরি করে যার মধ্য দিয়ে একইসাথে বিদ্যুৎ প্রবাহ ও তথ্য আদান প্রদান হয়ে থাকে।
সলিড স্টেট ড্রাইভ হলো কম্পিউটারে ব্যাবহৃত নতুন প্রজন্মের স্টোরেজ ডিভাইস । SSD একই রকম ভাবে হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের মতো কম্পিউটারে ডাটা গুলিকে স্টোর করে রাখে। এসএসডি মূলত কম্পিউটারের একধরনের ফ্ল্যাশ স্টোরেজ ব্যবস্থা। যার মূল কাজ হল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা।
যে স্টোরেজ ডিভাইসের মধ্যে একটি disk অর্থাৎ চাকতি থাকে, যেটি পুরোপুরি ম্যাগনেটিক (magnetic) ।
hard disk বা হার্ডডিস্ক ড্রাইভ হলো (HDD) হল Secondary storage device (সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস)। যেখানে আপনার কম্পিউটারে স্থায়ী ভাবে ফটো, ভিডিও, ডকুমেন্ট, প্রোগ্রামিং ভাষা, সফটওয়্যার ইত্যাদি নানা বিষয় আপনি সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
এছাড়া হার্ডডিক্স হলো নন ভোলাটাইল মেমোরি (non volatile memory) আপনার কম্পিউটার অফ করলেও আপনার কম্পিউটারে হার্ডডিক্সে থাকা ডেটা সুরক্ষিত থাকবে।
পেন ড্রাইভ একটি স্টোরেজ ড্রাইভ যা ফাইল স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয়। এটিকে সাধারণত ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভও বলা হয়। এটি একটি পোর্টেবল ডিভাইস যার মানে এটি সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়।
প্রসেসরের সঙ্গে যুক্ত পৃথক মেমোরিকে ক্যাশ মেমোরি বলা হয়। ক্যাশ মেমোরিকে আবার সিপিইউ মেমোরিও বলা হয়। কম্পিউটারের গতি নির্ভর করে ক্যাশ মেমোরির উপর। এটি অনেকটা র্যামের মতোই কাজ করে।
কম্পিউটার মেমোরি সাধারণতঃ বাইনারী ডিজিট বা শব্দ ধারণের ক্ষমতাকে মেমোরি ধারণ ক্ষমতা বলা হয়। ধারণ ক্ষমতার ক্ষুদ্রতম একক হলো কিলোবাইট। কিলোবাইটকে KB দ্বারা প্রকাশ করা হয় থাকে। বর্তমানের হার্ডডিস্কের ধারণ ক্ষমতা 1024 গিগাবাইট থেকে টেরাবাইট পর্যন্ত। বর্তমানের প্রেনড্রাইভের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা হলো 128 জিবি পর্যন্ত।Byte/Bit হল মেমোরির ক্ষুদ্রতম অংশ।
বাইট শব্দটির প্রচলন সর্বপ্রথম করেন ডঃ ওয়ার্নার বুখোল্ড, ১৯৫৬ সালের জুলাই মাসে। তিনি তখন আইবিএম ৭০৩০ কম্পিউটারের নকশা প্রণয়নের সাথে জড়িত ছিলেন।
ফাইল এক্সটেনশন (File Extension) হচ্ছে ফাইল ফরমেট নির্দেশকারী একটি সূচক বা ফাইলের নামের শেষে যুক্ত থাকে। ফাইল এক্সটেনশন হলো সংক্ষিপ্ত লেটার স্টিং বা নাম্বার, যার ফাইল নামের পরে একটি ফুল স্টপ বা ডট দিয়ে শেষ হয়। যেমন- .txt .psd .doc ইত্যাদি।
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কয়েকটি ফাইল এক্সটেনশন নিচে দেওয়া হলো।
.crx = Chrome Extension নির্দেশ করে।
.zip = Zipped File নির্দেশ করে।
.drv = Device Driver নির্দেশ করে।
.pdf = Portable Document Format File নির্দেশ করে।
.cfg = Configuration File নির্দেশ করে।
.fnt = Windows Font File নির্দেশ করে।
.html = Hypertext Markup Language File নির্দেশ করে।
.apk = Android Package File নির্দেশ করে।
.db = Database File নির্দেশ করে।
.xlr = Works Spreadsheet নির্দেশ করে।
.svg = Scalable Vector Graphics File নির্দেশ করে।
.jpg = JPEG Image নির্দেশ করে।
.mp4 = MPEG-4 Video File নির্দেশ করে।
.mp3 = MP3 Audio File নির্দেশ করে।
.dat = Data File নির্দেশ করে।
.txt = Plain Text File নির্দেশ করে।
ওয়ার্ড প্রসেসিং এর অর্থ হচ্ছে শব্দ প্রক্রিয়াকরণ। কম্পিউটারের কি-বাের্ডের মাধ্যমে শব্দ টাইপ করে সম্পাদনা ও অন্যান্য কাজ করে প্রয়ােজন অনুযায়ী সুন্দরভাবে সাজিয়ে কাগজে ছাপানাের প্রক্রিয়াকে ওয়ার্ড প্রসেসিং বলা হয়। ওয়ার্ড প্রসেসিং এর জন্য কম্পিউটারে যে সব সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার বলা হয়। আমেরিকার বিখ্যাত মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কর্তৃক বাজারজাতকৃত মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (এম এস ওয়ার্ড) হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা একটি স্ট্যান্ডার্ড ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রােগ্রাম।
পেজ লে-আউট (page layout) হলো এম এস ওয়ার্ডের তৃতীয় ট্যাব মেন্যু। এই ট্যাব মেন্যুর মধ্যে আছে পেজ সেট-আপ এর জন্য বা পেজ কে সুন্দর ভাবে সাজানোর জন্য বিভিন্ন উপকরন। সাধারনত একটি ডকুমেন্ট তৈরি করার জন্য পেজ লেইআউট এর গুরুত্ব অনেক। MS word bangla তে আমরা জানবো এম এস ওর্য়াডের পেজ লে আউটের বিভিন্ন কমান্ড সমূহ।
ওয়ার্ড প্রসেসিং শব্দের অর্থ হচ্ছে শব্দ প্রক্রিয়াকরণ। লিখিত শব্দকে কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রসেস করে ডকুমেন্ট বা দলিল তৈরি করার পদ্ধতিকে ওয়ার্ড প্রসেসিং বলে। আর যা দিয়ে ওয়ার্ড প্রসেসিং এর কাজ করা হয় তাকে ওয়ার্ড প্রসেসর বলে। অর্থাৎ ওয়ার্ড প্রসেসর হল শব্দ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যম বা উপকরণ।
অপারেটিং সিস্টেমকে সফটওয়্যার হিসেবেও অভিহিত করা হয়। অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার চলতে পারে না। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ কাজগুলাে পরিচালনা করে অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটার প্রােগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল ,একাউন্টিং, কম্পাইলেশন , স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট, ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার বা পিসিতে বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমগুলাে
MS-DOS, PC-DOS | MS WINDOWS 95/98/2000 |
UNIX | XINIS |
LINUX | Mac OS |
MS WINDOWS NT | MS WINDOWS XP/7 |
OS/2 Warp | Solaries |
ইউনিক্স হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের কম্পিউটারের ব্যবহারযােগ্য অপারেটিং সিস্টেম। মেইনফ্রেম কম্পিউটার থেকে শুরু করে মাইক্রো কম্পিউটারে ইউনিক্স (Unix) অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায়। মাল্টিটাস্কিং এবং মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম খুবই উপযােগী।
এমএস ডস (MS-DOS)-এর পুরাে অর্থ হচ্ছে মাইক্রোসফট ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম। এমএস ডস হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেম প্রােগ্রাম, যা কম্পিউটারকে ব্যবহার উপযােগী করে তুলতে সহায়তা করে। কম্পিউটার সংগঠনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ, কম্পিউটারের মেমােরিতে তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা, অ্যাপ্লিকেশন প্রােগ্রামসমূহকে পরিচালনা করার পদ্ধতি, কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারকারীর সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কার্যাবলী এমএস ডস প্রােগ্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
এটি একটি অপারেটিং সিস্টেম । Macintosh Operating System বা MacOS কেবল Apple Computer Inc-এর তৈরি Apple Macintosh কম্পিউটারগুলােতেই ব্যবহৃত হয়। ১৯৮৪ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের জন্য আমেরিকার জেরক্স কোম্পানি থেকে তাদের লিজা অপারেটিং সিস্টেমের লাইসেন্সের মাধ্যমে MacSO তৈরি করা হয়। এটি একটি চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। সাধারণ ব্যবহারকারীরা এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন । শক্তিশালী গ্রাফিক্স ইন্টারফেস এবং ব্যবহারকারীর সাথে বন্ধুত্বভাবাপন্ন বলে এটি ক্রমশ বিস্তৃতি। লাভ করছে। বর্তমানে Apple Company-এর তৈরি কম্পিউটার ছাড়াও অন্যদের তৈরি কম্পিউটারে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে ।
Mac OS/2 বা Macintosh Operating System/2 হচ্ছে MS-DOS-এর উন্নত সংস্করণ, যা আইবিএম এর নতুন প্রজন্মের কম্পিউটার পার্সোনাল সিস্টেম-২ এর জন্য করা হয়। এটি একটি মাল্টিটাস্কিং (Multitasking) বা একসাথে একাধিক কাজের উপযােগী প্রােগ্রাম। এটি একটি ৩২ বিটের অপারেটিং সিস্টেম এবং এতে MS-DOS এর সীমাবদ্ধতা নেই । MS- DOS মাত্র ৬৪০ কিলােবাইট র্যার্ম-এ কাজ করতে পারে।
Linux is a family of open-source Unix-like operating systems based on the Linux kernel, an operating system kernel first released on September 17, 1991, by Linus Torvalds.
অপারেটিং সিস্টেমের শ্রেণীবিভাগ
ক. ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম
১. এক্ষেত্রে একটির পর একটি ব্যবহারিক প্রােগ্রাম নির্বাহ করা হয় ।
২. ব্যবহারকারীর কোনাে বিরতি প্রয়ােজন হয় না।।
খ. রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম
১. প্রােগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।
২. ব্যবহারকারী প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে কাজ করতে পারে।
গ. মাল্টি প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম
১, একাধিক প্রসেসর দ্বারা প্রসেসিং করানাে হয়।
২. সিপিইউ কখনাে অলস থাকে না।
ঘ. মাল্টি প্রােগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম
১. এ অপারেটিং সিস্টেম এক সাথে একাধিক প্রােগ্রাম চালাতে পারে।
২. এক্ষেত্রে ধাপ তিনটি- i. Ready, ii. Running, iii. Blocked.
ঙ. টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম
১. প্রসেসিং সময়কে বিভিন্ন প্রােগ্রাম এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়।
২. একাধিক ব্যবহারকারী এক সাথে কাজ করতে পারে।
চ. ভারচুয়াল স্টোরেজ অপারেটিং সিস্টেম
১. সহায়ক মেমােরির কিছু অংশকে প্রধান মেমােরি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
২. প্রধান মেমােরির স্বল্পতা দূরীকরণ ও সহায়তার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ছ. ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম
১. একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাহায্যে একাধিক কম্পিউটারের সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কম্পিউটারের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য এ সিস্টেম ব্যবহৃত হয়।
জ. অনলাইন অপারেটিং সিস্টেম
ফাইল ব্যবস্থাপনা হল কম্পিউটারে স্টোর করা ফাইলগুলি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করার একটি পদ্ধতি। ফাইল ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজের মধ্যে থাকে নতুন ফাইল তৈরি করা, ফাইল খুলা, সংরক্ষণ করা, সংযুক্ত করা, সরানো এবং মুছে ফেলা।
ফাইল ব্যবস্থাপনার কাজের মধ্যে সবচেয়ে প্রধান কাজ হল ফাইল সংরক্ষণ করা। ফাইল সংরক্ষণ করার জন্য কম্পিউটারে ফাইল সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। ফাইল সিস্টেম একটি লগিক্যাল স্ট্রাকচার যা স্টোরেজ ডিভাইসের উপর বানানো হয়। ফাইল সিস্টেম একটি হায়ারারকি স্ট্রাকচার ব্যবহার করে ফাইল সংরক্ষণ করে।
ফাইল ব্যবস্থাপনা কেবলমাত্র ফাইল সংরক্ষণ করা না, এটি একটি ফাইল থেকে তথ্য পড়া এবং লেখা সহ ফাইল সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ সহ জড়িত।
ফার্মওয়্যার হচ্ছে এমন একটি প্রোগ্রাম, যাকে কম্পিউটার তৈরিরসময়ে কম্পিউটারের মেমরিতে রম-এ স্থায়ীভাবে ধারণ করে দেয়া হয়। এ জাতীয় প্রোগ্রামকেবলমাত্র কম্পিউটারে এর পর্দায় দেখা যায়। কম্পিউটার ব্যবহারকারি কর্তৃক এ জাতীয়প্রোগ্রামকে কোনরূপ পরিবর্তন বা সংশোধন সুযোগ থাকে না।
যদি এই যন্ত্রাংশগুলি সঠিক ভাবে যুক্ত থাকে, তা হলে সি পি ইউ কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে হার্ডডিস্ক থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে র্যামের মধ্যে তুলে নেয় এবং কম্পিউটারকে ব্যবহারকারীর নির্দেশ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে। এই সামগ্রিক প্রক্রিয়াকেই বলা হয় বুটিং (Booting)।
autoexec.bat
config.sys
command.com
io.sys
None of these
মাল্টিমিডিয়া হলো মানুষের বিভিন্ন প্রকাশ মাধ্যমের সমন্বয়। আমরা অন্তত তিনটি মাধ্যম বা মিডিয়া ব্যবহার করে নিজেদেরকে প্রকাশ করি সেগুলো হলো বর্ণ, চিত্র এবং শব্দ (সাউন্ড)। এই মাধ্যমগুলোর বিভিন্ন রূপও রয়েছে। এই তিনটি মাধ্যম তাদের বিভিন্ন রূপ নিয়ে কখনো আলাদাভাবে, কখনো একসাথে আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়। এসব মাধ্যমের প্রকাশকে আমরা কাগজের প্রকাশনা, রেডিও, টেলিভিশন, ভিডিও, সিনেমা, ভিডিও গেমস, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার, ওয়েবপেজ ইত্যাদি নানা নামে চিনি। তবে এর সবগুলোকেই বা একাধিক মাধ্যমকেই আমরা আলাদাভাবে মাল্টিমিডিয়া বলব না। কাগজের প্রকাশনা বা রেডিওকে কেউ মাল্টিমিডিয়া বলতে চাইবেন না। বলা ঠিকও হবে না। টেলিভিশন-ভিডিও-সিনেমাকে আমরা মাল্টিমিডিয়া বলতে পারি। আবার ভিডিও গেমস, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার বা ওয়েব পেজকে আমরা ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া বলতে পারি ।
মাল্টিমিডিয়া সচরাচর ডিজিটাল যন্ত্রের সহায়তায় ধারণ বা পরিচালনা করা যায়। এটি সরাসরি মঞ্চে প্রদর্শিত হতে পারে বা অন্যরূপে সরাসরি সম্প্রচারিতও হতে পারে। মাল্টিমিডিয়া বিষয়বস্তু ধারণ ও পরিচালনা করার ইলেকট্রনিক যন্ত্রকেও মাল্টিমিডিয়া নামে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। কোনো একটি কর্মকাণ্ডে তিনটি মাধ্যমকেই একসাথে ব্যবহার করাকে মাল্টিমিডিয়া বলে। উনিশ শতকের শেষ প্রান্তে ১৮৯৫ সালে সিনেমা বা চলচিত্র উদ্ভব হবার পর তাতে বর্ণ (Text), চিত্র ( Graphics), শব্দ (Sound) এবং চলমানতা (Animation) যুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন মাধ্যমের পরস্পর সংলগ্ন হবার ব্যাপারটি ঘটতে থাকে যা মাল্টিমিডিয়ার একটি রূপ। আজকের দিনের মাল্টিমিডিয়ার পূর্বপুরুষ বলতে তাই সিনেমাকে স্মরণ করতে হবে। তবে প্রযুক্তিগতভাবে বিভিন্ন মাধ্যমের যুক্ত হবার সেই সূচনাকালটি অনেক আগের হলেও এসবের সাথে কম্পিউটারের যুক্ত হওয়া খুব বেশি দিনের ব্যাপার নয় ।
পাওয়ার পয়েন্ট হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিসের অন্তর্ভুক্ত একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন । এ সফটওয়্যারটিকে প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারও বলা হয়। বাংলাদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় সকলের সুবিধার জন্য মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারটি নিয়ে আলোচনা করা হলো ৷ পাওয়ার পয়েন্টের সাহায্যে লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও, গ্রাফ ইত্যাদির সমন্বয়ে আকর্ষণীয়ভাবে তথ্যাদি উপস্থাপন করা যায়। প্রকৃতপক্ষে সভা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ইত্যাদিতে কার্যকরভাবে তথ্য উপস্থাপন করার জন্য পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারটি খুব সহজে এবং চমৎকারভাবে ব্যবহার করা যায়। এ দিক থেকে পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারটির বিকল্প নেই বললেই চলে। এজন্যই সভা, সেমিনার- সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ইত্যাদিতে তথ্য উপস্থাপনের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়ে থাকে। পাওয়ার পয়েন্টে ফাইলকে বলা হয় প্রেজেন্টেশন ।
প্রেজেন্টেশনের এক একটি অংশকে স্লাইড (Slide) বলা হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রোগ্রামে যেমন একটি ফাইলের মধ্যে অনেক পৃষ্ঠা থাকে, তেমনি একটি প্রেজেন্টেশনে একাধিক স্লাইড থাকে। একাধিক স্লাইড বিশিষ্ট একটি পৃষ্ঠাকে হ্যান্ড আউটস (Handouts) বলা হয়। পরিকল্পিতভাবে একটি পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন তৈরি করার জন্য খসড়া করে নিতে হয়। এই খসড়াকে বলা হয় Slide Layout |
গ্রাফিক ডিজাইনটি টাইপোগ্রাফিক অক্ষর, স্পেস এবং চিত্র ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ, স্টাইলিং এবং সমস্যা সমাধানের শিল্প art গ্রাফিক ডিজাইনাররা শব্দ, প্রতীক এবং চিত্রগুলি তৈরি এবং সমন্বয় করতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ধারণা এবং বার্তাগুলির ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা তৈরি করে। কোনও গ্রাফিক ডিজাইনার চূড়ান্ত ফলাফল অর্জনের জন্য টাইপোগ্রাফি, ভিজ্যুয়াল আর্ট এবং লেআউট কৌশলগুলির সংমিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
Harvard Graphics
Access
Page Maker
Freelance Graphics
Adobe Photoshop
পাওয়ার পয়েন্টের সাহায্যে লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও, গ্রাফ ইত্যাদির সমন্বয়ে আকর্ষণীয়ভাবে তথ্যাদি উপস্থাপন করা যায়। প্রকৃতপক্ষে সভা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ইত্যাদিতে কার্যকরভাবে তথ্য উপস্থাপন করার জন্য পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারটি খুব সহজে এবং চমৎকারভাবে ব্যবহার করা যায়। এ দিক থেকে পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারটির বিকল্প নেই বললেই চলে। এজন্যই সভা, সেমিনার- সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ইত্যাদিতে তথ্য উপস্থাপনের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়ে থাকে। পাওয়ার পয়েন্টে ফাইলকে বলা হয় প্রেজেন্টেশন ।
প্রেজেন্টেশনের এক একটি অংশকে স্লাইড (Slide) বলা হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রোগ্রামে যেমন একটি ফাইলের মধ্যে অনেক পৃষ্ঠা থাকে, তেমনি একটি প্রেজেন্টেশনে একাধিক স্লাইড থাকে। একাধিক স্লাইড বিশিষ্ট একটি পৃষ্ঠাকে হ্যান্ড আউটস (Handouts) বলা হয়। পরিকল্পিতভাবে একটি পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন তৈরি করার জন্য খসড়া করে নিতে হয়। এই খসড়াকে বলা হয় Slide Layout |
Read more