কম্পিউটারের প্রকারভেদ

- তথ্য প্রযুক্তি কম্পিউটার | - | NCTB BOOK
common.please_contribute_to_add_content_into কম্পিউটারের প্রকারভেদ.
Content

ডিজিটাল কম্পিউটার

ডিজিটাল কম্পিউটার: যে কম্পিউটার সংখ্যা ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তাই ডিজিটাল কম্পিউটার। এটি যে কোনো গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ, গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন যোগের সাহায্যে সম্পাদন করে।

হাইব্রিড কম্পিউটার

হাইব্রিড কম্পিউটার: হাইব্রিড কম্পিউটার হল এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহৃত হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে অ্যানালগ ও ডিজিটালের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার।

সুপার কম্পিউটার

সুপার কম্পিউটার: অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে । এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর।পৃথিবীর আবহাওয়া বা কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা করার মতো স্মৃতিভাভার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। Supers XII, CRAY 1 ইত্যাদি সুপার কম্পিউটারের উদাহরণ ।

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Contain a large single chip
Can perform billions of calculations per second
Are found at thousands of around the world
Are designed to process thousands of accounting applications

মেইনফ্রেম কম্পিউটার

মেইনফ্রেম কম্পিউটার: মেইনফ্রেম কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি বড় কম্পিউটার যার সঙ্গে অনেকগুলো ছোট কম্পিউটার যুক্ত করেএক সঙ্গে অনেকে কাজ করতে পারে। জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, উচ্চস্তরেরপ্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ, বৃহৎ প্রতিষ্ঠানেরশৈল্পিক ব্যবহারে এটা কাজে লাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে এ 5 ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে । CYBER-170, IBM-4300 এ ধরনের কম্পিউটার।

মিনি কম্পিউটার

মিনি কম্পিউটার: যে কম্পিউটারে টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। NCRS/9290,PDP-II.IBM S/36 ইত্যাদি এ শ্রেণীর কম্পিউটার ।

এম্বেডেড কম্পিউটার

এম্বেডেড কম্পিউটার (Embedded Computer) হচ্ছে একটি বিশেষায়িত কম্পিউটার সিস্টেম, যা একটি বৃহৎ সিস্টেম বা মেশিনের অংশবিশেষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি কোন প্রচলিত কম্পিউটার নয়। এম্বেডেড সিস্টেমে সাধারণত একটি মাইক্রোপ্রসেসর বোর্ড এবং সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রোগ্রামিং সম্বলত একটি রম থাকে। আধুনিক এম্বেডেড কম্পিউটার সিস্টেমে মাইক্রোকন্ট্রোলার এর ব্যবহার দেখা যায়। এম্বেডেড কম্পিউটারের তৈরি খরচ অনেক কম এবং এটি আকারে মাইক্রোকম্পিউটারের চেয়ে ছোট। এটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়।

যেমন: একটি এয়ার কন্ডিশনারে ঘরের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নির্দেশ করে কমান্ড দেয়া হল। ঘরের তাপমাত্রা ঐ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌছানো মাত্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এয়ার কন্ডিশনার বন্ধ হয়ে যাবে। আর এই কাজটি করবে এয়ার কন্ডিশনারে থাকে এম্বেডেড কম্পিউটার। এছাড়াও এই কম্পিউটার প্রিন্টার, থার্মোস্ট্যাট, ভিডিও গেম, ব্যাংকিং কার্যক্রমে ব্যবহৃত এটিএম প্রভৃতিতে এম্বেডেড কম্পিউটার সিস্টেমের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

common.content_added_by

Notebook

নেটবুক (Netbook): আকারে ছােট অপেক্ষাকৃত ছােট কী-বাের্ড এবং ফ্লিপ-আপ মনিটর সম্বলিত এক প্রকার মােবাইল কম্পিউটার। এরা আকারে ল্যাপটপের চেয়ে ছােট কিন্তু পামটপের চেয়ে বড়।

 

নেটবুক এর বৈশিষ্ট্য:

  • নেটবুকের মনিটর এবং কী-বাের্ড আকারে ছােট হয়।
  • ল্যাপটপের তুলনায় আকারে ছােট হয়।
  • এদের কোন অপটিক্যাল ডিভাইস থাকে না।
  • এদের ব্যাটারী ব্যাকআপ ল্যাপটপের চেয়ে বেশি থাকে।
  • এদের আল্টা লাে পাওয়ার প্রসেসর (ইনটেল এটম এএমডিফিউসন সি এন্ড ই সিরিজ) ব্যবহৃত হয়।
  • ল্যাপটপের তুলনায় এদের দাম কম হয়ে থাকে।

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মাইক্রো কম্পিউটার- Micro Computer

মাইক্রো কম্পিউটার: মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ, একটি মাইক্রোপ্রসেসর CPU এবং RAM, ROM সহযােগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনে কম্পিউটারের উদাহরণ।

মাইক্রো কম্পিউটার এর শ্রেণীবিভাগ
১. ডেস্কটপ (Desktop)।
২. ল্যাপটপ বা নোটবুক (Laptop or Notebook) |
৩. নেটবুক (Netbook)
৪. ট্যাবলেট পিসি বা ট্যাব (Tablet PC or Tab)।
৫. হেন্ডহেল্ড বা পামপিসি বা পামটপ (Handheld or Palm PC or Palmitop)

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পিসি
মাইক্রো কম্পিউটার
মেইনফ্রেম কম্পিউটার
আই বি এম
কোনটিই নয়

ল্যাপটপ-Laptop

ল্যাপটপ কম্পিউটার (LaptopComputer): ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটার, যেটি আকারে খুবই ছোট। অর্থাৎ এ ধরনের কম্পিউটার সাধারণত কোলের ওপর রেখে প্রয়োজনীয় কার্যাবলী সম্পাদন করা যায়। ১৯৮১ সালে এপসম কোম্পানি প্রথম ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রবর্তন করে।
 

ল্যাপটপ এর বৈশিষ্ট্য:
১. এটি ডেস্কটপ পিসির চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।
২. লোড শেডিংয়ের সময় ডেস্কটপ চালাতে হলে ইউপিএস ব্যবহার করা হয় এবং তার ব্যাকআপ দেওয়ার ক্ষমতা ১৫-৩০ মিনিট হয়ে থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের সাথে ব্যাটারী। সংযুক্ত থাকে বিধায় এটাকে ২-৫ ঘন্টা চালানো যায়।।
ল্যাপটপ ডেস্কটপ পিসির চেয়ে আকারে অনেক ছোট ও হালকা। ল্যাপটপ কম্পিউটার। দেখতে অনেকটা ছোট ব্রিফকেসের মত। এটি সহজে বহনযোগ্য।
৪. এতে মাউসের পরিবর্তে টাচপ্যাড ব্যবহার করা হয়।
৫. এতে বিল্টইন ওয়েবক্যাম আছে যা দ্বারা ইন্টারনেট এ ভিডিও চ্যাট করা যায়।


ল্যাপটপ ব্যবহারের অসুবিধা:

  • ডেস্কটপের সমান ক্ষমতার ল্যাপটপের দাম অনেক বেশি।
  • ল্যাপটপের ঘুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া অনেক কষ্টকর এবং তার দামও অনেক বেশি।
  • ল্যাপটপের ক্ষমতা ডেস্কটপ কম্পিউটারের চেয়ে কম হয়ে থাকে।

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পর্বতারোহন সামগ্রী
বাদ্যযন্ত্র
ছোট কুকুর
ছোট কম্পিউটার
Small Dog
Mountain climbing tools
Musical Instrument
Small Computer

এনালগ কম্পিউটার- Analog Computer

অ্যানালগ কম্পিউটার: যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে, তাই অ্যানালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে। মােটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র অ্যানালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion