ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

- তথ্য প্রযুক্তি কম্পিউটার | - | NCTB BOOK
common.please_contribute_to_add_content_into ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ডেটাবেজ (Database)

ডেটাবেজকে বলা হয় তথ্যভাণ্ডার। ডেটাবেজ হলো কম্পিউটারভিত্তিক একটি পদ্ধতি, যার সাহায্যে সংগৃহীত উপাত্ত সংরক্ষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী পুনরুদ্ধার করা যায়। অন্য কথায়, ডেটাবেজ হচ্ছে সংগৃহীত উপাত্তের ভাণ্ডার, যা থেকে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিভিন্ন উপায়ে এবং আকারে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, ডেটাবেজ হলো অসংখ্য উপাত্তের একটি সুসজ্জিত তালিকা, যেখান থেকে নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয় কোনো উপাত্তকে দ্রুত এবং খুব সহজেই শনাক্ত করার উপায় বা পন্থা আছে। এ তথ্যভাণ্ডারে বিভিন্ন প্রকার এবং বিপুল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়। একজন ব্যবহারকারী তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো তথ্য এ তথ্যভাণ্ডার থেকে আহরণ বা সংগ্রহ করতে পারেন ।

একটি ডেটাবেজ মূলত কলাম এবং সারির সমন্বয়ে গঠিত। প্রত্যেকটি কলামের একটি করে হেডিং বা শিরোনাম থাকে। এই হেডিং বা শিরোনাম থেকেই বোঝা যায় সেই কলামে কী ধরনের ডেটা বা তথ্য আছে। হেডিং বা শিরোনামগুলো ফিল্ড নামে পরিচিত। আর পাশাপাশি কয়েকটি কলামের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি সারি । প্রতিটি সারিকে বলা হয় রেকর্ড।

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রধান কার্যবলী নিম্নে উল্লেখ করা হলো
১. নতুন রেকর্ড সংযোজন করা ।
২. প্রয়োজনে রেকর্ড আপডেট করা।
৩. অপ্রয়োজনীয় রেকর্ড মুছে ফেলা ।
৪. ডেটা সংরক্ষণ করা।
৫. ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৬. ডেটার অনুলিপি (ডুপ্লিকে

common.content_added_and_updated_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ডেটাবেজের উপাদান

ডেটাবেজের উপাদানসমূহ হলো-

অ্যাট্রিবিউট/ফিল্ড/কলামঃ কোনো একটি এনটিটি সেটের যে প্রোপার্টিজগুলো ঐ এনটিটির বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশ করে এবং যার ওপর ভিত্তি করে উপাত্ত গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ করা হয় তাকে অ্যাট্রিবিউট বলে। অনেক সময় অ্যাট্রিবিউটকে ডেটা আইটেম, ডেটা উপাদান, ডেটা ফিল্ড, ফিল্ড, আইটেম, এলিমেন্টারি আইটেম, অবজেক্ট প্রোপার্টি ইত্যাদি বলা হয়। যেমন - Student info একটি এনটিটি যার অ্যাট্রিবিউট হলো Id, Name ইত্যাদি। অ্যাট্রিবিউটকে ভিজুয়্যাল ডেটাবেজ প্রোগ্রামে সাধারণত ডেটা ফিল্ড বলে। অ্যাট্রিবিউটকে আবার বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :

  • সাধারণ অ্যাট্রিবিউটঃ সাধারণ অ্যাট্রিবিউটকে এক বা একাধিক অংশে ভাগ করা যায় না। যেমন- রোল নং।
  • মিশ্র অ্যাট্রিবিউটঃ মিশ্র অ্যাট্রিবিউটকে এক বা একাধিক অংশে ভাগ করা যায়। যেমন- ঠিকানা (গ্রাম, উপজেলা, জেলা)।
  • সিঙ্গেল ভেন্যুড অ্যাট্রিবিউটঃ একটি এনটিটি সেটে এ ধরণের অ্যাট্রিবিউট থাকার অর্থ হচ্ছে প্রত্যেকটি এনটিটিতে এই অ্যাট্রিবিউট- এ নতুন একটি ভেল্যু থাকবে অর্থাৎ এই অ্যাট্রিবিউট- এ কোন ভেল্যু একের অধিক বার থাকতে পারবে না।
  • মাল্টি ভেন্যুড অ্যাট্রিবিউটঃ যে অ্যাট্রিবিউট- এ কোন ভেল্যু একের অধিক বার থাকতে পারে তাকে মাল্টি ভেন্যুড অ্যাট্রিবিউট বলে।
  • নাল অ্যাট্রিবিউটঃ যে সকল অ্যাট্রিবিউটে কোন এনটিটির জন্য হয়তো কোন ভেল্যু নাও থাকতে পারে অর্থাৎ ফাঁকা থাকতে পারে সে সকল অ্যাট্রিবিউটকে নাল অ্যাট্রিবিউট বলে।
  • ডিরাইভড অ্যাট্রিবিউটঃ যে সকল অ্যাট্রিবিউটের ভেল্যু এনটিটি সেটের অন্য কোন অ্যাট্রিবিউট থেকে আনা হয় তাকে ডিরাইভড অ্যাট্রিবিউট বলে।

অ্যাট্রিবিউট ভেলু বা মানঃ একটি এনটিটি সেটের প্রত্যেকটি অ্যাট্রিবিউটের একটি নির্দিষ্ট মান আছে। অ্যাট্রিবিউটের এ মানকে তার ভেল্যু বলে। যেমন: Student_Info একটি এনটিটি সেট যার অ্যাট্রিবিউট হলো Id, Name, Address ইত্যাদি। এখন প্রতিটি অ্যাট্রিবিউটের একটি নির্দিষ্ট মান আছে।

এনটিটি/রেকর্ড/টাপল/সারিঃ কোনো নির্দিষ্ট ডেটা ফাইলে ব্যবহৃত অ্যাট্রিবিউটের মানের সমষ্টিকে বলা হয় এনটিটি। অন্যভাবে বলা যায়, কোনো ডেটাবেজের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য যেসব রেকর্ড ব্যবহার করা হয় তাকে এনটিটি বলে। এনটিটির বাস্তব উপস্থিতি থাকতে পারে অথবা এটি শুধুমাত্র ধারণার ওপর ভিত্তি করে হতে পারে।

এনটিটি সেট/টেবিলঃ এনটিটি সেট হলো সমজাতীয় এনটিটির সমাবেশ অর্থাৎ ডেটাবেজের অন্তর্গত ডেটা ফাইল বা টেবিলসমূহকে এক একটি এনটিটি সেট বলা হয়। টেবিলকে ডেটাবেজ স্ট্রাকচারের ফাউন্ডেশন ধরা হয়। টেবিল হচ্ছে ডেটা স্ট্রাকচারের একটি রূপ যা রো ও কলামের এক সমন্বয়। আর একটি টেবিলের প্রাইমারি ফাংশন হচ্ছে ইনফরমেশন বা তথ্য সংরক্ষণ। এই তথ্য সমূহ রো ও কলাম আকারে সংরক্ষিত হয় ডেটাবেজের নির্দিষ্ট টেবিলে অর্থাৎ টেবিল হচ্ছে তথ্যের ধারক। একটি টেবিল হতে তথ্য উপস্থাপন করা হয়। একটি টেবিল হতে ডেটা সর্ট, ফিল্টার, ক্যালকুলেট এবং মেনিপুলেট করা সহজ। একটি রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে টেবিল সবকিছুর মূল।

common.content_added_by

কুয়েরি (Query)

কুয়েরি 
কুয়েরি পদ্ধতিতে শর্তযুক্ত তথ্য আহরণ ও প্রদর্শন করা যায়। তবে, শর্তযুক্ত তথ্য সংরক্ষণ এবং মুদ্রণ নেওয়ার জন্য প্রদর্শিত তথ্য কুয়েরি আকারে সংরক্ষণ করতে হয়। কুয়েরি আকারে সংরক্ষিত তথ্য সরাসরি মুদ্রণ নেওয়া যায়। তবে, মুদ্রণ নেওয়া বা মুদ্রিত আকারে তথ্য সরবরাহের জন্য রিপোর্ট আকারে রূপান্তরিত করে নিতে হয়। এতে তথ্য আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায় ।
কুয়েরি পদ্ধতিতে তথ্য আহরণ এবং সংরক্ষণ
ধরা যাক, প্রণীত টেবিলের ভিত্তিতে কুয়েরি পদ্ধতিতে তথ্য আহরণ এবং সংরক্ষণ করতে হবে। এ জন্য –
১. ডেটাবেজের টেবিল ১ (Table 1 ) খোলা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি টেবিলই আছে।
২. Create মেনুর রিবনে কুয়েরি Query Design আইকন ক্লিক করলে কুয়েরি পদ্ধতিতে তথ্য আহরণের ছক আসবে। এ ছকের সঙ্গে Show Table ডায়ালগ বক্স আসবে।
3. Show Table ডায়ালগ বক্সে Table 1 সিলেক্ট করে Add বোতামে ক্লিক করলে ফিল্ড ধারকে টেবিলের সব ফিল্ড বা হেডিং অন্তর্ভুক্ত অবস্থায় পাওয়া যাবে ।
8. Show Table ডায়ালগ বক্সের Close বোতামে ক্লিক করে ডায়ালগ বক্সটি বন্ধ করে দিতে হবে।
৫. ফিল্ড বক্সের ফিল্ডের নামের উপর ডবল ক্লিক করলে ওই ফিল্মটি ছকের প্রথম ফিল্ড ঘরে চলে আসবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সব ফিল্ড ছকের ফিল্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া যেতে পারে অথবা শুধু প্রয়োজনীয় কয়েকটি ফিল্ড অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া যেতে পারে। বর্তমান উদাহরণে নাম, বয়স, গ্রাম এবং ইউনিয়ন ফিল্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৬. যে ফিল্ডের ভিত্তিতে তথ্য আহরণ করা প্রয়োজন সেই ফিল্ডের বরাবর নিচে ক্রাইটেরিয়া (Criteria) সারির ঘরে শর্ত যুক্ত করতে হবে। যেমন- বয়সের ক্ষেত্রে কয়েক রকম শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। 

 

 

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

একই ধরনের অনেকগুলো data
বিভিন্ন ধরনের data
শুধু printer ধরনের data
Class এর data

ডেটা সিকিউরিটি

ডেটা সিকিউরিটি অবজেক্ট লেবেলে ডেটাবেজের একসেস ও ব্যবহার নিয়লন করে। এক্ষেত্রে কোনাে ব্যবহারকারী কী কী অবজেক্ট ব্যবহার করতে পারবে এবং কী ধরনের অ্যাকশন প্রয়ােগ করতে পারে তাকে ডেটা সিকিউরিটি বলে।

ব্লকচেইন

ব্লকচেইন টেকনোলজি হল একধরনের ডিজিটাল লেজার টেকনোলজি যা তথ্য রেকর্ড করে। বিশেষ করে লেনদেনের তথ্য। এমনভাবে করে যাতে সেগুলো পরিবর্তন করা, হ্যাক করা, দুর্নীতি করা বা সিস্টেমে প্রতারণা করা প্রায় অসাধ্য। এই লেনদেনগুলি ব্লকচেইনে কম্পিউটার সিস্টেমের সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কের সঙ্গে বিতরণ এবং রেকর্ড করা হয়। অন্য ভাবে বললে, এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত বিতরণ নেটওয়ার্ক যা চেইনে ব্লকের আকারে বিভিন্ন লেনদেন রেকর্ড করে। যখনই ব্লকচেইনে কোনও নতুন লেনদেন হয় তখনই তার রেকর্ড প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর লেজারে রেকর্ড করা হয়। কারও পক্ষে এই এন্ট্রি পরিবর্তন করা সম্ভব নয় কারণ প্রত্যেক লেনদেন রিয়েল টাইমে নথিভুক্ত করা হয়।

টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion