Transistor
Capacitor
register
RAM
ইন্টারফেস দুটি এনটিটির মধ্য যোগাযোগের মাধ্যম বা সীমানাকে সংজ্ঞায়িত করে। মূলত এটি একটি এবসট্রাকশন যা একটি এনটিটি যোগাযোগের জন্য নিজেকে প্রদান করে থাকে, বাইরের যেকোন এনটিটিকে। এর ফলে বাইরের কোন এনটিটি কোন একটি এনটিটির নিজস্ব মেথড গুলোকে ব্যবহার করতে পারলেও পরিবর্তন করতে পারে না।
পাওয়ার সাপ্লাই (Power supply): কম্পিউটারের মাদারবাের্ড, কুলিং ফ্যান, হার্ডডিস্ক, পাওয়ার সাপ্লাই, সিডি বা ডিভিডি রােম ও অন্যান্য ড্রাইভকে বিদ্যুৎ শক্তি যােগানের মাধ্যমে সক্রিয় বা কার্যক্ষম করা হয় যার মাধ্যমে, সেটা হল পাওয়ার সাপ্লাই।
কম্পিউটারের বাস হলো এমন একগুচ্ছ তার, যার মধ্যে দিয়ে ডিজিটাল সংকেত ০ বা ১ চলাচল করতে পারে। বাসের সাহায্যেই কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়্যার একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে।
কম্পিউটার বাসকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। -
সিস্টেম বাস:-যে সমস্ত বাস মাদারবোর্ড ও সিপিইউ বা মাইক্রোপ্রসেসরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থেকে মেমরি, ইনপুট আউটপুটসহ অন্যা ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তথ্য আদান প্রদান করে তাদেরকে সিস্টেম বাস বলে। সিস্টেম বাসকে ইন্টারনাল বাসও বলা হয়।
সিস্টেম বাসকে ব্যবহারিক দিক থেকে প্রধানত তিনটি ভাগে করা হয়। যথা
ডেটা বাস (Data Bus) :-
কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের অভ্যন্তরের বিভিন্ন উপাদান যেমন মাইক্রোপ্রসেসর, হার্ডডিস্ক, র্যাম ইনপুট / আউটপুট পোর্ট ইত্যাদির মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানে যে বাস ব্যবহৃত সেই বাসকে ডেটা বাস বলা হয়।
অ্যাড্রেস বাস (Address Bus) :-
কম্পিউটার সিস্টেমে মাইক্রোপ্রসেসর ও মেমরি উভয়ের মধ্যে একগুচ্ছ লাইন বা তার সংযুক্ত থাকে, যার মাধ্যমে মাইক্রোপ্রসেসর মেমরির নির্দিষ্ট অ্যাড্রেসে যোগাযোগ করে তথ্য আহরণ করে বা সংরক্ষণ করে। এই গুচ্ছ লাইন বা তারগুলোই হলো অ্যাড্রেস বাস।
কন্ট্রোল বাস (Control Bus) :-
কন্ট্রোল বাস এক ধরনের দ্বিমুখী বাস। কম্পিউটারের অভ্যন্তরে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী বাস হচ্ছে কন্ট্রোল বাস।
এক্সপানশন বাস (Expansion Bus) বা সম্প্রসারিত বাস :-যে সকল বাস প্রধান বাসের সাহায্যকারী বাস হিসেবে কাজ করে তাকে সম্প্রসারিত বাস বা এক্সপানশন বাস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
মাইক্রোপ্রসেসর:
মাইক্রোপ্রসেসর হলাে একক ভিএলএসআই (VLSI-Very Large Scale Integration) সিলিকন চিপ (Chip)। কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউকে ভিএলএসআই প্রযুক্তির মাধ্যমে একীভূত করে মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করা হয়। মাইক্রোপ্রসেসর মাইক্রো কম্পিউটার বা মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক পদ্ধতির মস্তিষ্ক বা ব্রেইন স্বরূপ। মাইক্রোপ্রসেসরের প্রকৃতি ও ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে কম্পিউটারের ক্ষমতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।
মাইক্রোপ্রসেসরের প্রকারভেদ:
বর্তমানে প্রচলিত মাইক্রোপ্রসেসরকে সাধারণভাবে নিমােক্ত তিনভাগে ভাগ করা যায়-
১. সিস্ক প্রসেসর (CISC Processor)
২. রিস্ক প্রসেসর (RISC Processor)
৩. বিশেষ ব্যবহার কার্যের প্রসেসর (Special Purpose Processor)
সিদ্ধ প্রসেসর (CISC Processor)
>সিল্ক এর পূর্ণ Complex Instruction Set Computing।
>এই প্রসেসরে তুলনামূলকভাবে জটিল ইনস্ট্রাকশন ব্যবহার করা হয়।
>এসেম্বলি ভাষায় প্রােগ্রামিং এর জন্য এ প্রসেসর বেশি উপযােগী।
উদাহরণঃ Intel -Pentium, Motorola-6800, AMD (Advance Micro Device)-K6, AMD Athlon, Cyrix- 486DLC, IBM -Blue Lighting, TI (Texas Instrument)-486SLC/E ইত্যাদি।
রিস্ক প্রসেসর (RISC Processor)
রিস্ক এর পূর্ণনাম (Reduced Instruction Set Computing) এই প্রসেসরে সরল ও ছােট মােডেম ইনস্ট্রাকশন ব্যবহার করা হয়। উচ্চতর ভাষায় প্রােগ্রামিং এর জন্য এ প্রসেসর বেশি উপযােগী। প্রসেসরের উদাহরণঃ Motorola Power PC -601. DEC Alpha-21064, MIPs-R10000, SPARC-TMS390S10 ইত্যাদি।
বিশেষ ব্যবহার কার্যের প্রসেসর (Special Purpose Processor)
বিশেষ কোন কাজের উদ্দেশ্যে অথবা প্রধান প্রসেসরের কার্যক্ষমতা বাড়ানাের জন্য যে সকল প্রসেসর ব্যবহৃত হয়, তাকে বিশেষ ব্যবহার কার্যের প্রসেসর বলে। কোপ্রসেসর হলাে বিশেষ ব্যবহার কার্যের প্রসেসরের উদাহরণ। মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে মাইক্রো কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ কাজ সমাধান করা হয়।
নিচে এ ধরনের কয়েকটি কাজের নাম দেয়া হলাে :
১. কম্পিউটারের সব অংশের নিয়ন্ত্রণ ও সময় নির্ধারণ সংকেত প্রদান করা;
২. মেমােরি ও ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে ডেটার আদান-প্রদান করা;
৩. মেমােরি থেকে ডেটা ও ইনস্ট্রাকশন নেয়া;
৪. ইনস্ট্রাকশন ডিকোড করা;
৫. গাণিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ বা সিদ্ধান্তমূলক কাজ করা;
৬. কম্পিউটারের মেমােরিতে সংরক্ষিত প্রােগ্রাম নির্বাহ করা ও
৭. ইনপুট ও আউটপুট অংশগুলাের সাথে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি।
এসব প্রক্রিয়ার জন্য মাইক্রোপ্রসেসর চিপের অভ্যন্তরে প্রয়ােজনীয় লজিক সার্কিট থাকে। মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকে প্রােগ্রামের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রােগ্রামকে কম্পিউটারের মেমােরি অংশে সংরক্ষণ করা হয়।
সিপিইউ
কম্পিউটারের যে অংশ ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তাকে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ বলে। সিপিইউ কম্পিউটারের মস্তি’ বা ‘বেইন’ স্বরূপ। কম্পিউটারের কাজ করার গতি এবং ক্ষমতা- সিপিইউ-এর ওপর নির্ভরশীল। কম্পিউটারের প্রাণশক্তি হচ্ছে সিপিইউ (CPU)। কম্পিউটারের কাজ করার গতি ও ক্ষমতা সিপিইউর উপর নির্ভরশীল।
সিপিইউ এর গঠন:
সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ নিম্নলিখিত তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। যথা :
১.রেজিস্টার সমূহ (Register Set)।
২.গাণিতিক যুক্তি অংশ (Arithmetic & Logic Unit-ALU)
৩.নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit)
গাণিতিক যুক্তি অংশ (Arithmatic & Logic Unit-ALU): অ্যারিথম্যাটিক অ্যান্ড লজিক্যাল ইউনিট কম্পিউটারের ইনস্ট্রাকশনগুলাে নির্বাহ (Execution) করার জন্য মাইক্রো অপারেশনগুলাে (Micro Operation) পালন করে। এটি কম্পিউটারের গাণিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ বা সিদ্ধান্তমূলক কাজ করে।
নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit): কন্ট্রোল সিপিইউ-এর রেজিস্টেশনসমূহ এবং গাণিতিক যুক্তি অংশের মধ্যে ডেটার আদান-প্রদান তদারকি করে এবং গাণিতিক অংশ কি কাজ করবে তার ইনস্ট্রাকশন প্রদান করে। তাছাড়া কম্পিউটারের সব অংশের নিয়ন্ত্রণ ও সময় নির্ধারণ সংকেত প্রদান করে।
রেজিস্টার সেট: প্রক্রিয়াকরণের সময় অস্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষনের জন্য সিপিইউ-এর ভেতর ইলেক্ট্রনিক সার্কিট দিয়ে গঠিত রেজিস্টারসমূহ দরকার হয়। এ রেজিস্টারগুলো অ্যাকিউমুলেটর রেজিস্টার, ইনস্ট্রাকশন রেজিস্টার, অ্যাড্রেস রেজিস্টার, সাধারণ রেজিস্টার, বিশেষ ব্যবহারকার্যের রেজিস্টার ইত্যাদি।
সিপিইউ-এর কাজ:
১.কম্পিউটারের সব অংশের নিয়ন্ত্রণ ও সময় নির্ধারণ সংকেত (Timing & Control signals) প্রদান করা।
২.মেমােরি ও ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে ডেটার আদান-প্রদান করা (Transferring data)
৩. মেমােরি থেকে ডেটা ও ইন্সট্রাকশন নেয়া (Fetching instructions & date)
৪. ইনস্ট্রাকশন ডিকোড করা (decode)
৫. গাণিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ বা সিদ্ধান্তমূলক কাজ করা (Arithmetic & logical opertions)
৬. কম্পিউটারের মেমােরিতে সংরক্ষিত প্রােগ্রাম নির্বাহ করা ও
৭. ইনপুট ও আউটপুট অংশগুলাের সাথে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি।
অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট বা গাণিতিক যুক্তি অংশ
আরিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট হচ্ছে কম্পিউটারের ক্যালকুলেটর স্বরূপ। এটা সব গাণিতিক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ (Decision making function) করে থাকে। আধুনিক প্রসেসরের কাজে গতি বাড়ানাের জন্য এক বা একাধিক গাণিতিক যুক্তি অংশ ব্যবহার করা হয়। অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিটের কার্যাবলীকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
১. গাণিতিক কাজ (Arithmetic operations).
২.যুক্তিমূলক কাজ (Logical operatios) এবং
৩.ডেটা সঞ্চালন (Data manipulation)।
গাণিতিক কাজ: যােগ, বিয়ােগ, গুণ, ভাগ হলাে গাণিতিক কাজের উদাহরণ। বড়, ছােট বা সমান যাচাইয়ের জন্য বিয়ােগের সহায়তায় দুটি সংখ্যার তুলনাও গাণিতিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তিমূলক কাজ: যুক্তি বর্তনীতে ব্যবহৃত AND, OR, NOT, NOR ইত্যাদি কিংবা এদের সমন্বয়ে গঠিত জটিল যুক্তিমূলক কাজও গাণিতিক যুক্তি অংশ দিয়ে করা যায়।
ডেটা সঞ্চালন: কোনাে রেজিস্টার পরিষ্কারকরণ এ ধরনের কাজের একটি উদাহরণ। এ কাজের ফলে রেজিস্টার শূন্য থাকবে। স্থানান্তর (Shift) দ্বারা রেজিস্টারে রক্ষিত বাইনারি সংখ্যাকে ডানে বা বামে শুধু এক বিট স্থান সরানাে হয় ।
সিস্টেমবাের্ড হিসেবে পরিচিত, কম্পিউটার সিস্টেমের সকল উপাদান প্রত্যক্ষ বা পরেক্ষভাবে যে সর্ববৃহৎ সার্কিটবাের্ডের সাথে যুক্ত থাকে, তাকে মাদার বাের্ড বলা হয়। মাদারবাের্ড মূলত একটি প্রিন্টেড সার্কিড বাের্ড (Printed Circuit Board PCB) যাতে বিভিন্ন ধরনের কানেক্টর এবং এক্সপানশন পাের্ট থাকে। মাদারবাের্ডের সাথে সমস্ত উপাদান যেমন মেমোরি স্টোরেজ, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, হার্ডডিস্ক ড্রাইভ। ডিভিডি ড্রাইভ, ভিডিও কার্ড, সাউন্ড কার্ড, এজিপি কার্ড, ডিভিআর কার্ড, অন্যান্য ইনপুট এবং আউটপুট। ডিভাইসসমূহ যা প্রসেসরের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। বাংলাদেশের বাজারে Intel, Gigabyte, MSI, Asus, ASRock ইত্যাদি মাদারবাের্ড পাওয়া যায়।
Read more